একসঙ্গে দুটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে আজ। দুটি সিনেমাই নিয়ে আশাবাদী পরিচালকরা। দর্শক টানতে দুটি সিনেমায় পেছনের মানুষেরা নানা রকম প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। কথা বলছেন দর্শকদের সঙ্গে।
দুটি সিনেমার একটি হলো ‘ভাঙন’। সিনেমার গল্পটি নদীভাঙনের শিকার হয়ে বাড়িঘর হারানো ছিন্নমূল কিছু মানুষের। শুরুতেই ‘ভাঙন’ সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে এমন ইঙ্গিত দিলেন পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন। সঙ্গে যুক্ত করলেন এভাবে, “এমন গল্প মানবজীবনের গভীরকে স্পর্শ করবে। মানুষ কাঁদবে। কষ্ট পাবে। শিহরিত হবে, রোমাঞ্চিত হবে। মূলত কতিপয় ছিন্নমূল মানুষের সুখ-দুঃখের উপাখ্যানই হলো ‘ভাঙন’।”
ছবিটির শুটিং হয়েছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর বেশ কিছু চর, তেজগাঁও রেলস্টেশন, পুবাইল রেলস্টেশনসহ আশপাশের এলাকা এবং এফডিসিতে। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মৌসুমী।
অনেক দিন বাদে মুক্তি পাচ্ছে নায়িকা মৌসুমীর ছবি। দুই দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা ছবিটি প্রসঙ্গে বলেন, “রেললাইনের পাশে, বস্তিতে কিংবা ছিন্নমূল জীবনযাপন করে যারা, তাদেরও জীবন আছে। সেই জীবনের গল্প দেখানো হয়েছে এই ‘ভাঙন’ সিনেমায়। সেই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সহযোগিতার হাত বাড়ানোর বার্তা রয়েছে এই ছবিতে।”
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। পরিচালক জানান, মোট ১৯টি সিনেমা হলে মুক্তি দেয়া হচ্ছে ছবিটি। এক সপ্তাহ পর হল বাড়বে।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তি বাংলা কথাচিত্রের ব্যানারে নির্মিত জীবনঘনিষ্ঠ সাহিত্যনির্ভর এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ‘মোহন গায়েনের বাঁশি’ নামক একটি ছোটগল্প অবলম্বনে।
ছবিটিতে মৌসুমী ছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। আরও আছেন আফরিন, প্রাণ রায়, সৃষ্টি মির্জা, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, হিমেল রাজ, আনোয়ার সিরাজী, সঞ্জয় রাজ, মিশু চৌধুরী, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন প্রমুখ।
এদিকে মৌসুমী অভিনীত আরও একটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে আজ। এটিও সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা। ‘দেশান্তর’ নামের এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন আশুতোষ সুজন। কবি নির্মলেন্দু গুনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিতে মৌসুমীর বিপরীতে দেখা যাবে আহমেদ রুবেলকে। তবে ছবির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও রোদেলা টাপুর।
ছবিটি নিয়ে পরিচালক আশুতোষ সুজন বলেন, ‘এটা আমার প্রথম চলচ্চিত্র। শুধু একটা কথা বলতে পারি, দেশভাগ নিয়ে আমরা যে গল্প বলেছি, এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কখনো কাজ হয়নি। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই সময়ে দাঁড়িয়ে ওই সময়ের গল্পটা বলা। কিন্তু সবার সহযোগিতায় সেটা উতরে গেছি। আমার মনে হয়, যারা দেখতে আসবেন সবার খুব ভালো লাগবে।’
এদিকে প্রথমবার ছবি মুক্তি পেলেও উপস্থিত থাকতে পারছে না অভিনেত্রী রোদেলা টাপুর। পড়াশোনার জন্য সে এখন আছে দার্জিলিংয়ে। সেখান থেকে প্রমোশনের জন্য নিয়মিত ভিডিও বার্তা দিচ্ছে সে। সবাইকে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তার মা অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দাও সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন ছবিটি দেখার জন্য।
পরিচালক জানান, সরকারি অনুদান পেলেও ওই টাকায় পুরো ছবি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সহযোগী প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছে পরিচালকের প্রতিষ্ঠান বে অব বেঙ্গল ফিল্মস। আপাতত সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমা হল ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে।
সব মিলিয়ে দুটি ছবি নিয়ে অন্য সবার মতো আগ্রহ রয়েছে। সিনেমার সুদিনে ছবি দুটি কতটা সুবাতাস বয়ে আনে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এক বছরের সন্তানকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠে নায়িকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন পরীমণি। ২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের লাইভে তিনি অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথা বলেন এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লাইভের শুরুতেই নিজের স্টাফদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পরীমণি বলেন, আমার জীবনজুড়ে যারা আছে, তারা সবাই আমার স্টাফ। ফ্যামিলির মতো করে ওদের নিয়েই সব বিশেষ দিন কাটে। এই যে মেয়ে, যাকে ঘিরে এখন এত কিছু বলা হচ্ছে, সে গৃহকর্মী দাবি করতেই পারে, কিন্তু আমার কাছে সে গৃহকর্মী নয়।
পরীমণি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করা হয়নি, এবং তাকে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’-এর মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, আমি এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একদম প্রস্তত ছিলাম না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে কড়া গলায় বললেন, এত মিডিয়া ট্রায়াল (একপাক্ষিক সংবাদ) বন্ধ করে দেন। এরপর খানিকটা মুচকি হেসে হুমকির সুরে বলেন, জনগণ কিন্তু আস্ত একটি মিডিয়া, যদি সে সঠিক হয়, সত্যি হয়। এসব স্ট্যাম্পমারা মিডিয়ার দরকার হয় না। এগুলো করবেন না, এগুলো সুন্দর দেখায় না। আপনারা হবেন সাপোর্টিভ, এগুলো কি করেন আপনারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা মিডিয়াকর্মী হয়ে যদি কাউকে বাড়তি সুবিধা দিই, সেটা ঠিক না। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে, সেটা যাচাই না করেই যদি আমরা দোষী বানিয়ে ফেলি, সেটা কি ন্যায্য? আমি যদি দোষ করি, অবশ্যই শাস্তি পাব। কিন্তু আগে প্রমাণ তো হোক।
পরীমণি বলেন, একতরফা করবেন না, করলে সবদিক থেকেই করবেন। প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করেন, আমার বাসার নিচে আসতে হবে না। আমি নিজেই আপনাদের কাছে যাব। আমি আপনাদের কয়বার নক দিয়েছি, ওই মেয়ে যে আপনাদের নক দিয়েছে? আপনাদের নাম্বার ও কীভাবে পেল? নাকি আপনাদেরই গরজ। নাকি হাতে এস লেখা বলে আপনাদের বলদ ফলদ বলেছিলাম বলে আপনাদের গায়ে লাগল? তো বলদের প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছেন?
উল্লেখ্য, এরপর বেশ খানিকটা উত্তেজিত হয়ে পরীমণি বলেন, আপনারা আইন, সংসার, জীবন-সবকিছুর ঊর্ধ্বে যেতে চান। হুমকির সুরে পরীমণি আবার বললেন, 'হিসাব কিন্তু একদিন আপনাদের দিতেই হবে। মিলিয়ে নিয়েন।
তিনি আরও বলেন, আমার হাতে সমস্ত প্রমাণ আছে, কিন্তু আমি এখনই কিছু দিতে চাই না, কারণ আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। লাইভে একাধিকবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। লাইভের শেষাংশে তিনি বলেন, এই যে মিডিয়া ট্রায়াল, দয়া করে এটা বন্ধ করুন। অন্যদিকে, এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ বাংলাদেশের কোনো সিনেমা হল এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের আংশিক শুনানি হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সিনেমার অংশ বিশেষ আদালত খাস কামরায় দেখবেন। তারপর আদেশ দেবেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ রিট দায়ের করেন হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে- তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল কুমার বাগমার।
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘ফারাজ সিনেমা বাংলাদেশের কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ কোথাও যেন প্রদর্শন করা না হয়, সেজন্য রিটটি দায়ের করা হয়েছে।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘সিনেমায় যেটি চিত্রায়িত করা হয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে দুইজন জঙ্গি কথা বলছেন, তার মধ্যে একজনের সঙ্গে অবিন্তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল বা আছে। তার পোশাক-পরিচ্ছেদ এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যা আমাদের সভ্য সমাজে শিক্ষিত পরিবারের লোকজন পরিধান করে না। এই সিনেমায় মেয়েটাকে চারিত্রিকভাবে অবনমিত করা হয়েছে। এমনকি পুলিশকে ব্যর্থ দেখানো হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বেরও প্রশ্ন। এসব কারণে এই সিনেমাটি বাংলাদেশের কোনো প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত নয়। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।’
আহসানুল করিম বলেন, ‘নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনসহ কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যেন ফারাজ মুক্তি দেয়া না হয়, যেন বিটিআরসিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়, সে আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।’
ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফারাজ’ গত ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে। হংসল মেহতা নির্মিত সিনেমাটির প্রযোজক আরেক বলিউড নির্মাতা অনুভব সিনহা।
সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি নুরুজ্জামান লাবুর লেখা ‘হোলি আর্টিজান: একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান’ বইয়ের সূত্র ধরে।
মুক্তির আগেই এ সিনেমা নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিল অবিন্তার পরিবার। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন তার মা রুবা আহমেদ। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ফারাজ সিনেমাটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। সিনেমাটির নির্মাতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ ঘটনায় তারা সহমর্মিতাও প্রকাশ করেনি। আইনি নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অবিন্তার পরিবার সূত্র জানায়, অনুমতি ছাড়াই সিনেমাটিতে অবিন্তা কবির ও তার পরিবারের সদস্যদের চরিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে অবিন্তার পরিবারের সদস্যরা বিব্রত।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে যৌথভাবে সেরা হয়েছে বাংলাদেশের ছবি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। এবারের আসরের ‘ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন: ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজ’ বিভাগে অংশগ্রহণ করে ছবিটি।
সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের জীবনসংগ্রাম উঠে এসেছে ছবিটিতে। বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকেন ভাটির মানুষেরা তাদেরই গল্প বলার চেষ্টা করেছেন পরিচালক মুহাম্মদ কাইউম।
গল্পের কেন্দ্রে আছে সুলতান নামের এক যুবক। ধান কাটা শ্রমিকদের সঙ্গে হাওরে আসে সে। কাজ নেয় এক বৃদ্ধের বাড়িতে। ধীরে ধীরে হাওরের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে সুলতান, পরিবারের সবার সঙ্গে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে যেতে থাকে। একসময় সেখানে বিয়ে করে ঘর বাঁধে। তবে তার সুখের সংসার একদিন ভেসে যায় পাহাড়ি ঢলে।
সিনেমার চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে সুনামগঞ্জে। অভিনয় করেছেন জয়িতা মহলানবীশ, উজ্জ্বল কবির হিমু, আবুল কালাম আজাদ, সুমী ইসলাম, সামিয়া আকতার বৃষ্টি, বাদল শহীদ, মাহমুদ আলম প্রমুখ।
গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পায় ছবিটি। এরপরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াললি আমন্ত্রিত হয়।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে রাজবাড়ীতে শুটিং হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘যাপিত জীবন’-এর। দেশভাগ ও ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ঘিরে সরকারি অনুদানের এই ছবিটি পরিচালনা করছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সিনেমায় প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যাবে অভিনেতা আফজাল হোসেন ও অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে। গত ২৮ নভেম্বর থেকে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন আফজাল হোসেন ও রোকেয়া প্রাচী।
আফজাল হোসেনের সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করা প্রসঙ্গে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘আফজাল ভাই দারুণ অভিনেতা। এই বয়সে এসেও আমার অনেক শেখার ইচ্ছা। আফজাল ভাইদের মতো অভিনেতাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আফজাল হোসেন দৈনিক বাংলাকে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি দেশভাগের গল্প। মানুষ শান্তির জীবন কাটাতে গিয়ে কত কিছুর সঙ্গে লড়াই করে। এসব নিয়ে গল্প।’
সিনেমায় এই দুজনের সন্তানের চরিত্রে দেখা যাবে রওনক হাসান ও ইমতিয়াজ বর্ষণকে। এ ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন ডলি জহুর, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত, আজাদ আবুল কালাম, রওনক হাসান, আশনা হাবিব ভাবনা, ইমতিয়াজ বর্ষণ, মৌসুমী হামিদ প্রমুখ।