ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তি নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। আসন্ন অক্টোবরে নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে আইএমএফের দাবিকৃত কর বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি হ্রাসের শর্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও এখন এই কঠিন শর্তই মানতে চলেছে শেহবাজ শরিফের সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেছেন, ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত যদিও ‘কল্পনারও বাইরে’। কিন্তু এই কঠিন শর্তেও রাজি না হয়ে উপায় নেই। খবর দ্য ডন ও এনডিটিভির।
অর্থনৈতিক অবস্থার গতি ফেরাতে আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিতে চায় পাকিস্তান। গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত আলোচনা সারতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদে পৌঁছেছে।
আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার শেহবাজ শরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিস্তারিত বলতে চাই না, তবে এতটুকুই বলব, আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অকল্পনীয়। আইএমএফের যেসব শর্তে রাজি হতে হবে, সেটাও কল্পনার বাইরে। তারপরও আইএমএফের এসব শর্তে আমাদের রাজি হতেই হবে।’
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রিজার্ভ দিয়ে আর তিন সপ্তাহেরও কম আমদানির চাহিদা মেটানো যাবে। গত বুধবার পাকিস্তানের বাৎসরিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৪৮ বছরের সর্বোচ্চ হয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা