মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৯ বৈশাখ ১৪৩২

রামচরণকে ‘ইডলি’ বলে বিতর্কে কিং খান

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৫

ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের রেশ এখনো কাটেনি। জামনগরে বসেছিল অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান। ইতোমধ্যেই সেখানকার নানা চমক প্রকাশ্যে এসেছে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গে নাচতে দেখা গেছে বলিউডের তিন খানকেও। সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার রামচরণ; কিন্তু সেখানেই ঘটে এক বিপত্তি। মজার ছলে নাকি রামচরণকে অপমান করেছেন কিং খান।

রামচরণকে স্পষ্টত অসম্মান করার জন্য রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন শাহরুখ খান। আর এই ঘটনা ঘটেছিল যখন শাহরুখ, সালমান ও আমির একসঙ্গে ‘নাটু নাটু’ গানে নাচছিলেন। তখন কিং খান হঠাৎই গানের আসল নায়ক রামচরণকে খুঁজতে শুরু করেন। তিনি বলে ওঠেন, ‘রামচরণ, কোথায় তুমি?’

এই সময়ই কিং খান মজার ছলে কিছু ভুল তেলেগু বলতে থাকেন। যেখানে তিনি ‘রামচরণ ইডলি’ বলে ওঠেন। এ থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। নেটিজেনদের অনেকেই কিং খানের এমন ব্যবহারে রুষ্ট হন। বলেছেন ‘ইডলি’ বলে কিং খান রামচরণকে যথারীতি অপমান করেছেন।

কিং খান বলেছিলেন, ‘ভেন্ড ইডলি ভাদা রামচরণ কাহান হ্যায় তু?’ এই কথা বলে বলিউড সুপারস্টার তার সীমা পার করেছেন বলে মন্তব্য নেটিজেনদের। এখানে ইডলি হলো সিদ্ধ চালের আটা দিয়ে তৈরি দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় খাবার। দেখতে অনেকটা ভাপা পিঠার মতো।

২০২৩ সালে পর পর তিনটি সিনেমার মাধ্যমে আবার লাইমলাইটে বলিউড তারকা শাহরুখ খান। বছরের শুরুতেই ‘পাঠান’ ছবির মাধ্যমে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে তার। সিনেমাটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায়। শুধু পাঠানই নয়, একই বছর অভিনেতার ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ ছবি দুটিও পেয়েছে সাফল্যের দেখা। একই বছরে পরপর তিন ছবিতে বাজিমাত মোটেও চাট্টিখানি কথা নয়। অভিনেতার ক্যারিয়ারে বছরটি নিশ্চয়ই স্মরণীয় হয়েই থাকবে। এদিকে, গত বছরের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে ‘দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল ইন্ডিয়ানস ইন ২০২৪’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। যেখানে তারকাদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন শাহরুখ।

বিষয়:

আবারও পার্থ-বৃষ্টি জুটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা পার্থ শেখ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। গত ঈদে তারা একটি কাজ একসঙ্গে করতে পেরেছিলেন। নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর পার্থ ও তানিয়া বৃষ্টি দুজনেই বেশ ভালো সাড়া পান। তবে ঈদ শেষে পার্থ শেখ ও তানিয়া বৃষ্টি আবারও একসঙ্গে নাটকে কাজ শুরু করেছেন। এবার তারা মেহরাব জাহিদের রচনা ও এই প্রজন্মের মেধাবী নাট্যনির্মাতা সোহেল রানা ইমনের পরিচালনায় ‘এই শহরে মেঘেরা একা’ নাটকে অভিনয় করেছেন। গত রবি ও সোমবার রাজধানীর উত্তরার দোলনচাঁপা শুটিং ও তার আশপাশের এলাকায় নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। ‘বিন্দুভিশন’-িএর প্রযোজনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন আফরিনা রহমান। পরিচালক সোহেল রানা ইমন জানান, নাটকটি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারের পর ইউটিউবে প্রচারে আসবে।

‘নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে পার্থ শেখ বলেন, ‘তানিয়া বৃষ্টি একজন দুর্দান্ত পারফর্মার। তার সঙ্গে কাজ করার পূর্বে জেনেছি যে, ক্যামেরার সামনে অভিনয়ে অনবদ্য তিনি। ইমন ভাইয়ের নির্দেশনায় আমরা দুজন এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছি। বৃষ্টি সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই অবগত। আমাদের বেশ কয়েকটি কাজ করা হবে হবে বলেও করা হয়ে উঠছিল না। অবশেষে একটি কাজ ঈদে প্রচারে এল। ইমন ভাইয়েরটা শেষ করেছি। সামনে আরও দুটি কাজ আছে দুজন ভিন্ন পরিচালকের। এই শহরে ‘মেঘেরা একা’র গল্পটা রোমান্টিক। কিন্তু শেষে কষ্ট আছে। আমি আর বৃষ্টিসহ অন্যান্য যারা আছেন সবাই মিলে একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি।

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘এই নাটকে আমি দীপা নামক একটি অন্ধ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পটা সুন্দর, ভালোবাসার গল্প। পার্থও কাজ যখন দেখেছি তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল তারসঙ্গে কাজ করার। কারণ নতুন যারা অভিনয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে পার্থ খুউব ভালো করছে। সত্যি বলতে কী আমরা একসঙ্গে কাজ করার আগে দুজন দুজন সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। যে কারণে আমাদের কাজের রসায়নটা এরই মধ্যে বেশ জমে উঠেছে। ইমন ভাইয়ের কাজটা প্রথম কাজের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রচারে এলে দর্শকের ভীষণ ভালো লাগবে।’


আমিশাকে নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বলিউডের সিনিয়র অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। এক সময়ের জনপ্রিয় ও ব্যস্ত এই তারকা বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নানা সময়ে নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনাম হন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমেও সরব থাকেন বছরজুড়ে। নিজের স্টাইল ও গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন ‘গাদার’খ্যাত এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই আলোচনার জন্ম দেন ৪৯ বছর বয়যী আমিশা। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই করলেও অভিনেত্রী এখনো গাঁটছড়া বাঁধেননি। তবে এবার দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে কিছু নতুন ছবি সামনে আনেন আমিশা। আর তা থেকেই এবার সৃষ্টি হলো নানা জল্পনা। যেখানে সবুজ মনোকিনিতে নজর কাড়েন অভিনেত্রী।

ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?’ কারণ, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আমিশার হাতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম, খোলা চুলে, মাথায় টুপি ও চোখে সানগ্লাসে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন। তবে বিশেষভাবে চোখে পড়েছে তার পেট, যা দেখে কেউ কেউ ‘বেবি বাম্প’ বলে দাবি করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা লাগছে নাকি ভুল?’ আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘হে ভগবান, বিয়ে ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা?’- এ ধরনের নানা মন্তব্যে এখন আমিশাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হচ্ছে।

যদিও এসব গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি আমিশা। তবে মাঝে কিছুদিন জল্পনা ওঠে, নির্বাণ নামের ১৯ বছরের ছোট এক যুবকের প্রেমে মজেছেন এই অভিনেত্রী। এর আগে তাদের যুগলবন্দি এক ছবিতে দেখা যায়, আমিশাকে বাহুডোরে আগলে রেখেছেন নির্বাণ। ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার ডার্লিংয়ের সঙ্গে সুন্দর একটা সন্ধ্যা।’ পাল্টা নির্বাণও লেখেন ‘ডার্লিং’।

১৯৭৫ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন আমিশা। অভিনয় জীবনে হিন্দি ও তেলেগু দুই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করেছেন। সবশেষ গত বছর ‘তওবা তেরা জ্বালওয়া’ ছবিতে দেখা যায় আমিশাকে। অভিনয় জীবনে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘কাহো না পেয়ার হ্যা’, ‘ইয়ে জিন্দেগি কা সফর’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘ওম শান্তি ওম’ এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমা। ক্যারিয়ারের সোনালি দিনে একাধিক বলিউড অভিনেতা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়েছেন কিন্তু পরিণয় হয়নি।ো


তবুও উজ্জ্বল পূর্ণিমা  

দিলারা হানিফ রিতা ওরফে পূর্ণিমা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

দিলারা হানিফ রিতা- চলচ্চিত্র পরিবার ও দর্শকমহলে তিনি পূর্ণিমা নামেই পরিচিত। পূর্ণিমার চাঁদের মতোই চলচ্চিত্রাঙ্গনে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও চলচ্চিত্রের আকাশে আজীবন তারকা হয়েই জ্বলবেন পূর্ণিমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তারকা অনেকদিন ধরেই অভিনয় থেকে এক প্রকার দূরে রয়েছেন। নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে দুই প্রজন্মজুড়ে। রূপ ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দেড় যুগ পরেও সমানভাবে আলোচিত তিনি। রূপালি পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয় প্রায় আড়াই দশক আগে, কিন্তু সময় যেন তার সৌন্দর্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বর্তমানে পূর্ণিমা নিয়মিত অভিনয়ে না থাকলেও শোবিজে তার উপস্থিতি বরাবরই নজরকাড়া।

গত বছর কিছু ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মিডিয়ার কাজে অংশ নিতে দেখা যায় এই জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে। তবে পূর্ণিমা সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এখন তিনি যেভাবে আছেন সেভাবেই স্বামী সংসার নিয়ে থাকতে চান। এই তারকার বক্তব্য, ‘সত্যি কথা হলো, আমি আর নিজে থেকেই আগের মতো ব্যস্ত হতে চাই না। এখন আমার পরিবার বড় হচ্ছে। পরিবার, স্বামী সন্তানকে বেশি সময় দিতে চাই। এর পাশাপাশি বর্তমানে সেন্সর বোর্ডে সদস্য হিসেবে কাজ করছি। আর অভিনয়ের জন্য প্রাযই প্রস্তাব পাচ্ছি। কিন্ত আমি ভালো ও মনের মতো কাজের অপেক্ষায় আছি।’

গত বছর ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন পূর্ণিমা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে ২৫টি বছর কাটানো চাট্টিখানি কথা নয়। এ জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করছি। কারণ, এতটা বছর আমি সফলতার সঙ্গে পার করে এসেছি। এই ২৫ বছরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। ২৫ বছর যেভাবে দাপিয়ে বেড়ানোর কথা ছিল, সেভাবে হয়তো পারিনি। একটা সময় এসে আমি হতাশও হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে উপস্থাপনা দিয়ে আলোচনায় এসে আবারও আমি আমার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসি। আমি আমার দর্শক ভক্তের প্রতি সত্যিই বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে অসীম শুকরিয়া আদায় করছি। সেইসাথে আমার প্রতিটি সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, টেকনিসিয়ান’সহ বাংলাদেশের সকল দর্শকের প্রতি এবং সর্বোপরি সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অবশ্যই আজীবন আমি আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। কারণ তিনি তাগিদ দিয়েছিলেন বলেই আমি কাজ করেছি এবং আজকের পূর্ণিমা হয়েছি।’

ব্যক্তিজীবনে বেশ গুছানো ও সুনামধন্য অবস্থান গড়েছেন পূর্ণিমা। তার জীবন নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক কিংবা গসিপ নেই বললেই চলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে তার অসংখ্য অনুরাগী নিয়মিতই ভালোবাসা ও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাকে। বিশেষ করে তার বয়স না বাড়ার মতো চিরসবুজ রূপের জন্য ভক্তদের মুগ্ধতা চোখে পড়ে বারবার। বিভিন্ন সাজে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে নিজেকে উপস্থাপন করলেও, তার সৌন্দর্যে সবসময়ই একটা প্রাকৃতিক ও মার্জিত ছোঁয়া থাকে।

সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইট ব্লু সালোয়ার-কামিজ ও সাদা ওড়নায় কিছু ছবি পোস্ট করেন তিনি। সাধারণ সাজে ধরা দিলেও পূর্ণিমার চেহারায় ছিল সেই চিরচেনা মিষ্টি হাসি ও আকর্ষণ। ছবিগুলোর নিচে অনুরাগীরা মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে আপনাকে দেখে আসছি, এখনো একেবারে একই রকম লাগছে। আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, আপনি একই বয়সে আটকে আছেন।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ছোটবেলার ক্রাশ ছিলেন, এখনো কত সুন্দর।’ আরও একজন লেখেন, ‘সাধারণ সাজেও আপনাকে এত সুন্দর লাগে, কীভাবে সম্ভব!’

প্রসঙ্গত, জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে রিয়াজের বিপরীতে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় পূর্ণিমার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো সুপারহিট আবার কখনো ফ্লপ সিনেমাও উপহার দিয়েছেন তিনি। মাঝের বেশকিছু সময় চলচ্চিত্রে না থাকলেও ছোটপর্দায় তাকে পাওয়া গেছে নিয়মিত। কখনো উপস্থাপনায়, কখনো নাটকে। এভাবেই বাকি জীবন সুনামের সঙ্গে থাকতে চান তিনি।


নতুন অধ্যায়ে কিয়ারা আদভানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি আধুনিক নারীদের জন্য প্রিমিয়াম সুগন্ধির ব্র্যান্ড ভেনেসার নতুন অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করলেন অভিনেত্রী। এ সহযোগিতা ভেনেসার যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার মূল লক্ষ্য হলো নারীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো এবং তাদের অনুপ্রাণিত করা। কিয়ারা আদভানির মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, সাবলীল উপস্থিতি এবং তার খাঁটি আবেগের সঙ্গে ভেনেসার দর্শন পুরোপুরি মিলে যায়। এই জুটি নারীর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে বলে মনে করছে ব্র্যান্ড ভেনেসা।

এর আগে ভেনেসার ইতিহাসে বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। তার সময়ে ব্র্যান্ডটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল। এবার কিয়ারা আদভানির হাত ধরে ভেনেসা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চায়। কারিনার পর কিয়ারা এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং তিনি ব্র্যান্ডের বার্তাকে আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভেনেসা তার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণের মাধ্যমে নারীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। এ সহযোগিতা শুধু একটি ব্র্যান্ড ও তারকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের ব্যক্তিত্বের উদযাপনের একটি প্রতীক। কিয়ারার জনপ্রিয়তা ও ভেনেসার গুণমান একসঙ্গে মিলে একটি নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে।

কিয়ারা আদভানি বলিউডে তার স্বতন্ত্র যাত্রার জন্য পরিচিত মুখ। তিনি যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন, তা আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ভেনেসা যে ব্র্যান্ডটি নারীর ব্যক্তিত্ব ও রুচিকে উদযাপন করে, তার সঙ্গে কিয়ারা আদভানির এ সংযোগ একেবারে স্বাভাবিক। কিয়ারা আদভানি বলেন, সুগন্ধি কেবল একটি গন্ধ নয়; বরং এটি তার ব্যক্তিত্বের একটি অংশ। তিনি বলেন, দিনের বেলা আমি ফ্রেশ ও ফ্লোরাল গন্ধ পছন্দ করি। আর সন্ধ্যায় আমার পছন্দ উষ্ণ অ্যাম্বার নোটের মিশ্রণ। এ সহযোগিতার মাধ্যমে ভেনেসা এমন একটি সুগন্ধি সংগ্রহ আনতে চায়, যা আধুনিক নারীর বহুমুখী জীবনযাপন ও পছন্দের সঙ্গে মানানসই হবে।

ভেনেসার এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বাজারে একটি বিশেষ ফ্র্যাগরেন্স কালেকশন উপস্থাপন করতে চায়। এ সংগ্রহটি আধুনিক নারীর জীবনের বিভিন্ন দিক- তাদের শক্তি, সৌন্দর্য এবং স্বতন্ত্রতাকে প্রতিফলিত করবে। কিয়ারা আদভানির সঙ্গে এই পার্টনারশিপ নারীর জন্য আত্মবিশ্বাসের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। কিয়ারা নিজে এই নতুন ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত।

অভিনেত্রী বলেন, ভেনেসার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার কাছে আত্মবিশ্বাস মানে নিজের সত্যিকারের রূপকে গ্রহণ করা, নিজের শক্তি ও দুর্বলতাকে ভালোবাসা এবং সততার সঙ্গে জীবনযাপন করা। ভেনেসা এই মূল্যবোধকে উৎসাহিত করে, আর আমি এতে বিশ্বাসী।


অন্য মিশনে আলিয়া ভাট

আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:৫৩
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’, ‘আরআরআর’ এবং ‘গলি বয়’-এর মতো হিট ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন। পুরোমাত্রার বাণিজ্যিক ছবিতে তাকে যেমন দেখা যায়, তেমনি করেছেন ভিন্ন ধারার ছবিও। ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহিনি’ যেমন করেছেন, তেমনি আলিয়াকে পাওয়া গেছে ‘হাইওয়ে’ বা ‘রাজি’র মতো সিনেমায়। এ ছাড়া চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে তৈরি করেছেন বেশ শক্ত জায়গা। এরই মধ্যে দাম্পত্য জীবনের তিন বছর কেটে গেছে। কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। সবমিলিয়ে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন মহেশ ভাটকন্যা।

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মাত্র ১৯ বছর বয়সে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক করে জানান দেন এসেছেন লম্বা সময়ের জন্য। সে দিনের আলিয়া এবার সুখবর দিলেন। জানালেন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ করে দিতে চান তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে কাজ করতে চলেছে আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা ইন্টারনাল সানশাইন প্রোডাকশন। যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে কাজ করেছিল আলিয়ার সংস্থা। এর আগে বন্যপ্রাণের চোরাশিকার নিয়ে তৈরি একটি সিরিজ এসেছিল অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে, যার নাম ছিল ‘পোচার’। সিরিজটি প্রযোজনা করেছিল আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা। এবার নবাগতদের নিয়ে নতুন প্ল্যান নিয়ে আসতে চলেছেন আলিয়া।

জানা গেছে, চারজন তরুণ অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে তৈরি হবে নতুন একটি সিরিজ। যার গল্প তৈরি হবে কলেজ ক্যাম্পাসকে ঘিরে। ইতোমধ্যেই প্রাক প্রযোজনা পর্বের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই বছরের শেষের দিকে শুরু হবে শুটিং। হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু এই সিরিজ নয়, মা সোনি রাজদান এবং বোন শাহিন ভাটের দুটি সিরিজ প্রযোজনা করতে যাচ্ছেন কাপুর বাড়ির বৌ। সেখানেও সুযোগ দেওয়া হবে তরুণদের।

আলিয়া বর্তমানে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। পর্দার এই তারকা জুটি ব্যস্তবে এপ্রিলের ১৪ তারিখ বিয়ের তিন বছর পার করেছেন।


সিনেমাপাড়ায় কোরবানি ঈদের আমেজ

‘পিনিক’ সিনেমার একটি দৃশ্যে শবনম ইয়াসমিন বুবলী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

রোজার ঈদের সিনেমার রেশ এখনো কাটেনি। এবার ঈদে ৬টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় সপ্তাহ পর তৃতীয় সপ্তাহও প্রায় শেষের পথে। তবুও জমজমাট ঈদের সিনেমাগুলো। বিশেষ করে শাকিব-ইধিকা পালের বরবাদ, সিয়াম-বুবলীর জংলি, আফরান নিশো-তমা মির্জা অভিনীত দাগি সিনেমা এখনো বেশ দর্শক টানছে। তবে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে রীতিমতো দেশজুড়ে ঝড় তুলে দিয়েছে মেহেদী হাসান পরিচালিত শাকিব খানের বরবাদ সিনেমাটি। এখনো ছবিটির টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে দর্শককে। যদিও কোন ছবি কতটা ব্যবসা করছে তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, তবে দু-একটি ছবি প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারছে না। মুক্তির শুরুতেই বেশ কয়েকটি সিনেমা হল থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে শাকিব খান ও কলকাতার দর্শনা বণিক অভিনীত অন্তরাত্মা সিনেমাাটি। অন্যদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও খারাপ যাচ্ছে না আবদুন নূর সজল ও নুসরাত ফারিয়া অভিনীত জ্বীন-৩ ছবিটি।

এদিকে এরই মধ্যে আবারও ঈদের আমেজ সিনেমাপাড়ায়। সিনেমাপাড়া ও বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদেও মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রায় এক ডজন ছবি। শুরু হয়ে গেছে আসন্ন ঈদুল আজহার সিনেমা মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি। এখন পর্যন্ত এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমার মধ্যে রয়েছে তাণ্ডব, নীলচক্র, ইনসাফ, টগর, পিনিক, এশা মার্ডার : কর্মফল ইত্যাদি।

এর মধ্যে পিনিক, নীলচক্রসহ কয়েকটি ছবির শুটিং, ডাবিং এডিটিং শেষ করে মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তবে কোরবানি ঈদের অন্যরকম প্রত্যাশিত ছবি শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটির শুটিং চলছে পুরোদমে। এর মধ্য দিয়ে ‘তুফান’ সাফল্যের পর আবারও পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন রায়হান রাফী ও শাকিব খান। সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে (সাংবাদিক) থাকছেন জয়া আহসান। নায়কের বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো প্রকাশ্যে আনেননি নির্মাতা। তবে বিশেষ সূত্র মতে এই সিনেমার নায়িকা হিসেবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ছোটপর্দার প্রিয় মুখ সাবিলা নূরকেই।

নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘আমাদের শুটিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। তুফান-এর পর দর্শক এখানে অন্যরকম এক শাকিব খানকে দেখতে পাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখেনি। আর কোরবানি ঈদ আমার জন্য খুব লাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘তাণ্ডব’ কোরবানি ঈদেই আসছে। আর নায়িকা কে সেটা সময় হলেই সবাই জানতে পারবেন। তবে চমক আছে এটুকু বলতে পারি।’

এবার ঈদুল আজহায় দেখা যেতে পারে আরিফিন শুভকেও। দীর্ঘ বছর ঈদে তার দেখা মেলেনি, তবে এবার স্বরূপে হাজির হবেন তিনি। তার অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। মিঠু খান পরিচালিত এ সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে।

ঈদ ঘিরে নির্মিত হচ্ছে আরেক সিনেমা ‘ইনসাফ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মাণ শুরু করলেও এখন এটি ঈদুল আজহাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ৯৫ ভাগ শুটিং শেষ বলে জানা গেছে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর পর্দায় ফিরছেন শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে পর্দায় হাজির হবেন মোশাররফ করিমও। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে আদর আজাদ অভিনীত ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় আদরের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে।

আলোক হাসান পরিচালিত ‘টগর’ রয়েছে মুক্তির তালিকায়। এই সিনেমায় জুটি হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদ ও পূজা চেরী জুটিকে। এরই মধ্যে সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।

ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিও। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এর নির্মাতা সানী সানোয়ার। মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, পূজা ক্রুজ প্রমুখ।


কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে ৫ মিলিয়ন ডলার নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মেঘনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতকে এসব কথা বলেন গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম।

এর আগে বিদেশি কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন বলে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় প্রতারণার এ মামলায় অভিযোগে করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মেঘনা আলম ও তার পরিচিত সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলায় মেঘনার সহযোগী সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সকালে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।

আদালতে শুনানির সময় মেঘনা আলমকে মেঘলা আলম নামে সম্বোধন করার এক পর্যায়ে আসামি তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।

এ সময় বিচারক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?

এ পর্যায়ে বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। তখন মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। বিষয়টি হলো সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একই সঙ্গে দেওয়ান সমিরের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত এই ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আদালত মেঘনাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার (ডিটেনশন) আদেশ দেন।

অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে ও সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনায় শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।


চলচ্চিত্র ও রাজনীতি থেকে সোহেল রানার বিদায়  

মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। একাধারে তিনি অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক এই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের রক্তগাথা নিয়ে নির্মিত এ সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে। ১৯৭৪ সালে জনপ্রিয় চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ হিসেবে প্রথমবার বড় পর্দায় হাজির হন অভিনেতা সোহেল রানা। এক সময় দেশের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া এই তারকা ‘ড্যাশিং হিরো’ বলে পরিচিত চলচ্চিত্র পরিবার ও দর্শকমহলে। ৫২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে সোহেল রানা কাজ করেছেন প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায়। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সরব ছিলেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় জানালেন গুণী এই অভিনেতা। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তাকে আর দেখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আজীবন সম্মাননাসহ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হওয়া বরেণ্য এই চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব।

সোহেল রানা বর্তমানে ৭৯ বছর বয়সে পা রেখেছেন। সোহেল রানার কথায়, ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনও বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। তবে এখনও একটা সিনেমা পরিচালনা করার শখ আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে বয়সে আর কুলাবে না।’

সোহেল রানার কাছ থেকে জানা গেল, মূলত বয়সের কারণেই তার এমন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন আমার ৭৯ বছর। অভিনয় ও রাজনীতি দুটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হলে অনেক অ্যাক্টিভিটি করা প্রয়োজন, প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন। শারীরিক অবস্থার কারণে এগুলো তো করতে পারছি না। এখন থাকা মানে জোর করে থাকা।’

পাশাপাশি নিজের আক্ষেপের কথাও জানালেন সোহেল রানা। তার কথায়, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

গত একুশে ফেব্রুয়ারি নিজের জন্মদিনে দৈনিক বাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় কথা হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে। এ সময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে। আমরা বাংলা ভাষা ব্যবহার না করে ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। সঠিকভাবে বাংলা না বলতে পারলেও ইংলিশ বলার কারণে আমরা সন্তানদের নিয়ে গর্ব করি। প্রতিনিয়ত কথাবার্তায় কিছু ইংলিশ, কিছু বাংলা ব্যবহার করে একদম জগাখিচুড়ি ভাষা ব্যবহার করি। আমি নিজেও এই অপরাধ থেকে মুক্ত নই। দুঃখের বিষয়, আজকাল রেডিও-টিভিতে ভাষার বিকৃতি হচ্ছে। এই প্রজন্মের তরুণরা রেডিও-টেলিভিশনসহ সব মাধ্যমে দুর্বল বাংলা কিংবা ইংরেজি ভাষা মিশিয়ে কথা বলে এক বিকৃত বাংলিশ ভাষা চালু করেছে।

কথা হয় চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে দূরে থাকা প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি না । চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক আগেই বলেছিলাম, দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্প মারা গেছে। এখান থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে পুনরায় জীবিত করা অনেক কষ্টসাধ্য। সর্বশেষ তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায় অভিনয় করি। এটি মুক্তি পায় চলতি বছর জানুয়ারিতে।


প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মডেল মেঘনা আলমকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


বিশ্বের জনপ্রিয় সিনেমার তালিকায় ‘বরবাদ’

বরবাদ সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এবারের ঈদে মোট ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘বরবাদ’ সিনেমাটি রীতিমতো ঝড় তুলেছে দেশজুড়ে। নির্মাতা প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে বিভিন্ন সিনেমা হলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের প্রথম দিন থেকেই শাকিবের ‘বরবাদ’ এর জয়জয়কার চলছে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে। একই অবস্থা সিনেপ্লেক্সগুলোতেও। ঈদের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে এখন। এখন পর্যন্ত সিঙ্গেল স্ক্রিন ও সিনেপ্লেক্সে শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমা হাউসফুল চলছে। এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় অনলাইনভিত্তিক ডাটাবেজ আইএমডিবির (ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ) তালিকায় উঠে এসেছে মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত এই সিনেমাটি।

ডাটাবেজটির সেরা ১০০ জনপ্রিয় সিনেমার তালিকায় ৪৪তম স্থানে রয়েছে শাকিবের ‘বরবাদ’ চার্ট ঘেঁটে দেখা গেছে, চার্টবাস্টারটির প্রথমে রয়েছে হলিউড সিনেমা ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’, সেই তালিকায় স্নো হোয়াইট, অ্যানোরা, সুপারম্যান, মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং, সিকান্দার, ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড-এর পাশাপাশি স্থান পেয়েছে বাংলাদেশি সিনেমা ‘বরবাদ’। আইএমডিবিতে সিনেমাটি ৭.৪ রেটিং পেয়েছে।

হলিউড, বলিউডের সঙ্গে আইএমডিবি চার্টে বাংলাদেশি সিনেমার স্থান পাওয়াকে গর্ব হিসেবে দেখেছেন ‘বরবাদ’ নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। উচ্ছ্বসিত এই পরিচালক বলেন, ‘আইএমডিবি চার্টে আমাদের সিনেমা ৪৪তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে, তাও জনপ্রিয় সিনেমা ক্যাটাগরিতে; এটা তো আমাদের জন্য অনেক আনন্দের, গর্বের। আমাদের দেশি সিনেমা এখন বিদেশে মুক্তি পাচ্ছে, এখন আইএমডিবিতে জায়গা করে নিচ্ছে। তার মানে আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা আন্তর্জাতিক স্তরে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই আনন্দের।’

শাকিব খান বরাবরই ঢালিউডের সুপারস্টার, তবে ‘প্রিয়তমা’র পর যেন তিনি নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। একরকম দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা এ শাকিবকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন রায়হান রাফী ‘তুফান’ দিয়ে। কিন্তু এবার সেই ইনিংসকেও ছাপিয়ে গেলেন মেহেদী হাসান হৃদয়। ‘বরবাদ’-এ শাকিব খানকে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যা আগে কেউ কল্পনাও করেনি। একদম নতুন এক রূপে, যেন রূপালি পর্দায় ফিনিক্স পাখির মতোই যেন পুনর্জন্ম হয়েছে তার।

বরবাদ সিনেমার গল্পে কোনো জটিলতা নেই, কিন্তু গভীরতা রয়েছে। এটি মূলত এক বিত্তশালী পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান আরিয়ান মির্জার গল্প, যে ভালোবাসে নীতুকে। তার জন্য সে পুরো দুনিয়া তছনছ করতেও প্রস্তুত! তবে সেই নীতুর কারণেই একসময় সে গ্রেপ্তার হয়। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে শাকিব খান ভয়েস মডুলেশন, সংলাপ বলার ধরন, দেহভঙ্গিমা- সবকিছুতেই এক অনন্য আকর্ষণ তৈরি করেছেন।

শুধু শাকিব নন, ছবির নায়িকা ইধিকা পালও বেশ চমক দেখিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু দৃশ্যে তিনি এমনভাবে শাকিবের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন যে দর্শক অবাক না হয়ে পারেনি। সাপোর্টিং কাস্টেও মিশা সওদাগর, শ্যাম ভট্টাচার্য, ফজলুর রহমান বাবু এবং মানব সচদেব দারুণ পারফর্ম করেছেন। সিনেমার গানগুলোর মধ্যে ‘মহামায়া’ ও ‘নিঃশ্বাস’ বিশেষভাবে হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার মতো।

তবে দারুণ সব মুহূর্তের মাঝেও কিছু দুর্বলতা চোখে পড়ে। গ্রিন স্ক্রিনের ব্যবহার অনেক জায়গায় একটু কৃত্রিম লেগেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আরও কিছুটা শক্তিশালী হলে সিনেমার ইমপ্যাক্ট আরও বাড়ত। তবে সবচেয়ে বড় আফসোস যীশু সেনগুপ্তকে নিয়ে। তার চরিত্রটি যতটা ভয়ংকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, পর্দায় সেই শক্তিশালী উপস্থিতি ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলা হয়নি। অনেকেই সন্দিহান ছিলেন, নবাগত পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় কি পারবেন শাকিব খানকে নতুনভাবে হাজির করতে? কিন্তু ‘বরবাদ’ দেখার পর সে সন্দেহের অবসান ঘটে। বলা চলে ‘বরবাদ’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি শাকিব খানের ক্যারিয়ারে আরেকটি মাইলফলক।


বাবার মৃত্যুর পর স্ত্রী রিয়ামনিকে ‘বয়কট’ করলেন হিরো আলম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:৩৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জীবনের শেষ সময়ে পালক বাবার পাশে না থাকায় স্ত্রী মডেল রিয়ামনিকে জীবন থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

হিরো আলমের পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে রাত ৯টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পালক বাবার মৃত্যুর সংবাদটি হিরো আলম নিজেই গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। তবে রিয়ামনির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। আলম বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার আমি ফেসবুকে বলে দিয়েছি। সবাই আমার বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।’

‘বাবা’র মৃত্যু খবর জানিয়ে হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছেন, 'রিয়া মনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হসপিটালে। সে আমার বাবার কাছে না থেকে বিভিন্ন ছেলেদের নিয়ে নাচগান করে বেড়ায় এবং তার পরিবারে কোনো সদস্য আমার বাবা এতদিন হসপিটালে কেউ কোনদিন দেখতে আসেনি। আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসলো না। তাহলে আমি পড়ে থাকলে সে কি করবে?'

হিরো আলম আরও লিখেন, 'রিয়ামনি মায়ামনি ঢাকা শহরে বিভিন্ন বারের ডান্সার। সেখান থেকে আমি একটা ভালো পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। ছেড়ে দেওয়া গরু কোনদিন ঘরে বন্দি করে রাখা যায়? খুব শীঘ্রই মায়ামনি রিয়া খুব তাড়াতাড়ি তারা যে কত খারাপ বুঝতে পারবেন আপনারা।'

একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটিবেঁধে বেশ কিছু কাজ করছেন হিরো আলম।


আড়াল ভাঙলেন বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন। মূলত লাক্স চ্যানেল আই প্ল্যাটফর্ম থেকেই শোবিজে যাত্রা শুরু হয় তার। শুরুতে নাটকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটালেও পরবর্তীতে বিয়ে, বিচ্ছেদ ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দেন তিনি। তবে বহুল আলোচিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান এই লাক্সকন্যা। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে কেবল সেরা অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই অর্জন করেননি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার সুবাদে টালিউড এমনকি বলিউডের সিনেমাতেও কাজ করার সুযোগ মেলে তার। গত বছর জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন বাঁধন।

এরপর হঠাৎ করেই দেশের আলোচিত এই মডেল অভিনেত্রী আড়াল হয়ে যান। অনেক দিন ধরেই কোথাও দেখা যায়নি তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এক ধরনের নিখোঁজই ছিলেন সবসময় বেশ সরব থাকা এ তারকা। এমনকি ঈদের সময়েও কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি তাকে। অবশেষে বিরতি কাটিয়ে বাংলা নববর্ষের দিন আড়াল ভাঙেন এই লাক্সকন্যা। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধন বললেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকায় শান্তিতে ছিলেন তিনি। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘হ্যালো, পৃথিবী! শুভ নববর্ষ! আমি এখনো এখানেই আছি। এখনো আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি, আমার বাবার গাড়ি চালাই। বাইরে জীবন সহজ, কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে। আমি কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে এসেছিলাম এবং সত্যি বলতে, এটি আমাকে শান্তি এনে দিয়েছে।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার নিজস্ব একটি মন আছে। আমি যে পথে হেঁটেছি, তা সহজ ছিল না, তবে এটি একান্তই আমার। আমি আমার ভুলগুলো স্বীকার করি এবং আমার এই বেড়ে ওঠাকে সম্মান করি। আমার প্রতিটি সাফল্য নিজে অর্জন করেছি। অন্যের মন্তব্য আমাকে বিচলিত করে না। আমি জানি আমি কে এবং এখানে পৌঁছানোর জন্য কী করেছি।’ সবশেষে বাঁধন লেখেন, ‘কোনো অনুশোচনা নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা একটি শিক্ষা। প্রতিটি পদক্ষেপ গল্পের অংশ, যা আজকের আমাকে তৈরি করেছে। সামনেও এই দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাব।’

লাখো লাখো অনুরাগীর ভালোবাসায় সিক্ত বাঁধন ব্যক্তি জীবনে এখনো একা। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। দাম্পত্যজীবনের মাত্র চার বছর পরই ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপর থেকে একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে থাকছেন এই অভিনেত্রী। গত বছর ২৮ অক্টোবর ৪০ বসন্ত পার করে ৪১-এ পা রেখেছেন তিনি। জীবনের এই সময়ে তিনি এসে উপলব্ধি করছেন জীবনে একজন সঙ্গীর খুব প্রয়োজন।

বাঁধন জানিয়েছেন, তার মেয়ে সায়রা চায় মায়ের জীবনে কেউ আসুক। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি নিয়ে সোজা মুখ খুললেন তিনি। জানালেন, আবার নতুন করে, নতুনভাবে পথচলা শুরু করতে চান অভিনেত্রী। মেয়ের বায়না তুলে ধরে বাঁধন বললেন, ‘আমার মেয়ে তো এখন বড় হয়েছে। মায়ের সবকিছুই একা করতে হয়, কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়- ও বুঝছে। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’

বাঁধন বললেন, ‘এখন অনেক বেশি মনে করি যে একজন জীবনসঙ্গী থাকতেই পারে।’ কেমন জীবনসঙ্গী চান, সে বিষয়ে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। জীবনসঙ্গী শব্দটা যে বুঝবে, সে রকম কেউ যদি আসে, নিঃসন্দেহে সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে পথচলা যাবে।’

চল্লিশের কোটায় এসেও বিয়ের পরিকল্পনা সামনে আনার কারণ অকপটে তুলে ধরেছেন বাঁধন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো, এখন অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট।’


নতুন সংকটে সালমানের জীবন

সালমান খান। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সময়টা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার নতুন ছবি ‘সিকান্দর’। বক্স অফিসে ছবিটি সেভাবে সাফল্য পায়নি। এর মধ্যে জীবনহানির শঙ্কাও কমছে না। আর এবার তার জীবন নিয়ে আরও বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন এক জ্যোতিষী। চলতি বছরের শুরুতেই এক জ্যোতিষী জানিয়েছিলেন, আগামী তিন বছর ভালো নয় ভাইজানের পক্ষে। সেই তথ্যেই আরও একবার সিলমোহর পড়ল বলা চলে। এবার অন্য এক জ্যোতিষী ‘ভাইজান’ সালমানকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে জানিয়েছেন, তিনি যতই কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থাকুন না কেন, চলতি বছরের শেষে নাকি তার প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। আর এর নেপথ্যে থাকবেন তার ঘনিষ্ঠরাই! গত শনিবার এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নেটপাড়ায় শোরগোল পড়ে গেছে।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই জ্যোতিষী তার ভবিষ্যদ্বাণীতে আরও জানিয়েছেন, ‘এ বছরটা ভাইজানের ছবি মুক্তির জন্য একেবারেই ভালো নয়। গত বছর কিছুটা ভালো সময় ছিল। তবে এ বছর তিনি যেন ছবি মুক্তি থেকে বিরত থাকেন।’ এমনকি তিনি এও জানিয়েছেন ‘আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে অভিনেতাকে খুবই সাবধানে থাকতে হবে। ওই সময় নিরাপত্তারক্ষী কিংবা গৃহকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরাও নাকি ‘সিকান্দর’ সালমানের শত্রু হয়ে উঠতে পারেন। তারাই হয়তো সালমানের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ফাঁস করে দেবেন! আর তাতেই বাড়তে পারে বলি সুপারস্টারের বিপদ।’

তবে শুধু ২০২৫ নয় ২০২৬ সালেও অভিনেতাকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন জ্যোতিষী। তিনি জানিয়েছেন, ‘অভিনেতার জীবনহানির আশঙ্কা প্রবল। ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও।’ বিশেষ করে এপ্রিল মাসের কথা জানিয়েছেন জ্যোতিষী। প্রথমবার জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সালমানভক্তরা। এবার দ্বিতীয় জ্যোতিষীও একই কথা শুনিয়েছেন। ফলত ভাইজানকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তার অনুরাগীরা। সালমান সব বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারেন কি না, সময়ই তার উত্তর দেবে।


banner close