পটুয়াখালী পৌর শহরের মিঠা পুকুর পাড়সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ আগুনে হারুন মুন্সির তেলের গুদামসহ ২৫টি দোকান ও বাসাবাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। আগুন নেভাতে দিয়ে আহত ও দগ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন। আগুনে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হারুন মুন্সির তেলের গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ আহম্মেদ জানান, পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের দুটিসহ আমতলী, বাখেরগঞ্জ, গলচিপা ও মির্জাগঞ্জের মোট ছয়টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা হারুন মুন্সির তেলের গুদামে হালকা ধোঁয়া দেখতে পান। ওই গুদামেই আগুনের সূত্রপাত। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ওই এলাকায় তেল ও গ্যাসের দোকান থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বেশি ছিল।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, যে ২৫টি দোকান ও বসতঘর পুড়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণরূপেই পুড়ে গেছে। সেগুলো থেকে কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আগুন জ্বলতে থাকার সময় কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে অনার চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই গোলাম মোস্তফাসহ তিনজন আহত হন। আহত বাকি দুজন হলেন রাশেদ খান (৩৫) ও শাহাদৎ (৫০)। অন্যদিকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন মো. জিহাদ (৯), মো. মাশরাফি (২০) ও মো. আব্দুল্লাহ (১৬)। তাদের সবাইকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলের পাশেই একটি পুকুর ছিল। তবে উন্নয়নকাজের জন্য পুকুরটির পানি নিষ্কাশন করা হয়, তাতে পানি ছিল না। পরে কয়েকশ গজ দূরে লোহালিয়া নদী থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়। পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও বসঘরের তালিকাসহ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা