শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
১৩ চৈত্র ১৪৩১

সালমান শাহ: স্বপ্নের নায়ক

সালমান শাহ
মিজানুর রহমান
প্রকাশিত
মিজানুর রহমান
প্রকাশিত : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫৩

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নব্বইয়ের দশকের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। তার অভিনয় দক্ষতা, স্টাইল, ফ্যাশন সচেতনতা ছিল এ যুগের চেয়েও অনেক এগিয়ে, ক্ষণজন্মা এই নায়ক। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতকে দিয়েছেন দুহাত ভরে। সালমান শাহের হাত ধরে বাংলাদেশের সিনেমা নতুন একটি ধারার সূচনা করেছিল। নব্বইয়ের দশকে শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে হলমুখী করেছিলেন এই নায়ক। সেই সময় প্রেক্ষাগৃহে সালমান শাহের সিনেমা মানে উপচে পড়া ভিড়। ব্যবসায়িক সফলতা আর জনপ্রিয়তায় তাকে করেছিল আকাশ সমান। নিজেই ছিলেন নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। আজ তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন (সালমান শাহ)। বাবা কমর উদ্দীন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর দুই সন্তানের মধ্যে সালমান শাহ ছিল বড়। ছোট্ট ভাই শাহরান ইভান চৌধুরী। ছোটোবেলায় সালমান শাহ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল। পারিবারিক সূত্র থেকেই শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল ছোটোবেলা থেকেই। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় মূলত বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে। ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি, মিল্কভিটা, কোকাকোলা এবং জাগুয়ার কেডসের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করতেন। পাশাপাশি বেশ কিছু টিভি নাটকে কাজ করতেন। তার অভিনীত একক নাটকগুলো হলো: আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে।

সালমান শাহ সিনেমায় অভিষেক করেন ১৯৯৩ সালে জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ কপিরাইট কিনে নেয় আনন্দমেলা সিনেমা লিমিটেড। তার আদলে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নির্মাণ করেন। সে সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী মৌসুমির সঙ্গে জুটি বাঁধেন। সে সিনেমার মধ্য দিয়ে সালমান শাহ হয়ে ঢাকাই সিনেমার স্বপ্নের নায়ক। এই এক সিনেমা সালমান শাহকে নায়কের খ্যাতি এনে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সালমান শাহের সিনেমা মানে দর্শকপ্রিয়তা।

ঢাকাই সিনেমায় তিনি একমাত্র নায়ক, যাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি বরং তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বমহলে। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে এখনো সালমান হয়ে আছেন তরুণদের স্টাইল আইকন। প্রথম সিনেমার পর তাকে আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি, দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ২৭টি ব্যবসাসফল সিনেমা করেছেন, তার অভিনীত সিনেমাগুলো হলো, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘তুমি আমার’, ‘সুজন সখী’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘প্রেম যুদ্ধ’ (১৯৯৪), ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (১৯৯৬), ‘প্রেমপিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘দেনমোহর’।

সালমান শাহের সিনেমার মধ্য দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় এক নতুন মোড় নেয়। সালমান শাহর নিটোল প্রেম ও সামাজিক অ্যাকশনধর্মী সিনেমার সঙ্গে দর্শকরা প্রথম পরিচিত হয়। মূলত তার সিনেমার মধ্যে বাংলাদেশের হলগুলো আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। এমনকি যেসব প্রযোজকরা চলচ্চিত্র নির্মাণ ছেড়ে দিয়েছিলও তারাও আবার ফিরে এসেছিল ঢাকাই সিনেমায়।

অমায়িক ব্যবহার আর নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে জয় করে ছিলেন দর্শকদের মন। ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয়তা যখন পাহাড় সমান, ঠিক সেই মুহূর্তে ১৯৯৬ সালের আজকের দিনে না ফেরার দেশে চলে যান এই খ্যাতিমান নায়ক। সেদিন পুরো বাংলাদেশ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে এই নায়কের মৃত্যুতে। সালমান শাহের চলে যাওয়ার পর ঢাকাই সিনেমায় এখন নায়ক এসেছে তবে কেউ স্বপ্নের নায়ক হতে পারেননি। তার চলে এখনো ঢাকাই সিনেমাকে শূন্য করে দিয়েছিল। সেই শূন্যতা আর কোনো নায়ক পূরণ করতে পারেননি। বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ঢাকাই সিনেমার নায়ক বলতে সালমান শাহকে বুঝে। সালমান শাহ চলে যাওয়ার ২৭ বছর হলেও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে তিনি বেশ আলোচিত একটি নাম। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন চলচ্চিত্রানুরাগীদের মাঝে আজীবন অসাধারণ অভিনয়ের জন্য।

লেখক: শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।


ঈদের অন্যরকম আকর্ষণ বর্ণাঢ্য ‘ইত্যাদি’

ইত্যাদি উপস্থাপনা করছেন হানিফ সংকেত। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রদিবেদক

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ আনন্দের সঙ্গে দর্শকদের জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসছে হানিফ সংকেতের ইত্যাদি। ঈদ এলেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি দেখার জন্য। এবারের ইত্যাদি ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্লু স্কাই গার্ডেন সংলগ্ন একটি দৃষ্টিনন্দন স্থানে। গার্ডেনের লেকের সামনে বিশাল স্থানজুড়ে নির্মিত নান্দনিক সেটে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদি শুরু করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এই গানটি দিয়ে। ইত্যাদির ঈদ পর্বে গত তিন দশক ধরেই শত শত মানুষ নিয়ে ঢাকায় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আঙ্গিকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই গানটি পরিবেশিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারে এই গানটি পরিবেশন করবেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বর্ণিল পরিবেশনা ও স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শকের অংশগ্রহণে পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে এক উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এবারের ইত্যাদির চমকানো সব বিষয়ের মধ্যে একটি বিশেষ পর্ব হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। এবারের ঈদ ইত্যাদির ‘দেশের গানটি’তে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন। তাদের সঙ্গে রয়েছে এই প্রজন্মের দশজন জনপ্রিয় শিল্পী ইমরান মাহমুদুল, রাজিব, অয়ন চাকলাদার, রাশেদ, সাব্বির জামান, সিঁথি সাহা, অবন্তী সিঁথি, আতিয়া আনিসা, মালিহা তাবাসসুম খেয়া ও সানিয়া সুলতানা লিজা। ‘ও বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ’ শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন।

ঈদের বিশেষ ইত্যাদির বিশেষ চমক হচ্ছে এই প্রথম একসঙ্গে ইত্যাদির একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় দুই সংগীত তারকা হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান। গানটির কথা লিখেছেন ইনামুল তাহসিন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান। আর একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় ঢালিউড অভিনেতা সিয়াম আহমেদ এবং ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। ইত্যাদির নাচ মানেই বর্ণাঢ্য আয়োজন, প্রতিবারই চেষ্টা করা হয় নাচের মিউজিক, বিষয়, চিত্রায়ণে বৈচিত্র্য আনতে। এবারের ইত্যাদিতেও একটি ভিন্ন আঙ্গিকের নাচের আয়োজন করা হয়েছে। আর এই নাচটিতে অংশগ্রহণ করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী সাফা কবির, সাদিয়া আয়মান, সামিরা খান মাহি ও পারসা ইভানা। তাদের সঙ্গে রয়েছে একদল নৃত্যশিল্পী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। নাচটির সংগীত পরিচালনা করেছেন আকাশ মাহমুদ।

ইত্যাদির প্রতিটি পর্বই সাজানো হয় নির্দিষ্ট কিছু বার্তা দিয়ে। এবারও আছে বেশ কিছু সমাজ সচেতনতামূলক পর্ব। এর মধ্যে অনলাইনকেন্দ্রিক তিনটি ভিন্ন ঘটনা, সুরে সুরে তুলে ধরেছেন তিন জনপ্রিয় দম্পতি। তারা হলেন, শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী, এফ এস নাঈম-নাদিয়া আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ দম্পতি। আর মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত আর একটি মিউজিক্যাল ড্রামায় অভিনয় করেছেন গুণী অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরী, আনোয়ার শাহী ও র‌্যাপ শিল্পী মাহমুদুল হাসান। সমকালীন ও বক্তব্যধর্মী এবারের দলীয় সংগীতের বিষয় দেখার চোখ ও বিবেকের চোখ নিয়ে। এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তৌসিফ মাহবুব ও আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ইত্যাদির নিয়মিত নৃত্যশিল্পীদল। গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

প্রায় দুই যুগ ধরে ইত্যাদিতে বিদেশি নাগরিকদের দিয়ে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে বিদেশিদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের সংস্কৃতি। নাচ-গান ও গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তুখোড় অভিনয় সমৃদ্ধ এবারের পর্বের বিষয় ‘গুজব’। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। ঈদের বিশেষ ইত্যাদি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর।


তরুন মুন্সীর ‘নিজেরে বুঝি না’

তরুন ও ইপ্সিতা শবনম। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

গীতিকার, সুরকার ও গায়ক তরুন মুন্সী তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজে গান গাওয়ার পাশাপাশি অন্যদের জন্য গান বানিয়ে যাচ্ছেন। তার কথা ও সুর অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর কণ্ঠেই দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সময়ে এসেও গান নিয়ে ব্যস্ততার কমতি নেই তরুনের। অন্যদের জন্য যেমন লিখছেন-সুর করছেন, তেমনি নিজেও গাইছেন নিয়মিত। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের (ডিএমএস) ব্যানারে আসছে তার নতুন গান চিত্র। শিরোনাম ‘নিজেরে বুঝি না’। গানটি কণ্ঠে তোলার পাশাপাশি এর কাব্যমালা সাজিয়ে তাতে সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন তরুন নিজেই। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা। গানটিতে তরুন মুন্সীর সঙ্গে মডেল হিসেবে দেখা যাবে ইপ্সিতা শবনমকে। নতুন এই গান নিয়ে তরুন মুন্সী বলেন, ‘আমার গানের নিজস্ব একটা স্টাইল আছে। সেটা বজায় রেখে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই নতুন গানটি তৈরি করছি। আশা করছি গানটিতে নতুনত্বে ছোঁয়া পাবেন শ্রোতারা।’ ঈদে গানটির মিউজিক ভিডিও অবমুক্ত করা হবে ধ্রুব মিউজিকের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।


আবারও চর্চায় স্বস্তিকা মুখার্জি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিকে নিয়ে বছরজুড়েই শোরগোল পড়ে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কয়েক দিন পর পরই নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সোজাসাপটা কথা বলার জন্য অনেকেই তাকে ‘ঠোঁটকাটা’ বলেও মন্তব্য করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে পোস্ট করা নিজের বক্তব্য নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েন স্বস্তিকা। সেগুলো নিয়েও ব্যাখ্যা দেন এই অভিনেত্রী। হোক সেটা কাজের জন্য হোক বা ব্যক্তিগত জীবন। সম্প্রতি তিনি এমন একটি ছবি পোস্ট করেছে যা দেখে ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তার ব্যক্তিগত জীবন। প্রশ্ন উঠছে অভিনেত্রী কি ফের প্রেম করছেন?

অভিনেত্রী বর্তমানে কলকাতার পাশাপাশি অনেকটা সময় মুম্বাইতে কাটাচ্ছেন। কিন্তু এদিন তিনি যে ছবিটি শেয়ার করেছেন সেটা পুদুচেরিতে তোলা। সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কী আছে সেই ছবিতে? অনেকটা দূর থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সমুদ্র সৈকতে পাথরের ওপর একটি জুটি বসে। খুবই ঘনিষ্ঠভাবে পাশাপাশি বসে আছেন তারা। মুখ স্পষ্ট নয় যদিও। তবে তাদের সামনে থাকা দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র ভাসছে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয়। এই ছবিটি পোস্ট করে টেক্কা অভিনেত্রী রবিঠাকুরের গানের লাইন ধার করে লেখেন, ‘তোমরা যে বলো দিবস রজনী ভালোবাসা ভালোবাসা।’

যদিও ছবিতে থাকা মহিলাটি তিনিই কি না সেটা স্পষ্ট নয়। তিনি ছবিটি তুলে থাকতে পারেন আবার ছবির মহিলাটিও তিনি হতে পারেন। তবে এমন রোম্যান্টিক লাইন দিয়ে ছবিটি পোস্ট করায় তার অনুরাগীদের অনুমান অভিনেত্রী ফের প্রেমে পড়েছেন। এই বসন্তেই তার জীবনে লেগেছে প্রেমের রং। নেটপাড়ার অনুমান প্রেমিকের সঙ্গে পুদুচেরি বেড়াতে গিয়েছেন অভিনেত্রী সেখানেই তুলেছেন এই ছবিটি।

অনেকেই অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি প্রেমে পড়েছেন ভেবে। কেউ আবার জানতে চেয়েছেন তার সঙ্গে থাকা লোকটি কে? কারও আবার প্রশ্ন অভিনেত্রী কি নতুন করে প্রেমে পড়েছেন সত্যিই? কোনো কোনো নেটিজেনের মতে এভাবেই একটু অন্যভাবে প্রেমিকের সঙ্গে আলাপ করালেন অভিনেত্রী। যদিও আসল ব্যাপারটা কি সেটা স্পষ্ট নয়।


ট্রেলারেই হই চই ফেললেন ‘সিকান্দর’ সালমান  

সিকান্দর ছবিতে সালমান খান। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অনিশ্চয়তার কবল থেকে মুক্ত হলো ভাইজানখ্যাত বলিউড তারকা সালমান খানের সিকান্দর সিনেমাটি। মূলত প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বলিউড সিনেমা মুক্তি পায়। তার মধ্যে সালমানের একটা সিনেমা থাকেই। এবার ঈদেও তার নতুন ছবি সিকান্দরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। দিনক্ষণও ঠিক করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ছবিটির মুক্তি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অনিশ্চয়তার কবলে পড়ে মুক্তির আগেই আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হওয়া সালমান-রাশমিকার এই চলচ্চিত্রটি। তবে গত রোববার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ছবিটির ট্রেলার। আর এই ট্রেলারেই প্রকাশের মাধ্যমেই সালমান-ভক্তদের মাঝে তো বটেই, নেটপাড়াতেও চলছে বেশ শোরগোল।

দর্শক যেমনটা ভেবেছিলেন ঠিক তেমনই হলো। ট্রেলারে একবারে ধামাকাদার এন্ট্রি নিলেন ‘সিকান্দর’ সালমান খান। এর আগে প্রকাশিত টিজারে অবশ্য এমনই এক ঝলক মিলেছিল। এবার তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল ট্রেলারে। তিন মিনিট সাইত্রিশ সেকেন্ডের ট্রেলার একদম অ্যাকশন প্যাকড বলা চলে। সঙ্গে সালমানের নিজস্ব ভঙ্গিতে দুরন্ত সংলাপ। নাচে, গানে, অ্যাকশনে, ড্রামায় ভরপুর ট্রেলার থেকে চোখ ফেরানো দায়। অনেক দিন পর সুপারস্টার সালমানকে আবার দেখা গেল পুরোনো মেজাজে। বলিউডের আশি-নব্বয়ের দশকের অ্যাকশন ঘরানার ছবির ফ্লেভার নিয়ে হাজির ‘সিকান্দর’। অভিনেতাকে আরও একবার লার্জার দ্যান লাইফ অবতারে দেখে দারুণ খুশি ভক্তরা।

গত রোববার সন্ধ্যায় ভারতের মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ট্রেলারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন সালমান স্বয়ং। অনুষ্ঠানে ভাইজান হাজির হয়েছিলেন ৮৯ বছর বয়সি বাবা সেলিম খানকে সঙ্গী করে। ছবির পরিচালক এ আর মুরুগাদোস, নায়িকা রশ্মিকা মন্দানাসহ অন্য তারকারাও ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ট্রেলারে যেমন অ্যাকশন অবতারে সালমান খান নজর কেড়েছেন তেমন রাশমিকা-সালমানের রোমান্সের ঝলকও চোখে পড়ার মতো। ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে ‘সিকান্দর’ সালমান খান সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব। সমাজকে শোধরাতে একা হাতে দায়িত্ব তুলে নেয় ‘সিকান্দর’।

‘শত্রুদের ত্রাস, দুস্থদের রবিনহুড’ হয়ে একেবারে মারকাটারি ইমেজে হাজির সালমান। যারা অ্যাকশন মুভি দেখতে ভালোবাসেন সালমানের ‘সিকান্দর’ যে তাদের মন ভরাবেই সেকথা বলাই যায়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী ৩০ মার্চ বড়পর্দায় আসছে ছবিটি। অতঃপর এবারের ইদে অনুরাগীদের জন্য সালমানের ‘ইদি’ যে ‘সিকান্দর’-ই হতে চলেছে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। এবার সালমানের ব্লকবাস্টার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা মাত্র!

উল্লেখ্য, সিকান্দর ছবির মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর আবারও দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউড সুলতান সালমান খান। এর আগে ২০১৫ সালে সুরাজ বারজাতিয়া পরিচালিত ‘প্রেম রতন ধান পায়ো’ ছবিতে প্রেম নাম নিয়ে অভিজাত লুকে ক্যামেরার সামনে হাজির হন সালমান। এই ছবিতে সালমান খানকে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে।


দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বেবী নাজনীন 

বেবী নাজনীন। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক   

‘এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত’, ‘দু’চোখে ঘুম আসে না’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘ওই রংধনু থেকে’, ‘মরার কোকিলে’, ‘আর কতদিন’, ‘লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে’, ‘প্রিয়তমা’, ‘সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। এখনো ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে তার গায়কী ও কণ্ঠের আবেদন আগের মতোই অম্লান। ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ও ‘উত্তরবঙ্গের দোয়েল’খ্যাত বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই গায়িকা ও গীতিকবি লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার পর শেখ হাসিনা সরকারের পর দেশে ফেরেন। দেশে ফিরেই আবারও সেই চেনা ছন্দে ফিরে আসেন এই বহুমুখী প্রতিভা। এক এক করে গানের সব মাধ্যমে সরব হচ্ছেন নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী।

সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও নিজের প্রিয় প্রাঙ্গণ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) ফিরলেন বেবী নাজনীন। ঈদের বিশেষ একক সংগীতানুষ্ঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় এই টিভি চ্যানেলে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয় ‘প্রিয়তম একটু শোনো’ শিরোনামে একক সংগীতানুষ্ঠানের ৮টি গান। সে তালিকায় রয়েছে দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা গান ‘দু’চোখে ঘুম আসেনা’, ‘কাল সারারাত’, ‘মধুচন্দ্রিমা এই রাতে’, ‘সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে’, ‘দারুণও বরষায় নদী’, ‘প্রিয়তম একটু শোনা’ ও ‘বন্ধু তুমি কই’। পাশাপাশি রেকর্ড করা হয় ‘খোলা হাটের বালুচরে’ শিরোনামে একটি আঞ্চলিক বিয়ের গান। অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য আনতে কবিরুল ইসলাম রতনের পরিচালনায় তিনটি গানে আলাদাভাবে কোরিওগ্রাফি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটির নির্বাহী প্রযোজনের দায়িত্বে ছিলেন আফরোজা সুলতানা।

এ আয়োজন নিয়ে শিল্পী বেবী নাজনীন বলেন, ‘ঈদ উৎসবকে আনন্দময় করে তুলতেই দর্শক-শ্রোতার প্রিয় কিছু গান দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে। নির্মাণেও আছে নান্দনিকতার ছাপ। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠানটি অনেকের ভালো লাগবে বলেই আশা করছি।’ দুই দশক পর বিটিভিতে ফেরা নিয়ে এই শিল্পী আরও বলেন, ‘বিটিভি শুধু রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলেই নয়, সেই সঙ্গে বহু শিল্পী ও তারকার আঁতুড়ঘর। দশকের পর দশক পেরিয়ে গেছে, তারপরও যেখানে গান গাওয়া যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, তার ইতি টানা প্রয়োজন মনে করেননি কেউ। রাজনৈতিক কারণে শিল্পীদের অদৃশ্য এক কালো তালিকা তৈরি করে সেখানে একরকম প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। একজন শিল্পী হিসেবে জাতীয় গণমাধ্যমে গাইতে না পারা কষ্ট কেমন, তা গত দুই দশক ধরে তা উপলদ্ধি করেছি। অবশেষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিটিভিতে ফিরে আসা। এই ফেরা অন্যরকম এক ভালো লাগার। এখন আমার একটাই চাওয়া, অতীতের ঘটনাগুলোর যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। প্রতিটি শিল্পী যেন স্বাধীনভাবে প্রচার মাধ্যমগুলোয় নিজস্ব সৃষ্টি ও প্রতিভা তুলে ধরার যেন সুযোগ পান।’

এদিকে বিটিভির পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যানেলের আরও কয়েকটি ঈদ অনুষ্ঠানে দেখা মিলবে বেবী নাজনীনের। এরই মধ্যে জিটিভির ‘টাইমলাইন বাংলাদেশ’ এবং একাত্তর টিভিতে জীবনীভিত্তিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। শিগগিরই অংশ নেবেন যমুনা টিভির ‘যমুনার নিমন্ত্রণে’ অনুষ্ঠানে।

‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ও ‘উত্তরবঙ্গের দোয়েল’খ্যাত শিল্পী বেবী নাজনীনের সংগীত ক্যারিয়ার চার দশকের বেশি সময়ের। দীর্ঘ এই সংগীত সফরে তিনি টিভি, চলচ্চিত্র, বেতারসহ দেশ-বিদেশের মঞ্চে গান করে কুড়িয়েছেন অগণিত শ্রোতার ভালোবাসা। তার গাওয়া ‘এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত’, ‘দু’চোখে ঘুম আসে না’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘ওই রংধনু থেকে’, ‘পত্রমিতা’, ‘মরার কোকিলে’, ‘আর কতদিন’, ‘লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে’, ‘প্রিয়তমা’সহ অসংখ্য গান আজও শ্রোতাদের মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে।

অনিন্দ্য কণ্ঠ আর অনবদ্য গায়কীর জন্য তিনি ভূষিত হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অগণিত পুরস্কার ও সম্মাননায়। সংগীত সাধনার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও এখন ব্যস্ত সময় কাটছে এই শিল্পীর। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।


হাত বাড়ালেই সাফল্য জয়ার

জয়া আহসান। ছবি : জয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এই ঢাকা এই কলকাতা- প্রায় এক দশক ধরে এভাবেই চলছে দুই বাংলার আলোকিত তারকা জয়া আহসানের ব্যস্ততা। তবে শুরু থেকেই ঢাকার চেয়ে টালিগঞ্জের সিনেমাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছেন এই অভিনেত্রী ও প্রযোজক। কিন্ত যেখানেই তিনি হাত দিচ্ছেন কিংবা পা বাড়াচ্ছেন সেখান থেকেই সাফল্য ছিনিয়ে আনছেন দুই বাংলার এই আলোকিত অভিনেত্রী। পাশাপাশি প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন সমানতালে। এবার পরিচালক আশফাক নিপুণ পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’-তে জয়া নতুনভাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন জয়া আহসান। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’র ট্রেলার। শেয়ার করা ট্রেলার দেখা যায়, সাধারণ সরকারি চাকরিজীবী রুনা লায়লা চরিত্রে রয়েছে জয়া আহসান।

ট্রেলারে আরও দেখা যায়, মধ্যবিত্ত গৃহিণীর এক গল্পকে কেন্দ্র করে এগোবে এ সিরিজ। টানাপড়েনের এ সংসারে এক সময় রুনার লোভ হবে তার টাকা-পয়সা বাড়ি-গাড়ি সবই চায়। এরপর রুনার জীবনে পরিবর্তন হতে থাকে। তার হাতে শুধু থাকে টাকা আর টাকা। এত টাকা কোথায় পেল রুনা? তা জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে জিম্মি। ঈদ উপলক্ষে আগামী ২৮ মার্চ হইচইতে মুক্তি পাবে।

সিরিজটি নিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, ‘আমার কাছে বরাবরই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলো পছন্দ। রুনা লায়লার চরিত্রে ঠিক সেই পরিমাণ চ্যালেঞ্জ ছিল। আর আমি সব সময় ডিরেক্টরস আর্টিস্ট। নিপুণের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ, তাও আবার সিরিজ। নিপুণ যেভাবে যা যা বলেছে, আমি তাই তাই করেছি। সেটার প্রতিফলন সবাই ট্রেলারে কিছুটা দেখতে পেয়েছেন নিশ্চয়ই। বাকিটা এখন আমার দর্শকের ওপর। তারা বলবে রুনাকে তাদের কেমন লেগেছে। নির্মাতা আমাকে এমন একটা চরিত্রে চিন্তা করেছেন। জিম্মিতে আমার চরিত্রটা আমার ক্যারিয়ারে করা অন্যতম চমৎকার একটা চরিত্র।’

সিরিজটি নির্মাতা আশফাক নিপুণ বলেন, ‌‘আমাদের সিরিজের প্রথম ঝলক দর্শকের সামনে এসেছে। আশা করছি তারা ট্রেলারটা পছন্দ করেছেন। পুরো টিম মিলে আমরা চেষ্টা করেছি জিম্মির মাধ্যমে নতুন ও ভিন্ন ধরনের একটা গল্প দর্শককে দেখানোর। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।’

প্রসঙ্গত, আশফাক নিপুণ পরিচালিত এ সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন- ইরেশ যাকের, শাহরিয়ার নাজিম জয়, রাফিউল কাদের রুবেল, প্রান্তর দস্তিদার, মাহমুদ আলম, অশোক ব্যাপারী, এরফান মেধা শিবলুসহ আরও অনেকের।


সেলেনার কাছে ক্ষমা চাইলেন বিবার

জাস্টিন বিবার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

তরুণ মার্কিন সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজের নতুন অ্যালবাম ‘আই সেইড আই লাভ ইউ ফার্স্ট’ প্রকাশের পর থেকে ভক্তদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এক সময়ের আলোচিত প্রেমিক কানাডিয়ান পপ তারকা জাস্টিন বিবারের সঙ্গে দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদ ঘটে সেলেনার। বিচ্ছেদের পর দুজনই আলাদা জীবন শুরু করলেও গায়িকার নতুন গানে তার প্রাক্তন প্রেমিকের প্রসঙ্গ উঠে আসায় ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এই গান কি বিবারকে উদ্দেশ্য করেই লেখা?

এই গানটি বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে এর আবেগপূর্ণ কথার জন্য। সেলেনা গোমেজ তার গানে প্রাক্তন প্রেমিকের স্বপ্নে এসে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ এনেছেন, যা অনেক শ্রোতাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে তিনি হয়তো বিবারকেই ইঙ্গিত করছেন। প্রকাশিত গানের প্রি-কোরাসে গায়িকা গেয়েছেন, তোমার কথা ভাবি না, তোমাকে ছাড়া সুখী আছি এখন, আগের চেয়ে অনেক বেশি। গানটির কোরাসে তিনি গেয়েছেন, কিন্তু আমি একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, যেখানে তুমি বলেছিলে দুঃখিত যা কিছু ঘটিয়েছ, যা কিছু আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছ তার জন্য দুঃখিত। গানের এই কথাগুলো মানসিক মুক্তির এক মুহূর্ত বর্ণনা করে, যদিও তা ঘটে শুধুই স্বপ্নের মাধ্যমে।

এদিকে ভক্তরা যখন এই গানের অর্থ বিশ্লেষণ নিয়ে ব্যস্ত, সেলিনা তখন বেনি ব্লাঙ্কোর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক এবং বাগদত্তা নিয়ে মনোযোগী। তাদের এই যৌথ অ্যালবামটি শুধু অতীত অভিজ্ঞতাই নয় বরং তাদের প্রেমের গল্পও তুলে ধরেছে। মার্কিন এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ব্লাঙ্কো সেলিনাকে তার সৃজনশীল প্রক্রিয়ার পুরো সময়ে সহায়তা করেছেন এবং তাদের কাজের আরামদায়ক পরিবেশেই এই অ্যালবামটি স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগের জীবন, প্রেমে পড়ার মুহূর্ত এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গল্প ফুটে উঠেছে।

অ্যালবামটি ২১ মার্চ মুক্তির আগে গায়িকা তার অতীত সম্পর্ক নিয়ে গুজব হওয়ার সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরেছিলেন। ফলে ১৯ মার্চ স্পটিফাইয়ের একটি ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমি সবাইকে বলতে চাই যে এই অ্যালবামের বেশিরভাগই এমন বিষয় নিয়ে নয় যা সবাই ভাবতে পারে, আমি অনেক বদলেছি এবং নতুন মানুষের সঙ্গে জীবনযাপন করেছি।


‘টক্সিক’ –এ মুখ্য ভূমিকায় কিয়ারা আদভানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

কন্নড় সুপারস্টার যশের আসন্ন ছবি ‘টক্সিক’ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে সব মহলে। এই ছবিতে বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন। জানা গেছে, কিয়ারা এই ছবির জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, কিয়ারা এখন দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। পিঙ্কভিলার প্রতিবেদনের অনুযায়ী, কিয়ারা আদভানি এই ছবির জন্য ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন। মূলত কিয়ারার পারিশ্রমিক তার সাম্প্রতিক ছবিগুলোর সাফল্য এবং ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, এসএস রাজামৌলির পরবর্তী ছবি SSMB29-এর জন্য প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দীপিকা পাড়ুকোন ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির জন্য ২৩ কোটি টাকা নিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, হলিউড নায়িকা প্রিয়াঙ্কা অনেকটাই এগিয়ে আছেন সবার থেকে। যদিও খুব একটা পিছিয়ে নেই কিয়ারাও।

যশের ‘টক্সিক’ কবে আসবে?

‘টক্সিক: এ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোন-আপস’ নামের এই ছবিটি কন্নড় এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই তৈরি হচ্ছে। ছবিতে কিয়ারা এবং যশ ছাড়াও ড্যারেল ডি’ সিলভা এবং অক্ষয় ওবেরয়ও মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন। প্রথমে ছবিটি এপ্রিলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে সিনেমা মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কাজ প্রসঙ্গে

কিয়ারা আদভানির কাজের কথা বললে, তাকে শিগগিরই হৃতিক রোশন এবং জুনিয়র এনটিআরের সঙ্গে ‘ওয়ার ২’ ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিটি যশরাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ।


শুভ জন্মদিন বিপাশা হায়াত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

নানামুখী প্রতিভার অধিকারী বিপাশা হায়াত। একাধারে তিনি চিত্রনাট্যকার, চিত্রশিল্পী, উপস্থাপক, সমাজকর্মী, মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। নব্বই দশকের টিভি পর্দায় যে কয়জন অভিনেত্রী সবচেয়ে বেশি পাদপ্রদীপের আলোতে থাকতেন তাদের মধ্যে বিপাশা হায়াত শীর্ষস্থানেই থাকবেন। তার অভিনয়ে এমনই মুগ্ধতা ছড়ানো ছিল যে আজও ছোট পর্দায় সে সময়ের দর্শক এখনো তাকে খুঁজে বেড়ান। তবে বর্তমানে অভিনয় থেকে একপ্রকার দূরে সরে গিয়ে চিত্রশিল্প নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি দেশ থেকেও দূরে রয়েছেন এই তারকা। বর্তমানে তিনি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আজ (২৩ মার্চ) এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। তবে বিশেষ এই দিনটি নিয়ে আলাদা কোনো আয়োজন রাখেন না বিপাশা। প্রতিবারের মতো একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে জন্মদিনের কেক কাটবেন তিনি। আমেরিকা থেকে বিপাশা হায়াত বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েরা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাই আপাতত অভিনয় করা হচ্ছে না। এখনো মাঝেমধ্যে অভিনয়কে খুব মিস করি। তবে পর্দায় না হলেও আমি আবার মঞ্চে ফিরতে আগ্রহী।’

বিপাশা হায়াত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। নব্বই দশকের অনেক টিভি নাটকের অভিনয় তাকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। মঞ্চনাটকেও তিনি সমানভাবে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১ সালের আজকের দিনে (২৩ মার্চ) দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ তিনি পা রাখলেন জীবনের ৫৫তম বছরে। বিপাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়াশোনা করেন। নন্দিত অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক আবুল হায়াতের বড় কন্যা তিনি। পারিবারিকভাবেই শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে আবাল্য পরিচয় থাকায় এক সময়ে তিনিও হয়ে উঠেছেন জাতশিল্পী। আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে বাবার মেয়ে হয়েই অভিনয় শুরু করেন। এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে। ‘অয়োময়’-এর লবঙ্গ জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত চরিত্র। ‘রূপনগর’ নাটকে বিপদে থাকা তৌকীরকে বিপাশা দিয়েছিল মানসিক সাপোর্ট। চমৎকার একটি চরিত্র ছিল। ‘থাকে শুধু ভালোবাসা’ নাটকে ফেরদৌসের বিপরীতে বিপাশার করুণ প্রেমের অভিনয় দর্শক আজও মনে করে।

পুরো নব্বই দশকজুড়েই বিপাশা ছিলেন শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। এই সময় একঝাঁক গ্ল্যামার অভিনেত্রী ছিলেন পরবর্তীতে সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি তাদের। সেই সময়ে ছোট পর্দার অনেক অভিনেত্রীই বিজ্ঞাপনে মডেলিং করলেও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক বিপাশাই পেতেন। মডেলিং জগতেও খেতাব ছিল তার। একটা সময় পর অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে যখনই ফিরে এসেছেন তখনই যেন স্বরূপেই নিজেকে আলোকিত করেছেন। জানা যায়, নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এ অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলেন বিপাশা। তবে কমার্শিয়াল ছবি করবেন না বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর দুটি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘আগুনের পরশমনি’ ও ‘জয়যাত্রা’য় অভিনয় করেন। অভিনয়ের বাইরে বিপাশা যেমন নাট্যকারও, উপস্থাপক হিসেবেও সুপরিচিতি আছে এই তারকার। ‘বিপাশার অতিথি’ নামক একটা অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। কবিতা আবৃত্তি ও গানেও বেশ ভালো দখল রয়েছে তার। তার অন্য আরেকটি প্রতিভা হলো তিনি একজন চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

বিপাশার জন্মদিন উপলক্ষে কথা হয় তার বাবা দেশবরেণ্য জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা আবুল হায়াতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে বিপাশা ৫৫ বছরে পা দিল। গত বছরই আমার বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিপাশা দেশে এসেছিল। তখন তার আম্মার চোখের অপারেশন হয়। মায়ের পাশে থেকে মায়ের চিকিৎসার পুরো দায়িত্বটা কাঁধে নিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক মতো করে দিয়েই আবার আমেরিকায় ফিরে যায় বিপাশা। সেই সময়টাতে কিন্তু বিপাশা না আসলেও পারত, কিন্তু এই যে আমার বই প্রকাশনা, মায়ের চোখের চিকিৎসা-সবকিছু মিলিয়ে ওর মনটাও আসলে মানছিল না। তাই সুদূর আমেরিকা থেকে ঢাকায় চলে এসেছিল। এটা পরম সত্যি যে সন্তান পাশে থাকলে বাবা-মায়ের মনটাই আসলে অন্যরকম থাকে, শান্তি কাজ করে। ভীষণ সাহস আর জোর থাকে মনের ভেতর। বিপাশা নেই, কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগে। দূর থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আল্লাহ তাকে, তার স্বামী-সন্তানকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন।’


নতুন সঙ্গীর সন্ধানে জেনিফার লোপেজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

‘জেলো’খ্যাত মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ। দীর্ঘদিন ধরে গানের পাশাপাশি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেও সুনাম কুড়াচ্ছেন এই আবেদনময়ী তারকা। তবে গান ও অভিনয়ে ভক্তদের মাতালেও ব্যক্তিজীবনে বড়ই অসুখী জেনিফার লোপেজ। সর্বশেষ বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আবারও একা হয়ে পড়েছেন তিনি। সেই একাকিত্ব দূর করতে আবারও নতুন সঙ্গীর সন্ধান করছেন এই মার্কিন তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম পেজ সিক্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জেনিফার লোপেজ নিজেকে নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত মনে করছেন এবং প্রেমের বিষয়ে তিনি বেশ আশাবাদী।

জান গেছে, জেনিফারের বন্ধুরা তাকে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তিনিও সেই পরামর্শে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, এবার জেনিফার শুধু তারকা কিংবা হলিউডের পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না, বরং বিনোদন জগতের বাইরের মানুষের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ানোর ব্যাপারে বেশ আগ্রহী তিনি। আরও জানা যায়, জেনিফার এমন কারও সঙ্গে ডেট করতে চান, যিনি জনসমক্ষে খুব বেশি পরিচিত নন, তবে তিনি নিজের পছন্দের ক্ষেত্রে খুব বেশি শর্ত বেঁধে দিচ্ছেন না।

এদিকে জেনিফার লোপেজ এবং বেন অ্যাফ্লেক তাদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি, যদিও এটি কার্যকর হয় ২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।

বর্তমানে বেন অ্যাফ্লেক তার সাবেক স্ত্রী জেনিফার গার্নারের সঙ্গে আবারও সময় কাটাচ্ছেন। তাদের ইতোমধ্যে একসঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে। সম্প্রতি একটি পেইন্টবল আউটিংয়ে বেন ও জেনিফার গার্নারকে একে অপরকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। তারা তাদের সন্তান ভায়োলেট (১৯), সেরাফিনা (১৬) ও স্যামুয়েল (১৩)-এর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, যা পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করছে মনে করছেন নেটিজেনরা।


ঈদের সিনেমা কয়টি?

‘বরবাদ’ সিনেমার একটি দৃশ্যে শাকিব খান। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেখতে দেখতে ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি ঈদের সিনেমা। গত রোজার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেলেও এবার ঈদে মুক্তির জন্য শুরুতে আটটি ছবির নাম শোনা গেলেও পরবর্তীতে শোনা যায় হাফ ডজন সিনেমার কথা। তবে এরমধ্যে থেকেও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একটি ছবি বাদ পড়েছে। এ ছাড়া বাদ পড়ার সংশয় রয়েছে আরও দুটি ছবির। এই তালিকায় সবার আগে রয়েছে ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খানের ‘বরবাদ’। এর আগে পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পরে এই প্রতিবেদন লেখার ঠিক এক দিন আগে প্রকাশ্যে আসে সিনেমার প্রথম গান। ‘দ্বিধা’ শিরোনামের রোমান্টিক ধাঁচের এই গানটি ইতোমধ্যেই ভক্ত-দর্শকদের নজর কেড়েছে।

সিনেমাটি নিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এটি আমার সব সিনেমাকে ছাপিয়ে যাবে। একটা সময় বলেছিলাম, আমাদের দেশের সিনেমা আন্তর্জাতিকভাবে রিলিজ হবে হলিউড, বলিউডের সঙ্গে। এখন আমাদের সিনেমা বিশ্বের ৭টি মহাদেশে মুক্তি পায়। ছবিতে শাকিবের নায়িকা কলকাতার ইধিকা পাল। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত, মানব সচদেব, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবুসহ অনেকেই। একটি আইটেম গানে পারফর্ম করছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান।

২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় শাকিবের ব্লকবাস্টারের সঙ্গে বেশ ভালো প্রতিযোগিতা করেছিল ছোটপর্দার শীর্ষ অভিনেতা আফরান নিশোর অভিষিক্ত সিনেমা। এবার ঈদেও দুই তারকা মুখোমুখি হতে চলেছেন। এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে চলেছে আফরান নিশোর ‘দাগি’। মূল চরিত্রে নিশোর সঙ্গে দেখা যাবে তমা মির্জাকে। নিশোর মতো তিনিও প্রায় দেড় বছর বিরতির পর আসছেন ক্যামেরার সামনে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।

২০২৪ সালের শুরুতে শুটিং হয় এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ ছবির। গত বছর যখন প্রেক্ষাগৃহে ঈদুল ফিতরের ছবি নিয়ে মাতামাতি, ঠিক তখনই ছবিটির ফার্স্ট লুক পোস্টার আসে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে তখনই জানানো হয়, সিয়াম অভিনীত ছবিটি ওই বছরেরই ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে। তবে শুটিংয়ের কিছু অংশ বাকি থাকায় তখন ছবিটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার ঈদে সিনেমাটি নিশ্চিত মুক্তি পাচ্ছে বলে দাবি করলেন ছবির নির্মাতাপক্ষ। ছবিতে সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবিতে নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে সিয়াম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অভিনেতাদের জীবনে মাঝেমধ্যে এমন চরিত্র আসে, যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। জংলি আমার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে এ বছর।’

চিত্রনায়িকা বুবলীর আরেক ছবি ‘পিনিক’ মুক্তির কথা থাকলেও নানা কারণে ছবিটি পিছিয়ে দিয়েছেন ছবির নির্মাতা। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় বুবলী বিপরীতে থাকছেন আদর আজাদ। এ ছাড়া অভিনয় করছেন আলীরাজ, ফজলুর রহমান বাবু, জয়িতা মহলানবীশ, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, সমু চৌধুরী।

প্রস্তুতিতে এগিয়ে রয়েছে আরেক সিনেমা ‘জ্বীন-৩’। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া ও আবদুন নুর সজল। সিনেমাটি পরিচালনায় আছেন কামরুজ্জামান রোমান। এরই মধ্যে ছবির ‘কন্যা’ সিনেমারই একটি গান অন্তর্জালে প্রকাশ পেয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। ঈদুল ফিতরের মতো বড় উৎসবে দেখা যাওয়ার কথা লাক্সতারকা আজমেরী হক বাঁধনকে। চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও শেষমেশ চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছেন ছবির প্রযোজনা সংস্থা কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ। এ ছাড়া অনীক বিশ্বাস পরিচালিত ‘খোদা হাফেজ’ নামের একটি ছবিও ঈদে আসছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হচ্ছে নতুন নায়ক ম্যাক দিদারের। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিপা রিয়েলি। তবে প্রত্যাশিত সিনেমা হল না পাওয়ায় ছবিটির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া জয়া আহসান অভিনীত ‘জিম্মি’ ওয়েব ফিল্মটিও মুক্তির কথা রয়েছে এবারের ঈদে দেখা যাক শেষমেশ কয়টি ছবি টিকে থাকে?


অন্য পরিচয়ে সিয়াম আহমেদ  

সিয়াম আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ইতোপূর্বে গানের কোনো তালিম না নিয়েই প্রথমবার কণ্ঠে গান তুলে নিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। আসন্ন ঈদে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র জন্য গান গাইলেন তিনি। তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ছোট পর্দার এই এই সময়ের আলোচিক অভিনেত্রী জান্নাতুল হিমি। এরই মধ্যে গানটির রেকর্ডিং এবং দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। গানটি নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন গান গাইতাম না। হানিফ সংকেত ও কবির বকুল ভাই যদি আমাকে তাগাদা না দিতেন। আমি গানের মানুষ না। আমি ভালো গান গাই না। কিন্তু তারপরও তারা দুজন বলেছেন, এটা তোমার দর্শকদের জন্য ঈদ উপহার, তাই গানটা গেয়েছি।’

গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমরান। তার সঙ্গে সিয়ামের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। গানটি নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘এত মেলোডিয়াস একটা সুর করেছে, আমার মনে হয় না অন্য কেউ হলে এর চেয়ে ভালো কিছু করত। গানটা ফিল্মি। সুন্দর। গানের মেলোডি তো মানুষের মাথায় থেকে যায়। এত সহজ কথা, খুব সহজে মনের সব অনুভূতি বলে দিচ্ছে- গানটা শুনলে এটা বোঝা যায়। আমি মোটেও পেশাদার গায়ক নই, গানটা শোনার সময় সবাইকে এ বিষয়টা মাথায় রাখলে হবে। পরিবারেরই কেউ গানটি গাইছে-এটা ভেবে নিলে চলবে। এটা ভেবে নিলেই আমি হয়তো পার পেয়ে যাব।’

গানে বাবার প্রভাব নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন গানের তালিম নিইনি। সারা জীবন আমি পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। গুনগুন করে আমি তাদের গানই গেয়েছি, বাবা যেসব গান শুনতেন আর আমাকে শোনাতেন। আমার বাবা চমৎকার একজন শিল্পী। বাবাকে যদি সংসার সামলানোর চাপটা তার ছোট বয়সে না নিতে হতো, আমি নিশ্চিত, আমার বাবা একজন সংগীতশিল্পী হতেও পারতেন।’

সিয়াম জানালেন, তার বাবা মান্না দে, খালিদ হাসান মিলু, বারী সিদ্দিকীর মতো শিল্পীদের গান শুনতেন। এই শিল্পীরা সিয়ামেরও প্রিয় শিল্পী। সময়ের সঙ্গে প্রিয় তালিকায় আরও অনেক যোগ হয়েছে। সিয়াম বললেন, ‘বর্তমান সময়ে যারাই গান করছেন, তারা সবাই দুর্দান্ত গায়। মাঝে মধ্যে তাদের সঙ্গে গান নিয়ে আলাপ হয়। আমার মনে হয়, প্রত্যেক শিল্পীকে তার শিল্পকর্ম নিয়ে প্রশংসা শুনতে বেশি ভালো লাগে। এটা তাদের প্রাপ্যও। আর শিল্পীদের প্রশংসা ওপেনলি করা উচিত। আমি গান গাইতে পারি না; কিন্তু আমি খুব ভালো একজন শ্রোতা। সবার গান শুনি।’


শুভ জন্মদিন ‘মঞ্চকুসুম’

শিমূল ইউসুফ
আপডেটেড ২০ মার্চ, ২০২৫ ২১:১০
বিনোদন প্রতিবেদক

‘মঞ্চকুসুম’খ্যাত বহুমুখী শিল্পপ্রতিভার নাম শিমূল ইউসুফ। দেশীয় নাট্যাঙ্গন তথা শিল্প-সাংস্কৃতিক ভুবনের এক উজ্জ্বল বহুশ্রুত একটি নাম। দেশীয় নাট্যাঙ্গনের খ্যাতিমান নির্দেশক ও ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রের পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু সহধর্মিণী। বাংলা অভিনয়রীতি বিকাশে এবং শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চায় অবদানের জন্য কবি বেগম সুফিয়া কামাল ও নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন তাকে ‘মঞ্চকুসুম’ উপাধি দিয়েছিলেন। শিল্পকলায় অবদান রাখারে জন্য ২০২৩ সালে শিমূল ইউসুফকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে সরকার। একাধারে সংগঠক, কণ্ঠশিল্পী, নির্দেশক, ডিজাইনার, কোরিওগ্রাফার- সব পরিচয়েই যেন পূর্ণ তিনি। এরপরও সবার কাছে তিনি অভিনয়শিল্পী হিসেবেই পরিচিত শিমূল ইউসুফ। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের অনন্য সব নাটকে অভিনয়, সঙ্গীতায়ন, পোশাক পরিকল্পনাসহ নানা সৃজনের মাধ্যমে নাগরিক মঞ্চে আধুনিক বর্ণনাত্মক বাংলা নাট্যের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তিনি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরুদ্ধ এক কীর্তিমান নাট্যশিল্পী।

প্রথিতযশা এ ব্যক্তিত্বের আজ জন্মদিন। ১৯৫৭ সালের ২১ মার্চ তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনদের মধ্যে শিমূল ইউসুফ সবার ছোট। জীবনের বিশেষ এই দিনে প্রতিবারেই প্রিয়জনদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নন্দিত এ নাট্যকর্মী। ভেসে যায় তার ফেসবুক ওয়াল। কেউ শিমুল ইউসূফের দীর্ঘায়ু কামনা করেন, কেউ তাকে অভিনন্দিত করেছেন নতুন বছরে, কেউবা আবার প্রশংসা করেন তার ব্যতিক্রমী অভিনয়ের। আর তাদের এই শুভেচ্ছায় প্রতিবারই আপ্লুত হন শিমূল ইউসুফ। নিজের সেই অনুভূতিও শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই জানান তিনি। এরই মধ্যে অগ্রিম শুভেচ্ছা ভরে উঠতে শুরু করেছে তার ফেসবুক ওয়াল এবং ইনবক্স।

শিমূল ইউসুফের তার বাবা মেহতের বিল্লাহ কমলাপুরে একজন গায়ক হিসেবে কাজ করতেন। শিমূল পাঁচ বছর বয়স থেকে গান শুরু করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি রেডিও এবং টেলিভিশনে গান পরিবেশন করতেন এবং কচি কাঁচার মেলা নামক একটি শিশুদের গানের অনুষ্ঠানে গান গাইতেন। শৈশব থেকেই শিমূল ইউসুফ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত এবং গণসঙ্গীতে ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন, পিসি গোমেজ, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, শহীদ আলতাফ মাহমুদ, শেখ লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, ওস্তাদ ইমামউদ্দীন এবং সুধীন দাসের কাছে দীর্ঘদিন শাস্ত্রীয় এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত গানের ওপর তালিম নেন।

মঞ্চাভিনয়ের সূচনা মাত্র ১০ বছর বয়সে। এরপর একে একে পঞ্চাশ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গীতের যুগলবন্ধনে তিনি সৃষ্টি করেছেন স্বকীয় ধারা। শিল্পী হিসেবে সেই শৈশবেই ১৯৬৫ সালে পেয়েছিলেন ‘প্রেসিডেন্ট পদক’। এর আগে ১৯৬২ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অভিনয় ও সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনের সম্প্রচারের প্রথম দিন শিশুশিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নানা ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে পেরিয়ে আসা তার কর্মমুখর শিল্পীজীবন যেন অনবদ্য এক ইতিহাস।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে মঞ্চে কাজ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বহুমাত্রিক এই প্রতিভা বলেন, ‘আমার জীবন সংগীতময় ছিল, সংগীতকে ঘিরেই আমার বেড়ে ওঠা। শহীদ আলতাফ মাহমুদ নিখোঁজ হওয়ার পর আমার জীবনটা ঘুরে যায়। সংগীত ছেড়ে মঞ্চনাটকের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। রাইসুল ইসলাম আসাদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে পেয়ে ভালো লেগেছিল। মঞ্চে নিয়মিত হওয়ার কারণে গাইতে না পারার দুঃখ ছিল, তবে তাদের স্নেহ-ভালোবাসায় দুঃখ ভুলেছিলাম। সংগীত ছেড়ে দিয়েছি, এমন নয়। মঞ্চ আমার জীবনের অনেক দরজা খুলে দিয়েছে। আমি যে গাইতে, সুরারোপ, চিত্রনাট্য সম্পাদনা ও কোরিওগ্রাফি করতে পারি, তা ঢাকা থিয়েটারের না এলে জানতামই না।’

যে স্বপ্ন নিয়ে মঞ্চে এসেছিলেন, ‘কতটুকু পূরণ হয়েছে? জবাবে মঞ্চকুসুম বলেন, আমি নাটক থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট, আমার কোনো দুঃখবোধ নেই। আমি যে ধরনের চরিত্র করেছি, প্রতিটিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনকার কোনো অভিনেত্রীকে বনপাংশুল নাটকের ‘সুকি’ চরিত্রটি করতে বললে মনে হয় না কেউ সাহস করে করবেন। মনোযোগ ও নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছি। নাসির উদ্দীন ইউসুফের নির্দেশনায় কাজটা করেছি।’


banner close