সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পাচ্ছেন শাহরুখ খান

আপডেটেড
৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:১৩
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:১৩

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ছোট পর্দায় ফৌজি সিরিয়াল থেকে অভিনয় শুরু করা শাহরুখ এখন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছেন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ভক্তদের হৃদয়ে কিং খান হিসেবে স্থায়ী হয়ে রয়েছেন। মাঝখানে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কোনো সিনেমা হিট না হওয়ায় মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ক্ষোভে দুঃখে অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতেও চেয়েছিলেন। তবে গত বছরে পরপর তিন ছবির অভাবনীয় সাফল্যের সুবাদে আবার চেনা ছন্দে ফিরে এসেছেন বলিউড বাদশা।

এসব খবর অনেকটাই পুরোনো। নতুন খবর হলো, বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ক্যারিয়ার অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হতে চলেছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ফেস্টিভ্যাল সাইট গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে পুরস্কারটি বলিউড সুপারস্টারের ভারতীয় সিনেমায় অসাধারণ ক্যারিয়ারের সম্মানে প্রদান করা হচ্ছে।

একটি বিবৃতিতে লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের শৈল্পিক পরিচালক জিওনা এ. নাজারো বলেছেন, ‘শাহরুখ খানের মতো জীবন্ত কিংবদন্তিকে লোকার্নোতে স্বাগত জানানো একটি স্বপ্ন পূরণ! ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদান অভূতপূর্ব। শাহরুখ খান এমন একজন রাজা যিনি তাকে মুকুট তুলে দেওয়া দর্শকদের কাছ থেকে কখনোই হারাননি।

এ সাহসী শিল্পী সর্বদা নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে ইচ্ছুক এবং বিশ্বজুড়ে তার ভক্তরা তার চলচ্চিত্রগুলো থেকে যা আশা করেন, তাদের আস্থা তিনি পূরণ করেন। তিনি একজন সত্যিকারের ‘পিপলস হিরো’, পরিশীলিত এবং ডাউন টু আর্থ। শাহরুখ খান আমাদের সময়ের কিংবদন্তি।’

১০ আগস্ট ওপেন-এয়ার ভেন্যু পিয়াজা গ্র্যান্ডে পুরস্কার গ্রহণ করবেন শাহরুখ খান। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত তার কালজয়ী সিনেমা ‘দেবদাস’ প্রদর্শিত হবে এ উৎসবে। শাহরুখ ১১ আগস্ট ‘ফোরাম অ্যাট স্প্যাজিও সিনেমা’তে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারেও উপস্থিত থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ‘ডর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পরিচিতি পান শাহরুখ খান। ডর ছবির পরিচালক ছিলেন যশ চোপড়া এবং এ ছবিটি তৈরি হয়েছিল যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে। যেখানে শাহরুখ জুহি চাওলার প্রেমে পড়েন এবং তাকে সব সময় নজরে নজরে রাখেন। তাদের ভালোবাসা পেতে তারা নমনীয় মনোভাবের পথ অবলম্বন করে। জুহি সানি দেওলকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, শাহরুখের চরিত্রটি শেষ অবধি সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করে। এ ছবিতে প্রথমবার অ্যান্টি-হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ।


নতুন পরিচয়ে কেয়া পায়েল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় ও মডেল-অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম কেয়া পায়েল। ছোট পর্দার বড় অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের বছরজুড়েই থাকে কাজের ব্যস্ততা। যেকোনো উৎসব কেন্দ্র করে সেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। তাই তো নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় তিনি আছেন এখন ওপরের দিকে। অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত এ অভিনেত্রীর এবার ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাচ্ছে। নাম লেখাচ্ছেন ব্যবসায়। খুলছেন নারীদের জন্য বিউটি পার্লার। যেখানে কাস্টমারদের জন্য আধুনিক সব ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানান এ অভিনেত্রী।

কেয়া পায়েল জানান, বর্তমানে তিনি নিজেকে সময় দিচ্ছেন। এ ছাড়া ব্যস্ত আছেন তার নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। কারণ ১০ জুলাই এর উদ্বোধন। কেয়ার এ প্রতিষ্ঠানের নাম পার্ল বাই পায়েল মেকওভার অ্যান্ড স্যালুন। এটি রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। অভিনয়ের পাশাপাশি কেয়া সব সময়ই এমন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখতেন।

এই মডেল-অভিনেত্রী বলেন, ‘অভিনয়ে আমার অসম্ভব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। যার সবকিছুই দর্শকদের ভালোবাসার জন্য। এমন ব্যস্ততার মধ্যেই আমি নাম লেখাচ্ছি মেকওভার অ্যান্ড স্যালুন বিজনেসে। কারণ আমি চাচ্ছিলাম অভিনয়ের পাশাপাশি আমার নতুন আরেকটি পরিচয় হোক। এ ছাড়া এ সেক্টরটাও আমার খুবই পছন্দের। সেখান থেকেই এটি শুরু করা।’

কেয়া আরও বলেন, ‘আমি নিজেও সাজতে ভীষণ ভালোবাসি। সেই জায়গা থেকে মনে হলো ত্বকের যত্ন বা মেকআপের জন্য পার্লারে যেতেই হয়। নিজের যদি একটা পার্লার থাকে মন্দ হয় না। এ ছাড়া অথেনটিক প্রোডাক্ট নিয়েও সংশয় থাকে। সবার স্ক্রিনে কিন্তু সবকিছু যায় না। ভাবলাম এ পার্লার করলে শুটিংয়ের বাইরে সময় কাটানোর একটা জায়গা হবে। পার্লারকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারব। তাদের প্রোপার একটা কেয়ার দিতে পারব এর মাধ্যমে।’

কেয়া পায়েলের কাছ থেকে জানা গেল, পার্লারের ইচ্ছাটা আগে থেকেই ছিল। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই এবার ঈদের ব্যস্ততার পর বিরতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চালু করছেন তিনি। তার হাতে এখন বেশ কিছু নাটকের কাজ রয়েছে। যেগুলোর শুটিং শিগগিরই শুরু করবেন। কেয়া পায়েল বলেন, ‘চেষ্টা করি সব সময় ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করতে। পরিচালকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যে তারা আমাকে আমার মনের মতো গল্পের নাটকে কাজ করার সুযোগ করে দেন। দর্শকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা রইল। তাদের ভালোবাসায় প্রতিনিয়তই ভালো ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হই।’

বিষয়:

পার্থ বড়ুয়া আবার অভিনয়ে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দেশের প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া। নন্দিত এ ব্যান্ড তারকার গানের পাশাপাশি অভিনয়েও সুনাম কুড়িয়েছেন অনেকবার। নাটকের পাশাপাশি কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। আবারও নতুন এক সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন সোলস ব্যান্ডের দলনেতা। সিনেমাটির নাম ‘নীল জোছনা’। সরকারি অনুদানের এ সিনেমাটিতে এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পার্থ। চলতি মাসেই শুটিংয়ে অংশ নেবেন পার্থ বড়ুয়া। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন ফাখরুল আরেফীন খান। এর আগে তিনি ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’, ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমাগুলো নির্মাণ করেছেন। ‘নীল জোছনা’ সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিবিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। জানা গেছে, এ সিনেমায় পার্থকে ডা. তরফদার চরিত্রে দেখা যাবে।

নতুন সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খানের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। গল্প আর চরিত্র পছন্দ হয়েছে বলেই এবারই প্রথমবারের মতো তার সিনেমায় অভিনয় করছি। আশা করছি ভালো একটি কাজ হবে। সিনেমার গল্পটি দারুণ। দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’ ‘নীল জোছনা’ পার্থ বড়ুয়া অভিনীত তৃতীয় সিনেমা। তিনি সর্বপ্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন ২০১৬ সালে অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ সিনেমায়। সেখানে তার অভিনীত সাংবাদিক চরিত্রটি দর্শক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে। এরপর তাকে দেখা গেছে ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মেইড ইন চিটাগাং’ সিনেমায়। নির্মাতা আরেফীন বলেন, ‘ডা. তরফদার চরিত্রের জন্য পার্থ বড়ুয়া মানানসই হবে। সেই জায়গা থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তিনি চিত্রনাট্য দেখে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। এ ধরনের চরিত্রে পার্থদাকে এর আগে কেউ দেখেননি।’

সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা আরও বলেন, ‘নীল জোছনা সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ৬ বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষদিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই যখন মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি।’ উল্লেখ্য, গত বছর প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডদল সোলস-এর পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে কনসার্ট করে ব্যান্ডটি। কনসার্টে ব্যস্ততার কারণে অভিনয়ে সময় দেওয়া হয়নি তার। নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুবাদে অভিনয়ের বিরতি ভাঙলেন পার্থ বড়ুয়া।

বিষয়:

গুঞ্জনে উড়িয়ে দিলেন সোনাক্ষী সিনহা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অনেকটা আনন্দঘন পরিবেশে গত ২৩ জুন প্রেমিক জাহির ইকবালকে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। বিয়ের পর অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলে সুখী দম্পতি হিসেবে প্রথমবার নিজেদের সম্বোধন করলেন নববধূ। জাহিরের সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক; কিন্তু বিয়ের আগের মুহূর্তেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখে রা কাটেননি অভিনেত্রী। বিয়ের পর সোনাক্ষীর বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। বাবাকে দেখতে হাসপাতালে এলে শুরু হয় প্রেগন্যান্সি চর্চা। বিয়ের পর নতুন জীবনের অনুভূতি থেকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জন এবং মা হওয়াসহ নিজের পরিবর্তন নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন শত্রুঘ্নকন্যা।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাওয়ের মুখোমুখি হয়ে সোনাক্ষী সিনহা বলেন, ‘আমার জীবন এখন আগের থেকে অনেক সুন্দর। বিয়ের পরও আমার সেই আগের মতোই অনুভূতি হচ্ছে। বৈবাহিক জীবনের যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সেটা আমি উপভোগ করছি। আমার জীবন আগে যতটা গোছানো ছিল, এখন সেটা তার থেকে অনেক বেশি অর্গানাইজড। আমি সত্যিই খুব খুশি। বিয়ের পর কাজেও ফিরেছি।’

বিয়ের পাঁচদিনের মধ্যেই শত্রুঘ্ন সিনহাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বাবাকে দেখতে গিয়ে প্রেগন্যান্সি নিয়ে চর্চা, এ বিষয়েও কথা বলেছেন সোনাক্ষী। তার মতে, বিয়ের পর এটা তার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। হাসপাতালে গেলেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জন শুরু।

এই প্রসঙ্গে সোনাক্ষী বলেন, ‘আমার জীবনে বিয়ের পর এই একটাই পরিবর্তন হলো। হাসপাতালে কখনো যাওয়া যাবে না। যদি কোনো কারণে চিকিৎসাকেন্দ্র বা হাসপাতালে যাই তাহলেই আমাকে নিয়ে প্রেগন্যান্সি চর্চা শুরু হয়ে যাবে। সবাই ভাববে আমি বোধ হয় অন্তঃসত্ত্বা। তাই হাসপাতালে চেক-আপের জন্য এসেছি।’

সোনাক্ষী তার আপকামিং মুভি কাকুদা মুভির প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বর্তমানে। সেই প্রেক্ষিতেই টাইমস নাও-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সিনেমা নিয়ে কথা বলার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রশ্ন করলে মন খুলে কথা বলেন দাবাংকন্যা সোনাক্ষী সিনহা।

প্রসঙ্গত, দুই বছর আগেই আংটি বদল করেছেন জাহির ইকবাল ও সোনাক্ষী সিনহা। ওই সময় সোনাক্ষী তার সমাজমাধ্যমের পেজে এক ব্যক্তির ওপর হাতে হাত রেখে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে সোনাক্ষীর হাতে হীরের আংটি সবার নজর কেড়েছিল। ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘এটা আমার জীবনের বিশেষ দিন। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। আমি এটা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে উদ্গ্রীব হয়ে ছিলাম। বিশ্বাস করতে পারছি না যে এত সহজে এটা হয়ে গেল।’

বিষয়:

প্রশংসা কুড়াচ্ছেন অক্ষয় কুমার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

তিনি বলিউডের সুপারস্টার। ‘খিলাড়ি’ পরিচিতি পাওয়া এই তারকাকে বলা হয় বক্স অফিসের তুরুপের তাস। কিন্তু দুরন্ত অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি যে ভালো মনের মানুষ, তাও বারবার প্রমাণ দিয়েছেন অক্ষয়। নিজের স্ট্রাগলের কথা মনে রেখেই সেলিব্রিটি হয়েও, সাধারণের সঙ্গে মিশেছেন মাটির মানুষ হয়ে। একই অবতারে ফের ধরা দিলেন অক্ষয়। নতুন ছবি ‘সরফিরা’র শুটিং ফ্লোরে এক বৃদ্ধা অভিনেত্রীর দিকে বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত।

বিষয়টা একটু বিস্তারিত বলা যাক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সরফিরার শুটিং ফ্লোরে একজন বৃদ্ধা অভিনেত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছেন অক্ষয়। বৃদ্ধার হাতে থাকা ওজনদার ব্যাগ নিয়ে, মালপত্র কমিয়ে ব্য়াগকে হালকা করেছেন। জেনেছেন, তিনি খাবার খেয়েছেন কি না। শুধু তাই নয়, শুটিং টিমকে বলে বৃদ্ধার খাবার ব্যবস্থাও করেছেন অক্ষয়। অক্ষয়ের এমন ব্যবহারে স্বাভাবিকভাবে প্রশংসার ঝড় তোলে নেটপাড়ায়।

এরই মধ্যে ‘সরফিরা’র ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। ছবির অন্যতম প্রযোজক দক্ষিণী তারকা সুরিয়া ও জ্যোতিকা। আসলে অক্ষয়ের এই ছবি সুরিয়ার তামিল ব্লকবাস্টার ‘সুরারাই পাতরু’র রিমেক। ছবির কাহিনি অনুযায়ী প্রাক্তন এয়ারফোর্স ক্যাপ্টেন অক্ষয়ের চরিত্র বীর মাতরে। ট্রেলারের শুরুতে অক্ষয়কে খানিক ‘সরফিরা’ অর্থাৎ খ্যাপাটে মেজাজেই দেখা যাচ্ছে। ‘দেনায় ডুবে আমি’- এমন সংলাপ বলছেন তারকা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও বীরের চোখে স্বপ্ন আম জনতার জন্য সস্তার প্লেনযাত্রার ব্যবস্থা করা।

‘সুরারাই পাতরু’র পরিচালক ছিলেন সুধা কোঙ্গারা। তামিল-তেলেগু সিনেমা জগতে বেশ নাম রয়েছে তার। সে কারণেই ছবির হিন্দি রিমেক ‘সরফিরা’র পরিচালনার দায়িত্ব তিনিই পেয়েছেন। ছবিতে অক্ষয়ের পাশাপাশি রয়েছেন পরেশ রাওয়াল। তিনিও তামিল সিনেমায় ছিলেন এবং চরিত্রের নামও এক রাখা হয়েছে। ছবিতে বীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন রাধিকা মদন। আর সীমা বিশ্বাস রয়েছেন বীরের মায়ের ভূমিকায়। সুরিয়াকে দেখা যাবে ক্যামিও চরিত্রে। ট্রেলারেও তারও সামান্য ঝলক দেখা গেছে।

এর আগে অক্ষয় কুমার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ ছবির অনেক ভুক্তভোগী শিল্পীই পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বেশ কয়েক দিন বলিউডে বিক্ষোভ করেন । ওই ঘটনায় অভিনেতা অক্ষয় কুমার তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। অক্ষয় কুমার নিজের পারিশ্রমিক নেননি, যতক্ষণ না ছবির সবাই পারিশ্রমিক বুঝে পান।

বিষয়:

প্রথমবার গোয়েন্দা চরিত্রে আলিয়া ভাট

আলিয়া ভাট। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:১৩
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। গ্লোবাল স্টার হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন মহেশ ভাট কন্যা। কাজ করছেন হলিউডেও। করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমা থেকেই পরিচিতি তার। এরপর ‘হাইওয়ে’ চলচ্চিত্রে কাজ করে নিজের জাত চেনাতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাকে। সিনেমা নির্বাচনে তিনি বিচক্ষণতার প্রমাণ দিয়েছেন বারবার। সেই জায়গা থেকে আরও একটি নতুন সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। শিরোনাম ‘আলফা’। এখানে প্রথমবারের মতো তাকে গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, আদিত্য চোপড়ার হাত ধরেই গোয়েন্দা জগতে পা রাখছেন আলিয়া। অভিনেত্রীর সঙ্গী শর্বরী ওয়াঘ। এর আগে অবশ্য যশরাজের ব্যানারে মহিলা গোয়েন্দা চরিত্রে দেখা গেছে দীপিকা পাড়ুকোন এবং ক্যাটরিনা কাইফকে। সেখানে ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আইএসআই এজেন্ট জোয়ার ভূমিকায় নজর কেড়েছেন ক্যাটরিনা। অন্যদিকে ‘পাঠান’ ছবিতে শাহরুখের পাশে আইএসআই এজেন্ট রুবিনার চরিত্রে বাজিমাত করেছিলেন দীপিকা।

সম্প্রতি যশরাজের স্পাই ইউনিভার্সে যোগ দিয়েছেন কিয়ারা আদভানিও। তাকে হৃতিক রোশন, জুনিয়র এনটিআরের ‘ওয়ার ২’ ছবিতে দেখা যাবে মহিলা গোয়েন্দার ভূমিকায়। এবার আলিয়াও চলে এলেন একই চরিত্রে।

জানা গেছে, ‘আলফা’ নামের একটি ছবিতে গোয়েন্দা হয়ে ধরা দেবেন আলিয়া ভাট। যদিও ছবিটি কোনো নায়কনির্ভর গোয়েন্দা সিনেমা নয়, বরং মহিলা কেন্দ্রিক গোয়েন্দা গল্প; যেখানে মুখ্য চরিত্রেই থাকবেন আলিয়া। আগামী ১৫ জুলাই থেকে মুম্বাইতে শুরু হবে সিনেমার শুটিং।

শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল পোস্টার প্রকাশ্যে এনে সিনেমার নাম ঘোষণা করেন আলিয়া ভাট। সেখানে অভিনেত্রীর কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে, ‘গ্রিক অ্যালফাবেটের সবথেকে প্রথম অক্ষর আর আমাদের উদ্দেশ্য একই। ভালো করে দেখলে বুঝবেন, সব শহরেই একটা জঙ্গল রয়েছে, যেখানে আলফা রাজত্ব চলে। সবার আগে, সবথেকে প্রখর, সবথেকে বীর।’

এই ছবিতে হলিউডের ‘হার্ট অব স্টোন’ সিনেমার মতোই দুরন্ত অ্যাকশন সিকোয়েন্সে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। সিনেমার ঘোষণা শুনেই উত্তেজনায় ফুটছেন আলিয়া-অনুরাগীরা।

জাতীয় পুরস্কার থেকে শুরু করে একাধিক ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন আলিয়া ভাট। এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও পুরস্কৃত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তার ভক্ত-অনুরাগীদের কথা বলতে হলে- সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।


কলকাতায়ও সাড়া ফেলেছে শাকিবের ‘তুফান’

আপডেটেড ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকা কাঁপিয়ে ‘তুফান’ ছবিটি এখন কলকাতার নানা জায়গায় প্রশংসায় ভাসছে। ঈদুল আজহায় ছবিটি দেশে মুক্তির পর গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) ওপার বাংলায় মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির এক সপ্তাহ আগে থেকেই ছবিটির পোস্টার-বিলবোর্ডসহ নানা প্রচারে কলকাতাবাসী জেনে গিয়েছিল ‘তুফান’ আসছে। শুধু পোস্টার-বিলবোর্ডের প্রচারই নয়- ছবি মুক্তি উপলক্ষে ঢাকা থেকে শাকিব খান উড়ে যান ওপার বাংলায়। অংশ নিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে। ফলে সব মিলিয়ে গোটা কলকাতা এখন তুফানময়। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই প্রেক্ষাগৃহে উপচেপড়া ভিড় এবং সেখানকার নামিদামি তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা দেওয়া- সবই চলছে ‘তুফান’কে ঘিরে। শুভশ্রী গাঙ্গুলি, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিসহ নামিদামি অনেক তারকাই তাদের ভেরিফাইড আইডিতে ‘তুফান’কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের আজ প্রায় ৪৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সংবাদ সম্মেলনে শাকিব বললেন, ‘দুই বাংলার মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। দুই বাংলায় বহু ভালো কাজ হচ্ছে। আমি আশাবাদী, ছবিটা এপার বাংলার দর্শকের পছন্দ হবে।’

সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশি ছবি এপার বাংলায় যে খুব ভালো ব্যবসা করেনি, তা জানা গিয়েছে। সেখানে ‘তুফান’ নিয়ে তিনি কতটা আশাবাদী? শাকিবের কথায়, ‘বাংলা ছবি চলবে কি না, প্রশ্নটা বাঙালিদের করা উচিত নয়। তা হলে একে অন্যকে আমরাই ছোট করব। এ বাংলা তো উত্তম কুমারের ইন্ডাস্ট্রি। তা হলে কেন পিছিয়ে থাকবে?’ শাকিবের মতে, বাঙালিদের আগে বাংলা ছবিই দেখতে হবে। তারপর বলিউড বা দক্ষিণী ছবি দেখা উচিত। তার কথায়, ‘ভালো ছবি দেখে বলতেই হবে, ‘জয় বাংলার জয়’। অন্যথায় নিজেরাই একে অপরের চোখে ছোট হয়ে যাব।’

শাকিবের সঙ্গে তার দুই স্ত্রী বুবলী ও অপু বিশ্বাসের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অপু বিশ্বাস কি ‘তুফান’ দেখেছেন? প্রশ্নের উত্তরে শাকিব কারও নাম না নিয়ে বলেন, ‘কারা ছবিটা দেখেছেন, আমি জানি না।’ পরে শাকিবকে অপু-বুবলী বিতর্কেও প্রশ্ন করা হয়; কিন্তু অভিনেতা কায়দা করে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।

ঢালিউড কিং বলেন, ওপার-এপার বাংলা হোক, এ তুফান থামবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি জানিয়ে দেবে যে হলিউড, বলিউড, তামিলের সঙ্গে; পৃথিবীর বিখ্যাত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গেও আমরা টপ চার্টে আছি, পিছিয়ে নেই।


১৩ বছর পর অভিনয়ে শাওন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন প্রতিবেদক

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মেহের আফরোজ শাওন। ছোটবেলায় ‘নতুন কুঁড়ি’ দিয়ে মিডিয়ায় পথচলা শুরু তার। ইবনে মিজানের ‘আলাল দুলাল’-এ শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শাওন। ১৯৯৬ সালে হ‍ুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয়ে আসেন, পরে বেশ কিছু নাটক, ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। নায়িকা হিসেবে শাওনের প্রথম সিনেমা হ‍ুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। অভিনয় করেছেন ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ ও ‘আমার আছে জল’ সিনেমায়। এরপর অভিনয় না করলেও পরিচালনা করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় শাওন পরিচালিত একমাত্র সিনেমা ‘কৃষ্ণপক্ষ’।

সর্বশেষ ২০০৮ সালে হ‍ুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’- চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে ২০১২ সালে। হ‍ুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। মাঝে মধ্যে গানে পাওয়া গেলেও অভিনয়ে আড়ালেই থেকেছেন। অবশেষে দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ১৭ বছর পর সিনেমায় ফিরছেন তিনি। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘নীল জোছনা’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন শাওন। বিষয়টি নিশ্চিত করে এই অভিনেত্রী জানালেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।

নতুন সিনেমা নিয়ে শাওন বলেন, ‘প্যারাসাইকোলজি বিষয় নিয়ে নির্মিত হচ্ছে নীল জোছনা। এতে আমাকে শহুরে এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। দীর্ঘদিন পর সিনেমার শুটিং করব। তবে প্রযোজক ও পরিচালকের পলিসিগত কারণে এখনই সিনেমা কিংবা আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাইছি না।’

শাওন জানান, ১৭ বছর পর সিনেমায় নাম লেখালেও অভিনয়ে ফিরলেন ১৩ বছর পর। ২০১১ সালে সবশেষ অভিনয় করেছিলেন ‘স্বর্ণকলস’ নাটকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন হ‍ুমায়ূন আহমেদ। আগামীকাল ঢাকায় নীল জোছনা সিনেমায় নিজের অংশের শুটিংয়ে অংশ নেবেন শাওন। সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি-বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। শাওনসহ এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, পার্থ বড়ুয়া, এস এম নাঈম প্রমুখ। আরও আছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম।

নীল জোছনা নির্মাতা ফাখরুল আরেফীনের চতুর্থ সিনেমা। এর আগে তিনি বানিয়েছেন ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ ও ‘জেকে ১৯৭১’। নতুন সিনেমা নিয়ে ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘নীল জোছনা’ সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ছয় বছর আগে; ২০১৮ সালের শেষের দিকে। আমার জানামতে, প্যারাসাইকোলজি নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিই সিনেমা বানানোর।’

বিষয়:

ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সামান্থা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

চলতে চলতে হঠাৎ থেমে যান দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। গত বছর বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় তার। কাজ থেকেও বিরতি নিতে হয়। তবে নতুন বছরের শুরু থেকে শারীরিক অবস্থা অনেকটাই অনুকূলে এলে আবার কাজে ফেরেন এই তারকা। তবে এখন থেকে অনেক সতর্ক থেকে ভেবে-চিন্তে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন এখন থেকে আর যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে না তাকে। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগে পণ্যটি ব্যবহার করবেন, ভালো মনে হলে তারপর বিজ্ঞাপন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পথে এটি তার অন্যতম পদক্ষেপ।

সম্প্রতি পডকাস্ট অনুষ্ঠান ‘টেক টুয়েন্টি’-তে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন সামান্থা। পডকাস্টের ওই পর্বটি অবমুক্তির কয়েক ঘণ্টা পর এক মন্তব্যকারী খোঁচা দিয়েছেন সামান্থাকে। লিখেছেন, এখন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন বটে, কিন্তু কদিন আগেও অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় ব্র্যান্ডগুলোর বিজ্ঞাপন করেছেন। ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সামান্থা লিখেছেন, ‘ভুল করেছিলাম। তখন আমি এসব বিষয়ে ভালো জানতাম না। এখন আর আমি ওসব পণ্যের বিজ্ঞাপন করব না। এখন থেকে আমি সেসব পণ্যেরই প্রচার করব, যেসব নিজে ব্যবহার করব।’

এদিকে প্রথমবারের মতো বলিউড অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন সামান্থা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলা জানিয়েছে, ‘রক্তবীজ’ শিরোনামের সিরিজে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যাবে তাদের। সিরিজটি পরিচালনা করবেন পরিচালক জুটি রাজ ও ডিকে।

গত বছর ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’ সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হয় আদিত্যের। সিরিজটি দর্শক থেকে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়। এ সাফল্যে এবার অভিনেতা নাম লিখিয়েছেন আরও একটি বড় বাজেটের ওয়েব সিরিজে। এবারই প্রথম রাজ ও ডিকের পরিচালনায় দেখা যাবে তাকে।

পিঙ্কভিলা প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, ছয় মাসের দীর্ঘ আলোচনার পর সিরিজটিতে অভিনয়ের সম্মতি দিয়েছেন আদিত্য, আর অভিনেতার পরই চুক্তিবদ্ধ হন সামান্থা। ইতোমধ্যেই সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করেছেন দুজনেই। আগামী আগস্ট মাস থেকে শুরু হতে পারে শুটিং।

আদিত্যের প্রথম কাজ হলেও রাজ ও ডিকের সঙ্গে এটি সামান্থার তৃতীয় কাজ। এর আগে পরিচালক জুটির ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ ওয়েব সিরিজে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। মুক্তির অপেক্ষায় তাদের পরবর্তী ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’ও। অন্যদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে অনুরাগ বসুর পরিচালনায় আদিত্যের সিনেমা ‘মেট্রো ইন দিনো’।

বিষয়:

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে চঞ্চলের ‘পদাতিক’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী কেবল এপার বাংলাতেই নয়, ওপার বাংলাতেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন কয়েক বছর ধরে। গেল বছরই তাকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গুণী পরিচালক সৃজিত মুখার্জি নির্মাণ করেছেন নতুন ছবি ‘পদাতিক’। ছবিটি নির্মিত হয়েছে আরেক বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জীবনী নিয়ে। ছবিটিতে মৃণাল সেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এরইমধ্যে ছবির ফাস্টলুক ও টিজার দিয়ে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন সৃজিত ও চঞ্চল চৌধুরী।

কদিন আগেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে ছবিটি। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি একটি পোস্টার শেয়ার করে জানালেন আসছে আগস্টে মুক্তি পাবে ছবিটি। মুক্তির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৫ আগস্ট। পোস্টারে চঞ্চলের দুটি সময়ের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। পাশে আরেক অভিনেতার ছবি থাকলেও অনুমান করা যায় এটা মৃণাল সেনের ছোট বেলার চরিত্র। যা করেছেন অন্য এক তরুণ অভিনেতা।

তবে ছবিটিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ‘মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করাটা একটা দুঃসাহসিক ব্যাপার। এ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সাহস থাকতে হয়। সেই সাহসটি আমার আছে কি না এবং সেই সঙ্গে যোগ্যতা আমার আছে কি না সেটা বলার আগে, একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে বিষয়টা চিন্তা করলে আমার তো অবিশ্বাস্য লাগছে। তবুও দুঃসাহস নিয়ে, কাজের প্রতি একটা লোভ, স্বপ্ন থাকার কারণে এ কাজটি করা। তার ওপর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করা। তার যতগুলো কাজ দেখেছি। তা দেখে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল।’

চঞ্চলের কথায়, ‘মৃণাল সেন চলচ্চিত্র জগতের একজন দিকপাল। শ্রেষ্ঠতম একজন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করা মানে একটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা। ভালো-মন্দ এটা পরের বিষয়।’

ছবির মৃণাল সেন হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘আমাকে কিছু বইপত্র দেওয়া হয়েছে, কিছু ভিডিও দেওয়া হয়েছে। সেটা তো একটা ব্যাপার; কিন্তু মানুষটার ভেতরটা, মানুষটার দৃঢ়তা, মানুষটার অন্তরটা তো দেখা যায় না। এ বিষয়গুলো আসলে অনুভব করতে হয়।’

এদিকে অনেকদিন পর এবারের ঈদে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ‘তুফান’ সিনেমায় তিনি শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয় করেছেন। ঢাকাসহ সারা দেশে রেকর্ড সংখ্যক হলে ‘তুফান’ এখনো চলছে। যুক্তরাষ্ট্রেও ‘তুফান’ মুক্তি পেয়েছে। সেখানেও ভালো চলছে। চঞ্চল চৌধুরী এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

বিষয়:

বিলুপ্তির পথে দেশের নৃত্যশিল্পী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

নাদিয়া আহমেদ- ছোটপর্দার প্রতিষ্ঠিত একটি নাম। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এ তারকা একাধারে মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। মাঝেমধ্যে উপস্থাপক হিসেবেও দেখা যায় তাকে। তবে দর্শকমহলে অভিনেত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি। এরইমধ্যে ক্যারিয়ারের দুই যুগ পার করেছেন তিনি। সফল এ অভিনেত্রী দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহুবার হয়েছেন প্রশংসিত, পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয় দৈনিক বাংলার-

এই সময়…

কাটছে বেশ ভালোই চলমান সময়। তবে আমি তো ধারাবাহিক নাটকে কাজ করি বেশি, যেগুলো নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে শুটিংয়ে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।

৭০০ পর্বে ‘বকুলপুর-২’…

বাংলাদেশের টিভি নাটকের ইতিহাসে এটা একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনাই বলব আমি। কারণ এর আগে কোনো সিরিয়াল বা মেগা সিরিয়াল দর্শকপ্রিয় থাকা অবস্থায় এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে কি না আমার জানা নেই। এটা একটা বড় মাইলফলক। শুরুতে নাটকটির তখন ৩০০ পর্বেই শেষ করতে হয়েছিল। পরে দর্শকের আগ্রহেই সিজন-২ শুরু করতে হয়েছে। দীপ্ত টিভি কর্তৃপক্ষ ও পরিচালক শুধু নন, দ্বিতীয় সিজনের জন্য আমাদেরও কম আগ্রহ ছিল না। আসলে প্রথম সিজনটা দর্শক এতটাই পছন্দ করেছিল যে দ্বিতীয় সিজনের বিকল্পও ছিল না। এ কৃতিত্ব পুরো টিমের।

অভিনয় কমিয়ে দেওয়া…

নানা কারণে অভিনয় কমিয়ে দিতে হয়েছে। আমার ক্যারিয়ারের তো দুই যুগ পার করলাম। এ সময়ে এসে যেনতেন গল্পে অভিনয় করতে পারি না। আমি তো চাইলেই এ সময়ের ছেলেমেয়ের চরিত্র করতে পারব না। দর্শক মেনেও নেবে না। তা ছাড়া এখন যারা নাটক নির্মাণ করছেন তাদের অনেকেই নাকি আমাদের চেনেন না, যদিও আমিও অনেককে চিনি না। এটাও একটা প্রধান কারণ। তৃতীয় কারণ, নাটকের মান। চলচ্চিত্রকে যেমন চোখের সামনে হারিয়ে যেতে দেখলাম, নাটকও প্রায় সেই অবস্থায় পৌঁছেছে।

নাচের খবর…

নাচের অবস্থাও তেমন ভালো না। নাচ যেখানে এগিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে এ শিল্পটি। টেলিভিশনগুলোতেও এখন নৃত্যানুষ্ঠান শূন্যের কোঠায়। তারা বলে, নৃত্যানুষ্ঠানে নাকি স্পন্সর পাওয়া যায় না। তাহলে তারা যেসব অনুষ্ঠান করে সব কটিতেই কি ভালো স্পন্সর পায়? সব কটিই লাভজনক? যদি তা-ই হতো তাহলে চ্যানেলগুলো এত লস লস করে কেন? আগে একটা সময় যেকোনো অনুষ্ঠানেই নৃত্যের জন্য থাকত আলাদা পর্ব। আর এখন নৃত্যটা বাদ দিয়ে সব হয়। দিন দিন যেন বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে দেশের নৃত্যশিল্প।

সাংসারিক জীবন…

সাংসারিক জীবনে ভালো থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া ও সহনশীলতা। সেটা আমাদের মধ্যে আছে। দুজনেরই রয়েছে ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতা। তাই এ জীবনটা ভালোই কাটে। তবে নাঈমের দোষ একটাই, ও অনেক কিছু ভুলে যায়। অনেক সময় কিছু একটা বলল বা তাকে বলা হলো, সেটা সে ভুলে বসে থাকে। বিপরীতে নাঈমের গুণের সংখ্যা অনেক। সবার আগে সে পরিবারকে প্রায়োরিটি দেয়। এ বিষয়টা আমার কাছে দারুণ লাগে।

বিষয়:

আবার বিস্ফোরক মন্তব্য বুবলীর

শবনম বুবলী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০১
বিনোদন প্রতিবেদক

শেষ হচ্ছে না চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্ব। কিছুদিন আগে এ ‘দুই সতীন’-এর ঝগড়াকে থামানোর জন্য তাদের সাবেক স্বামী শাকিব খানের পরিবার থেকে জানানো হয়, বিয়ের জন্য শাকিবের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। এ ঘোষণায় প্রাথমিক কয়েকদিন দুজন চুপ থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার একে অন্যকে নিয়ে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক মন্তব্য করার মধ্যে যেন মেতে আছেন অপু ও বুবলী। কখনো ইঙ্গিতে, কখনোবা সরাসরি।

বুবলী অভিনীত এবার কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর কারণ হিসেবে ছবির পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল অভিযোগের তীর তাক করেন নায়িকা শবনম বুবলী ও নায়ক রোশানের দিকে। শুধু তাই নয়, পরিচালক তার পরের ছবি ‘বিট্রে’ থেকে বাদ দেন বুবলীকে। মোহাম্মদ ইকবাল গণমাধ্যমে দাবি করেন, স্ত্রী হিসেবে শাকিবের ‘তুফান’ ছবিকে পরোক্ষভাবে সাপোর্ট করতে প্রচারণায় যাননি বুবলী। ইকবালের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুবলীর বক্তব্য ছিল এ রকম, ‘আমার পরিবার বলেন, সহশিল্পী বলেন, স্বামী বলেন এবং সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে আমার সন্তানের বাবা বলেন, তাকে নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি অসম্মানজনক কোনো মন্তব্য করেন, আমি অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলব। যেদিন থেকে দেখেছি, শাকিব খানকে নিয়ে ইকবাল ভাই আপত্তিকর মন্তব্য শুরু করলেন, তখন থেকেই আমি তাকে এড়িয়ে চলি।’

শাকিব খানকে নিয়ে বুবলীর এমন মন্তব্য যে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি অপু বিশ্বাস, গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। বুবলীর এমন মন্তব্যকে হাস্যকর আখ্যা দিয়েছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, ‘নিজে ছবি থেকে বাদ পড়ে শাকিবকে দেয়াল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন তিনি। দুর্বল ‘গেম প্ল্যান’। ছবি থেকে বাদ না পড়লে শাকিবের প্রতি দরদ দেখানো এমন কোনো বাক্য ব্যবহার করতেন না। আসলে সবখানে শাকিব খানের নাম মুখে নিয়ে উনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন।’

অপুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে বুবলী গণমাধ্যমে বলেন, ‘শাকিব খান আমার পরিবার। তার নাম আমি সব সময় নিয়েছি এবং সারা জীবন নেব। পরিবারের মানুষের নাম নিতে কেউ কখনো ক্লান্ত হয় না। যাদের স্বার্থ থাকে, তারা ক্লান্ত হয়। যে মহিলা এসব বলছে, সে কে? যিনি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো সব সময় আমাদের মাঝখানে তিড়িংবিড়িং করেন। নিজের মতো বানানো নানা মিথ্যা রচনা বলেন সারাক্ষণ। সবচেয়ে হাস্যকর কথা হলো, উনি তার নিশ্বাসের থেকেও বুবলী নামটা বেশি নেন। তার সব জায়গায় শুধু বুবলী বুবলী। তিনি ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন কিছু নেই, যা করছেন না। বুবলী নাম নিতে নিতে এমনই মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছেন।’


শুভ জন্মদিন সৈয়দ আব্দুল হাদী

আপডেটেড ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলা গানের প্রবাদপুরুষ তথা জীবন্ত কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। যেও না সাথী, চলেছো একেলা কোথায়, ‘চক্ষের নজর এমনি কইরা একদিন খইয়া যাবে, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, ‘চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে কাঁদিস কেন মন, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো আর কতদিন বলো সইবো, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, ‘এমনও তো প্রেম হয়’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’ ‘চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন জীবন্ত কিংবদন্তি এ কণ্ঠশিল্পী।

সৈয়দ আব্দুল হাদী বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে পাঁচবার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ২০০০ সালে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। বর্ষীয়ান এই গায়ক আজ পা রাখছেন জীবনের পঁচাশিতম বছরে। ১৯৪০ সালের এই দিনে (১ জুলাই) তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার শৈশব কৈশোর কেটেছে আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কলকাতায়। বিশেষ এই দিন এবং চলমান সময় নিয়ে কথা হয় বরেণ্য এই শিল্পীর সঙ্গে। জানালেন, এখন আগের মতো শরীরও আর সায় দেয় না। বেশির ভাগ সময়ই বাসায় কাটে। এমনিতেই প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে থাকি না। শরীর খারাপ থাকলে তো একদমই না। একেবারেই ঘর থেকে বের হচ্ছি না।’ জন্মদিন প্রসঙ্গে সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘জীবনের আরেকটি নতুন বসন্ত

শুরু হলো। অনেকগুলো বসন্ত পেরিয়ে আজ ৮৫ তে আমি। দেখতে দেখতে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। জীবনকে যখন যেভাবে পেয়েছি সেভাবেই মুল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই। সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই। দিনটি নিয়ে বিশেষ কোনো আয়োজন আছে কি? জবাবে এই প্রথিতযশা গায়ক বলেন, ‘আমি কখনো বড় আয়োজনে নিজের জন্মদিন পালন করিনি। এটা আমার পছন্দও নয়। যা হয় তা ছোট পরিসরে, ঘরোয়া আয়োজন। এবারও তাই হচ্ছে। নিজের জন্মদিনে একটাই প্রত্যাশা এই দেশটা আমার, তোমার, সবার।

সৈয়দ আব্দুল হাদীর পিতা সৈয়দ আব্দুল হাই ছিলেন তৎকালীন সরকারি কর্মকর্ত। তিনি গান গাইতে এবং শুনতে পছন্দ করতেন। বাবার গ্রামোফোনে গান শুনেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ জন্মায় হাদীর। নিজে নিজে গুনগুন করে গাইতেন। আর এভাবেই তার সঙ্গীতচর্চা শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সৈয়দ আব্দুল হাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষে তিনি লন্ডনে ওয়েল্স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সিনেমায় গান গাওয়া শুরু করেন আব্দুল হাদী। সেই হিসেবে তার সঙ্গীতজীবন পাঁচ দশকেরও বছরের বেশি। একক সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি প্রথম সিনেমায় গান করেন ১৯৬৪ সালের ‘ডাকবাবু’ সিনেমায়। এরপর থেকে নিয়মিত গান করে গেছেন রূপালি দুনিয়ায়। আর নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।


banner close