আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৩:৩১
‘গরমে’ ফের বেঁকে গেছে দাড়িয়াপুরের রেললাইন
প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

‘গরমে’ ফের বেঁকে গেছে দাড়িয়াপুরের রেললাইন

গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে মালবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফাইল ছবি

তীব্র গরমে ফের বেঁকে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুরের রেললাইন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের দাড়িয়াপুর এলাকার লাইনটি বেঁকে যায় বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, সকাল পৌনে ১০টায় এ লাইন দিয়ে উপকূল এক্সপ্রেস ঢাকায় যায়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই, তীব্র গরমে সেই লাইনটি ফের বেঁকে গেছে। বাঁকা হয়ে যাওয়া লাইন দিয়ে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে পাশের লাইনটি দিয়ে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে তীব্র গরমে একই স্থানের রেললাইন বেঁকে মালবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে একটি লাইনে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টা পর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করা হয়। ৩১ ঘণ্টার মাথায় মেরামত হলে ঢাকাগামী লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

কিন্তু ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার ১৬ ঘণ্টা পর ফের বেঁকে গেল রেললাইনটি।

গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের প্রখর উত্তাপে পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের বিভিন্ন অংশ গরম হয়ে বেঁকে যাওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে নির্দিষ্ট গতিতে চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। রেলপথের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সব আন্তনগর ও লোকাল ট্রেন চালাতে লোকোমাস্টারদের বলা হয়।

এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, রেললাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সতর্কভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া-আশুগঞ্জ এবং আখাউড়া-মুকুন্দপুর রেল সেকশনের মধ্যে ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা হলেই রেললাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে এ পথে বাড়তি সতর্কতায় টহল জোরদার করা হয়েছে। তা ছাড়া প্যাট্রোলিং টিম ওই বেঁকে যাওয়া স্থানে পানি ও কচুরিপানা দিয়ে লাইন ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখে।