বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১

এবার বুবলীকে পরীমনির খোঁচা

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২৪ ১৬:০৫

চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমির বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন ছিল গতকাল ২১ মার্চ। বিশেষ এই দিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে। তবে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরেক চিত্রনায়িকা পরীমনি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তিনি যে বুবলিকে তাক করে তীর ছুঁড়েছেন, তা বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। নিজের স্ট্যাটাসে পরীমনির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই বানানো হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। আর চিত্রনায়িকার এমনটা মনে করার কারণটাও স্পষ্ট।

মাসখানেক আগে পরীমনির ছেলে পুণ্যর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই চিত্রনায়িকা মনে করছেন- তার সেই ভিডিওর ধারণাই কপি করেছেন বুবলী। বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, ‘আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!’

ছেলেকে নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন বুবলী। ঠিক তার এক ঘণ্টা পর রাত তিনটায় স্ট্যাটাসটি দেন পরীমনি।

এদিকে পরীমনির সেই স্ট্যাটাসের পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলীও। নিজের একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি জানান, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে অধিকাংশ বিয়েতে ড্রেস, কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। তেমনি মা সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে অনেক ইমোশনাল ভিডিও এবং অডিও আছে যার ভাষা একই। বুবলীর মতে, এসবে মিল পাওয়া বিষয়ে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই শুধু এক ধরনের এই সিন্ডিকেট গ্রুপ ছাড়া।

এরপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, এই ধরনের মানুষকে দেখলে মনে হয় শুধু তারাই মা হয়েছে, আর কেউ নয়। তাদেরই হাসি কান্না আবেগ অনুভূতি আছে আর কারো নেই বা থাকতেও পারে না। মূলত পরীমনির স্ট্যাটাসের দিকে ইঙ্গিত করেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বুবলী যা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। তবে বুবলীর পাল্টা স্ট্যাটাসের পর পরীমনির আর কোনো স্ট্যাটাস এখনো দেখা যায়নি।

বিষয়:

ছন্দে ফিরছেন বুবলী

শবনম ইয়াসমিন বুবলী। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম শবনম ইয়াসমিন বুবলী। সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে নাম লিখিয়ে সংবাদ পাঠিকা থেকে তিনি হয়ে যান চিত্রনায়িকা। প্রায় ১০ বছরের সিনেমার ক্যারিয়ারে শবনম বুবলী শাকিব খান ছাড়া কোনো নায়কের বিপরীতে অভিনয় করে খুব একটা সাফল্য পাননি। তবে এবার রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমায় চিত্রনায়ক সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করে বেশ সাড়া পাচ্ছেন বুবলী। এম রাহিম পরিচালিত এই সিনেমার মুক্তির প্রথম দিন থেকেই সিনেপ্লেক্সের সব শো হাউসফুল ছিল।

তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও চেইন এই মাল্টিপ্লেক্সের সব শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ‘জংলি’ টিম থেকে বারবার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়। সেই দাবির প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতে ‘জংলি’র শো বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ।

সিনেমা মালিক, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি ও সরেজমিনে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ থেকে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, এখন পর্যন্ত বেশ আশানুরূপ ব্যবসা করছে সিনেমাটি। পাশাপাশি দর্শক সিনেমাটি দেখে ভূয়সী প্রশংসাও করছেন। আর দর্শকের এই ভালোবাসায় উচ্ছ্বসিত শবনম বুবলী। তিনি বলেন, ‘দর্শকের জন্যই সিনেমায় অভিনয় করি। তারা যখন হলে সিনেমা দেখতে আসে সত্যি ভালো লাগে। এ অনুভূতি ভাষায় বলে বোঝানো কঠিন।’

এই নায়িকা বলেন, ‘ঈদের দিন থেকেই আমার কাছের মানুষজন মোবাইলে জংলি নিয়ে শুভকামনা জানাতে থাকেন। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই সিনেপ্লেক্সে যাব, দর্শকের প্রতিক্রিয়া কাছ থেকে দেখব। এরপর আমরা একটি শো শেষ হওয়ার সময় থিয়েটারের ভেতরে ঢুকে দেখি সিনেমা শেষে সবাই দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে। এরপর আমাদের দেখে কাছে এসে অনেকেই তাদের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন। তখনই দর্শককে আমি কাঁদতে দেখি, যা দেখে আমি এবং সিয়াম দুজনই আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। কারণ একজন আর্টিস্ট এর থেকে বড় অর্জন আর কী হতে পারে। এর জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ।’

শবনব বুবলী আরও বলেন, ‘সব বিষয় নিয়েই একটি পরিপূর্ণ সিনেমা নির্মাণ হয়। এর মধ্যে সব সময় এগিয়ে রাখে সিনেমার গল্প। তারপর নির্মাতা, আর্টিস্ট এবং গোটা টিম ঠিকভাবে কাজ করলেই দর্শক ভালোবাসতে বাধ্য। তবে জংলির কোনো বিষয়টি দর্শককে আকৃষ্ট করছে, সেটি আলাদা করে বলতে হলে বলব, সিনেমার গল্প। কারণ এ গল্পই দর্শককে কাঁদিয়েছে। এরপর এ গল্পে যারা অভিনয় করেছেন এবং গোটা জংলি টিমই দর্শককে আকৃষ্ট করেছে।’

সিনেমার নায়ক চিত্রনায়ক সিয়ামকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এ নায়িকা বলেন, ‘সিয়াম একজন দুর্দান্ত সহকর্মী। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। অভিনয়ে ওর সিরিয়াসনেস আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়া জংলিতে তার যে ডেডিকেশন, তা তো দর্শক দেখেছে, যা প্রতিটি কাজেই সিয়াম করে দেখাচ্ছে। তাই এমন আর্টিস্টের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভালো হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

বুবলীর কাছ থেকে জানা গেল, দর্শকের সঙ্গে এ সিনেমাটি দেখতে মিরপুর সনি সিনেমা হলে যান অভিনেত্রী। তাকে দেখে সেখানে উপচে পড়া ভিড় জমে দর্শক ও ভক্তের। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে সে মুহূর্তের ভিডিও। মাত্র ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ‘জংলি’ সিনেমা ও দর্শকের রিঅ্যাকশন দেখতে সনি সিনেমা হলে উপস্থিত হন বুবলী। দর্শকের ভিড় ঠেলে এ অভিনেত্রীকে রীতিমতো যুদ্ধ করে হলে প্রবেশ করতে হয়।


একসঙ্গে তিন চরিত্রে হৃত্বিক

হৃত্বিক রোশান। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২৫ বছর কাটানোর পর এবার পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শৌখিন অভিনেতা হৃত্বিক রোশান। ভূত-ভবিষ্যৎ-বর্তমান, ত্রিকাল প্রেক্ষাপটে তিরিন তৈরি করছেন বহুল জনপ্রিয় কৃষ সিরিজের চতুর্থ কিস্তি ‘কৃষ-৪’। এই খবর অবশ্য কিছুটা পুরোনো হয়ে গেছে। তবে নতুন হচ্ছে, প্রথম পরিচালনার সিনেমাতেই একসঙ্গে তিন চরিত্রে অভিনয় করে চমক দেখাবেন ‍তিনি। এই ছবিতে তিনিই নায়ক আবার তিনিই খলনায়ক। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। শুধু তাই নয়, এর আগের দুটো ছবিতে তাকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। এবার একসঙ্গে তিনটি চরিত্রে দেখা যাবে বলেই স্পষ্ট করেছে কৃষ টিম।

একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, টাইম ট্রাভেলের প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে ‘কৃষ’ ছবির চতুর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজি। যেখানে হলিউডি কায়দায় ‘ইনফিনিটি ওয়ার’ এবং ‘এন্ডগেম’-এর ছায়া দেখা যেতে পারে। ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ জানা গেল, গল্পে তিনটি সময়কাল দেখানো হবে। ত্রিকালের প্রেক্ষাপটে ট্রিপল রোলে অভিনয় করবেন হৃত্বিক রোশন। তার সঙ্গে পারিবারিক আবেগ, সম্পর্কের রসায়নও উপকরণ হিসেবে মজুত থাকবে ‘কৃষ ৪’-এ।

শুধু তাই নয়, এই চতুর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমায় নাকি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং প্রীতি জিনতারও প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে। থাকছেন বিবেক ওবেরয় এবং রেখাও। কাস্টিং তালিকায় নোরা ফতেহির নাম যোগ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তুখোড় অ্যাকশন সিক্যুয়েন্সে দেখা যেতে পারে অভিনেত্রীকে। আরও জানা গেল, এই ছবিতে ভিএফএক্স খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকবার খসড়ার পর শেষমেশ চূড়ান্ত হয়েছে ‘কৃষ ৪’-এর চিত্রনাট্য। ‘ওয়ার ২’-এর পর এই ছবির কাজ শুরু করবেন হৃত্বিক রোশান।

হৃত্বিকের পরিচালনায় হাতেখড়ির খবরে দিন কয়েক আগেই সিলমোহর দিয়েছেন বাবা রাকেশ রোশান। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে সেই খবর সাড়ম্বরে ঘোষণাও করেছেন। ছেলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে রাকেশ লিখেছিলেন, ‘ডুগ্গু (হৃত্বিকের পারিবারিক নাম) আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমিই তোমাকে একজন অভিনেতা হিসাবে লাঞ্চ করেছিলাম। ২৫ বছর পর আবার আজ আমিই তোমাকে একজন পরিচালক হিসেবে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। আমার আর আদিত্য চোপড়ার স্বপ্নের ছবি কৃষ ৪-এর পরিচালক হবে তুমি। নতুন ভূমিকায় তুমি সফল হবেই- তোমার জন্য আমাদের সবার আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা রইল।’


আবারও কান মাতাবেন টম ক্রুজ

টম ক্রুজ। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

হলিউডের নামকরা অভিনেতা টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল’। এখন পর্যন্ত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে অষ্টম কিস্তি ‘মিশন ইম্পসিবল : দ্য ফাইনাল রেকনিং’র। আগামী ২৩ মে বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার নতুন ট্রেলার। যেখানে টম ক্রুজ একটি ফাইটার জেট থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং পরবর্তী সময়ে তাকে একটি উল্টেপড়া বিমান থেকে ঝুলতে দেখা যায়। তার আগে আসন্ন কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিন (১৪ মে) লালগালিচা হয়ে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে হাজির হবেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ। এ দিন অভিনেতার নতুন ছবি ‘মিশন: ইমপসিবল-দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর অফিশিয়াল স্ক্রিনিং হবে। সঙ্গে থাকবেন টম ক্রুজের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এবং পুরো টিম।

এটি হবে কিংবদন্তি হলিউড তারকার তৃতীয় কান সফর। প্রথমবার তিনি এসেছিলেন ১৯৯২ সালে, রন হাওয়ার্ডের ছবি ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’-এর প্রিমিয়ারে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে তিনি আবার কানে ফিরেছিলেন ‘টপ গান: ম্যাভরিক’ নিয়ে। সেই সফর ছিল একেবারে স্মরণীয়- আবেগঘনভাবে তাকে প্রদান করা হয়েছিল গৌরবসূচক পাম দ’র, আর তার মাস্টারক্লাস ছিল দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক অভিজ্ঞতা।

জানা গেছে, প্রায় তিন দশকের অ্যাকশন, স্টান্ট আর ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত সমাপ্তি হতে চলেছে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এবারের পর্বে আরও অভিনয় করেছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং রেইমস, সায়মন পেগ, এসাই মোরালেস, পম ক্লেমেন্টিয়েফ, হেনরি জার্নি, মারিয়েলা গ্যারিগা, অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট প্রমুখ। ছবিটি ফ্রান্সে মুক্তি পাচ্ছে ২১ মে। শোনা যাচ্ছে, আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে টম ক্রুজের এটিই শেষ মিশন। কারণ আটটি সিনেমার পর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের একটি নাটকীয় সমাপ্তি তুলে ধরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন অভিনেতা।


আবার আইটেম গানে তামান্না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রীদের একজন তামান্না ভাটিয়া। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী ‘বাহুবলী’-খ্যাত এই তারকা। অনেক সিনেমার আইটেম গানে কোমর দুলিয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। গত বছর ‘আজ কি রাত’ গানে নেচে হইচই ফেলে দেন। ফের আইটেম গানে দেখা যাবে এই ‘মিল্কি বিউটিকে’। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বলিউড তারকা অজয় দেবগনকে নিয়ে পরিচালক রাজ কুমার গুপ্তা নির্মাণ করছেন ‘রেইড টু’। এ সিনেমার আইটেম গানে দেখা যাবে তামান্নাকে। এরই মধ্যে মুম্বাইয়ে গানটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। হাই ভোল্টেজের আইটেম গানটি সিনেমার গল্পের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রাখা হবে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “তামান্না ভাটিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রেইড টু’ সিনেমার হাই এনার্জি আইটেম গানের শুটিং শুরু করেছেন। শুটিং সেটে গানটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ‘কাভালা’, এবং ‘আজ কি রাত’-এর মতো আকাশচুম্বী সফল আইটেম গানের পর নতুন গানে পারফর্ম করায় তার প্রতি দর্শকদের প্রত্যাশাও ব্যাপক। ঝলমলে আলো, বোল্ড কালার প্যালেট, স্ট্রোব ইফেক্টসহ অসাধারণ সেট ডিজাইন করেছে শুটিং টিম; যা তামান্না ভাটিয়ার দৃশ্যমান আবেদন আরো বৃদ্ধি করবে।”

আইটেম গানে তামান্নার পোশাক নিয়ে সূত্রটি বলেন, ‘ট্র্যাকটি গ্ল্যামারাস, যেখানে সিকুইন পোশাক পরে তামান্না তার সিগনেচার নাচ পরিবেশন করবেন। এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এ গানে ইয়ো ইয়ো হানি সিংয়ের সঙ্গে পারফর্ম করবেন না তামান্না। তবে এ গানের গায়িকাকে গোপন রেখেছেন নির্মাতারা।’

‘রেইড টু’ সিনেমায় অজয়ের বিপরীতে অভিনয় করছেন বাণী কাপুর। প্রথম পার্টে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ইলিয়ানা ডিক্রুজ। ‘রেইড’ সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন রীতেশ দেশমুখ, রজত কাপুর, সুপ্রিয়া পাঠক প্রমুখ। তা ছাড়াও সিনেমাটির বিশেষ চরিত্রে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও হানি সিংয়ের অভিনয়ের কথা রয়েছে। আগামী ১ মে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।

এদিকে টানা দুই বছর অভিনেতা বিজয় বার্মার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তামান্না ভাটিয়া। চলতি বছর তাদের বিয়ে করার কথাও ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুজনই সেই সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। আর এ বিষয়ে কেউই সরাসরি মুখ খোলেননি।


কানের পাম ডি’অর পাচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো

রবার্ট ডি নিরো। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আগামী ১৩ মে শুরু থেকে ফ্রান্সে শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। আর এবারের কানের আসরে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাম ডি’অর পাচ্ছেন বর্ষীয়ান হলিউড তারকা রবার্ট ডি নিরো। অভিনয় ও প্রযোজনায় জীবনের অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ১৪ বছর আগে, ২০১১ সালে কান উৎসবের প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন দুইবারের অস্কারজয়ী এই অভিনেতা। রবার্ট ডি নিরোর সঙ্গে কান উৎসবের সম্পর্ক অনেক দিনের। ১৯৭৬ সালে তিনি অংশ নেন দুটি অফিসিয়াল নির্বাচিত ছবিতে- বার্নার্ডো বার্তোলুচ্চির ‘১৯০০’ এবং মার্টিন স্করসেজির ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’। এর মধ্যে ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ সেবার জিতে নেয় সেরা ছবির পুরস্কার পাম ডি’অর।

এরপর ১৯৮৩ সালে স্করসেজির ‘দ্য কিং অব কমেডি’ এবং ১৯৮৪ সালে সের্জিও লেওনের ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’ ছবিতে কান উৎসবে ফিরেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ‘দ্য মিশন’ ছবির মাধ্যমে আবারও তিনি জিতেছেন পাম ডি’অর। সবশেষ ২০২৩ সালে তিনি ছিলেন স্করসেজির ‘কিলার্স অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ছবির সঙ্গে কানের লাল গালিচায়।

এই সম্মাননা পাওয়ার খবরে আবেগাপ্লুত হয়ে ডি নিরো বলেন, ‘কান উৎসবের প্রতি আমার অনুভূতি অনেক গভীর- বিশেষ করে এখন, যখন বিশ্বে অনেক বিভক্তি, তখন কান আমাদের একত্র করে- গল্পকার, নির্মাতা, দর্শক আর বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে হয়ে যাই। এটা যেন ঘরে ফিরে আসার মতো।’

পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি ১৪ মে ডেবুশি থিয়েটারে একটি মাস্টারক্লাসও নেবেন ডি নিরো। উল্লেখ্য, ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ১৩ মে থেকে ২৪ মে, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে।


মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মালাইকা অরোরা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের আইটেম কুইন হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মালাইকা অরোরা অল্প বয়স থেকেই সৌন্দর্যের পূজারী। ৫১ বছর বয়সেও যে সৌন্দর্যে কোনো ভাটা পড়ে না, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন মালাইকা। তবে দৈহিক সৌন্দর্য দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করলেও খোলামেলা পোশাকের কারণে মাঝে-মধ্যেই তোপের মুখে পড়তে হয় এই তারকাকে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রেম-ভালোবাসা নিয়েও সারা বছর থাকেন আলোচনায়। তবে এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন অন্য একটি বিষয়ে। বড় ধরনের আইনি জটে পড়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। জানা গেছে, ২০১২ সালের একটি মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাকে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ২০১২ সালের একটি মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাকে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে গেছেন মালাইকা। সে কারণে মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিনযোগ্য ধারায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এনআরআই শিল্পপতি ইকবাল শর্মার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অভিনেতা সাইফ আলি খান, শিল্পপতি বিলাল আমরোহি এবং মালাইকার ভগ্নিপতি শাহিল লাদাখের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মালাইকাকে।

১৩ বছরের পুরোনো সেই মারধরের ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আদালতে অমৃতা অরোরা বলেন, ‘আমরা হইহই করে রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ সারছিলাম, হঠাৎই এক ব্যক্তি এসে চিৎকার করে বলে- ‘চুপ করো’! আমরা সবাই তাতে স্বাভাবিকভাবেই চমকে যাই। সাইফ তখনই উঠে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির সঙ্গে শান্তস্বরে কথা বলার চেষ্টা করেন সাইফ, কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপর ঘর থেকে বেরিয়ে যান ইকবাল নামের সেই ব্যক্তি।’

যদিও অমৃতা বা সাইফ কেউই বুঝতে পারেননি, ওই ব্যক্তি তাদের কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। বয়ানে বলা হয়, ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চলে যান, আর তাদের ডিনার স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তবে, কিছুক্ষণ পর সাইফ যখন ওই রেস্তোরাঁর ওয়াশরুমে যান, তখন হঠাৎই তারা একাধিক উঁচু গলায় তর্কাতর্কির আওয়াজ শুনতে পান, যার মধ্যে সাইফের গলাও ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, সেই ব্যক্তি আচমকা তাদের ব্যক্তিগত জায়গায় ঢুকে সাইফের গায়ে হাত তোলেন।


বাংলাদেশে আবারও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন ইধিকা পাল

ইধিকা পাল। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

পশ্চিমবঙ্গের টিভি অভিনেত্রী ইধিকা পাল প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার মাধ্যমে। ২০২৩ সালের ২৯ জুন মুক্তি পায় হিমেল আশরাফ পরিচালিত এই সিনেমাটি। ওই সময় ছবিটির ব্যাপক সাফল্যের দরুণ শাকিব খানের সঙ্গে ইধিকাও দারুণ পরিচিতি পান বাংলাদেশে। এই সিনেমার মাধ্যমেই তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে। শুধু তাই নয়- বাংলাদেশে ‘কবি’ নামের আরেকটি সিনেমায় শরিফুল রাজের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘প্রিয়তমা’ বাংলাদেশের সিনেমার বিশেষত শাকিব খানের ক্যারিয়ারের ইউটার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই সিনেমাতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেই প্রথম সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন ইধিকা পাল।

বলা চলে, এক ‘প্রিয়তমা’ই তাকে যে খ্যাতি এনে দিয়েছেন দুই বাংলার দর্শকের কাছে তাতে রাতারাতি তারকায় পরিণত হন ইধিকা। আবার গত বছর কলকাতায় দেবের বিপরীতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘খাদান’ সিনেমাতে অভিনয় করেও আলোচনার শীর্ষে ছিলেন ইধিকা পাল। এবার গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেল বাংলাদেশের ইধিকা পালের দ্বিতীয় সিনেমা মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’। এই সিনেমাতেও ইধিকা পালের বিপরীতে শাকিব খান। যথারীতি ‘বরবাদ’ সিনেমাটি বাংলাদেশের মুক্তির প্রথম দিন থেকেই দর্শকের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখন পর্যন্ত এই সিনেমা দর্শকের উপচেপড়া ভিড়ে রয়েছে আলোচনায়। ‘প্রিয়তমা’র পর ‘বরবাদ’ ছবিতেও অভিনয় করে তুমুল আলোচনায় ইধিকা পাল। যে কারণে ভীষণ খোশ মেজাজে এই কলকাতার দর্শকপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী।

কলকাতা থেকে মুঠোফোনে কথা বলতে গিয়ে তার মধ্যে ভীষণ উচ্ছ্বাসের আভাস পাওয়া যায়। ‘বরবাদ’-এর সাফল্যে ভীষণ আনন্দিত ইধিকা পাল। ‘প্রিয়তমা’ থেকে ‘বরবাদ’-এর তুমুল সাফল্যে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে ইধিকা পাল বলেন,‘ প্রিয়তমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটা আসলে আলাদা, কারণ ওটা ছিল আমার প্রথম সিনেমা। খুবই আবেগের প্রিয়তমা। যেহেতু প্রথম সিনেমা ছিল, তাই এই ভাবনাটা মাথায় ছিলো যে আমাকে খুব ভালো করতে হবে যেন দর্শকের ভালোবাসাটা পাই আমি। কিন্তু বরবাদের ক্ষেত্রে ভাবনাটা এমন ছিল যে, আমাকে আরও ভালো করে কাজ করতে হবে, যাতে করে আগের পারফরম্যান্স থেকে যেন এক ধাপ হলেও ভালো হয়।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমাকে ঘিরে দর্শকের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে সেই প্রত্যাশা পর্যন্ত যেন ছুঁতে পারি- এমনটাই মাথায় ছিল বরবাদে কাজ করার সময়। আর শাকিব খানের সঙ্গে এটা ছিল আমার দ্বিতীয় ছবি, এই জুটিকে দর্শক যে ভালোবাসা দিয়েছেন বরবাদ-এ যেন সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে যায় এমনটাও ভাবনায় ছিল আমার। সবমিলিয়ে বরবাদ মুক্তির পর যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে তাতে এটা বলতে পারি আমার যা যা প্রত্যাশা ছিল তার সবই পূরণ হয়েছে। আমি বিশেষত বাংলাদেশের সকল দর্শকের প্রতি ভীষণ ভীষণ কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী হয়ে রইলাম।’

ইধিকা জানান, এরই মধ্যে তিনি সোহমের বিপরীতে আকাশ মালাকারের ‘বহুরূপ’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এ মুহূর্তে তিনি ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত, যাতে তার বিপরীতে আছেন দেব। এটি নির্মাণ করছেন ধ্রুব ব্যানার্জি। আসছে দুর্গাপূজায় ‘রঘু ডাকাত’ মুক্তি পাবে বলে জানালেন ইধিকা।


গাজাবাসীর পক্ষে উত্তাল শোবিজ অঙ্গন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস বর্বরোচিত গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই এই জনপদে অবিরাম বোমাবর্ষণে ক্ষয়বিক্ষত হচ্ছে অসহায় নারী ও শিশুদের দেহগুলো। আর এসব দৃশ্য নাড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয়। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নির্মম হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর ডাকা হরতালের সমর্থনে গতকাল সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ওই এলাকার চারদিকে বিক্ষোভকারীদের ঢল নামে। সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন ফটোকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মিছিল নিয়ে সমবেত হন শত শত মানুষ। দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারও প্রতিবাদমুখর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা এমন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহবান জানান-

দেশীয় চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকা শাকিব খান, তুখোড় অভিনেতা মিশা সওদাগরসহ বহু তারকা এ নিয়ে তাদের অনুভূতি শেয়ার করেছেন। নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে অনেক তারকা জানিয়েছেন, এ যুদ্ধ বন্ধ হোক। শান্তি ফিরে আসুক গাজার বুকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চিত্রতারকা শাকিব খান লিখেছেন, ‘গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করতে না পারা! তাদের পাশে আছি- ভালোবাসা, সংহতি, আর শান্তির প্রত্যাশায়।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খল অভিনেতা মিশা সওদাগর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে দুর্বল ইমানের মুসলিম মনে হয় আমরাই।’ চিত্রনায়ক আফরান নিশো লিখেছেন, ‘গাজায় চলমান সহিংসতা, শিশুহত্যা ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ দেখে মন ভেঙে যাচ্ছে। মানবতার পক্ষে কথা বলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। ধর্ম, জাতি বা ভৌগোলিক অবস্থান নির্বিশেষে যেকোনো নিরীহ মানুষের ওপর নিপীড়ন বন্ধ হোক। গাজার মানুষগুলোর কান্না যেন আমাদের বিবেক নাড়িয়ে দেয়। সহিংসতা কখনোই সমাধান হতে পারে না। আমরা চাই না আর কোনো শিশু বোমার শব্দে ঘুম ভাঙুক। গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনুন।’

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘বিদায় রাফা-গাজার জান্নাতি শহীদরা। শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী আর তাদের নিকৃষ্ট শাসকরা আনন্দে থাকুক জ্বলন্ত জমিনের দোজখে।’ অভিনেত্রী জয়া আহসান লিখেছেন, ‘দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনারা ১৫ জন জরুরি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যা করেছে। গাজায় যে নিষ্ঠুর আর হৃদয়হীন গণহত্যা ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, এটা তারই অংশ। পৃথিবীকে তারা ফিলিস্তিনিশূন্য করার নিয়ত নিয়ে নেমেছে।’

চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘গাজার আকাশে যে ধোঁয়া আর অশ্রুর বৃষ্টি, সেই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আমরা শুধু প্রার্থনা করতে পারি, কাঁদতে পারি আর চিৎকার করতে পারি। এই মানুষগুলোর অপরাধ কি শুধু এই যে তারা নিজেদের মাটিতে বাঁচতে চায়?’ চিত্রনায়িকা তমা মির্জা লেখেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটা গোটা মুসলিম দেশের মুসলমানদের শাহাদতের চিত্র!’ গাজা নিয়ে লিখেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানও।

চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ তার ফ্রি প্যালেস্টাইন স্যুটের একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি যখন এই পোস্ট লিখছি, ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কী মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটা, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব? ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারিনি। যখন ‘জংলি’র গল্প লেখা হচ্ছিল তখনো পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না? যখন যুদ্ধবিরতি চলছিল তখনো আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না। শুধু মনে হতো, এই বিরতি কতক্ষণের? কতক্ষণ এই মানুষগুলো বাঁচবে আসলে?’

মডেল, অভিনেতা আব্দুন নুর সজল বলেন, ‘ঈদের ঠিক পরপরই গাজাবাসীর ওপর এ ধরনের অমানবিকতা, পশুত্ব, নির্যাতন, এটা কোনো মনুষত্বের পর্যায়ে পড়ে না। মানুষ কী করে তাদের মানবতা হারায় এবং কতটা হিংস্র হতে পারে সেটা ইসরায়েলকে দেখে বোঝা যায়। তবে এখানেই শেষ নয় বিচারক একজন আছেন এবং তিনি সুনিপুণ বিচার করবেন যথাসময়ে।’ শিল্পী সমিতির সদস্য ও অভিনেত্রী রত্না কবির বলেন, ‘গাজার বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে এক একটা তাজা প্রাণ। ফেসবুকে গাজার নির্মমতা দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। নিজের মনকে সান্ত্বনা দিতে মনকে বোঝাতে চাচ্ছি আমি এটা কল্পনায় দেখছি। আমি ভাবতে পারছি না সন্তানের সামনে মায়ের, মায়ের সামনে সন্তানের মৃত্যু। আসলে এগুলো নিয়ে কিছু বলার ভাষা নেই শুধু আল্লাহর কাছে এটুকুই প্রার্থনা করি আর যেন কোনো রক্তপাত না হয় বাকি জীবনগুলো যেন রক্ষা পায়।’

চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দিঘি বলেন, ‘গাজায় মুসলমানদের জন্য দোয়া করা ছাড়া কিছুই যেন করতে পারছি না। কতটা নির্মম হলে মানুষ এভাবে নিরপরাধদের হত্যা করতে পারে, সেটা ভাবলে শরীর কেঁপে ওঠে। পৃথিবীর এই নীরবতা আরও বেশি কষ্ট দেয়। গাজার মানুষ যেন আমারই ভাইবোন। আল্লাহর কাছে বলি আপনি তাদেরকে হেফাজত করুন, তাদেরকে শান্তিতে রাখুন। আমার বিশ্বাস একদিন সুবিচার হবেই।’

চিত্রনায়িকা ও চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘গাজা নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। গাজার সাথে আছি ভালোবাসা আর দোয়া নিয়ে। আল্লাহ তাদের সহায় হোন।’ চিত্রনায়িকা হুমায়রা সুবাহ বলেন, ‘গাজার অবস্থা প্রতিদিন আমার মন ভেঙে দেয়। মুসলমান হয়ে কিছু করতে না পারার অসহায়ত্বটা কেবল বাড়তেই থাকে। চোখের সামনে শিশুদের কান্না, মায়েদের আহাজারি সবকিছুই বুকের ভেতর কষ্টের পাহাড় জমায়। দোয়া ছাড়া তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করুন শান্তি ফিরিয়ে দিন।’

চিত্রনায়ক মামনুন ইমন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘গাজা আজই শেষ হয়ে যাবে না। যতদিন এই দুনিয়া থাকবে ততদিন গাজা এ ফিলিস্তিনও থাকবে। কারণ এটি আল্লাহর কোরআনিক ওয়াদা এবং রাসূলের (সা.) ভাষায় ঘোষণা।’ ফেসবুকে দুটি আর্টওয়ার্ক এবং একটি ছবি দিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন অসহায় ফিলিস্তিনিদের বর্তমান পরিস্থিতি। এরপর বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ক্যাপশনে পূজা লিখেছেন, ‘এই ধ্বংসলীলার শেষ কবে প্রভু, যাদের হাত থেকে মাসুম বাচ্চাদেরও রেহাই নেই, এমন নিকৃষ্টদের আপনি ধ্বংস করে দেন প্রভু।’

এ ছাড়াও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অনুভূতি শেয়ার করে পোষ্ট দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি, শবনম বুবলী, চিত্রনায়িকা আঁচল, কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ অমি, অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান, চিত্রনায়িকা রিয়ানা পারভীন পলি, অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ, চিত্রনায়িকা ক্যামেলিয়া নিশান, চিত্রনায়ক মুন্না খান, কণ্ঠশিল্পী শেখ সাদিসহ বহু শোবিজ তারকা।


সুহানার মায়ের চরিত্রে দীপিকা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মা হওয়ার পর আপাতত মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তার একরত্তি কন্যা দুয়াই এখন তার পৃথিবী। কন্যার সব কাজ নিজে হাতে করছেন অভিনেত্রী। মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সারাক্ষণই। এমনও খবর মিলছে, দীপিকা নাকি খুব তাড়াতাড়ি ফিরতে পারেন তার কাজে। তেমন লোভনীয় প্রস্তাবও পাচ্ছেন অভিনেত্রী। শোনা যাচ্ছে, শাহরুখ খান অভিনীত ছবি ‘কিং’-এ অভিনয় করবেন দীপিকা। সেই ছবিতে রয়েছেন শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানও। এটাই সুহানার বড় পর্দায় বড় ব্রেক। এর আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য জোয়া আখতারের পরিচালনায় তৈরি ‘দ্য আর্চিজ’-এ অভিনয় করেছিলেন সুহানা। এ বার বাবা শাহরুখের সঙ্গেই দেখা যাবে তাকে। শোনা যাচ্ছে, ছবিতে তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন দীপিকা।

‘কিং’ পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। সিদ্ধার্থের পরিচালনায় আগেও কাজ করেছেন দীপিকা। ‘কিং’ পরিচালনার কথা ছিল বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষের। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। ছবিতে ক্যামিও রোল করবেন দীপিকা, তেমনই খবর। চরিত্রটি নাকি শাহরুখের প্রাক্তন প্রেমিকার। এমনটাও জানা গেছে, চরিত্রটির জন্য শুরু থেকেই দীপিকার কথাই চিন্তাভাবনা করে রেখেছিলেন শাহরুখ ও সিদ্ধার্থ। দীপিকার কাছে প্রস্তাব যেতে তিনি আপ্লুত।

শোনা যাচ্ছে, সুহানার মায়ের চরিত্রটি নাকি করার কথা ছিল বলিউড অভিনেত্রী টাবুর। তার বাবার চরিত্রে থাকার কথা ছিল সাইফ আলি খানের। কিন্তু পরে সেটা আর হয়নি। ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করবেন অভিষেক বচ্চন। তার ওপর অনেকখানি দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন শাহরুখ।

চার বছর বিরতির পর যে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে শাহরুখের, তার দুটিতেই রয়েছেন দীপিকা- ‘পাঠান’ ও ‘জাওয়ান’। অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘ওম শান্তি ওম’-এ হিরো ছিলেন শাহরুখ। তার সঙ্গে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন দীপিকা। শাহরুখের কো-স্টারদের মধ্যে দীপিকা খুবই প্রিয় ও কাছের- এ কথা বহু সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছেন শাহরুখ।

কন্যা জন্মের আগেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছেন দীপিকা। ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ও ‘জাওয়ান’-এ একরত্তি ছেলেদের মায়ের চরিত্র করতে দেখা যায় তাকে। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে কখনওই কুণ্ঠা প্রকাশ করেননি অভিনেত্রী। বরং জানিয়েছেন, তিনি পর্দায় মা হতে পছন্দই করেন। এবার তিনি সত্যিই মা হয়েছেন বাস্তব জীবনে। তবে পর্দায় ২৪ বছর বয়সি সুহানার মায়ের চরিত্রে তার অভিনয়ের খবর হইচই ফেলে দিয়েছে নেটপাড়ায়।


নতুন সিনেমায় মোশাররফ করিম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘চক্কর’ সিনেমা। দর্শকরাও বেশ সাদরে গ্রহণ করেছেন ছবিটি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল নন্দিত এই অভিনেতার নতুন সিনেমার খবর। নূর ইমরান মিঠুর ‘কুরকাব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। যদিও অনেকটা গোপনে সুন্দরবনে এ সিনেমার শুটিং শুরু হয় গত বছরের এপ্রিলে। সে সময়েই এ প্রতিবেদক সিনেমাটির সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এবার জানা গেল, সিনেমাটির শুটিং প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক দিনের দৃশ্যধারণ বাকি আছে বলে জানালেন নির্মাতা। আপাতত এর বেশি কিছু জানাতে চাননি তিনি। এদিকে আসছে পহেলা বৈশাখে মুক্তি পেতে পারে মোশাররফ করিমের আরেক সিনেমা ‘বিলডাকিনি’। গত ২৪ জানুয়ারি সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও সে সময়ে তারা সরে আসেন। নির্মাতার ভাষ্য, ঈদের সময় হলে দর্শকের সমাগম দেখা যায়। সেই রেশ থাকতেই বৈশাখ উপলক্ষে দর্শকের সামনে বিলডাকিনি নিয়ে আসতে চাই। নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের উপন্যাস ‘বিলডাকিনি’ অবলম্বনে একই নামে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পার্নো মিত্র।

প্রসঙ্গত, ‘চক্কর’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন।


৭২-এ জ্যাকি চ্যান

জ্যাকি চ্যান। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক কুংফু তারকা চ্যান কং স্যাং। বিশ্বজুড়ে যিনি ‘জ্যাকি চ্যান’ নামে পরিচিত। জ্যাকি চ্যান একজন হংকং ভিত্তিক অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার, মার্শাল আর্টিস্ট, চলচ্চিত্র প্রণেতা, রঙ্গ অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্য লেখক, উদ্যোক্তা, কণ্ঠশিল্পী, ও স্টান্ট পারফর্মার। খ্যাতিমান এই সুপারস্টার আজ পা দিচ্ছেন জীবনের ৭২তম বছরে। ১৯৫৪ সালের আজকের দিনে (৭ এপ্রিল) জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।

শৈশব থেকেই জ্যাকিকে লড়তে হয়েছে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে। কম্যুনিস্ট শাসন থেকে বাঁচতে ৭ বছর বয়সি জ্যাকিকে হংকংয়ে রেখেই বাবা-মা পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর নিঃসঙ্গ চ্যান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেন হংকংয়ের চাইনিজ অপেরা ইনস্টিটিউটে। সেখানেই শেখেন মার্শাল আর্ট, সঙ্গীত, অভিনয় ও অ্যাক্রোবেটিকস। ভাগ্যের অন্বেষণে এক পর্যায়ে তিনিও পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। কাজ শুরু করেন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে। তবে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সুযোগ পান হলিউড সুপারস্টার ব্রুসলির স্টান্টম্যান হিসেবে। আর এ স্টান্টম্যানের কাজই ভাগ্য বদলে দেয় জ্যাকির।

ষাটের দশকে প্রথমবার ‘লিড রোলে’ চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। অভিনয় জীবনে এখন পর্যন্ত নিজের কোনো সিনেমায় কখনও বডি ডাবল ব্যবহার করেননি জ্যাকি। নিজের স্টান্ট নিজেই করতে গিয়ে তিনবার ভেঙেছেন নাক, দুই হাতের সবগুলো আঙুল, কলারবোন এমনকি মাথার খুলিও। এতসব কাটাছেঁড়া আর ভাঙ্গা নিয়ে স্টান্ট করে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা তো পেয়েছেনই, গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসও তাকে দিয়েছে সবচেয়ে বেশি স্টান্ট করা অভিনেতার স্বীকৃতিও।

সিনেমায় যেমনটা দেখা যায়, ব্যক্তি জ্যাকি চ্যান কিন্তু তার থেকে খুব বেশি আলাদা নন। কঠিন জীবন সংগ্রাম তাকে শিখিয়েছে বিচিত্র সব বিদ্যা। অনর্গল কথা বলতে পারেন, ক্যান্টোনিজ, ম্যান্ডারিন, ইংলিশ, জাপানিজ, জার্মান, কোরিয়ান ও থাই ভাষায়। ৫৬ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন দুইশর বেশি সিনেমায়, পেয়েছেন জগৎজোড়া খ্যাতি। ২০১৬ সালে অর্জনের খাতায় যোগ করেছেন অস্কারও।


পরীমনির পাশে ন্যান্সি

নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ, থানায় জিডি, সাংবাদিকদের গালিগালাজের দরুণ আবার চর্চার শীর্ষে চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই ঘটনায় পরীমনিকে নিয়ে যখন নিন্দার ঝড় উঠেছে, ঠিক তখনই তার পাশে দাঁড়ালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। ফেসবুকে গৃহকর্মীদের প্রসঙ্গে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন ন্যান্সি। নিজেও বেশ কয়েকজন গৃহকর্মীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে পরীমনিকে নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বানও জানান এ কণ্ঠশিল্পী। ন্যান্সি লিখেছেন, ‘গৃহকর্মী নির্যাতিত হয় যেমন সত্যি ঠিক তেমনি কিছু গৃহকর্মীর দ্বারা গৃহকর্ত্রীও কম সমস্যার মুখোমুখি হন না! আমার পুরো বাসায় সিসি ক্যামেরা আছে শুধু গৃহকর্মীর মিথ্যা হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য!’

নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে কণ্ঠশিল্পী লিখেছেন, ‘বছর দশেক আগে আমার বাসার গৃহকর্মী বাসার দারোয়ানের সঙ্গে পালিয়ে যায়। গৃহকর্মীর পরিবার তাদের মেয়ে গুম হয়েছে অভিযোগ তুলে মোটা টাকা দাবি করে। আমি সরাসরি পুলিশের শরণাপন্ন হই এবং তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় ঘণ্টা দুয়েকের মাথায় পলাতক গৃহকর্মী তার প্রেমিকসহ উদ্ধার হয়। পরে জানতে পারি, আমাকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা পূর্ব পরিকল্পিত! এ ঘটনার পরই আমার বাসায় কথা রেকর্ড হয় এমন সিসি ক্যামেরা সেটাপ করি।’

আরেকটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ন্যান্সি লেখেন, ‘দুই বছর আগে আমার ছোট্ট মেয়েটাকে দেখাশোনার জন্য এজেন্সি থেকে যে মেয়েটাকে এনেছিলাম সে তার বোনের সঙ্গে মিলে আমার বিয়ের গয়না এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর স্বর্ণপদক চুরি করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর উল্টো গৃহকর্মী আমার নামে নির্যাতনের অভিযোগ তোলার চেষ্টা করে। আমি সিসি ক্যামেরার বদৌলতে হয়রানির হাত থেকে বেঁচে যাই।’

ন্যান্সি আরও লেখেন, ‘বাসার রান্নার লোক যে কত জ্বালিয়েছে তার হিসাব নেই। বেতনের বাইরে যতই দেই না কেন তাদের খুশি করা যায় না। মন চাইলে কাজে আসে, অন্যথায় আসে না। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুরো বাসার সিংহ ভাগ ফার্নিচার বদলাই। আগের সব আসবাবপত্র আমার বাসার রান্নার মহিলা ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়, আমিও ভাবলাম এবার হয়তো সে আর কাজে ফাঁকি দেবে না। এত বড় উপকারের ফলাফল হিসেবে কি পেলাম জানেন? তার চাহিদা এখন আর হাজারের ঘরে রইল না, লাখের ঘরে চলে গেল! বিগত জুলাই মাসে বিরক্ত হয়ে তাকে বিদায় করলাম। আমার বাসার সব রান্না দশ মাস যাবৎ আমিই করি। আমার ঘরে এখন বাজার খরচ কমে গেছে, বাসি খাবার খাই না বললেই চলে। স্বামী সন্তান ভাইও খুশি, তাদের রান্না করে খাইয়ে আমিও অনেক তৃপ্তি পাই।’

সবশেষে সংবাদকর্মীদের দায়িত্ব সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সংবাদ মাধ্যম একটু সংবেদনশীল হোন। সব কিছুতে বাণিজ্য দেখবেন না। নির্যাতিতার পরিচয় গৃহকর্মীও হতে পারে আবার গৃহকর্ত্রীও হতে পারে। সত্যিকারের ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ান। পরীমনির মতো এমন আরও তারকাদের ঘাড়ে ভর করে আর কত শিরোনাম বেচবেন বলুন! আপনাদেরও নিশ্চই কিছু দায় আছে, তাই না?’

ন্যান্সির মতোই পরীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নির্বাসিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রীর সেই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘পরীমনির সুসময়ে আমি পাশে থাকি না। ওঁর দুঃসময়ে আমি ছুটে আসি । আবার ওঁর আঙিনায় দুঃসময় এসে দাঁড়িয়েছে। এক মহিলা গৃহপরিচারিকার চাকরি নিয়ে ওঁর বাড়িতে ঢুকেছিল। কিছুদিন পর সে বেরিয়ে এসে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে, আর মিডিয়াও বেশ ফলাও করে মহিলার সাক্ষাৎকার ছাপাচ্ছে, যেন মহিলা যা বলছে সবই সত্যি। মিডিয়ার চরিত্র আমরা জানি।’ মিডিয়ার প্রতি আঙুল তুলে তসলিমা নাসরীন লেখেন, ‘নারী, বিশেষ করে সে নারী যদি ব্যতিক্রমী, সাহসী, প্রতিভাময়ী হয়, তাহলে তার সর্বনাশ না করে ছাড়বে না মিডিয়া। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো, রক্ষণশীলতা আঁকড়ে রাখা, ক্ষমতার চাটুকারিতা বাংলাদেশের মিডিয়ার বিশেষ দোষ।


ডোনা গাঙ্গুলীর চরিত্রে মিমি!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে ভারতের বর্ষীয়ান ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর বর্ণময় ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিগতজীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে বায়োপিক। বিগত দুই-তিন বছর ধরেই দর্শকদের কৌতূহল, কবে দেখা যাবে সিনেপর্দায় সৌরভ গাঙ্গুলীর এই সিনেমাটি। উৎকণ্ঠারও যেন অন্ত নেই। তবে এরই মধ্যে ঘোষণা এসেছে, ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’র চরিত্রে দেখা যাবে রাজকুমার রাওকে। কিন্তু এরপর সৌরভের স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলীর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে শুরু হয় কৌতূহল, আলোচনা। এর আগে সৌরভকন্যা সানা অবশ্য বলিউডের এই সময়ের জাতীয় ক্রাশ উপাথিতৃপ্তি দিমরিকে ‘পর্দার মা’ হিসেবে পছন্দের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু মহারাজের বায়োপিকে নায়িকা নির্বাচনে এবার টুইস্ট!

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন এই সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া। তিনি টালিউডের একটি সিনেমার সেটে হাজির হন। সেখান থেকেই জল্পনার সূত্রপাত, টলিপাড়ার তারকাদের সঙ্গে নাকি কাজ করতে চাইছেন মুকেশ। শোনা যাচ্ছে, সৌরভের বায়োপিকে নায়িকা হিসেবে নাকি প্রাথমিক পর্যায়ে মিমি চক্রবর্তী এবং ইশা সাহার নাম উঠে এসেছে।

ডোনা গাঙ্গুলীর ভূমিকায় বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে মুম্বাইয়ের কাস্টিং ডিরেক্টর নাকি ভরসা রাখছেন বাঙালি অভিনেত্রীর ওপরই। যদিও চূড়ান্তভাবে এখনো কিছু ঠিক হয়নি, তবে গুঞ্জনে সিলমোহর পড়ে কি না, নজর সেদিকেই সবার। সিনেমাটি নির্মাণ করবেন বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে।

সৌরভপত্নীর চেহারায় আদ্যোপান্ত বাঙালিয়ানার ছাপ। যার সঙ্গে তৃপ্তি দিমরির কোনো মিল নেই। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সম্ভবত নায়িকার খোঁজে টলিপাড়ায় পদার্পণ মুকেশ ছাবড়ার। এদিকে মিমি এবং ইশা, দুজনই বেশ দক্ষ অভিনেত্রী। তাই, মহারাজের বায়োপিকে যদি তাদের কোনো একজন নির্বাচিত হন ডোনার চরিত্রে, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে তা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতেই হবে।


banner close