বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২

ধোনির জন্মদিনে সালমান খান

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:২২

সালমান খান এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুজন দুই জগতের সুপারস্টার। একজন বলিউডের চিরকুমার। ৫৮-তেও তিনি বিটাউনের ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর’। যেমন অ্যাকশনে কেতাদুরস্ত, তেমনই রোমান্টিক অবতারে সুপারহিট ভাইজান।

অন্যজন ভারতবর্ষের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধিনায়ক। যাকে বলা হয়ে থাকে বাইশ গজের ‘মাহি’। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে ফেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুবার তার মাথায় উঠেছে বিশ্বজয়ীর শিরোপা। সেই ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর জন্মদিন বলে কথা। রোববার জীবনের নতুন বছরে পা রাখলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জন্মদিন মিলিয়ে দিল বলিউড আর ক্রিকেটের দুই সুপারস্টারকে। ধোনির জন্মদিনের সেলিব্রেশনের অঙ্গ হলেন বলিউডের ‘সুলতান’ সালমান খান। কাটা হলো কেক। সেই কেক ভাইজানকে খাইয়ে দিলেন ধোনি।

শনিবার মাঝরাতেই সেলিব্রেশনে যোগ দিয়েছিলেন সালমান খান। তবে ধোনির থেকে একটু দূরেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে হয়তো তখন আসতে চাইছিলেন না ভাইজান। কিন্তু ক্যামেরাবন্দি তিনি হয়েই গেলেন। জন্মদিনের এই সেলিব্রেশনে ধোনির পাশেই ছিলেন সাক্ষী। ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ ধ্বনির মধ্যেই কাটা হয় কেক। কেকের প্রথম বাইট নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে দেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। তারপরই তিনি এগিয়ে যান সালমান খানের দিকে। ডায়েটের মধ্যে থাকলেও ভালোবাসার এই আবদার ফেরাননি ভাইজান। কেক দিয়েই মুখ মিষ্টি করে প্রিয় ক্রিকেটারকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

প্রাণনাশের হুমকির তোয়াক্কা না করে ‘দাবাং’ মেজাজেই ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিং শুরু করে দিয়েছেন সালমান খান। ইতোমধ্যেই ছবির প্রথম শিডিউলের শুটিং শেষ করে ফেলেছেন পরিচালক এ আর মুরুগাদোস। ছবি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদে। এরই মাঝে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের সংগীত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ভাইজান। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই ধোনিদের সঙ্গে দেখা হয়। তারপর এই সেলিব্রেশন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ধোনিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সালমান খান। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে কাপ্তান সাহাব।’

ধোনির এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে ভক্তরা তাকে শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন। তবে নজর কেড়েছে বলিউড মেগাস্টার সালমান খানের শুভেচ্ছাবার্তা। একটি বিশেষ পোস্টের মাধ্যমে এম এস ধোনিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতা। ইনস্টাগ্রামে ধোনির সঙ্গে একটি ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে ধোনির জন্মদিনে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করছেন সালমান খান।

বিষয়:

আবার বিস্ফোরক মন্তব্য স্বস্তিকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এবার আলোচিত এ নায়িকা জানিয়েছেন তিনি নাকি ৬০০০ জনকে প্রেম বিতরণ করতে চান। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনযায়ী, স্বস্তিকা মুখার্জি একবার জানিয়েছিলেন তিনি ৬ বার সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তার এই মন্তব্য ঘিরে একশ্রেণির মানুষ নানা চর্চা শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাদের সেই চর্চাকে ব্যঙ্গ করে অভিনেত্রী এমন কথা বলেছেন। স্বস্তিকা বলেন, ‘৬টা নয়, আমি ৬০০টা প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছি। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরও একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য। আমার জীবন, যদি আমার মনে হয় যে আমি ৬০০০ জন মানুষকে ভালোবাসা জ্ঞাপন করব, তাহলে বেশ করব। আমি তো বলছি না যে আমি ৬টা লোককে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব বা তাদের ধর্ষণ করব বা তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব বা তাদেরকে কাজ করিয়ে পয়সা দেব না বা তাদের কাজ কেড়ে নেব। আমাদের আশপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব তাতেও মানুষের সমস্যা। তাহলে যা হচ্ছে আশপাশে তাই হোক।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য এটা নারী বলেই হয়। ছেলেরা করলে আমরা তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ।’ ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে, ‘ভাই এলেম আছে’। এই সমাজে আমরা বাস করছি।’

নায়িকার কথায়, ‘মানুষে যেভাবে তেড়ে এল। কারণ ৬টা সম্পর্ক মানে বিশাল একটা ভুল করে ফেলেছি আমি, একটা হওয়া উচিত ছিল। আমরা সবাই সাধু। আমার একটা সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিল। জন্মে যার সঙ্গে প্রেম, তার সঙ্গেই বিয়ে হওয়া উচিত ছিল। তার সঙ্গেই বাকি জীবনটা বাঁচা উচিত ছিল। আমি করতে পারিনি, আমার তো একটা বড় ভুল।’

তারপর নিজের খানিক প্রশংসা করে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমাকে যে রকম দেখতে, আমার যে রকম চেহারা, আমার যে রকম ব্যক্তিত্ব তাতে আমি ক্যাওড়াতলার স্টপেজ কালীঘাট, তার আগের স্টপ পর্যন্ত আমি প্রেম করতে চাই। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চাই। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার আছে, আমি তা দিতে চাই। লিফলেটের মতো বিলি করতে চাই। করে খুবই ফুল-ফিলিং হয়ে আমি মরতে চাই।’


ডন সিরিজে কৃতি শ্যানন!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ ছবিতেই রোমান্টিক ছবিতে দেখা গেছে তাকে। তবে সেই বৃত্ত ভেঙে রোমান্টিক খোলস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। যখনই সুযোগ পেয়েছেন ভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই অভিনেত্রীর কথায়, এমন অনেক চরিত্র আছে, যা পর্দায় তুলে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে আছি। সেই অপেক্ষা খুব বেশিদিন লম্বা হলো না। খুব সহজেই নিজের ইচ্ছে পূরণ হতে যাচ্ছে তার। বলিউডের কালজয়ী সিনেমা ‘ডন’। শুরুতে অমিতাভ বচ্চন এবং পরবর্তীতে শাহরুখ খান এই ছবিতে অভিনয় করে বাজিমাত করেছেন। এবার ডনের নতুন কিস্ততে তৃতীয় প্রজন্ম হতে চলেছেন রণবীর সিং-এ খবর আগেই সবার জানা। তবে কে হবেন রণবীরের নায়িকা, এ নিয়ে এখনো জল্পনা তুঙ্গে।

শুরুতে কিয়ারা আদভানিকে এ অ্যাকশন থ্রিলারে অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। তবে গর্ভাবস্থার কারণে অভিনেত্রী মেগা-বাজেটের অ্যাকশন সিনেমা থেকে সরে আসেন। এরপরই জোর আলোচনা শুরু হয়, তাহলে কে হবেন রণবীরের নায়িকা। এবার জানা গেল, ‘ডন ৩’-এ অভিনয়ের জন্য কৃতি শ্যাননের সঙ্গে নির্মাতা ফারহান আখতারের কথা হয়েছে এবং কৃতি এই সিনেমায় কাজ করতে তুমুল আগ্রহী। তাই আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি সিনেমাটিতে সাইন করবেন।

ফারহান আখতার এবং এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টে ‘ডন ৩’-তে একজন অভিজ্ঞ অভিনেত্রীকে অভিনয়ের জন্য খুঁজছিলেন এবং কৃতিতে ‘রোমা’ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য উপযুক্ত মনে করেছেন। ফারহান আখতার এরইমধ্যে ‘ডন ৩’-এর লোকেশন খোঁজার কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে বেশকিছু লোকেশন তিনি খুঁজেও পেয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই একটি আন্তর্জাতিক স্টান্ট দলের সাথে অ্যাকশন ব্লকে কাজ করবেন ফারহান। ‘ডন ৩’-এর শুটিং মূলত ইউরোপে হবে। স্ক্রিপ্টও লক করা হয়েছে। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ আগামী কয়েক মাস ধরে চলবে এবং দলটি ২০২৫ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরের মধ্যে সিনেমাটি ফ্লোরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।


সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি একাধারে ছিলেন চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখক। সত্যজিৎ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে বিজ্ঞাপন সংস্থায় যোগ দেন। এই পেশায় থাকাকালীন ‘পথের পাঁচালী’র ছোটদের সংস্করণ ‘আম আঁটির ভেঁপু’র প্রচ্ছদ আঁকতে গিয়ে তিনি ‘পথের পাঁচালী’-কে চিত্রায়িত করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাচক্রে একই বছর প্রখ্যাত ফরাসি পরিচালক জ্যঁ রেনোয়া তার ‘দ্য রিভার’ চলচ্চিত্রটির শুটিং করতে কলকাতায় আসেন। ‘দ্য রিভার’ ছবিতে রেনোয়ার সহকারীর কাজ করতে গিয়েই সম্ভবত পুরোপুরিভাবে এক চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন সত্যজিৎ। তবে লন্ডনে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র ‘লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে’ (দ্য বাইসাইকেল থিফ) দেখার পরই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

সত্যজিৎ রায় ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া ‘বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট’ পুরস্কারটি। তারপর একের পর এক তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ‘অপরাজিত’, ‘অপুর সংসার’, ‘পরশপাথর’, ‘জলসাঘর’, ‘তিন কন্যা’, ‘দেবী’, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘ঘরে-বাইরে’, ‘চারুলতা’, ‘চিড়িয়াখানা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘নায়ক’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘গণশত্রু’, ‘শাখা-প্রশাখা’, ‘আগন্তুক’সহ ২৭টি কাহিনিচিত্র। পথের পাঁচালী, অপরাজিত ও অপুর সংসার- এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বহুল স্বীকৃত।

বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হলো ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এ ছাড়া ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি গোল্ডেন লায়ন, দুটি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন।


আবারও ফেসবুক বিড়ম্বনায় ববিতা

ফরিদা আক্তার ববিতা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। দেশ ও দেশের বাইরে অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় সুনামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন জীবন্ত কিংবদন্তি এই তারকা। ২৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করা দেশবরেণ্য এই অভিনেত্রী টানা তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও। সর্বশেষ ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’র পর আর তাকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। অভিনয় থেকে দূরে থেকে বর্তমানে কানাডা ও আমেরিকাতেই বেশি সময় কাটান তিনি। কিন্তু গত ৫-৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই তারকা নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নামে একাধিক ভুয়া আইডি চোখে পড়ে। আর এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নানা রকম বিভ্রান্তিকর খবর চাউর করা হচ্ছে। আর এতে বারবার বিব্রত হতে হচ্ছে ববিতাকে। এবারও একই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হলো দেশবরেণ্য এই তারকাকে। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে চিত্রনায়িকা ববিতা গুরুতর অসুস্থ। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও অভিনেত্রী মোটেও অসুস্থ নন।

গতকাল মঙ্গলবার এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। এটা বারবার আমি বলেছি। কারা যেন আমার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক আইডি তৈরি করেছে এবং তাতে প্রায় প্রতিদিন নানারকম ছবি ও নানা বিষয় আমার নাম দিয়ে পোস্ট করছে। সোমবার জানতে পারলাম সেই ফেক ফেসবুক আইডিতে একটি স্যালাইনযুক্ত হাতের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে ওটা আমার ছবি এবং আমি অসুস্থ, সবার দোয়া চাইছি। পোস্টটি সর্ম্পূণই মিথ্যা। আমি সুস্থ আছি। যারা এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করছে তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, অবিলম্বে এই ফেক ফেসবুক আইডি বন্ধ করতে হবে। নইলে শিগগিরই আমি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’

ববিতার কাছ থেকে জানা গেল, অ্যাকাউন্ট আসলে সত্য নয়, ফেসবুক থেকে এমন একটি স্পর্শকাতর খবর ছড়ানো হওয়ায় তিনি ভীষণ দুঃখ পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি এর আগে, কিন্তু আমার ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কে বা কারা চালায় আর এমন খবর ছড়ায় তা কোনোভাবেই শনাক্ত করা যায়নি। এর আগে আমার মৃত্যুর খবর ছড়ানো হয়েছিল ফেসবুকে। চিন্তা করেন এমন স্পর্শকাতর খবর শোনার পর আমার আত্মীয়-স্বজনের মনের কী অবস্থা হয়? আমি আসলে এ বিষয়ে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি। এসব ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ববিতা।’

ববিতা আরও বলেন, ‘আমি তো জানি আমার কথা। কারণ আমার পরিচিতি কেউ দেখা হলে কখনো কখনো বলে-আপা আমি তো আপনার ফেসবুকে আছি, আপনার সঙ্গে মেসেজে কথা বললাম। আমি অবাক হয়ে বলি, আমার তো ফেসবুক নেই, কার সঙ্গে কথা বলেছেন। এভাবে তো বহু প্রতারণা করছে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।’ বর্তমানে ববিতা ঢাকার গুলশানের বাসাতেই আছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঢাকাতেই আমার বাসায় আছি, আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আপনারা একটু লিখে দেন যে, আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই, আর আমি সুস্থ অবস্থায় বাসাতেই আছি।’

এর আগে ২০১৯ সালে ববিতা ও তার ছোটবোন অভিনেত্রী গুলশান আরা চম্পার নামে চাঁদাবাজির চেষ্টা চালায় একটি দল। ফেসবুকে এই দুই অভিনয়শিল্পীর নামে আইডি খুলে কারা এমনটা করছেন বুঝতে পারছেন না তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে ভীষণ রকম বিব্রত ও আতঙ্কিত এই দুই অভিনয়শিল্পী। ওই সময় অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়ে ববিতা বলেছিলেন, আমি নাকি দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় মেসেঞ্জারে কার কার কাছে টাকা চেয়েছি। পুরো বিষয়টি আমার জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর। শুরুতে বিষয়টা পাত্তা দিইনি, এখন তো খুব ভীতিকর মনে হচ্ছে।’


আবারও পার্থ-বৃষ্টি জুটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা পার্থ শেখ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। গত ঈদে তারা একটি কাজ একসঙ্গে করতে পেরেছিলেন। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর পার্থ ও তানিয়া বৃষ্টি দুজনেই বেশ ভালো সাড়া পান। তবে ঈদ শেষে পার্থ শেখ ও তানিয়া বৃষ্টি আবারও একসঙ্গে নাটকে কাজ শুরু করেছেন। এবার তারা মেহরাব জাহিদের রচনা ও এই প্রজন্মের মেধাবী নাট্যনির্মাতা সোহেল রানা ইমনের পরিচালনায় ‘এই শহরে মেঘেরা একা’ নাটকে অভিনয় করেছেন। গত রবি ও সোমবার রাজধানীর উত্তরার দোলনচাঁপা শুটিং ও তার আশপাশের এলাকায় নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। ‘বিন্দুভিশন’-িএর প্রযোজনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন আফরিনা রহমান। পরিচালক সোহেল রানা ইমন জানান, নাটকটি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারের পর ইউটিউবে প্রচারে আসবে।

‘নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে পার্থ শেখ বলেন, ‘তানিয়া বৃষ্টি একজন দুর্দান্ত পারফর্মার। তার সঙ্গে কাজ করার পূর্বে জেনেছি যে, ক্যামেরার সামনে অভিনয়ে অনবদ্য তিনি। ইমন ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা দুজন এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছি। বৃষ্টি সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই অবগত। আমাদের বেশ কয়েকটি কাজ করা হবে হবে বলেও করা হয়ে উঠছিল না। অবশেষে একটি কাজ ঈদে প্রচারে এল। ইমন ভাইয়েরটা শেষ করেছি। সামনে আরও দুটি কাজ আছে দুজন ভিন্ন পরিচালকের। এই শহরে ‘মেঘেরা একা’র গল্পটা রোমান্টিক। কিন্তু শেষে কষ্ট আছে। আমি আর বৃষ্টিসহ অন্যান্য যারা আছেন সবাই মিলে একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি।

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘এই নাটকে আমি দীপা নামক একটি অন্ধ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পটা সুন্দর, ভালোবাসার গল্প। পার্থও কাজ যখন দেখেছি তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল তারসঙ্গে কাজ করার। কারণ নতুন যারা অভিনয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে পার্থ খুউব ভালো করছে। সত্যি বলতে কী আমরা একসঙ্গে কাজ করার আগে দুজন দুজন সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। যে কারণে আমাদের কাজের রসায়নটা এরই মধ্যে বেশ জমে উঠেছে। ইমন ভাইয়ের কাজটা প্রথম কাজের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রচারে এলে দর্শকের ভীষণ ভালো লাগবে।’


আমিশাকে নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বলিউডের সিনিয়র অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। এক সময়ের জনপ্রিয় ও ব্যস্ত এই তারকা বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নানা সময়ে নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনাম হন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমেও সরব থাকেন বছরজুড়ে। নিজের স্টাইল ও গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন ‘গাদার’খ্যাত এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই আলোচনার জন্ম দেন ৪৯ বছর বয়যী আমিশা। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই করলেও অভিনেত্রী এখনো গাঁটছড়া বাঁধেননি। তবে এবার দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে কিছু নতুন ছবি সামনে আনেন আমিশা। আর তা থেকেই এবার সৃষ্টি হলো নানা জল্পনা। যেখানে সবুজ মনোকিনিতে নজর কাড়েন অভিনেত্রী।

ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?’ কারণ, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আমিশার হাতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম, খোলা চুলে, মাথায় টুপি ও চোখে সানগ্লাসে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন। তবে বিশেষভাবে চোখে পড়েছে তার পেট, যা দেখে কেউ কেউ ‘বেবি বাম্প’ বলে দাবি করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা লাগছে নাকি ভুল?’ আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘হে ভগবান, বিয়ে ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা?’- এ ধরনের নানা মন্তব্যে এখন আমিশাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হচ্ছে।

যদিও এসব গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি আমিশা। তবে মাঝে কিছুদিন জল্পনা ওঠে, নির্বাণ নামের ১৯ বছরের ছোট এক যুবকের প্রেমে মজেছেন এই অভিনেত্রী। এর আগে তাদের যুগলবন্দি এক ছবিতে দেখা যায়, আমিশাকে বাহুডোরে আগলে রেখেছেন নির্বাণ। ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার ডার্লিংয়ের সঙ্গে সুন্দর একটা সন্ধ্যা।’ পাল্টা নির্বাণও লেখেন ‘ডার্লিং’।

১৯৭৫ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন আমিশা। অভিনয় জীবনে হিন্দি ও তেলেগু দুই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করেছেন। সবশেষ গত বছর ‘তওবা তেরা জ্বালওয়া’ ছবিতে দেখা যায় আমিশাকে। অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘কাহো না পেয়ার হ্যা’, ‘ইয়ে জিন্দেগি কা সফর’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘ওম শান্তি ওম’ এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমা। ক্যারিয়ারের সোনালি দিনে একাধিক বলিউড অভিনেতা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়েছেন কিন্তু পরিণয় হয়নি।ো


তবুও উজ্জ্বল পূর্ণিমা  

দিলারা হানিফ রিতা ওরফে পূর্ণিমা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

দিলারা হানিফ রিতা- চলচ্চিত্র পরিবার ও দর্শকমহলে তিনি পূর্ণিমা নামেই পরিচিত। পূর্ণিমার চাঁদের মতোই চলচ্চিত্রাঙ্গনে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও চলচ্চিত্রের আকাশে আজীবন তারকা হয়েই জ্বলবেন পূর্ণিমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তারকা অনেকদিন ধরেই অভিনয় থেকে এক প্রকার দূরে রয়েছেন। নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে দুই প্রজন্মজুড়ে। রূপ ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দেড় যুগ পরেও সমানভাবে আলোচিত তিনি। রূপালি পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয় প্রায় আড়াই দশক আগে, কিন্তু সময় যেন তার সৌন্দর্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বর্তমানে পূর্ণিমা নিয়মিত অভিনয়ে না থাকলেও শোবিজে তার উপস্থিতি বরাবরই নজরকাড়া।

গত বছর কিছু ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মিডিয়ার কাজে অংশ নিতে দেখা যায় এই জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে। তবে পূর্ণিমা সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এখন তিনি যেভাবে আছেন সেভাবেই স্বামী সংসার নিয়ে থাকতে চান। এই তারকার বক্তব্য, ‘সত্যি কথা হলো, আমি আর নিজে থেকেই আগের মতো ব্যস্ত হতে চাই না। এখন আমার পরিবার বড় হচ্ছে। পরিবার, স্বামী সন্তানকে বেশি সময় দিতে চাই। এর পাশাপাশি বর্তমানে সেন্সর বোর্ডে সদস্য হিসেবে কাজ করছি। আর অভিনয়ের জন্য প্রাযই প্রস্তাব পাচ্ছি। কিন্ত আমি ভালো ও মনের মতো কাজের অপেক্ষায় আছি।’

গত বছর ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন পূর্ণিমা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে ২৫টি বছর কাটানো চাট্টিখানি কথা নয়। এ জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করছি। কারণ, এতটা বছর আমি সফলতার সঙ্গে পার করে এসেছি। এই ২৫ বছরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। ২৫ বছর যেভাবে দাপিয়ে বেড়ানোর কথা ছিল, সেভাবে হয়তো পারিনি। একটা সময় এসে আমি হতাশও হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে উপস্থাপনা দিয়ে আলোচনায় এসে আবারও আমি আমার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসি। আমি আমার দর্শক ভক্তের প্রতি সত্যিই বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে অসীম শুকরিয়া আদায় করছি। সেইসাথে আমার প্রতিটি সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, টেকনিসিয়ান’সহ বাংলাদেশের সকল দর্শকের প্রতি এবং সর্বোপরি সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অবশ্যই আজীবন আমি আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। কারণ তিনি তাগিদ দিয়েছিলেন বলেই আমি কাজ করেছি এবং আজকের পূর্ণিমা হয়েছি।’

ব্যক্তিজীবনে বেশ গুছানো ও সুনামধন্য অবস্থান গড়েছেন পূর্ণিমা। তার জীবন নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক কিংবা গসিপ নেই বললেই চলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে তার অসংখ্য অনুরাগী নিয়মিতই ভালোবাসা ও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাকে। বিশেষ করে তার বয়স না বাড়ার মতো চিরসবুজ রূপের জন্য ভক্তদের মুগ্ধতা চোখে পড়ে বারবার। বিভিন্ন সাজে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে নিজেকে উপস্থাপন করলেও, তার সৌন্দর্যে সবসময়ই একটা প্রাকৃতিক ও মার্জিত ছোঁয়া থাকে।

সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইট ব্লু সালোয়ার-কামিজ ও সাদা ওড়নায় কিছু ছবি পোস্ট করেন তিনি। সাধারণ সাজে ধরা দিলেও পূর্ণিমার চেহারায় ছিল সেই চিরচেনা মিষ্টি হাসি ও আকর্ষণ। ছবিগুলোর নিচে অনুরাগীরা মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে আপনাকে দেখে আসছি, এখনো একেবারে একই রকম লাগছে। আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, আপনি একই বয়সে আটকে আছেন।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ছোটবেলার ক্রাশ ছিলেন, এখনো কত সুন্দর।’ আরও একজন লেখেন, ‘সাধারণ সাজেও আপনাকে এত সুন্দর লাগে, কীভাবে সম্ভব!’

প্রসঙ্গত, জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে রিয়াজের বিপরীতে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় পূর্ণিমার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো সুপারহিট আবার কখনো ফ্লপ সিনেমাও উপহার দিয়েছেন তিনি। মাঝের বেশকিছু সময় চলচ্চিত্রে না থাকলেও ছোটপর্দায় তাকে পাওয়া গেছে নিয়মিত। কখনো উপস্থাপনায়, কখনো নাটকে। এভাবেই বাকি জীবন সুনামের সঙ্গে থাকতে চান তিনি।


নতুন অধ্যায়ে কিয়ারা আদভানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি আধুনিক নারীদের জন্য প্রিমিয়াম সুগন্ধির ব্র্যান্ড ভেনেসার নতুন অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করলেন অভিনেত্রী। এ সহযোগিতা ভেনেসার যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার মূল লক্ষ্য হলো নারীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো এবং তাদের অনুপ্রাণিত করা। কিয়ারা আদভানির মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, সাবলীল উপস্থিতি এবং তার খাঁটি আবেগের সঙ্গে ভেনেসার দর্শন পুরোপুরি মিলে যায়। এই জুটি নারীর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে বলে মনে করছে ব্র্যান্ড ভেনেসা।

এর আগে ভেনেসার ইতিহাসে বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। তার সময়ে ব্র্যান্ডটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল। এবার কিয়ারা আদভানির হাত ধরে ভেনেসা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চায়। কারিনার পর কিয়ারা এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং তিনি ব্র্যান্ডের বার্তাকে আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভেনেসা তার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণের মাধ্যমে নারীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। এ সহযোগিতা শুধু একটি ব্র্যান্ড ও তারকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের ব্যক্তিত্বের উদযাপনের একটি প্রতীক। কিয়ারার জনপ্রিয়তা ও ভেনেসার গুণমান একসঙ্গে মিলে একটি নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে।

কিয়ারা আদভানি বলিউডে তার স্বতন্ত্র যাত্রার জন্য পরিচিত মুখ। তিনি যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন, তা আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ভেনেসা যে ব্র্যান্ডটি নারীর ব্যক্তিত্ব ও রুচিকে উদযাপন করে, তার সঙ্গে কিয়ারা আদভানির এ সংযোগ একেবারে স্বাভাবিক। কিয়ারা আদভানি বলেন, সুগন্ধি কেবল একটি গন্ধ নয়; বরং এটি তার ব্যক্তিত্বের একটি অংশ। তিনি বলেন, দিনের বেলা আমি ফ্রেশ ও ফ্লোরাল গন্ধ পছন্দ করি। আর সন্ধ্যায় আমার পছন্দ উষ্ণ অ্যাম্বার নোটের মিশ্রণ। এ সহযোগিতার মাধ্যমে ভেনেসা এমন একটি সুগন্ধি সংগ্রহ আনতে চায়, যা আধুনিক নারীর বহুমুখী জীবনযাপন ও পছন্দের সঙ্গে মানানসই হবে।

ভেনেসার এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বাজারে একটি বিশেষ ফ্র্যাগরেন্স কালেকশন উপস্থাপন করতে চায়। এ সংগ্রহটি আধুনিক নারীর জীবনের বিভিন্ন দিক- তাদের শক্তি, সৌন্দর্য এবং স্বতন্ত্রতাকে প্রতিফলিত করবে। কিয়ারা আদভানির সঙ্গে এই পার্টনারশিপ নারীর জন্য আত্মবিশ্বাসের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। কিয়ারা নিজে এই নতুন ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত।

অভিনেত্রী বলেন, ভেনেসার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার কাছে আত্মবিশ্বাস মানে নিজের সত্যিকারের রূপকে গ্রহণ করা, নিজের শক্তি ও দুর্বলতাকে ভালোবাসা এবং সততার সঙ্গে জীবনযাপন করা। ভেনেসা এই মূল্যবোধকে উৎসাহিত করে, আর আমি এতে বিশ্বাসী।


অন্য মিশনে আলিয়া ভাট

আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:৫৩
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’, ‘আরআরআর’ এবং ‘গলি বয়’-এর মতো হিট ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন। পুরোমাত্রার বাণিজ্যিক ছবিতে তাকে যেমন দেখা যায়, তেমনি করেছেন ভিন্ন ধারার ছবিও। ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহিনি’ যেমন করেছেন, তেমনি আলিয়াকে পাওয়া গেছে ‘হাইওয়ে’ বা ‘রাজি’র মতো সিনেমায়। এ ছাড়া চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে তৈরি করেছেন বেশ শক্ত জায়গা। এরই মধ্যে দাম্পত্য জীবনের তিন বছর কেটে গেছে। কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। সবমিলিয়ে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন মহেশ ভাটকন্যা।

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মাত্র ১৯ বছর বয়সে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক করে জানান দেন এসেছেন লম্বা সময়ের জন্য। সে দিনের আলিয়া এবার সুখবর দিলেন। জানালেন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ করে দিতে চান তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে কাজ করতে চলেছে আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা ইন্টারনাল সানশাইন প্রোডাকশন। যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে কাজ করেছিল আলিয়ার সংস্থা। এর আগে বন্যপ্রাণের চোরাশিকার নিয়ে তৈরি একটি সিরিজ এসেছিল অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে, যার নাম ছিল ‘পোচার’। সিরিজটি প্রযোজনা করেছিল আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা। এবার নবাগতদের নিয়ে নতুন প্ল্যান নিয়ে আসতে চলেছেন আলিয়া।

জানা গেছে, চারজন তরুণ অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে তৈরি হবে নতুন একটি সিরিজ। যার গল্প তৈরি হবে কলেজ ক্যাম্পাসকে ঘিরে। ইতোমধ্যেই প্রাক প্রযোজনা পর্বের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই বছরের শেষের দিকে শুরু হবে শুটিং। হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু এই সিরিজ নয়, মা সোনি রাজদান এবং বোন শাহিন ভাটের দুটি সিরিজ প্রযোজনা করতে যাচ্ছেন কাপুর বাড়ির বৌ। সেখানেও সুযোগ দেওয়া হবে তরুণদের।

আলিয়া বর্তমানে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। পর্দার এই তারকা জুটি ব্যস্তবে এপ্রিলের ১৪ তারিখ বিয়ের তিন বছর পার করেছেন।


সিনেমাপাড়ায় কোরবানি ঈদের আমেজ

‘পিনিক’ সিনেমার একটি দৃশ্যে শবনম ইয়াসমিন বুবলী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

রোজার ঈদের সিনেমার রেশ এখনো কাটেনি। এবার ঈদে ৬টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় সপ্তাহ পর তৃতীয় সপ্তাহও প্রায় শেষের পথে। তবুও জমজমাট ঈদের সিনেমাগুলো। বিশেষ করে শাকিব-ইধিকা পালের বরবাদ, সিয়াম-বুবলীর জংলি, আফরান নিশো-তমা মির্জা অভিনীত দাগি সিনেমা এখনো বেশ দর্শক টানছে। তবে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে রীতিমতো দেশজুড়ে ঝড় তুলে দিয়েছে মেহেদী হাসান পরিচালিত শাকিব খানের বরবাদ সিনেমাটি। এখনো ছবিটির টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে দর্শককে। যদিও কোন ছবি কতটা ব্যবসা করছে তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, তবে দু-একটি ছবি প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারছে না। মুক্তির শুরুতেই বেশ কয়েকটি সিনেমা হল থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে শাকিব খান ও কলকাতার দর্শনা বণিক অভিনীত অন্তরাত্মা সিনেমাাটি। অন্যদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও খারাপ যাচ্ছে না আবদুন নূর সজল ও নুসরাত ফারিয়া অভিনীত জ্বীন-৩ ছবিটি।

এদিকে এরই মধ্যে আবারও ঈদের আমেজ সিনেমাপাড়ায়। সিনেমাপাড়া ও বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদেও মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রায় এক ডজন ছবি। শুরু হয়ে গেছে আসন্ন ঈদুল আজহার সিনেমা মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি। এখন পর্যন্ত এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমার মধ্যে রয়েছে তাণ্ডব, নীলচক্র, ইনসাফ, টগর, পিনিক, এশা মার্ডার : কর্মফল ইত্যাদি।

এর মধ্যে পিনিক, নীলচক্রসহ কয়েকটি ছবির শুটিং, ডাবিং এডিটিং শেষ করে মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তবে কোরবানি ঈদের অন্যরকম প্রত্যাশিত ছবি শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটির শুটিং চলছে পুরোদমে। এর মধ্য দিয়ে ‘তুফান’ সাফল্যের পর আবারও পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন রায়হান রাফী ও শাকিব খান। সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে (সাংবাদিক) থাকছেন জয়া আহসান। নায়কের বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো প্রকাশ্যে আনেননি নির্মাতা। তবে বিশেষ সূত্র মতে এই সিনেমার নায়িকা হিসেবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ছোটপর্দার প্রিয় মুখ সাবিলা নূরকেই।

নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘আমাদের শুটিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। তুফান-এর পর দর্শক এখানে অন্যরকম এক শাকিব খানকে দেখতে পাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখেনি। আর কোরবানি ঈদ আমার জন্য খুব লাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘তাণ্ডব’ কোরবানি ঈদেই আসছে। আর নায়িকা কে সেটা সময় হলেই সবাই জানতে পারবেন। তবে চমক আছে এটুকু বলতে পারি।’

এবার ঈদুল আজহায় দেখা যেতে পারে আরিফিন শুভকেও। দীর্ঘ বছর ঈদে তার দেখা মেলেনি, তবে এবার স্বরূপে হাজির হবেন তিনি। তার অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। মিঠু খান পরিচালিত এ সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে।

ঈদ ঘিরে নির্মিত হচ্ছে আরেক সিনেমা ‘ইনসাফ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মাণ শুরু করলেও এখন এটি ঈদুল আজহাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ৯৫ ভাগ শুটিং শেষ বলে জানা গেছে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর পর্দায় ফিরছেন শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে পর্দায় হাজির হবেন মোশাররফ করিমও। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে আদর আজাদ অভিনীত ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় আদরের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে।

আলোক হাসান পরিচালিত ‘টগর’ রয়েছে মুক্তির তালিকায়। এই সিনেমায় জুটি হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদ ও পূজা চেরী জুটিকে। এরই মধ্যে সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।

ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিও। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এর নির্মাতা সানী সানোয়ার। মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, পূজা ক্রুজ প্রমুখ।


কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে ৫ মিলিয়ন ডলার নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মেঘনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতকে এসব কথা বলেন গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম।

এর আগে বিদেশি কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন বলে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় প্রতারণার এ মামলায় অভিযোগে করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মেঘনা আলম ও তার পরিচিত সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলায় মেঘনার সহযোগী সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সকালে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।

আদালতে শুনানির সময় মেঘনা আলমকে মেঘলা আলম নামে সম্বোধন করার এক পর্যায়ে আসামি তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।

এ সময় বিচারক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?

এ পর্যায়ে বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। তখন মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। বিষয়টি হলো সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একই সঙ্গে দেওয়ান সমিরের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত এই ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আদালত মেঘনাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার (ডিটেনশন) আদেশ দেন।

অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে ও সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনায় শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।


চলচ্চিত্র ও রাজনীতি থেকে সোহেল রানার বিদায়  

মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। একাধারে তিনি অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক এই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের রক্তগাথা নিয়ে নির্মিত এ সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে। ১৯৭৪ সালে জনপ্রিয় চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ হিসেবে প্রথমবার বড় পর্দায় হাজির হন অভিনেতা সোহেল রানা। এক সময় দেশের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া এই তারকা ‘ড্যাশিং হিরো’ বলে পরিচিত চলচ্চিত্র পরিবার ও দর্শকমহলে। ৫২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে সোহেল রানা কাজ করেছেন প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায়। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সরব ছিলেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় জানালেন গুণী এই অভিনেতা। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তাকে আর দেখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আজীবন সম্মাননাসহ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হওয়া বরেণ্য এই চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব।

সোহেল রানা বর্তমানে ৭৯ বছর বয়সে পা রেখেছেন। সোহেল রানার কথায়, ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনও বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। তবে এখনও একটা সিনেমা পরিচালনা করার শখ আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে বয়সে আর কুলাবে না।’

সোহেল রানার কাছ থেকে জানা গেল, মূলত বয়সের কারণেই তার এমন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন আমার ৭৯ বছর। অভিনয় ও রাজনীতি দুটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হলে অনেক অ্যাক্টিভিটি করা প্রয়োজন, প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন। শারীরিক অবস্থার কারণে এগুলো তো করতে পারছি না। এখন থাকা মানে জোর করে থাকা।’

পাশাপাশি নিজের আক্ষেপের কথাও জানালেন সোহেল রানা। তার কথায়, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

গত একুশে ফেব্রুয়ারি নিজের জন্মদিনে দৈনিক বাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় কথা হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে। এ সময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে। আমরা বাংলা ভাষা ব্যবহার না করে ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। সঠিকভাবে বাংলা না বলতে পারলেও ইংলিশ বলার কারণে আমরা সন্তানদের নিয়ে গর্ব করি। প্রতিনিয়ত কথাবার্তায় কিছু ইংলিশ, কিছু বাংলা ব্যবহার করে একদম জগাখিচুড়ি ভাষা ব্যবহার করি। আমি নিজেও এই অপরাধ থেকে মুক্ত নই। দুঃখের বিষয়, আজকাল রেডিও-টিভিতে ভাষার বিকৃতি হচ্ছে। এই প্রজন্মের তরুণরা রেডিও-টেলিভিশনসহ সব মাধ্যমে দুর্বল বাংলা কিংবা ইংরেজি ভাষা মিশিয়ে কথা বলে এক বিকৃত বাংলিশ ভাষা চালু করেছে।

কথা হয় চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে দূরে থাকা প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি না । চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক আগেই বলেছিলাম, দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্প মারা গেছে। এখান থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে পুনরায় জীবিত করা অনেক কষ্টসাধ্য। সর্বশেষ তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায় অভিনয় করি। এটি মুক্তি পায় চলতি বছর জানুয়ারিতে।


প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মডেল মেঘনা আলমকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


banner close