মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৬ বৈশাখ ১৪৩২

এবারের ঈদ আনন্দমেলায়ও গাইবেন রুনা লায়লা

রুনা লায়লা। ছবি : সংগৃহীত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৫ ২১:১০

রুনা লায়লা- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব ভাষাভাষীদের কাছে এক গৌরবময় অধ্যায়ের নাম। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে উপমহাদেশজুড়ে সুরের সৌরভ ছড়িয়েছেন জীবন্ত এই কিংবদন্তি। প্রায় ৬ দশকের দেশ-বিদেশের বড় বড় ৩০০টিরও বেশি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। গানের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেও পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পীর যেকোনো অনুষ্ঠানে এই গায়িকা অংশ নেওয়া মানেই তাকে ঘিরে শ্রোতাদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা কাজ করে থাকে। আসন্ন ঈদুল ফিতরেও গান গাইবেন এই কিংবদন্তি গায়িকা। এবারের ঈদে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দমেলা’-তে গান গাইবেন তিনি। আর ঈদে বিটিভির আনন্দমেলা মানেই দর্শকের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। ইউটিউব এবং অসংখ্য টিভি চ্যানেলের ভিড়েও দর্শক এখনো অনুষ্ঠানটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।

জানা গেছে, এর আগে দ্বৈত বা সমবেত কণ্ঠে গাইলেও এবারের আনন্দমেলায় একাই সংগীত পরিবেশন করবেন রুনা লায়লা। গত বছরও একই অনুষ্ঠানে গান করেছিলেন রুনা কিন্তু সেবার তার সঙ্গে আরও চার শিল্পী গান গেয়েছিলেন। রুনা লায়লার সঙ্গে ইমরান মাহমুদুল, দিলশাদ নাহার কনা, সাব্বির জামান এবং নজানিতা আহমেদ ঝিলিক অংশ নিলেও এবার একাই থাকছেন তিনি। ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাব’ শিরোনামের জনপ্রিয় গানটি এবারের আনন্দমেলায় গাইবেন এই সংগীতশিল্পী। বিটিভির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আজ সোমবার বিটিভির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে গানটির শুটিংয়ে অংশ নেবেন রুনা লায়লা।

উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে আরেকটি চমক হিসেবে থাকছে দীর্ঘ ৭ বছর পর মাসুমা রহমান নাবিলার উপস্থাপনায় ফেরা। তার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন মামনুন ইমন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে ‘আনন্দমেলা’য় উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেছিলেন নাবিলা। সেবার তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ও মডেল সজল নূর।

আনন্দমেলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মনিরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আনন্দমেলা বর্ণিল হবে। এবারের আয়োজনে বড় চমক রুনা লায়লা। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফিরেই শুটিংয়ে অংশ নেবেন। তার উপস্থিতি আয়োজনকে আলোকিত করবে। চেষ্টা করেছি দর্শক প্রত্যাশামাফিক অনুষ্ঠান সাজাতে।’

এদিকে এই বয়সেও গান গাওয়া বা তার শারীরিক অবস্থা কেমন অনুভব করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রুনা লায়লা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, বিধাতার দয়ায় ভালোই দিনাতিপাত করছি। বয়স বাড়ছে, কিন্তু ব্যস্ততা তেমন কমছে না। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের অনুরোধ আসে। গানের প্রস্তাব, সুর করার আর্জি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার মিনতি- সময় সুযোগ বুঝে সেগুলোতে সায় দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বাইরেও যেতে হচ্ছে। এই তো সদ্য কলকাতা থেকে ফিরলাম। এভাবেই চলছে সময়।’

দেশবরেণ্য এই সংগীতশিল্পী আরও বলেন, আমি তো মনে করি, আমার জন্মই হয়েছে গানের জন্য, সংগীতের নানা শাখায় জড়িয়ে থাকার জন্য। আমাকে শিল্পী ছাড়া আর কোনোরূপেই পাওয়া যেত না। গান ছাড়া আমি আর কিছুই পারি না। মাঝে শিল্পী নামের একটি সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এর পর অনেক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। এখনো পাই। কিন্তু কখনো অভিনয় করা সম্ভব নয়। গান নিয়েই থাকতে চাই। অনেক ভালো ভালো কিছু সুর সৃষ্টি করে যেতে চাই।’


আজীবন সন্মাননা পাচ্ছেন জ্যাকি চ্যান

জ্যাকি চ্যান। ছবি সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক কুংফু তারকা চ্যান কং স্যাং। বিশ্বজুড়ে যিনি ‘জ্যাকি চ্যান’ নামে পরিচিত। জ্যাকি চ্যান একজন হংকংভিত্তিক অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার, মার্শাল আর্টিস্ট, চলচ্চিত্র প্রণেতা, রঙ্গ অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্য লেখক, উদ্যোক্তা, কণ্ঠশিল্পী, ও স্টান্ট পারফর্মার। খ্যাতিমান এই সুপারস্টার চলতি মাসের ৭ এপ্রিলে জীবনের ৭২ বছরে পা রাখেন। বিশ্ববিখ্যাত মার্শাল আর্ট তারকা এবং হলিউড অ্যাকশন হিরো জ্যাকি চ্যানকে আজীবন সম্মাননা দিচ্ছে সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবটি মূলত স্বাধীন চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়। এ উৎসবের ৭৮তম আসর অনুষ্ঠিত হবে ৬ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

উৎসব কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার বিশেষ সম্মান জানাতে যাচ্ছে এমন একজন শিল্পীকে যিনি বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সিনেমার মাঝে সেতুবন্ধন গড়েছেন। উৎসবের অংশ হিসেবে চ্যান ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকবেন। তার পরিচালিত ও অভিনীত দুটি বিখ্যাত ছবি ‘প্রজেক্ট অ্যা’ (১৯৮৩) এবং ‘পুলিশ স্টোরি’ (১৯৮৫)- প্রদর্শন করবেন। এ ছাড়া ১০ আগস্ট তিনি উৎসবে একটি সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন।

লোকার্নোর শিল্পনির্দেশক গিওনা এ. নাজারো বলেন, ‘জ্যাকি চ্যান শুধু অভিনেতা নন; তিনি পরিচালক, প্রযোজক, কোরিওগ্রাফার, গীতিকার, গায়ক এবং এক সাহসী স্টান্ট পারফর্মার। তার প্রভাব এশিয়ান সিনেমা থেকে শুরু করে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে সম্মানিত করা মানে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সম্মান।’

তিনি আরও বলেন, ‘জ্যাকি চ্যান সিনেমার শরীরী ভাষাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যেখানে সংগীতনাট্যের ছন্দ, মার্শাল আর্টের শৈলী ও কমেডির সৌন্দর্য মিলেমিশে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে। সিনেমায় জ্যাকি চ্যান আসার আগে এবং পরে- এই দুই সময়কে আলাদা করে চেনা যায়।’

জ্যাকি চ্যান ১৯৯৫ সালে ‘রাম্বল ইন দ্য ব্রংক্স’ ও ১৯৯৮ সালের জনপ্রিয় ‘রাশ আওয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে হলিউডে ব্যাপক সাফল্য পান। এরপর তার সাফল্যের গল্প বেশ দীর্ঘ। সিনেমায় যেমনটা দেখা যায়, ব্যক্তি জ্যাকি চ্যান কিন্তু তার থেকে খুব বেশি আলাদা নন। কঠিন জীবন সংগ্রাম তাকে শিখিয়েছে বিচিত্র সব বিদ্যা। অনর্গল কথা বলতে পারেন, ক্যান্টোনিজ, ম্যান্ডারিন, ইংলিশ, জাপানিজ, জার্মান, কোরিয়ান ও থাই ভাষায়। ৫৬ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন দুইশর বেশি সিনেমায়, পেয়েছেন জগৎজোড়া খ্যাতি। ২০১৬ সালে অর্জনের খাতায় যোগ করেছেন অস্কারও।


অভিনেত্রীই হতে চান প্রিয়াঙ্কা

আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ভোলা। রুপে-গুণে তার তুলনা নেই। সেই অঞ্চলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন নেপালে। অবশেষে সেখানে স্বপ্ন জয় হয়েছে তার। গত ১৯ এপ্রিল নেপালের কাঠমান্ডুর পাঁচতারকা হোটেল ইয়াক্যাং অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই বাংলার গ্ল্যামার প্রতিযোগিতা ‘বর্ষা সুন্দরী’র সিজন ফোর। সেখানে ‘অপরূপা’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাকে। দেশে ফিরে পেয়েছেন কাছের-দূরের মানুষের ভালোবাসা। সেই প্রশংসা আর ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে নিজেকে শোবিজেই প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। হয়ে ওঠতে চান দেশসেরা অভিনেত্রীদের একজন।

এরইমধ্যে রাসেল শিকদার, অংকুরের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে দর্শকের নজর কেড়েছেন। পাশাপাশি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ‘সেলিব্রিটিস চয়েজ’সহ কয়েকটি প্রতিথযশা ফ্যাশন হাউজেরও মডেল হয়েছেন তিনি। অপেক্ষায় আছেন ভালো গল্পের, ভালো নির্মাতার। ব্যাটে বলে মিললেই অভিনয় করতে প্রস্তুত প্রিয়াঙ্কা। শৈশব থেকেই সিনেমার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন প্রিয়াঙ্কার। তবে নাটক, সিনেমা এবং ওটিটি- সব মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরতে চান তিনি।

এই তরুণ তুর্কী বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেক প্রিয় প্রিয় শিল্পীর অভিনয়ই আমি দেখেছি। তাদের অভিনয় দেখে দেখে নিজের মনের মধ্যে স্বপ্ন বুনেছি একদিন আমিও অভিনয় করবো, তাদের মতো বড় শিল্পী হবো। সেই স্বপ্ন নিয়েই শোবিজে পথচলা। আমি সৌভাগ্যবান যে একটি ভালো প্লাটফর্মের মধ্য দিয়ে নিজের মেধা ও সৌন্দর্য্যকে কিছুটা হলেও প্রমাণ করতে পেরেছি। এই সাফল্যকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে আগামীর দিনগুলো রঙিন করতে চাই।’

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) -তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। শোবিজে পথচলার পাশাপাশি নিজের উচ্চশিক্ষাও শেষ করতে চান মেধাবী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী।


বেকায়দায় ঢাকাই সিনেমার নায়িকারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

এত নায়িকার ভিড়েও নায়িকা সংকট! তবে বিষয়টাকে নায়িকা সংকট না বলে অস্তিত্ব সংকটও বলা যায়। মূলত নানা কারণে ঢাকাই ছবির নায়িকারা পড়ে ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে রয়েছেন। কিছুদিন আগেও যারা দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন, তারাও এখন নানা কারণে আস্থা হারাচ্ছেন প্রযোজক-পরিচালক এমনকি দর্শকের কাছে। লগ্নিকারকরা খুঁজছেন পাশের দেশের নায়িকাদের। আর এসব ভিনদেশি নায়িকাদের আগমনের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন কিছুদিন আগের চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীরা। গত কয়েক বছর আগের জনপ্রিয় দেশি নায়িকারা তুমুল ব্যস্ত থাকলেও এখন তাদের বেশির ভাগই অভিনয় থেকে দূরে। কেউ বা আবার নায়ক সংকটের কারণে সিনেমায় কাজ করছেন খুব ঢিমে-তালে। আবার নতুনরা অভিষেকেই আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের নিয়ে কাজ করতে সাহস দেখাতে পারছেন প্রযোজক-পরিচালকরা। মৌসুমী, পূর্ণিমা, শাবনূর, পপির পর দর্শকের মনমতো হতে পারছেন না তার পরের প্রজন্মের নায়িকারা। গত কয়েক বছরে আলোচনা-সমালোচনায় কয়েকজন নায়িকার নাম উঠে এলেও তাদের হাতে রয়েছে নতুন ছবির সংকট। অন্যদিকে চলচ্চিত্রে নায়িকা সংকট। অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, ববি, বর্ষা, আইরিন সুলতানা, নূসরাত ফারিয়া ও পরীমনি দর্শকদের কাছে পরিচিত থাকলেও সুবিধা করতে পারছেন না। তাদের নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ ও সংশয়। চাহিদার চেয়েও বেশি সম্মানি হাঁকা, সিডিউল ফাঁসানোসহ নানা কারণে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে নির্মাতাদের কাছে।

আবার অনেকেই ইমেজ সংকটে পড়ে শখের চলচ্চিত্র ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশের মাটিতে। কেউ কেউ অঅবার বিয়ে করে রীতিমতো সংসারে মনোযোগী হয়েছেন। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, দুবাইসহ অনেকেই স্থায়ী হয়েছেন। ব্যক্তিগত গুজব-গুঞ্জন, বিয়ে-বিচ্ছেদসহ আরও অনেক কারণে প্রতিষ্ঠিত এসব নায়িকারা নিজেদের ইমেজ হারাচ্ছেন। ফলে ভুগছেন অস্তিত্ব সংকটে। তাদের কারও কারও নাম শুনলেই দর্শকের মধ্যে যেন আতঙ্ক ভর করে। সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মতে, গুটিকয়েক নায়িকা বর্তমানে সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। বাকিদের কোনো কাজ নেই। আলোচনায় থাকতে ব্যক্তিগত নানাবিধ বিতর্কিত ইস্যু সামনে নিয়ে আসছেন। এবারের ঈদুল-ফিতরেই মুক্তি পেয়েছিল দুই বাংলার নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার একটি সিনেমা। আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন ‘জ্বীন-৩’ সিনেমায়। মুক্তির এক সপ্তাহ পরই সিনেমাটি সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে ফেলা হয়। ঈদের ব্যর্থ তিন নায়িকার তালিকায়ও রয়েছে এ নায়িকার নাম।

ঢালিউড কুইন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এক সময়ের ব্যস্ততম নায়িকা ছিলেন অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি একাধারে ৭০টিরও অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যেগুলোর অধিকাংশই ছিল ব্যবসাসফল। শাকিব খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে, অপু বিশ্বাস তার সেই দর্শকপ্রিয়তা আর ধরে রাখতে পারেননি। বর্তমানে সিনেমায় খুব একটা দেখা যায় না তাকে। তবে বসে নেই তিনি, নতুন পরিচয়ে ইউটিউবার হয়ে অনলাইন কনটেন্টে মনোযোগী হয়েছেন। বলা যায়, অপু বিশ্বাস এখন ইউটিউবার। সিনেমা ছেড়ে সেদিকেই এখন বেশি ব্যস্ত তিনি। এ অভিনেত্রীকে সর্বশেষ ‘ট্র্যাপ : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ও ‘ছায়াবৃক্ষ’ নামে দুটি সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। অপুর পরেই শাকিব খানের কাঁধে ভর করে ক্যারিয়ার শুরু করেন চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী। কিন্তু শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ধুঁকে সংবাদ পাঠিকা থেকে নায়িকা হওয়ার বুবলীর ক্যারিয়ার। বলা চলে, নায়ক সংকটে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। জুনিয়র নায়কদের সঙ্গে কাজ করলেও আগের মতো সুবিধা করতে পারছেন না বুবলী।

‘অগ্নি’খ্যাত নায়িকা মাহিয়া মাহি ক্যারিয়ারে ৩০টির অধিক সিনেমায় অভিনয় করলেও ববর্তমানে পুরোপরি বেকার সময় পার করছেন। হঠাৎ করেই সিনেমা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন তিনি। আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নৌকার টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। পরাজয় নিয়েই রাজনীতির মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। যদিও আবার সিনেমায় ফেরার চেষ্টা করছেন এ নায়িকা। কিন্তু আগের মতো আর তার তারকা ইমেজ নেই। দর্শকচাহিদা কমায় পাচ্ছেন না সিনেমার কাজ। তাকে সবশেষ ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিবের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছেন অপরূপা সুন্দরী পরীমনি। আলোচনার চেয়ে সমালোচনা বেশি হয় তাকে নিয়ে। অভিনয়ের চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন ব্যক্তিজীবন নিয়ে। প্রেম-বিয়ে মামলা-হামলাসহ একাধিক কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত এ নায়িকা। সিনেমায় এখন তার ব্যস্ততা নেই বললেই চলে। কারণ, সিনেমায় দেখার চাইতে, দর্শক এখন তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে বেশি অভ্যস্ত। সম্প্রতি তরুণ এক গায়কের সঙ্গে প্রেমকাণ্ডে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। এরকম নানা ইস্যুতে বিতর্কের জন্ম দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন এ নায়িকা। তাকে নিয়ে সিনেমা করাটাকেও একধরনের ‘রিস্ক’ মনে করছেন প্রযোজক পরিচালকরা। সর্বশেষ তাকে ‘মা’ নামে একটি সিনেমায় দেখা যায়।

পরীর মতো একই অবস্থা বিদ্যা সিনহা মিমের। কলকাতার নায়কের বিপরীতে অভিনয় করলেও নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারছেন না এই নায়িকা। এ ছাড়া আইরিন সুলতানা, অধরা খান, শিরিন শিলা, মিষ্টি জান্নাত, পিয়া জান্নাতসহ আরও অনেক নায়িকার কয়েক বছর আগে অভিষেক হলেও আস্থা অর্জন করতে পারেননি। তবে নিজেকে নায়িকা হিসেবে প্রমাণ করার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন পূজা চেরি। এই তালিকায় রয়েছেন তরুণ নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। যদিও এখন পর্যন্ত নায়িকা হিসেবে কোনো ছবিই আলোচনায় আসেনি তার। এ ছাড়া জাহারা মিতু নামে এক মেয়ে নায়িকা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগেই ঝরে গেছেন অযাচিত কর্মকাণ্ডের কারণে। তালিকায় আরও অনেকেই রয়েছেন। নায়িকা নিপুণও রয়েছেন অস্তিত্ব সংকটে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী তার সামাজিক অবস্থান এখন বলা যায় শূন্যের কোটায়।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে আগের নায়িকাদের মধ্যে যেমন চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা, অধ্যবসায়, নিয়মানুবর্তিতা, পরিশ্রমপ্রিয়তা, ধৈর্য, সুশৃঙ্খলতা ছিল এখন তা নেই। এখনকার শিল্পীরা শিল্পী না হয়ে তারকা খ্যাতির পেছনে ছোটেন। যোগ্যতার চেয়ে সম্মানী বেশি দাবি করে বসেন বলেই গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন।


অ্যান্থোলজি ফিল্মে মিথিলা

তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশি মডেল তানজিয়া জামান মিথিলা। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত ‘ফেস অব এশিয়া’ ২০১৯-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আইয়ুমওলিদা ফেস অব এশিয়া ২০১৯-এর বিজয়ী হিসেবে মুকুট অর্জন করেন তিনি। এরপর মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এরমধ্যে বলিউডে নাম লেখান ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমা দিয়ে। ‘দাবাং’, ‘কমান্ডো’, ‘দঙ্গল’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হায়দার খান পরিচালিত এ সিনেমায় রোহিঙ্গা তরুণী হুসনে আরার চরিত্রে অভিনয় করেন মিথিলা।

এই সুন্দরী সম্প্রতি শেষ করেছেন একটি অ্যান্থোলজি ফিল্মের শুটিং। জাহিদ প্রীতম পরিচালিত এ সিনেমার নাম ‘থার্সডে নাইট’। পুরো সিনেমার শুটিং শেষ, শুধু একটি দৃশ্যের শুটিং বাকি বলে জানিয়েছেন এ মডেল-অভিনেত্রী। শিগগিরই বাকি অংশের কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ছয় বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন তিনি। শোবিজের জনপ্রিয় এ মডেল ২০১৯ সালে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিলেন বলিউড সিনেমায়। ‘রোহিঙ্গা’ শিরোনামের এ সিনেমাটি মুক্তি পায় পরের বছর। এরপর তাকে আর অভিনয়ে দেখা যায়নি।

দীর্ঘ এ বিরতি প্রসঙ্গে তানজিয়া জামান মিথিলা বলেন, ‘আমার বলিউড সিনেমাটি মুক্তির পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব এলেও তখন তা করা হয়নি। তাছাড়া মডেলিং নিয়েই বেশ ব্যস্ত ছিলাম আমি। এখন যেরকম অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে, সেগুলো দেখে আগ্রহী হলাম। ভাবলাম, ভালো গল্প হলে কাজ করা যায়। এখন যে কাজটা করছি সেটার গল্পও বেশ ভালো, পরিচালকও বেশ সাপোর্টিভ।’ ‘থার্সডে নাইট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে বেশ সুন্দর একটা ফিল্ম। বন্ধুত্বের গল্প হলেও এখন থ্রিল রয়েছে, আরও অনেক কিছুই রয়েছে।

জানা গেছে, আলফা আই প্রযোজিত অ্যান্থোলজি ফিল্ম ‘থার্সডে নাইট’-এ আরও অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি, সামিরা খান মাহি, ফররুখ রেহান প্রমুখ। আসছে ঈদুল আজহায় এটি একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।


চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে ইয়ামি গৌতম

ইয়ামি গৌতম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম ও অভিনেতা ইমরান হাশমি সম্প্রতি শেষ করলেন একটি কোর্টরুম ড্রামার শুটিং। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই সিনেমায় ইয়ামি গৌতম শাহ বানু চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইমরান হাশমি অভিনয় করছেন তার প্রাক্তন স্বামী আহমেদ খান অনুপ্রাণিত একটি চরিত্রে। সিনেমার শুটিং ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেই ১৯৮৫ সালের আলোচিত শাহ বানু বনাম আহমেদ খান মামলার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। এই মামলাটি ভারতের আইন ও সমাজের ইতিহাসে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও গণতান্ত্রিক অধিকার, বিশেষ করে মুসলিম পার্সোনাল ল’ এবং লিঙ্গ সমতার প্রশ্ন নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূচনা করেছিল।

১৯৭৮ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে, শাহ বানু নামের একজন মুসলিম মহিলা তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন। আহমেদ খান নামের ওই ব্যক্তি একজন নামকরা আইনজীবী ছিলেন। তারা ১৯৩২ সাল থেকে বিবাহিত ছিলেন এবং পাঁচ সন্তানের জনক-জননী। শাহ বানু তার আবেদনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারা অনুসারে করেন, যেখানে বলা আছে- যদি কোনো নারী নিজে উপার্জন করতে না পারেন তবে তার স্বামী তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের পরও খরচ দিতে বাধ্য থাকবেন।

তবে আহমেদ খান দাবি করেন, মুসলিম পার্সোনাল ল অনুযায়ী তিনি শুধু ইদ্দত পর্ব পর্যন্তই খরচ দিতে বাধ্য। ইদ্দত হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যুর পর একজন নারীর জন্য নির্ধারিত তিন মাসের অপেক্ষার সময়। এই মামলায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আহমেদ খানের পক্ষ নেয় এবং দাবি করে, এই রকম পারিবারিক বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ ইসলামিক শরিয়াহ আইনের বিরুদ্ধে যাবে। তাদের মতে, ১৯৩৭ সালের মুসলিম পার্সোনাল ল (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, মুসলিমদের পারিবারিক বিষয় ইসলামি আইন অনুযায়ী মীমাংসা হওয়া উচিত।

দীর্ঘ শুনানির পর, ১৯৮৫ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শাহ বানুর পক্ষে রায় দেয় এবং তাকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী খরচ পাওয়ার অধিকার স্বীকৃতি দেয়। সেই সময়ের প্রধান বিচারপতি ওয়াই. ভি. চন্দ্রচূড় রায়ে বলেন, সিআরপিসি ধর্ম নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। আদালত রায় দেয়, শাহ বানু খরচ পাবেন। তার খরচের পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়।


বক্স অফিসে কৌশানির ছক্কা

কৌশানি মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ২২:০৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

একটু একটু করে নিজের মেধাশক্তি দিয়ে ক্রমেই দ্যুতি ছড়াচ্ছেন টালিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি। বলা চলে, ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। বক্স অফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছেন তিনি। ‘বহুরূপী’র সাফল্যের পর ‘কিলবিল সোসাইটি’-তে নায়িকার অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকের। এর মাঝেই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে নতুন গুঞ্জন। ক্যারিয়ারের সাফল্যই নাকি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বনি-কৌশানির সম্পর্কে। দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তারা। তা নিয়ে অবশ্য কোনও দিন লুকোছাপাও করেননি নায়ক-নায়িকা। কিন্তু তাদের মধ্যে নাকি আর সব আগের মতো স্বাভাবিক নেই, এমনটাই আঁচ করছে বনি-কৌশানির ঘনিষ্ঠমহল। এক দিকে ‘হিট’ পরিচালকদের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন অভিনেত্রী। অন্য দিকে নায়কের ঝুলিতে যেন হিট ছবির ভাটা। এই হিসেবনিকেশই কষছেন নিন্দকেরা।

প্রশ্ন উঠেছে সত্যিই কি অভিমানের পাহাড় জমেছে বনি-কৌশানির সম্পর্কে? সেই প্রশ্ন নিয়েই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় নায়কের সঙ্গে। প্রশ্ন শুনেই নাকি আকাশ থেকে পড়েন বনি। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে যে এমন আলোচনা হতে পারে সেটা নাকি তিনি ভাবতেই পারছেন না। বনি বলেন, ‘এসব আলোচনার জন্যই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আর বড় হবে না। কোনো দিন কারও ভাল দেখতে পারে না। এমনটাও যে কথা হতে পারে আমি ভাবতেই পারছি না। যে দিন ‘কিলবিল সোসাইটি’র প্রিমিয়ার ছিল সেই দিন আমার ওড়িয়া ছবিরও বিশেষ স্ক্রিনিং ছিল। আমি উড়িষ্যাতে ছিলাম তাই আসতে পারিনি। কৌশানির অভিনয় দর্শকের ভাল লাগছে, তা শুনে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত আমি।’

নায়ক জানান, সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি ওয়েব সিরিজ়ের জন্য বাঙালি অভিনেত্রীর খোঁজ চলছে। সেই কথা কানে যেতেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রেমিকা, অর্থাৎ কৌশানির কথা ভেবে দেখার কথা বলেছেন নির্মাতাকে। বনি আরও বলেন, ‘আমি বিরক্ত এমন আলোচনায়। যদি আমাদের মধ্যে ঝামেলা হত তা হলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতাম না। ২০ মে আমরা সব বন্ধু মিলে বালি, ব্যাঙ্কক ঘুরতে যাচ্ছি।’ তবে এর আগেও বনি-কৌশানির সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনই এক প্রিমিয়ার শো-এ এসে ক্যামেরার সামনেই নাকি যুগলের মতানৈক্য চোখে পড়েছিল সবার। সে সময় নিজেদের ঝগড়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছিলেন বনি-কৌশানি। যদিও সেই সব এখন অতীত। আপাতত ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দুজনেই।


রেকর্ড গড়লেন হিমি

জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এই সময়ের ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। নাচ থেকে মডেলিং, তারপর অভিনয়ে নাম লেখান তিনি। অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে অভিনয় দক্ষতায় তুমুল ব্যস্ত অভিনেত্রী হিমি। ভিউয়ের প্রতিযোগিতায়ও পিছিয়ে নেই এই অভিনেত্রী। হিমি অভিনীত শতাধিক নাটকের ভিউ ১ কোটি করে ছাড়িয়েছে। অভিনেত্রীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১০৯টি নাটকে প্রতিটি ১ কোটি ভিউ! হিমির সাফল্যে গর্বিত টিম হিমি! এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই অভিনেত্রী। রায়হান কবীর নামের একজন লেখেন, ‘আমার অনেক পছন্দের অভিনেত্রী। আর নিলয় ভাইয়ের সঙ্গে জুটিটা অনেক ভালো মানায়।’ সুমি নামের আরেকজন লেখেন, ‘মাশাআল্লাহ, অভিনন্দন। আসলেই হিমি আপুর নাটক অনেক ভালো লাগে। ’ এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।

কিছু দিন আগে আলোচিত টেলিফিল্ম ‘বড় ছেলে’র ভিউয়ের রেকর্ড ভেঙেছে একক নাটক ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’। মহিন খান নির্মিত এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। বাংলা নাটকের ভিউয়ে এটি এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। যদিও ভিউ দিয়ে গুণ বিচারের পক্ষে নন হিমি। এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভিউ বা টাকার জন্য অভিনয় করি না। ’

হিমি নাটকের মানুষ হলেও ছোটবেলা থেকে ছায়ানটে নজরুলসংগীতে তালিম নিয়েছেন। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরার কাছেও গানের তালিম নেন। তবে হাতেখড়ি হয় সাধনা মিত্রের কাছে। নাটকের পাশাপাশি কলকাতার একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন হিমি।


আবার বিস্ফোরক মন্তব্য স্বস্তিকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এবার আলোচিত এ নায়িকা জানিয়েছেন তিনি নাকি ৬০০০ জনকে প্রেম বিতরণ করতে চান। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনযায়ী, স্বস্তিকা মুখার্জি একবার জানিয়েছিলেন তিনি ৬ বার সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তার এই মন্তব্য ঘিরে একশ্রেণির মানুষ নানা চর্চা শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাদের সেই চর্চাকে ব্যঙ্গ করে অভিনেত্রী এমন কথা বলেছেন। স্বস্তিকা বলেন, ‘৬টা নয়, আমি ৬০০টা প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছি। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরও একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য। আমার জীবন, যদি আমার মনে হয় যে আমি ৬০০০ জন মানুষকে ভালোবাসা জ্ঞাপন করব, তাহলে বেশ করব। আমি তো বলছি না যে আমি ৬টা লোককে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব বা তাদের ধর্ষণ করব বা তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব বা তাদেরকে কাজ করিয়ে পয়সা দেব না বা তাদের কাজ কেড়ে নেব। আমাদের আশপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব তাতেও মানুষের সমস্যা। তাহলে যা হচ্ছে আশপাশে তাই হোক।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য এটা নারী বলেই হয়। ছেলেরা করলে আমরা তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ।’ ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে, ‘ভাই এলেম আছে’। এই সমাজে আমরা বাস করছি।’

নায়িকার কথায়, ‘মানুষে যেভাবে তেড়ে এল। কারণ ৬টা সম্পর্ক মানে বিশাল একটা ভুল করে ফেলেছি আমি, একটা হওয়া উচিত ছিল। আমরা সবাই সাধু। আমার একটা সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিল। জন্মে যার সঙ্গে প্রেম, তার সঙ্গেই বিয়ে হওয়া উচিত ছিল। তার সঙ্গেই বাকি জীবনটা বাঁচা উচিত ছিল। আমি করতে পারিনি, আমার তো একটা বড় ভুল।’

তারপর নিজের খানিক প্রশংসা করে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমাকে যে রকম দেখতে, আমার যে রকম চেহারা, আমার যে রকম ব্যক্তিত্ব তাতে আমি ক্যাওড়াতলার স্টপেজ কালীঘাট, তার আগের স্টপ পর্যন্ত আমি প্রেম করতে চাই। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চাই। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার আছে, আমি তা দিতে চাই। লিফলেটের মতো বিলি করতে চাই। করে খুবই ফুল-ফিলিং হয়ে আমি মরতে চাই।’


ডন সিরিজে কৃতি শ্যানন!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ ছবিতেই রোমান্টিক ছবিতে দেখা গেছে তাকে। তবে সেই বৃত্ত ভেঙে রোমান্টিক খোলস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। যখনই সুযোগ পেয়েছেন ভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই অভিনেত্রীর কথায়, এমন অনেক চরিত্র আছে, যা পর্দায় তুলে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে আছি। সেই অপেক্ষা খুব বেশিদিন লম্বা হলো না। খুব সহজেই নিজের ইচ্ছে পূরণ হতে যাচ্ছে তার। বলিউডের কালজয়ী সিনেমা ‘ডন’। শুরুতে অমিতাভ বচ্চন এবং পরবর্তীতে শাহরুখ খান এই ছবিতে অভিনয় করে বাজিমাত করেছেন। এবার ডনের নতুন কিস্ততে তৃতীয় প্রজন্ম হতে চলেছেন রণবীর সিং-এ খবর আগেই সবার জানা। তবে কে হবেন রণবীরের নায়িকা, এ নিয়ে এখনো জল্পনা তুঙ্গে।

শুরুতে কিয়ারা আদভানিকে এ অ্যাকশন থ্রিলারে অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। তবে গর্ভাবস্থার কারণে অভিনেত্রী মেগা-বাজেটের অ্যাকশন সিনেমা থেকে সরে আসেন। এরপরই জোর আলোচনা শুরু হয়, তাহলে কে হবেন রণবীরের নায়িকা। এবার জানা গেল, ‘ডন ৩’-এ অভিনয়ের জন্য কৃতি শ্যাননের সঙ্গে নির্মাতা ফারহান আখতারের কথা হয়েছে এবং কৃতি এই সিনেমায় কাজ করতে তুমুল আগ্রহী। তাই আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি সিনেমাটিতে সাইন করবেন।

ফারহান আখতার এবং এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টে ‘ডন ৩’-তে একজন অভিজ্ঞ অভিনেত্রীকে অভিনয়ের জন্য খুঁজছিলেন এবং কৃতিতে ‘রোমা’ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য উপযুক্ত মনে করেছেন। ফারহান আখতার এরইমধ্যে ‘ডন ৩’-এর লোকেশন খোঁজার কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে বেশকিছু লোকেশন তিনি খুঁজেও পেয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই একটি আন্তর্জাতিক স্টান্ট দলের সাথে অ্যাকশন ব্লকে কাজ করবেন ফারহান। ‘ডন ৩’-এর শুটিং মূলত ইউরোপে হবে। স্ক্রিপ্টও লক করা হয়েছে। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ আগামী কয়েক মাস ধরে চলবে এবং দলটি ২০২৫ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরের মধ্যে সিনেমাটি ফ্লোরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।


সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি একাধারে ছিলেন চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখক। সত্যজিৎ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে বিজ্ঞাপন সংস্থায় যোগ দেন। এই পেশায় থাকাকালীন ‘পথের পাঁচালী’র ছোটদের সংস্করণ ‘আম আঁটির ভেঁপু’র প্রচ্ছদ আঁকতে গিয়ে তিনি ‘পথের পাঁচালী’-কে চিত্রায়িত করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাচক্রে একই বছর প্রখ্যাত ফরাসি পরিচালক জ্যঁ রেনোয়া তার ‘দ্য রিভার’ চলচ্চিত্রটির শুটিং করতে কলকাতায় আসেন। ‘দ্য রিভার’ ছবিতে রেনোয়ার সহকারীর কাজ করতে গিয়েই সম্ভবত পুরোপুরিভাবে এক চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন সত্যজিৎ। তবে লন্ডনে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র ‘লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে’ (দ্য বাইসাইকেল থিফ) দেখার পরই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

সত্যজিৎ রায় ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া ‘বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট’ পুরস্কারটি। তারপর একের পর এক তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ‘অপরাজিত’, ‘অপুর সংসার’, ‘পরশপাথর’, ‘জলসাঘর’, ‘তিন কন্যা’, ‘দেবী’, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘ঘরে-বাইরে’, ‘চারুলতা’, ‘চিড়িয়াখানা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘নায়ক’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘গণশত্রু’, ‘শাখা-প্রশাখা’, ‘আগন্তুক’সহ ২৭টি কাহিনিচিত্র। পথের পাঁচালী, অপরাজিত ও অপুর সংসার- এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বহুল স্বীকৃত।

বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হলো ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এ ছাড়া ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি গোল্ডেন লায়ন, দুটি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন।


আবারও ফেসবুক বিড়ম্বনায় ববিতা

ফরিদা আক্তার ববিতা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। দেশ ও দেশের বাইরে অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় সুনামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন জীবন্ত কিংবদন্তি এই তারকা। ২৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করা দেশবরেণ্য এই অভিনেত্রী টানা তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও। সর্বশেষ ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’র পর আর তাকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। অভিনয় থেকে দূরে থেকে বর্তমানে কানাডা ও আমেরিকাতেই বেশি সময় কাটান তিনি। কিন্তু গত ৫-৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই তারকা নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নামে একাধিক ভুয়া আইডি চোখে পড়ে। আর এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নানা রকম বিভ্রান্তিকর খবর চাউর করা হচ্ছে। আর এতে বারবার বিব্রত হতে হচ্ছে ববিতাকে। এবারও একই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হলো দেশবরেণ্য এই তারকাকে। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে চিত্রনায়িকা ববিতা গুরুতর অসুস্থ। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও অভিনেত্রী মোটেও অসুস্থ নন।

গতকাল মঙ্গলবার এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। এটা বারবার আমি বলেছি। কারা যেন আমার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক আইডি তৈরি করেছে এবং তাতে প্রায় প্রতিদিন নানারকম ছবি ও নানা বিষয় আমার নাম দিয়ে পোস্ট করছে। সোমবার জানতে পারলাম সেই ফেক ফেসবুক আইডিতে একটি স্যালাইনযুক্ত হাতের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে ওটা আমার ছবি এবং আমি অসুস্থ, সবার দোয়া চাইছি। পোস্টটি সর্ম্পূণই মিথ্যা। আমি সুস্থ আছি। যারা এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করছে তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, অবিলম্বে এই ফেক ফেসবুক আইডি বন্ধ করতে হবে। নইলে শিগগিরই আমি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’

ববিতার কাছ থেকে জানা গেল, অ্যাকাউন্ট আসলে সত্য নয়, ফেসবুক থেকে এমন একটি স্পর্শকাতর খবর ছড়ানো হওয়ায় তিনি ভীষণ দুঃখ পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি এর আগে, কিন্তু আমার ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কে বা কারা চালায় আর এমন খবর ছড়ায় তা কোনোভাবেই শনাক্ত করা যায়নি। এর আগে আমার মৃত্যুর খবর ছড়ানো হয়েছিল ফেসবুকে। চিন্তা করেন এমন স্পর্শকাতর খবর শোনার পর আমার আত্মীয়-স্বজনের মনের কী অবস্থা হয়? আমি আসলে এ বিষয়ে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি। এসব ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ববিতা।’

ববিতা আরও বলেন, ‘আমি তো জানি আমার কথা। কারণ আমার পরিচিতি কেউ দেখা হলে কখনো কখনো বলে-আপা আমি তো আপনার ফেসবুকে আছি, আপনার সঙ্গে মেসেজে কথা বললাম। আমি অবাক হয়ে বলি, আমার তো ফেসবুক নেই, কার সঙ্গে কথা বলেছেন। এভাবে তো বহু প্রতারণা করছে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।’ বর্তমানে ববিতা ঢাকার গুলশানের বাসাতেই আছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঢাকাতেই আমার বাসায় আছি, আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আপনারা একটু লিখে দেন যে, আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই, আর আমি সুস্থ অবস্থায় বাসাতেই আছি।’

এর আগে ২০১৯ সালে ববিতা ও তার ছোটবোন অভিনেত্রী গুলশান আরা চম্পার নামে চাঁদাবাজির চেষ্টা চালায় একটি দল। ফেসবুকে এই দুই অভিনয়শিল্পীর নামে আইডি খুলে কারা এমনটা করছেন বুঝতে পারছেন না তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে ভীষণ রকম বিব্রত ও আতঙ্কিত এই দুই অভিনয়শিল্পী। ওই সময় অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়ে ববিতা বলেছিলেন, আমি নাকি দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় মেসেঞ্জারে কার কার কাছে টাকা চেয়েছি। পুরো বিষয়টি আমার জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর। শুরুতে বিষয়টা পাত্তা দিইনি, এখন তো খুব ভীতিকর মনে হচ্ছে।’


আবারও পার্থ-বৃষ্টি জুটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা পার্থ শেখ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। গত ঈদে তারা একটি কাজ একসঙ্গে করতে পেরেছিলেন। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর পার্থ ও তানিয়া বৃষ্টি দুজনেই বেশ ভালো সাড়া পান। তবে ঈদ শেষে পার্থ শেখ ও তানিয়া বৃষ্টি আবারও একসঙ্গে নাটকে কাজ শুরু করেছেন। এবার তারা মেহরাব জাহিদের রচনা ও এই প্রজন্মের মেধাবী নাট্যনির্মাতা সোহেল রানা ইমনের পরিচালনায় ‘এই শহরে মেঘেরা একা’ নাটকে অভিনয় করেছেন। গত রবি ও সোমবার রাজধানীর উত্তরার দোলনচাঁপা শুটিং ও তার আশপাশের এলাকায় নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। ‘বিন্দুভিশন’-িএর প্রযোজনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন আফরিনা রহমান। পরিচালক সোহেল রানা ইমন জানান, নাটকটি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারের পর ইউটিউবে প্রচারে আসবে।

‘নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে পার্থ শেখ বলেন, ‘তানিয়া বৃষ্টি একজন দুর্দান্ত পারফর্মার। তার সঙ্গে কাজ করার পূর্বে জেনেছি যে, ক্যামেরার সামনে অভিনয়ে অনবদ্য তিনি। ইমন ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা দুজন এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছি। বৃষ্টি সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই অবগত। আমাদের বেশ কয়েকটি কাজ করা হবে হবে বলেও করা হয়ে উঠছিল না। অবশেষে একটি কাজ ঈদে প্রচারে এল। ইমন ভাইয়েরটা শেষ করেছি। সামনে আরও দুটি কাজ আছে দুজন ভিন্ন পরিচালকের। এই শহরে ‘মেঘেরা একা’র গল্পটা রোমান্টিক। কিন্তু শেষে কষ্ট আছে। আমি আর বৃষ্টিসহ অন্যান্য যারা আছেন সবাই মিলে একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি।

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘এই নাটকে আমি দীপা নামক একটি অন্ধ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পটা সুন্দর, ভালোবাসার গল্প। পার্থও কাজ যখন দেখেছি তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল তারসঙ্গে কাজ করার। কারণ নতুন যারা অভিনয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে পার্থ খুউব ভালো করছে। সত্যি বলতে কী আমরা একসঙ্গে কাজ করার আগে দুজন দুজন সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। যে কারণে আমাদের কাজের রসায়নটা এরই মধ্যে বেশ জমে উঠেছে। ইমন ভাইয়ের কাজটা প্রথম কাজের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রচারে এলে দর্শকের ভীষণ ভালো লাগবে।’


আমিশাকে নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বলিউডের সিনিয়র অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। এক সময়ের জনপ্রিয় ও ব্যস্ত এই তারকা বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নানা সময়ে নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনাম হন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমেও সরব থাকেন বছরজুড়ে। নিজের স্টাইল ও গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন ‘গাদার’খ্যাত এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই আলোচনার জন্ম দেন ৪৯ বছর বয়যী আমিশা। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই করলেও অভিনেত্রী এখনো গাঁটছড়া বাঁধেননি। তবে এবার দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে কিছু নতুন ছবি সামনে আনেন আমিশা। আর তা থেকেই এবার সৃষ্টি হলো নানা জল্পনা। যেখানে সবুজ মনোকিনিতে নজর কাড়েন অভিনেত্রী।

ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?’ কারণ, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আমিশার হাতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম, খোলা চুলে, মাথায় টুপি ও চোখে সানগ্লাসে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন। তবে বিশেষভাবে চোখে পড়েছে তার পেট, যা দেখে কেউ কেউ ‘বেবি বাম্প’ বলে দাবি করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা লাগছে নাকি ভুল?’ আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘হে ভগবান, বিয়ে ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা?’- এ ধরনের নানা মন্তব্যে এখন আমিশাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হচ্ছে।

যদিও এসব গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি আমিশা। তবে মাঝে কিছুদিন জল্পনা ওঠে, নির্বাণ নামের ১৯ বছরের ছোট এক যুবকের প্রেমে মজেছেন এই অভিনেত্রী। এর আগে তাদের যুগলবন্দি এক ছবিতে দেখা যায়, আমিশাকে বাহুডোরে আগলে রেখেছেন নির্বাণ। ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার ডার্লিংয়ের সঙ্গে সুন্দর একটা সন্ধ্যা।’ পাল্টা নির্বাণও লেখেন ‘ডার্লিং’।

১৯৭৫ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন আমিশা। অভিনয় জীবনে হিন্দি ও তেলেগু দুই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করেছেন। সবশেষ গত বছর ‘তওবা তেরা জ্বালওয়া’ ছবিতে দেখা যায় আমিশাকে। অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘কাহো না পেয়ার হ্যা’, ‘ইয়ে জিন্দেগি কা সফর’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘ওম শান্তি ওম’ এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমা। ক্যারিয়ারের সোনালি দিনে একাধিক বলিউড অভিনেতা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়েছেন কিন্তু পরিণয় হয়নি।ো


banner close