সপ্তাহের ব্যবধানে ৩১ শতাংশ লেনদেন কমে গেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। আগের সপ্তাহে পাঁচ দিনে মোট লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৫৪০ কোটি। আর সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৬২ কোটি। লেনদেন কমেছে ৭৭৮ কোটি টাকা।
মাত্র ছয় মাস আগেও বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক দিনেই লেনদেন হতো এক হাজার ৮০০ কোটি টাকার ঘরে। অথচ চলতি সপ্তাহের পুরো পাঁচ দিনে লেনদেন হয়েছে মাত্র এক হাজার ৭৬২ কোটি। দেশে অর্থনৈতিক অস্থিরতা। আর দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোরপ্রাইজ। সবমিলিয়ে লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। বৃহস্পতিবার দেশে দুই পুঁজিবাজারে এই সপ্তাহের মতো লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে সূচকের পতন কমেছে। আগের সপ্তাহে পুরো পাঁচ দিনে সূচক কমেছিল ৪০ পয়েন্ট। আর বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া সপ্তাহে সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। পুরো সপ্তাহে সূচক কমলেও সপ্তাহের শেষ দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে।
এদিন ডিএসই প্রধান সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর ফলে ডিএসইএক্স বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার ২১৫ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৭ কোটি। এই লেনদেন গত এক মাসের মধ্যে কম। এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিন লেনদেন ছিল ২২৩ কোটি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে ৩০৩টি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ২৪টির আর দাম অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট। সূচক হয়েছে ১৮ হাজার ৩৭৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ১২ কোট ১৫ লাখ টাকা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা