শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

কলকাতার ডিসান হাসপাতালে ৯৭০০ রুপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের এনজিওগ্রাম

কলকাতার ডিসান হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:৫১

বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য নয় হাজার ৭০০ ভারতীয় রুপিতে এনজিওগ্রাম সেবা প্রদান করছে কলকাতার ডিসান হাসপাতাল। যে সেবার নিয়মিত মূল্য ১৫ হাজার রুপি। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুবিধাটি পাওয়া যাবে।

কলকাতার কসবায় অবস্থিত শয্যা সংখ্যার দিক থেকে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম-৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজল দত্ত এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মুক্তিযোদ্ধারা পাসপোর্ট ও মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট এবং জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা শুধু পাসপোর্ট দেখিয়ে সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন।

হাসপাতালটিতে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি ও কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেসথেসিয়াসহ হৃদরোগের সমন্বিত সেবা (ইনভ্যাসিভ ও নন-ইনভ্যাসিভ) প্রদান করা হয়। সব ধরনের হৃদরোগ ও থোরাসিক রোগ নির্ণয় এবং এ সংক্রান্ত চিকিৎসা প্রদান করছে ডিসান। রোগীর সামগ্রিক দিক বিবেচনায় নিয়ে তার জন্য সঠিক ও উপযোগী সেবা দিয়ে থাকেন হাসপাতালটির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জনরা।

ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিন এবং কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি সেবার ক্ষেত্রে সক্ষমতা ও পরিধি বাড়াতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে হাসপাতালটি। আন্তর্জাতিকমানের ও জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটিতে রয়েছে মানসম্মত ও সার্বক্ষণিক অপারেটিং রুম, আইসিইউ, ক্যাথেটারাইজেশন ল্যাবরেটরি ও করোনারি কেয়ার ইউনিটসহ (সিসিইউ) ১৯২ স্লাইস কার্ডিয়াক সিটি সেবা; সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করছেন দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্স, প্যারামেডিকস ও বিশেষজ্ঞরা।

ডিসান হসপিটালস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজল দত্ত বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে বৈশ্বিকমানের সেবা প্রদান করা। হৃদরোগ একটি গুরুতর অসুস্থতা যাতে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়েই সাশ্রয়ী মূল্যে রোগ নির্ণয়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি রোগীকে নিবেদিত সেবা প্রদানে রয়েছেন আমাদের বিশিষ্ট চিকিৎসক, দক্ষ প্যারামেডিকস ও নার্সিং স্টাফ।’


সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘সংযোগ’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান

প্রথম মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়
প্রথম মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের জন্য প্রয়োজন প্রসবোত্তর যত্নের এবং প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। প্রথমবারের মা-বাবাদের প্রসবপরবর্তী সেবার হার ও মান বৃদ্ধি করা এবং প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের হার বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ‘সংযোগ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেনের আয়োজনে প্রকল্প সমাপনী অনুষ্ঠানে সংযোগ প্রকল্পের লক্ষ্য, কার্যক্রম ও নানা সাফল্য তুলে ধরা হয়। নতুন মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এই প্রকল্প তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। সংযোগ প্রকল্পের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি এবং এএইচ প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম বিভাগের পরিচালক মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর, প্ল্যানিং ইউনিট, সাবিনা পারভীন, পরিচালক, অর্থ, মোঃ এনামুল হক, পরিচালক, অ্যাডমিন, ডিজিএফপি, মীর সাজেদুর রহমান, পরিচালক, এমসিএইচ-সার্ভিসেস ডা. মো. সুলতান আহমেদ প্রমূখ। এই আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ, এনডিসি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী ইউনিটের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

আয়োজনের বিশেষ অতিথি সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, “সংযোগ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই পরিবর্তন এনেছে। সহজ পদক্ষেপ যেমন প্রথমবারের মতো বাবা-মায়ের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং প্রসবের আগে কাউন্সেলিংয়ের এর বিরাট প্রভাব রয়েছে।” প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ, এনডিসি বলেন, “সংযোগ প্রকল্প থেকে উদ্ভাবনী ধারণা, যেমন পিডিসিসি এবং প্রথমবারের মতো মায়েদের জন্য আমন্ত্রণপত্র দেখে আমি খুবই আনন্দিত। প্রকল্পের গবেষণাটিকে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি কাউন্সেলিংয়ের উন্নয়ন, কম বয়সে মাতৃত্বের ঝুঁকি মোকাবেলা এবং মাঠকর্মীদের অনুপ্রাণিত করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতি, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী ইউনিটের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “আমাদের দেশে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এখনও একটি গুরুতর সমস্যা, এবং সংযোগ প্রকল্প এটি মোকাবেলায় আমাদের শক্তিশালী অভিজ্ঞতা দিয়েছে।” পাশাপাশি এই উদ্যোগকে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

সংযোগ প্রকল্প পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে "জিরো হোম ডেলিভারী" ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে যার মাধ্যমে প্রকল্পটি তার কর্ম এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিশ্চিতে কাজ করেছে এবং বাড়িতে প্রসব না করানোর তাগিদ দিয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের এই প্রকল্পের আরেকটি বড় সাফল্য হলো, পিএনসি প্রি-ডিসচার্জ কাউন্সেলিং চেকলিস্ট যা সরকারি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ব্যবহারের মাধ্যমে প্রসব পরবর্তী সেবার মান বৃদ্ধি করা। সেভ দ্য চিলড্রেন ও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) সহযোগিতায় প্রকল্পটির নেতৃত্বে ছিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। নোয়াখালী ও মাদারীপুর জেলার মোট ৮টি উপজেলায় ২০১৯ সাল থেকে কাজ করেছে সংযোগ প্রকল্প।


শিশুদের পেটের চর্বি কমাতে কী করবেন?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

মেড ভুরি নিয়ে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ উদ্বিগ্ন থাকেন না এমননিটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। পরিণত বয়সের সচেতন সবাই এটি নিয়ন্ত্রণে বেশ চেষ্টা করেন—নিয়ন্ত্রণ করেন খাদ্যাভাস, করেন নানারকম ব্যায়াম বা শরীরচর্চা।

তবে এটি যে শুধুমাত্র পরিণতদের জন্য জরুরি, তা কিন্তু নয়—শিশুদের জন্যও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের পেটের চর্বি কমাতেও সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের। শিশুদের খাদ্যাভাস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে শরীরচর্চা করে চর্বি কমানো যায় আজ সে বিষয়ে গবেষকদের মতামত তুলে ধরব।

অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা বলছেন, শিশুদের পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর সর্বোত্তম উপায় হলো একটি মিশ্র পদ্ধতি অনুসরণ করা। শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চ বা ব্যায়াম হলো এই মিশ্র পদ্ধতি।

শনিবার (১২ এপ্রিল) প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের সমন্বয় শিশুর স্থূলতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮ হাজার ১০০ জনের বেশি শিশুর ওপর পরিচালিত ৩৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, পেট এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর চারপাশে জমা হওয়া চর্বি সাধারণ স্থূলতার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কারণ এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য দায়ী।

জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেনে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কোমরের আকার কমাতে শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস, শুধুমাত্র ব্যায়াম, সম্পূরক বা ওষুধের মতো স্বতন্ত্র কৌশলগুলোতে উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেখা যায়নি।

গবেষণায় উঠে এসেছে, সবচেয়ে সফল কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং সপ্তাহে ১৫০ মিনিট পর্যন্ত শারীরিক ব্যায়াম বা কার্যক্রম পরিচালনা করা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী শৈশবকালীন স্থূলতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে সারা বিশ্বে আনুমানিক ৯ কোটি ৪০ লাখ মেয়ে এবং ৬ কোটি ৫০ লাখ ছেলেকে প্রভাবিত করেছিল। তাই এই সংখ্যানুপাতিক ফলাফল জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন, উদ্ভুত এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকার, স্কুল এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আর এমন উদ্যোগ নিলে এর ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অপুষ্টি দূরীকরণ এবং অসংক্রামক রোগে মৃত্যু হ্রাস করার বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলোকে পূরণে সহায়তা করবে।


আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণের আশঙ্কা

১ দিনে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি বছরই এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সংক্রমিত সংখ্যাও বাড়ছে। গত বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও মার্চ থেকে তা কমে আসে, অন্তত আগের বছরের তুলনায়। তবে গত বছর আগস্ট থেকে আবারও বাড়তে থাকে সংক্রমণের সংখ্যা।

অন্যদিকে চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে। যাদের মধ্যে ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬ জন রোগী।

এদিকে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। গত বছর প্রথম ৯ মাসে ১৬৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু গত সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।

এ বছরও ডেঙ্গু সংক্রমণের সঙ্গে এডিস মশার বিস্তার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির মৌসুম শুরু না হতেই চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় এ আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরোপুরি বৃষ্টি শুরু হলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে আশঙ্কা তাদের। তাই এখুনি ডেঙ্গু মোকাবিলায় কার্যত পদক্ষেপই পারবে এ থেকে পরিত্রাণ মিলাতে।

ডেঙ্গু মূলত বর্ষাকালের রোগ। ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়ে আগস্ট মাসে। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে সেই চিত্রের কিছুটা পরিবর্তন হয়। এখন ডেঙ্গু রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে হচ্ছে। ২০২২ সালে দেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয় অক্টোবর মাসে। এবারও এ মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কার কারণ আগের মাসগুলোর অস্বাভাবিক বৃষ্টি।


টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো

আপডেটেড ১ এপ্রিল, ২০২৫ ২২:৪৩
unb

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন ছুটিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও ব্যাংক বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। ঈদের সময় হাসপাতালগুলোতে রোগীরা আদৌ কাঙ্ক্ষিত সেবা পান কিনা এবং কোন প্রক্রিয়ায় এ সেবা দেওয়া হয়—সেসব নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল জাগে।

ঈদের ছুটিতে সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই পর্যাপ্ত রোগী আছে। যদিও ছুটির এ সময়ে অধ্যাপক পর্যায়ের চিকিৎসকদের পদচারণা কম; তবে রোগীদের ভাষ্যমতে, মেডিকেল অফিসার ও জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের খোঁজ খবর রাখছেন; আছেন নার্সরাও।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের দিন প্রায় ৫০০’র মতো রোগী আছে হাসপাতালটিতে। এদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দেওয়া হয়নি ছাড়পত্র। ঈদের সময় জ্যেষ্ঠ ডাক্তাররা আসবেন কিনা বা এই সময়ে কতটুকু চিকিৎসাবা পাবেন—এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রোগীদের কপালে।

কিডনিতে পাথর নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সোহরাওয়ার্দীতে ভর্তি আছেন হবিগঞ্জ জেলার আহাদ মিয়া (৬০)।

পেশায় দিনমজুর আহাদ বলেন, ‘ডাক্তার কিডনি ওয়াশ করছে। তবে এখনও কিছু পাথর আছে। ডাক্তারই বলছে ঈদ এখানে করতে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি হয় নাই। ঈদের এ কয়দিনের ছুটিতে ডাক্তার রেগুলার আসছে। দেখি সামনের দিনগুলাতে কী হয়!’

বরগুনা থেকে মূত্রথলিতে টিউমার নিয়ে ২০ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন সফেদ হাওলাদার (৭২)। এবারের ঈদ তাকে হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছে। চিকিৎসকরা আগামী ৫ এপ্রিল ঈদের ছুটির মধ্যেই তার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সফেদের মেয়ে পারভীন আক্তার (৪০)।

তিনি বলেন, ‘ঈদের এ কয়দিনের ছুটিতেও ভালো সেবা পাচ্ছি। তবে বড় ডাক্তার না থাকায় ঈদের পর অপারেশন হবে। আগের থেকে আব্বার অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো।’

ঈদের সময় ডাক্তার-নার্স কম থাকা নিয়ে হাসপাতালটির সিনিয়র স্টাফ নার্স সাধনা হালদার বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের থেকে ঈদের ছুটির এ সময়ে হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কম থাকে। তবে এটা ভাবার কারণ নেই যে, হাসপাতাল নার্স-ডাক্তারশূন্য থাকবে। যেকোনো রোগীর জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার মজুত থাকেন। ঈদের নামাজের সময় বা দুপুরের দিকে অন্য ধর্মাবলম্বী ডাক্তার-নার্সরা ডিউটি করেন। এতে করে সংকটময় কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না।’

হাসপাতালটির আরেক সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি গোমেজ বলেন, ‘ঈদের আগে অনেকেই নিজ থেকে রিলিজ চায়। তবে সিরিয়াস রোগীদের রিলিজ দেওয়ার সুযোগ নেই। ওষুধ দেওয়া, ড্রেসিং করানো, ইনজেকশন পুশের মতো কাজ রোগী বাসায় নিজে করতে পারবে না, আবার এর জন্য তার সিনিয়র ডাক্তারদেরও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালে থাকলে প্রাথমিক সেবাগুলো নার্স ও মেডিকেল অফিসারই নিশ্চিত করতে পারেন।’

রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ঘুরেও দেখা যায় একই দৃশ্য। ঈদের ছুটিতে জরুরি বিভাগে ডাক্তারদের তোড়জোড় থাকলেও ভর্তি থাকা রোগীদের ওয়ার্ডে সিনিয়র ডাক্তারদের আনাগোনা অনেকটাই কম।

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৪৫) বলেন, ‘ডাক্তারদের সেবায় কোনো গাফলতি নেই। কিন্তু শুনছি ঈদে বড় ডাক্তাররা আসবেন না। তাদের দেখলে মনে জোর পাই। তারা না আসলে একটু ভয় ভয় লাগে।’

গোপালগঞ্জ থেকে আসা আরেক রোগীর আত্মীয় মিশকাত (২৮) বলেন, ‘ছুটির মধ্যে সেবা পাচ্ছি, কিন্তু যা পাচ্ছি সেটি আসলে আশানূরূপ নয়। তবে শুনেছি যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে সেবা ভালো হয়।’

জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি (জরুরি অস্ত্রোপচারকক্ষ) ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে দেশের হাসপাতালগুলোকে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি নির্ধারণ করা হবে।

ঈদের তিন দিন বন্ধ সরকারি হাসপাতালের আউটডোর সেবা। এ ব্যাপারে ছুটি শুরুর আগে কথা হয় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরদিন আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। তবে এর মানেই এই না রোগী আসলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আউটডোরে রোগী আসলে তাদের জরুরি বিভাগের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা হয়। রোস্টার অনুযায়ী জরুরি বিভাগ চলে।’

‘চেষ্টা থাকে ঈদের দিনটা অন্য ধর্মাবলম্বী ডাক্তারদের দিয়ে জরুরি বিভাগ চালানোর। তবে ঈদের ছুটি হোক বা অন্যকিছু, রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে মিস ম্যানেজমেন্ট (অব্যবস্থাপনা) এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে কর্তৃপক্ষের।’

তবে সরকারি হাসপাতালের চেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে সেবার মান ভালো দাবি করা হলেও ঈদের দিন প্রাইভেট হাসপাতালে ল্যাব কার্যক্রম প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়—এমন অভিযোগ এসেছে রোগীদের কাছ থেকে।

ভুক্তভোগী এমন একজন রোগী সাব্বির হোসেন (৩৭) বলেন, ‘এক বছর আগে ঈদের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ি। সকালে ডাক্তারের পরমার্শ অনুযায়ী ইমার্জেন্সি টেস্টের জন্য কম করে হলেও পাঁচ-ছয়টা হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। পরে আরেক ডাক্তার আত্মীয়ের মাধ্যমে তদবির করে টেস্ট করানো গেছে।’

প্রাইভেট হাসপাতালে ঈদের আগে রোগীদের একরকম জোরপূর্বক রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয়, সিনিয়র ডাক্তাররা আসেন না, নার্সদের সেবা পাওয়া যায় না—এমন সব অভিযোগের ব্যাপারে রাজধানীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. খান রাওয়াত বলেন, ‘ঈদের আগে রোগীরা নিজেরাই বাসায় ফেরার জন্য উতলা হয়ে ওঠেন। অনেক সময় ডাক্তারের সাজেশন না মেনেই তারা বাসায় ফিরতে চান। তাদের মনের অবস্থাটাও আমরা বুঝি। কে না চায় নিজ পরিবারের সঙ্গে শান্তিমতো ঈদ করতে! তাই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ঈদের আগে খুব সিরিয়াস কিছু না হলে যেসব রোগী রিলিজ চাইছেন, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, ঈদের দিনে ডাক্তার-নার্স ছাড়া হাসপাতালগুলো বিরানভূমিতে পরিণত হয়। আসলে মোটেও এমন কিছু নয়। নামাজের পর, আবার দুপুরের পর সিনিয়র ডাক্তারা হাসপাতালে এসে ঘুরে যান; রোগীদের খোঁজখবর নেন। সিরিয়াস কিছু হলে মেডিকেল অফিসাররা যখন তখন তাদের (সিনিয়র ডাক্তার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাই এটা ভাবার কারণ নেই যে, ঈদ বা ছুটি বলে রোগীদের চিকিৎসাসেবার বিন্দুমাত্র গাফলতি হয়।’

এদিকে, ঈদের দিন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জন্য বিশেষ অ্যাপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে রোগীদের সেমাই খাওয়ানো হয়েছে; সঙ্গে ছিল পাউরুটি, কলা, দুধ, ডিম ও বিস্কুট। দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে মুরগির রোস্ট, রেজালা, ডিম কোরমা ও কোক দেওয়া হয়। অনেক হাসপাতালে রোগীদের খাওয়া শেষে আপেল কিংবা কমলাও দেওয়া হয়। আর রাতে নিয়মানুযায়ী থাকে ভাত, ডাল ও সবজি।

তবে আপ্যায়ন যেমনই হোক, হাসপাতালে ঈদ কাটানো একেবারেই কাম্য নয় রোগীদের। আর বাধ্য হয়ে যদি হাসপাতালে থাকতেই হয়, তাহলে পূর্ণাঙ্গ সেবার প্রত্যাশা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের।


ঈদে খোলা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব বিভাগ খোলা রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা, হেড ইনজুরি, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল্যুর, রেসপাইরেটরি ফেইল্যুর (তীব্র শ্বাসকষ্ট), অপারেশন-পরবর্তী জটিলতা, সিজার-পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা, জরুরি ডায়ালাইসিস, অপরিপক্ব শিশুর সর্বাধুনিক ব্যবস্থাপনাসহ সব জটিল ও মুমূর্ষু রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালের সিসিইউ, সিআইসিইউ, আইসিইউসহ আন্তঃবিভাগ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
সেইসঙ্গে হৃদরোগ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা এবং শিশুরোগ ও নবজাতকের বহি:বিভাগসহ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে জরুরি বিভাগ। জরুরী প্রয়োজনে অথবা ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য ফোন করুন ১০৬৬৭ অথবা ০১৮৪১৪৮০০০০।


বিশ্বে চতুর্থ দূষিত শহর ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৫ ১৬:৫৭
unb

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টার ২০ মিনিটে ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে আবারও বাড়িয়ে তুলেছে।

নেপালের কাঠমান্ডু, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই এবং মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে ১৯৪, ১৮১ এবং ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।


২৯ মার্চ ও ২ এপ্রিল খোলা থাকবে বিএমইউ বহির্বিভাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম। রোগীদের সুবিধার্থে শনিবার (২৯ মার্চ) ও বুধবার (২ এপ্রিল) খোলা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ।

এ দুদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা থাকবে।
হাসপাতালের জরুরি ল্যাব কার্যক্রম সেবাও চালু থাকবে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে ২৮, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল। এর মধ্যে পবিত্র শবে ক্দর উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ মার্চ) এবং সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল শুক্রবার বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে। বন্ধের দিনগুলোতে ২৯ মার্চ শনিবার থেকে ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস বন্ধ থাকবে।
এদিকে রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পাঁচ দফা দাবি নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে রোগীদের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সভাপতি ডা. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করেছে, যা ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি আত্মঘাতী। আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যখাতের বিপ্লব সাধনের জন্য পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি।’

এছাড়া আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান আইডিএ সভাপতি ডা. আরাফাত হোসেন।

পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো—

১. ‘এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না’—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছে, তাদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে—

ক. দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।

খ. প্রতিবছর ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

গ. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে এসএসসি পাশ করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।


পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ সরকারের

অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে শূন্য পদ পূরণে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ অধিবেশন হয়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘ডিসিরা নানান রকমের প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে হাসপাতাল সংক্রান্ত সমস্যা, মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত সমস্যা, নানান সমস্যার কথা বলেছেন। সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা জানি। আমরা চেষ্টাও করছি সেগুলো এড্রেস করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধমূলক কিছু করা উচিত। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক হচ্ছে, এর কারণগুলো কি, এগুলোর জন্য আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারি, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কি করতে পারি? ছোট ছোট বাচ্চারা এখন ই-সিগারেটের অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে পারি। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগটা নেই।’

‘আইনের প্রয়োগটা দিয়ে যারা দুষ্টামি করছে, তাদেরকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়, তাও আমরা তাদের বলার চেষ্টা করেছি,’ বলেন নুরজাহান বেগম।

বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘তাদের (ডিসি) দিক থেকে যেসব ইনপুট এসেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, কিছু জায়গায় অসঙ্গতি যেমন- জনবলের অভাব রয়েছে। অবকাঠামো তৈরি হয়ে আছে, সেগুলো ফাংশনাল করা যাচ্ছে না। এই সমস্যাগুলোর কথা তারা বলেছেন। কোথাও ৫০০ শয্যার জায়গায় এক হাজার ২০০ রোগী থাকছে। কোথাও কোথাও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এগুলো প্রতিষ্ঠা করার চাহিদা রয়েছে বা এগুলো কার্যকর করার জন্য বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের বেআইনি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে ওনারা (ডিসি) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যেন আমাদের স্বাস্থ্য কাঠামোর পাশে থাকেন, সেই বিষয়ে বলা হয়েছে। সেটা মোটা দাগে এই স্বাস্থ্যের যে জনবল কাঠামো, সেটা নিয়ে আরও ভালো স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব। আমরা তাদের কাছে এ আহ্বান জানিয়েছি।’

‘স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী রূপান্তরের মৌলিক উপাদান। আমরা আশা করব জেলা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসন রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী রূপান্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’

বিশেষ সরকারী বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিনে স্পষ্ট দেখেছি যে, এন্ট্রি পদে প্রায় ৫ হাজারের বেশি পদে চিকিৎসক প্রয়োজন। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ পদ এবং অন্যান্য আধুনিক হাসপাতালগুলোতে আমাদের পদের প্রয়োজনীয়তা আছে। পদ সৃষ্টি এবং এর আর্থিক সংশ্লেষ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার পদ সৃষ্টির জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইউনিয়নেও যেমন পদের ঘাটতি রয়েছে, তেমনি মেডিকেল কলেজেও রয়েছে।’

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চেষ্টা করছি আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অল্প দিনে যদি এই উদ্যোগটি সফল হয়; অল্প দিনে বিশেষ বন্দোবস্তে যদি আমরা নতুন পদে জনবল নিয়োগ করতে পারি; তখন এ সমস্যা থেকে উত্তরণ হবে।’

‘শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন সর্বোচ্চ অ্যাফোর্ড দিচ্ছে। চিহ্নিত করে শূন্য পদ পূরণে যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সম্ভব সেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে, যেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সম্ভব সেগুলো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই শূন্য পদপূরণ আমাদের একটি অগ্রাধিকার। যেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সৃজন করা প্রয়োজন, অন্যান্য ক্ষেত্রে শূন্য পদপূরণ অগ্রাধিকার।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ সহকারী বলেন, আহতদের চিকিৎসা নিয়ে যেটুকু অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, আমরা মনে করি ১২-১৪ হাজার আহতের তুলনায় সে সংখ্যাটা আসলে খুবই কম। অসন্তোষের মাত্রা কোনোভাবেই এক শতাংশও না।

ওষুধের ভেজাল রোধ করে মান রক্ষায় সব জেলায় মিনি ল্যাব সম্প্রসারণ করতে হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছি। আমরা কখনোই টাকার দিকে তাকাইনি। আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের চিকিৎসা করার জন্য আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তারদেরও এনেছি।’

তিনি বলেন, আমরা তাদের ট্রমাটা ওইভাবে এড্রেস করতে পারছি না। এটা (চিকিৎসা নিয়ে অসন্তোষ) আস্তে আস্তে কমে যাবে, আমরা তাদের সমন্বিতভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টাও করছি। আমরা তাদের পুনর্বাসন করলে আর অসন্তোষ থাকবে না।


দেশে একমাত্র এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারী সানজিদা আক্তার মারা গেছেন। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তারা বলেন, ‘এইচএমপিভির একটা কেসই আমরা এ বছর পেয়েছি। এই রোগী গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান। শুধু এইচএমপিভির কারণে মারা গেছেন, তা মনে হচ্ছে না।’

‘এর সঙ্গে আরও একটি অর্গানিজম পেয়েছি। এ ছাড়া তার অনেকগুলো জটিলতা ছিল। শুধু এইচএমপিভি ভাইরাসের কারণে তিনি মারা গেছেন এমনটি বলা যাবে না। এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

এ বিষয়ে দুপুর সোয়া ১ টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফ করবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

গত রোববার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ভাইরাসটিতে একজন নারী আক্রান্ত হয়েছেন, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন।’

চীনের উত্তরাঞ্চলে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে এতে আরেকটি মহামারির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নাগরিকদের পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিডিসি)।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিয়াং বলেন, শীত মৌসুমে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কমই ছড়িয়েছে।


দেশে প্রথমবারের মতো ৫ জনের শরীরে শনাক্ত রিওভাইরাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।

৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

এছাড়া ২০২৪ সালে নিপা ভাইরাস লক্ষ্মণ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে ৫ জনের শরীরে এটি পাওয়া যায়।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন ইউএনবিকে বলেন, ‘এটা আমরা ২০২৪ সালে পেয়েছি। আক্রান্তদের মধ্যে কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। চিকিৎসার পর সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতিবছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিলো। এরা শনাক্ত হয় ২০২৪ সালে। এই রোগটি তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে ওই ৫ জনই প্রথম।

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।


আশার আলো দেখাচ্ছে ক্যানসারের টিকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্যানসারের চিকিৎসায় টিকা নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার পর অবশেষে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পেতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষায়িত এই টিকা মূলত ইমিউন সিস্টেম বা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে টিউমার চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার নানা ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফলাফল দেখাচ্ছে।

ক্যানসারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় করার ধারণাটি কিন্তু নতুন নয়। ১৯শ শতকের শেষভাগে নিউইয়র্কের সার্জন উইলিয়াম কোলি আবিষ্কার করেছিলেন, ব্যাকরেটিয়ার সংক্রমণ ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কোলি তার গবেষণায় প্রায় এক হাজার রোগীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা করেছিলেন, যার অনেক ক্ষেত্রেই সফল ফলাফল পাওয়া যায়।

বর্তমানে ক্যানসার টিকার গবেষণা নতুন ধাপে পৌঁছেছে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা টিউমারের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করছেন- কোন মিউটেশন বা নিওঅ্যান্টিজেন ইমিউন সিস্টেমকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় আরএনএ ব্যবহার করে শরীরের কোষকে ক্যানসারের নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর ফলে ইমিউন সিস্টেম ক্যানসারের কোষগুলোকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

ব্যক্তিকেন্দ্রিক টিকার সাফল্য

দুই মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না এবং মার্কের তৈরি একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক (প্রত্যেকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি) এমআরএনএ ক্যানসার টিকা (এমআরএনএ-৪১৫৭ বা ভি৯৪০) সম্প্রতি মেলানোমা (এক ধরনের স্কিন ক্যানসার) রোগীদের ওপর সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, এই টিকা ক্যানসার পুনরাবৃত্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে এনেছে। এছাড়া, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য ক্যানসারের বিরুদ্ধেও পরীক্ষামূলক কাজ চলছে।

উজ্জ্বল সম্ভাবনা

গবেষকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে কেমোথেরাপি ও অস্ত্রোপচারের মতো জটিল চিকিৎসার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে ক্যানসারের টিকা। পাশাপাশি, প্রতিরোধমূলক টিকা তৈরি করেও ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সুরক্ষিত করা সম্ভব হতে পারে। ২০২৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধে একটি টিকা তৈরির জন্য অর্থায়ন পেয়েছেন।

তবে, এই পথে নানা চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক টিকা তৈরি এখনো বেশ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। ‘অফ-দ্য-শেল্ফ’ টিকা উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ক্যানসার টিকা নিয়ে ২০২৫ সাল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। উইলিয়াম কোলির দৃষ্টিভঙ্গি এক শতাব্দী পর বিজ্ঞানীদের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির পথ দেখাচ্ছে। তবে এই টিকা কতটা কার্যকর হবে, তা নিশ্চিত হতে আরও কিছু গবেষণার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট


ডেঙ্গু: প্রাণে বাঁচলেও নীরবে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন নারীরা

গত বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানো ২৯৫ জন নারীর মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ছিল ২৬ থেকে ৪০ বছর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আলেয়া বেগম। রাজধানীতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ঘর মোছা থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া—অত্যধিক খাটুনির পর দিন শেষে তার শরীর ব্যথা হবে, এটাই স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই নারী। তবে একদিন হঠাৎ করে জ্বরে পড়ে ব্যথার চোটে তিনি যখন আর হাত-পা নড়াতে পারছিলেন না, তখন গুরুতর কিছু যে হয়েছে তা তার বুঝতে বাকি ছিল না।

শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ততক্ষণে এই রোগে তিনি কাবু হয়ে গেছেন, যা পরে তার জীবিকার ওপরও প্রভাব ফেলে।

আলেয়ার কথায়, ‘পরের বাড়িতে কাম করি। কাপড় ধুই, ঘর পরিষ্কার করি; প্রথমে কামের চাপের কারণেই শরীরে ব্যথা হইছে বলে মনে হইছিল। তাই এ নিয়ে মাথা ঘামাইনি।’

‘অসুস্থ হইয়া আমি কয়দিন কামে যাইতে পারিনি, এর মধ্যে তারা অন্য কামের লোক ঠিক কইরা ফেলছে। একে তো রোগে ট্যাকা-পয়সা খরচ হয়ে গেছে, তার ওপর কাজও নাই; খুবই বিপদে পইড়া গেছিলাম।’

ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখনও শরীরের বিভিন্ন সংযোগস্থলে ব্যথা অনুভব করেন আলেয়া, যা ডেঙ্গুর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ডেঙ্গুর কারণে দেশের নারীরা কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা ও জটিলতার মধ্যে পড়ছেন, আলেয়ার গল্পটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গত বছর দেশে ৫৭৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এডিস মশাবাহিত এই রোগ, নারীরা যার উল্লেখযোগ্য শিকার।

ডেঙ্গুতে নারীদের দুর্ভোগ বেশি কেন?

২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানো ৫৭৫ জনের মধ্যে ২৯৫ জন ছিলেন নারী, যাদের বেশিরভাগের বয়স ২৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। হরমোনের মতো জৈবিক পার্থক্য এবং রক্তস্বল্পতা ও উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক জটিলতা নারীদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিয়া সুলতানা রেশমা বলেন, ‘নিম্ন আয়ের পরিবারের নারীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে কিছু পদ্ধতিগত বাধার সম্মুখীন হন। এতে তাদের চিকিৎসা পেতে দেরি হয়ে যায়। এর ফলে পরবর্তীতে তারা গুরুতর (শারীরিক) জটিলতার মধ্যে পড়েন।’

নারীর সামাজিক অবস্থান ও মূল্যায়নের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক। এ বিষয়ে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশের নারীদের বেশিরভাগই নিজের স্বাস্থ্যের চেয়ে পরিবারকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এই বয়সী নারীদের (২৬-৪০) মধ্যে এই প্রবণতা আরও বেশি লক্ষ করা যায়।’

অর্থনীতিতে নারীর অসুস্থতার প্রভাব

দেশের মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশই (২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী) নারী। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন। ফলে তাদের অসুস্থতায় শুধু নির্দিষ্ট পরিবারটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও পড়ে নেতিবাচক প্রভাব।

আলেয়া বেগমের জন্য ডেঙ্গুর আর্থিক প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক ও কঠোর। অসুস্থ হওয়ার পর তিনি জীবিকা হারিয়ে ফেলেন।

ওই সময় আমার চোখ ও ঠোঁট ফুইলা গেছিল। হাঁটা তো দূরে থাক, উইঠা দাঁড়াইতেও কষ্ট হইত’, বলছিলেন এই গৃহকর্মী। তবে সুস্থ হয়ে তিনি কাজে ফিরে যখন দেখেন যে বাসাগুলোতে নতুন গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তখন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। দুর্বল শরীর নিয়ে নতুন করে কাজ খুঁজে পেতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।

সময়মতো চিকিৎসার ঘাটতি

আলেয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা কী ধরনের পদ্ধতিগত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আর্থিক সমস্যা, এমনকি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবাপ্রার্থীদের দীর্ঘ লাইনও নারীর স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় প্রভাব রাখে।

সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবার দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক সাদিয়া ইসলাম বলেন, ‘গ্রামের অনেক নারী জানেনই না প্লাটিলেট কাউন্ট বা সিবিসি টেস্ট কী।’

উত্তোরণের পথ

নারীর স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি আরও আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। ডেঙ্গু নিয়ে জনসচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচিতে রোগটির লক্ষণ ও প্রতিরোধের বিষয়ে নারীদের জানানো ও সচেতন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে নারীদের সচেতনতা বাড়ানো এবং আক্রান্ত নারীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস বুথের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক সাদিয়া।

তার মতে, ‘এসব বুথ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনাসহ স্যালাইন ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা যেতে পারে।’

‘আপনি প্রথমে ডাক্তার দেখাবেন, তারপর পরীক্ষা করাবেন, তারপর আবার ডাক্তারের কাছে যাবেন—এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নারীদের জন্য এটি আরও বেশি পীড়াদায়ক। তবে পুরো প্রক্রিয়াটিকে যদি সুবিন্যস্ত করে এক জায়গায় নিয়ে আসা যায়, তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলতে পারে।’

ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পেলেও আলেয়ার মতো নারীরা এমন পদক্ষেপের ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারেন।

২০২৪ শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হলেও ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি যেখানে একটুও কমেনি, সেখানে নারীর জীবন ও জীবিকা রক্ষায় পদ্ধতিগত পরিবর্তনের বিকল্প নেই। এতে করে জীবনদায়ী এই রোগ থেকে সেরে উঠলেও ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সর্বোপরি অর্থনৈতিকভাবে যে ক্ষতি হয়, তা পাশ কাটানোর সুযোগ পাবেন আলেয়ার মতো অসংখ্য নারী।


banner close