শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

`ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে'

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ৩ জুলাই, ২০২৪ ১৭:১৪

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। নি¤œমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। মন্ত্রী আজ বুধবার সকালে সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (এসইএআরএন) হচ্ছে ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেয়াটা আমার জন্য সম্মানের। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদেরকে একত্রিত করে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন ‘আমরা সবাই জানি, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় যে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হই, তার মধ্যে রয়েছে নি¤œমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারি। এই জন্য আমরা আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বক্তৃতা করেন।

এতে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব তিমুরের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।


স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ একটি প্রতিশ্রুতি যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার পরিকল্পনা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের গড়ে তুলতে হবে স্মার্ট শিশু যাদের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ‘ভিশন ২০৪১’ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে।”

ঢাকার মহাখালীতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আইসিডিডিআর,বি সাসাকাওয়া অডিটরিয়ামে আইসিডিডিআর,বি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিডিডিআর,বি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংক্রান্ত এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা দেশের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আইসিডিডিআর,বি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, আইসিডিডিআরবি,র চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বুধবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলাম, আমি শুধু সোমবার আর মঙ্গলবার ঢাকা থাকব আর বাকি কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি উপজেলা, জেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল এগুলোকে উন্নত করতে পারি, আমার রোগীর ওখানে যথাযথ চিকিৎসা হয় তাহলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভিড় হবে না। সাধারণ মানুষের যাতে উপকার হয় সে লক্ষে কাজ করতে হবে। আইসিডিডিআর,বি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামেগঞ্জে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিশুদের বিকাশ, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও সুন্দর করে আমরা যদি তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাব।’

আইসিডিডিআরবি,র প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।


গ্যাভির সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হলেন ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (গ্যাভি)- এর সিএসও কনস্টিওন্সি স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ। গত ১ জুন ২০২৪ থেকে আগামি দুই বছরের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশীয় উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটির স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা 'স্বাস্থ্য বাতায়নের' প্রধান নির্বাহী।

গত ২৪ মার্চ কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সভায় GAVI Civil Society Organization (CSO) Steering Committee তাদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করে। GAVI CSO Steering Committee বাংলাদেশের ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এই প্রথম। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিস লিজা বেরি। এই সভায় GAVI CSO Steering Committee-র সদস্যরা, জেনেভা থেকে আগত GAVI সেক্রেটারিয়েট দল উপস্থিত ছিলেন।

এই সভার মূল লক্ষ্য ছিল, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করণের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচিকে জোরদার করা, গ্যাভির ভবিষ্যত কর্মকৌশল ৬.০ সম্পর্কিত আপডেট, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনদের জন্য তহবিল প্রাপ্তির পদ্ধতি এবং প্রতিটি দেশে টিকাদান কর্মসূচি প্রাধান্য দেয়ার মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করণ।

ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করে আসছেন। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি, শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধ, এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, তামাক নিয়ন্ত্রণে পলিসি অ্যাডভোকেসি এবং করোনা প্রতিরোধসহ টেলিহেলথ সেবা বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি নীতিনির্ধারণী, কর্মসূচি বাবস্থাপনা ও মাঠপর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও সিএসওদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য ও ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (গ্যাভি)’র সিএসও কমিটির চেয়ার হিসেবে তার এ নিয়োগ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি জনস্বাস্থ্য এবং টিকা উন্নয়নে অবদান রাখবে।


‘ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে’

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। মন্ত্রী আজ বুধবার সকালে নগরীর পাঁচ তারকা এক হোটেলে সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (এসইএআরএন) হচ্ছে ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেয়াটা আমার জন্য সম্মানের। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদেরকে একত্রিত করে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন ‘আমরা সবাই জানি, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় যে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হই, তার মধ্যে রয়েছে নি¤œমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারি। এই জন্য আমরা আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বক্তৃতা করেন।

এতে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব তিমুরের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।


সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যেই হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সব সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেবা দেওয়া এবং সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যেই হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সেবা উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমার মনে হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে সমন্বয়ের দরকার। আমরা যদি একই লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করি তাহলে ফলাফল ভালো হয় না।’ ‘আপনারা প্রান্তিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠীকে সেবা দেন। এক্ষেত্রে আপনারা যদি জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় করে কার কি লাগবে এটার ভিত্তিতে কাজ করেন। সেটা অধিকতর ফলপ্রসূ হবে বলে আমার বিশ্বাস’- যোগ করে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসএসকের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সরকারি হাসপাতাল যেসব সুযোগ-সুবিধা নাই সেগুলো পূরণ করা। এক্ষেত্রে আগামী অর্থবছর থেকে আলাপ আলোচনা করে আয়ুষ্মান ভারতের আদলে এ কর্মসূচিকে তিনি এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি উদ্বোধনসহ সর্বমোট আটটি থানা উপজেলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসএসকে সেবা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবার বিনামূল্যে ১১০টি রোগের চিকিৎসাসহ সামাজিক বিমার আওতায় আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, ইনডোর বিভাগ, আউটডোর বিভাগ, এনসিডিসি কর্নারসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ডাক্তার, রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।


স্বাস্থ্যসেবা-স্বাস্থ্য শিক্ষায় নজরদারি অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আশা করি স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন এই দপ্তর ও সংস্থাগুলো আস্থা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করবে। আমার তদারকি ও নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আমাদের মনে রাখতে হবে- কথা কম, কাজ বেশি।’

সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চিকিৎসায় কোনো ধরনের অবহেলা সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন আটটি প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পাঁচটি দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে নিজ নিজ বিভাগের সচিবরা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরকারী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আটটি প্রতিষ্ঠানের নাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল ইলেক্ট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (নিমিউএন্ডটিসি), ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট মেইনটেইন্যান্স অর্গানাইজেশন (টেমো)।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি সই করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত পৃথক এ দুটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান।


২০৩০ সালের মধ্যে দেশ যক্ষ্মামুক্ত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা দূর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, জ্ঞান, কৌশল এবং সম্মিলিত ইচ্ছাকে এক সঙ্গে কাজে লাগিয়ে এই লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করা সম্ভব।

আজ রোববার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ফোরামের যক্ষ্মার অবসান ঘটাতে ‘মাল্টিসেক্টরাল এবং মাল্টিস্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিতার অগ্রগতি’ শীর্ষক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. সায়মা ওয়াজেদ ভিডিও বার্তায় যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে বক্তব্য দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মা এমন একটা ব্যাধি যা শুধু আমাদের দেশ নয়, বৃহত্তরভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করছে। যক্ষ্মা যা আমরা টিবি হিসেবে জানি দীর্ঘকাল ধরে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। এই রোগের প্রভাব দূরদূরান্তে পৌঁছায়, বিশ্বে প্রতি বছর ১০ কোটি ৬ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে টিবি বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ব নেতারা যক্ষ্মা প্রতিরোধের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যক্ষ্মা রোগ দূরীকরণে মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টি. কাসিভা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা প্রমুখ।


রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেন। আজ শনিবার সকালে সারা দেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ দেশের সমগ্র স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

নির্দেশনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখার পাশাপাশি কোনও অবস্থাতেই যেন অ্যান্টিভেনমের স্টক খালি না থাকে, সেই নির্দেশনাও দেন। এসময় তিনি দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্পদংশন ও রাসেলস ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলব, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের যে অ্যান্টিভেনম সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি কোনও অবস্থাতেই অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি থাকা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

ডা. সামন্ত লাল সেন এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রচার প্রচারণার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সর্পদংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দেন।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


মানুষের জীবন একটাই, চলে গেলে আর আসে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘মানুষের জীবন একটাই, চলে গেলে আর আসে না। তাই চিকিৎসায় কোনো অবহেলা মেনে নেব না। আমার একটাই কথা কোয়ালিটি চিকিৎসা চাই। কোয়ান্টিটি না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিক করেছি সারা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সরজমিনে দেখব। সেটার অংশ হিসেবে প্রতিদিন বিভিন্ন হাসপাতালে যাচ্ছি। সেখানকার চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। এ ক্ষেত্রে আমার পর্যবেক্ষণ হলো হাসপাতালগুলোকে আরও যত্নশীল হতে হবে। কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিটি বড় হাসপাতালে যেন গরীব রোগীদের একটা পার্সেন্টেজ থাকে। যাতে তাদের পক্ষে চিকিৎসাসেবা নেয়াটা সম্ভব হয়।’

এরপর রাজধানীর আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে রোগী এবং ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় ডকুমেন্টশন পদ্ধতি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করেন।

পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডকুমেন্টশন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। ঠিকমতো রোগীর ডকুমেন্টশন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটার সমাধান করা সহজ হয়। তাদের প্রতি বক্তব্য হলো রোগীর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে, বিলটাও যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে।

এর আগে আজ সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ডাক্তার ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


বন্যাকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যাকবলিত সিলেট বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বুধবার সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও বন্যাকবলিত এলাকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সব হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রাখতে হবে।’

এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে, বন্যার সময় এবং বন্যা পরবর্তী রোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, সিলেটে অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি ঢল। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত পানিবন্দি আছেন প্রায় সাত লাখ লোক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র আজ বুধবার সকাল ৯টায় জানিয়েছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯২ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে। এ ছাড়া সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.৯ সে.মি সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব জানান, সিলেটে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার ৬টা পর্যন্ত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি ৫৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আগামী কয়েক দিন সিলেটে টানা বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

লাইসেন্সবিহীন সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে অনেক রোগী মারা গেছেন। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়ে কাজ করছি। অ্যানেসথেসিয়া ড্রাগ হ্যালোজিন এটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা যে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ব্যবহার করবে সেগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া এটা যে ফার্মেসির দোকানে বেচাকেনা হবে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বড় হাসপাতাল ভিজিট করে একজন ডাক্তার হিসেবে আমার লজ্জা লাগছে। দেশের সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের থেকে খুব বেশি কিছু চায় না। তারা শুধু চিকিৎসা সেবাটা ভালো চান।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা আগের চেয়ে স্বাস্থ্য সেবায় অনেক উন্নতি করেছি। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সেবা সেমিনারে সবাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় এমপিরা যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নজর দেন তাহলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নতি হতে বাধ্য। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা সেই আলোকেই কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনারাগাঁ উপজেলা হাসপাতালে মুজিব কর্নারের উদ্বোধন করেন। এসময় স্থানীয় এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার, জেলার সিভিল সার্জন মুশিয়ার রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।


ঈদের দিন আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুন, ২০২৪ ১৯:২০
বাসস

ঈদের দিন আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার ক্যলাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ সোমবার সকালে আকস্মিকভাবে পুরানো ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট পরিদর্শন করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরী স্বাস্থ্যসেবা যাতে ব্যাঘাত না ঘটে এবং ঈদের ছুটিকালীন সময়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীগণ যাতে খাবার বা অন্য কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন এবং নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিয়ে যেতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই পরিদর্শন।

সকালে সাড়ে ১০ টায় সামন্ত লাল সেন প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি ইমার্জেন্সি ইউনিট, আইসিইউ, সার্জারী ওয়ার্ড, হাসপাতালের রান্না ঘর ঘুরে দেখেন। তিনি চিকিৎসাধীন রোগী, তাদের স্বজন ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে জরুরী বিভাগে আসা রোগী ও চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। এখানে গাইনি, সার্জারি ওয়ার্ডসহ বেশকিছু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও চিকিৎসকদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সস্টিউট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকে। তাই ছুটির এই সময়ে যাতে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত না হয় এবং রোগীরা যাতে সেবা পায় সে বিষয়ে সারা দেশে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে কোন নির্ধারিত পরিদর্শন নয় রোগী ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়দের উৎসাহ প্রদানের জন্যই হাসপাতালে আসা। ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কাটিং ইনজুরির রোগীই বেশি। মাংস কাটাকাটি করতে গিয়েই এই ইনজুরি। এজন্য তিনি সকলকে সাবধানে মাংস কাটাকাটি করতে অনুরোধ করেন।


ঢাকায় ‘নকল’ অ্যানেসথেশিয়ার ওষুধ, সারা দেশে অভিযানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনের একটি ফার্মেসি থেকে নিষিদ্ধ অ্যানেসথেশিয়ার হ্যালোথেন গ্রুপের ওষুধ ‘হ্যালোসিন’ উদ্ধার করেছেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার এ অভিযান চালানো হয়। পরে দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ব্যাপারী ফার্মেসিতে অভিযান চালান র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে নকল হ্যালোথেন বিক্রির সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মিটফোর্ড এলাকায় এবং আজিজ সুপার মার্কেটের একটি ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সোসাইটি অব অ্যানেসথেশিওলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা সভা করে সংকট উত্তরণে একটা পরিপত্র জারি করেছি। এই হ্যালোথেন ব্যবহার করা যাবে না। এটা একদম নিষিদ্ধ। তার পরও এটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যে বিক্রি করছে, সে যেমন দোষী তেমনি যে চিকিৎসক এটি ব্যবহার করছেন তিনিও দোষী।’

এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি ব্যবহারে যাকে যেখানে পাব, যেই হাসপাতালে পাব, যেই চিকিৎসককে পাব, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেই ওষুধ নিষিদ্ধ, সেটি ব্যবহার করার এখতিয়ার বাংলাদেশের কোনো চিকিৎসকের নেই। আমি সবাইকে জানাতে চাই যে, এ অভিযান আমি আরও চালাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনার তদন্তে পাওয়া গেছে এই অ্যানেসথেশিয়া ড্রাগের জন্য এমনটি হয়েছে। সুতরাং এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না যে, একটি শিশু বা কারও জীবন এভাবে চলে যাবে। আমি ডিজি ড্রাগকে নির্দেশ দিয়েছি সারা দেশে অভিযান চালানোর জন্য।’

সভায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ‘গত বছরের এপ্রিল থেকে দেশে হ্যালোথেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এসিআই একমাত্র অনুমোদিত কোম্পানি ছিল, যারা এটি তৈরি করত। একটি ওষুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার এক বছর পরও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যখনই দুই-তিনটি দুর্ঘটনা ঘটার পর আমাদের সন্দেহ হলো, আমরা বাজার থেকে স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট করলাম। টেস্টে দেখা গেল এই ওষুধে ভেজাল আছে। যেহেতু ভেজাল পাওয়া গেছে, সঙ্গে সঙ্গে অল্টারনেটিভ ভালো ওষুধ ব্যবহার করার জন্য সবাইকে বলেছি।’

উল্লেখ্য, অস্ত্রোপচারের আগে রোগীকে অজ্ঞান করতে ‘হ্যালোথেন’ নামের একটি এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি অ্যানেসথেশিয়ার কারণে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে এই নকল ওষুধ ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসে। তখনই এটি নিষিদ্ধ করা হয়।

গত ২৭ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করে জানায়, সম্প্রতি বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচারকালে অ্যানেসথেশিয়া দেওয়ার সময় বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা প্রতিরোধ এবং অ্যানেসথেশিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের মান নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অ্যানেসথেশিয়ার কারণে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অ্যানেসথেশিয়া ব্যবহারে ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ শীর্ষক এই চিঠিতে বলা হয়, অ্যানেসথেশিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য হ্যালোথেন ব্যবহার ও এর বিকল্প নির্ধারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে অ্যানেসথেশিয়া দেওয়ার ঘটনায় মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ করতে সুপারিশ করা হলো। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কক্ষে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন অথবা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের সব হাসপাতালে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন, সেভোফ্লুরেন ও ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে। অর্থাৎ এ বিষয়ে খরচের পরিমাণ জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া হ্যালোথেন বেচাকেনা ও ব্যবহার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, সারা দেশের সব অবেদনবিদকে (অ্যানেসথেশিওলজিস্ট) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের বদলে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নতুন অ্যানেসথেশিয়া মেশিন কেনার বেলায় স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নির্দেশনাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।


ঢাকার সরকারি হাসপাতালের ৩২ ভাগ টয়লেট ব্যবহার অযোগ্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার সরকারি হাসপাতালের ৩২ শতাংশ টয়লেট ব্যবহার উপযোগী নয়। এ ছাড়া হাসপাতালের ৬৮ শতাংশ ব্যবহার উপযোগী টয়লেটের মধ্যে মাত্র ৩৩ শতাংশ পরিচ্ছন্ন থাকে। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ৯২ শতাংশ টয়লেট ব্যবহার উপযোগী হলেও সেগুলোর মধ্যে ৪৪ শতাংশই সব সময় থাকে অপরিচ্ছন্ন।

সম্প্রতি আইসিডিডিআর,বির পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকার ১২টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গবেষণায় ২ হাজার ৪৫৯টি টয়লেট পর্যবেক্ষণ করে ঢাকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা, ব্যবহার উপযোগিতা এবং পরিচ্ছন্নতা মূল্যায়ন করা হয়েছে।

আইসিডিডিআর,বির গবেষকরা, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষণাটি সম্প্রতি ‘প্লাস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

আইসিডিডিআর,বি জানায়, ব্যবহার উপযোগী ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের অপ্রাপ্যতা কলেরা ও টাইফয়েডের মতো রোগের জীবাণু ছড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং এর প্রাপ্যতা হাসপাতালগুলোতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সেখানে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।

জরিপে উল্লেখ করা হয়, হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীদের জন্য টয়লেটের বিপরীতে ব্যবহারকারীর অনুপাত বেশি দেখা গেছে। দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতি একটি টয়লেটের বিপরীতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২১৪ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে টয়লেটপ্রতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৪ জন।

হাসপাতালের বহির্বিভাগে টয়লেট নির্মাণের ক্ষেত্রে ওয়াটার এইড প্রণীত নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতি ২০-২৫ জন রোগী বা পরিচর্যাকারীর জন্য প্রথম ১০০ জনের ক্ষেত্রে একটি করে টয়লেট এবং অতিরিক্ত প্রতি ৫০ জন রোগী বা পরিচর্যাকারীর জন্য একটি অতিরিক্ত টয়লেট থাকতে হবে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো বাংলাদেশ জাতীয় ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) স্ট্যান্ডার্ড ও ব্যস্তবায়ন নির্দেশিকা-২০২১ অনুযায়ী অন্তর্বিভাগে প্রতি ছয়টি বেডের জন্য একটি টয়লেটের মানদণ্ড পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে।

জরিপে টয়লেট সুবিধায় প্রতিবন্ধীরা উপেক্ষিত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা টয়লেট সুবিধা পাওয়া গেছে ১ শতাংশেরও কম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। মাত্র ৩ শতাংশ হাসপাতালে মাসিকের সময় ব্যবহৃত প্যাড এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ময়লা ফেলার ঝুড়ি ছিল।

গবেষণায় টয়লেটের ব্যবহার উপযোগিতা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ ব্যবহৃত মানদণ্ড অনুযায়ী। দৃশ্যমান মলের উপস্থিতি, মলের তীব্র গন্ধ, মাছি, থুতু, পোকামাকড়, ইঁদুর এবং কঠিন বর্জ্যের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গবেষণার বিষয়ে আইসিডিডিআর,বির অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট এবং এই গবেষণার প্রধান তদন্তকারী ডা. মো. নুহু আমিন বলেন, ‘ঢাকার হাসপাতালগুলোর প্রকৃত স্যানিটেশন পরিস্থিতি আমরা যা দেখছি তার চেয়েও খারাপ হতে পারে। কারণ আমরা গবেষণাটি করেছিলাম কোভিড-১৯ মহামারির ঠিক পরে। তখন অনেক হাসপাতাল কোভিড রোগীদের চিকিৎসা থেকে সাধারণ চিকিৎসাসেবার দিকে মনোনিবেশ করেছে। হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা ও কার্যক্ষম টয়লেট বজায় রাখার জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে, লিঙ্গভিত্তিক প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’


banner close