আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:২৮
সরকারি বন্ড লেনদেন শুরু হলে পুঁজিবাজারের আকার বাড়বে ৫০ শতাংশ: শিবলী রুবাইয়াত

সরকারি বন্ড লেনদেন শুরু হলে পুঁজিবাজারের আকার বাড়বে ৫০ শতাংশ: শিবলী রুবাইয়াত

‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা। ছবি: দৈনিক বাংলা

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হলে পুঁজিবাজারের আকার বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

‘তখন পুঁজিবাজারের বিকাশের পাশাপাশি দেশের জিডিপিতেও অবদান রাখবে।’

শনিবার সকালে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত যৌথ ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আর কিছুদিন পরই সব ধরনের বন্ডের লেনদেন শুরু করা হবে। যখন সরকারি বন্ডসহ অন্যান্য বন্ডের লেনদেন শুরু হয়ে যাবে, তখন মার্কেট বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে। আর সেটা এ বছরেই সবাই দেখতে পাবে।’
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করার সময়, সে দেশের অন্যান্য বিষয়ের দিকেও তাকাতে হবে। সে সব দেশের সার্বিক অবস্থা কেমন তাও দেখতে হবে।’

বিভিন্ন দেশেও খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন দেশে অনেক সময় খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। তবে তারা একটা সময় টিকে থাকতে না পেরে তালিকাচ্যুতও হয়।’

বর্তমানে ১৮টি বন্ধ কোম্পানি ইতোমধ্যে আবার চালু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধ থাকা ১৮টি কোম্পানি চালু হয়েছে। এসব কোম্পানির যে ব্যাংক ঋণ ছিল তাও পরিশোধের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই ঋণ পেলে ব্যাংক ও এনবিআর লাভবান হবে। আর এতে আমাদের এনবিআরের সহযোগিতাও প্রয়োজন।’

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জে শুধু বাংলাদেশি পণ্য না, বিদেশি পণ্যও কেনাবেচা করা যাবে। আমরা বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। যা খুব শিগগিরই চালু হবে, এরপর মার্কেটের আকার অনেক বড় হবে।’

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য জাহিদ হাসান, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, সিএফএ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডনার শাহীন ইকবাল, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ এফসিএমএ, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ বাংলাদেশ (আইসিএসবি) এর প্রেসিডেন্ট মোজাফফর আহমেদ এফসিএমএ এফসিএস, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বাংলাদেশের (আইসিএবি) কাউন্সিল সদস্য গোপাল চন্দ্র ঘোষ প্রমুখ বৈঠকে বক্তব্য দেন।