আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘শত্রু’। সুমন ধর পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী ও অভিনেত্রী জাহারা মিতু। গতকাল প্রকাশিত হয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটির ট্রেলার শেয়ার করে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বাপ্পী ও মিতু।
সিনেমাটিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে বাপ্পীকে। ট্রেলার শেয়ার করে বাপ্পী লিখেছেন, ‘অবশেষে চলে এল বহুল প্রতীক্ষিত ‘শত্রু’ সিনেমার অফিশিয়াল ট্রেলার। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঢাকাসহ সারা দেশের সিনেমা হলে শুভ মুক্তি। শত্রু কথা বলবে দেশের, দশের, আদর্শের। শত্রুর পাশেই থাকুন।’
অন্যদিকে অভিনেত্রী জাহারা মিতু ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র শেয়ার করে লিখেছেন, ‘যেই কাগজটির জন্য এত অপেক্ষা। আমার তৃতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে সেন্সর সার্টিফিকেট পেল শত্রু। শত্রু টিমের সবাইকে অভিনন্দন। অফিশিয়ালি শত্রু প্রস্তুত ঈদে মুক্তির জন্য। এবারের ঈদ হোক শত্রুময়।’
বাপ্পীর ‘জয় বাংলা’, ‘কুস্তিগিরি’, ‘যন্ত্রণা’সহ বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সবশেষ ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল তার। এ ছাড়া নতুন করে বেশ কয়েকটি সিনেমার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বাপ্পী। ঈদের পর এসব সিনেমার শুটিং শুরু করবেন বলে জানান এই অভিনেতা।
চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এক বছরের সন্তানকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠে নায়িকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন পরীমণি। ২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের লাইভে তিনি অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথা বলেন এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লাইভের শুরুতেই নিজের স্টাফদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পরীমণি বলেন, আমার জীবনজুড়ে যারা আছে, তারা সবাই আমার স্টাফ। ফ্যামিলির মতো করে ওদের নিয়েই সব বিশেষ দিন কাটে। এই যে মেয়ে, যাকে ঘিরে এখন এত কিছু বলা হচ্ছে, সে গৃহকর্মী দাবি করতেই পারে, কিন্তু আমার কাছে সে গৃহকর্মী নয়।
পরীমণি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করা হয়নি, এবং তাকে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’-এর মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, আমি এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একদম প্রস্তত ছিলাম না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে কড়া গলায় বললেন, এত মিডিয়া ট্রায়াল (একপাক্ষিক সংবাদ) বন্ধ করে দেন। এরপর খানিকটা মুচকি হেসে হুমকির সুরে বলেন, জনগণ কিন্তু আস্ত একটি মিডিয়া, যদি সে সঠিক হয়, সত্যি হয়। এসব স্ট্যাম্পমারা মিডিয়ার দরকার হয় না। এগুলো করবেন না, এগুলো সুন্দর দেখায় না। আপনারা হবেন সাপোর্টিভ, এগুলো কি করেন আপনারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা মিডিয়াকর্মী হয়ে যদি কাউকে বাড়তি সুবিধা দিই, সেটা ঠিক না। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে, সেটা যাচাই না করেই যদি আমরা দোষী বানিয়ে ফেলি, সেটা কি ন্যায্য? আমি যদি দোষ করি, অবশ্যই শাস্তি পাব। কিন্তু আগে প্রমাণ তো হোক।
পরীমণি বলেন, একতরফা করবেন না, করলে সবদিক থেকেই করবেন। প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করেন, আমার বাসার নিচে আসতে হবে না। আমি নিজেই আপনাদের কাছে যাব। আমি আপনাদের কয়বার নক দিয়েছি, ওই মেয়ে যে আপনাদের নক দিয়েছে? আপনাদের নাম্বার ও কীভাবে পেল? নাকি আপনাদেরই গরজ। নাকি হাতে এস লেখা বলে আপনাদের বলদ ফলদ বলেছিলাম বলে আপনাদের গায়ে লাগল? তো বলদের প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছেন?
উল্লেখ্য, এরপর বেশ খানিকটা উত্তেজিত হয়ে পরীমণি বলেন, আপনারা আইন, সংসার, জীবন-সবকিছুর ঊর্ধ্বে যেতে চান। হুমকির সুরে পরীমণি আবার বললেন, 'হিসাব কিন্তু একদিন আপনাদের দিতেই হবে। মিলিয়ে নিয়েন।
তিনি আরও বলেন, আমার হাতে সমস্ত প্রমাণ আছে, কিন্তু আমি এখনই কিছু দিতে চাই না, কারণ আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। লাইভে একাধিকবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। লাইভের শেষাংশে তিনি বলেন, এই যে মিডিয়া ট্রায়াল, দয়া করে এটা বন্ধ করুন। অন্যদিকে, এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ বাংলাদেশের কোনো সিনেমা হল এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের আংশিক শুনানি হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সিনেমার অংশ বিশেষ আদালত খাস কামরায় দেখবেন। তারপর আদেশ দেবেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ রিট দায়ের করেন হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে- তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল কুমার বাগমার।
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘ফারাজ সিনেমা বাংলাদেশের কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ কোথাও যেন প্রদর্শন করা না হয়, সেজন্য রিটটি দায়ের করা হয়েছে।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘সিনেমায় যেটি চিত্রায়িত করা হয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে দুইজন জঙ্গি কথা বলছেন, তার মধ্যে একজনের সঙ্গে অবিন্তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল বা আছে। তার পোশাক-পরিচ্ছেদ এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যা আমাদের সভ্য সমাজে শিক্ষিত পরিবারের লোকজন পরিধান করে না। এই সিনেমায় মেয়েটাকে চারিত্রিকভাবে অবনমিত করা হয়েছে। এমনকি পুলিশকে ব্যর্থ দেখানো হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বেরও প্রশ্ন। এসব কারণে এই সিনেমাটি বাংলাদেশের কোনো প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত নয়। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।’
আহসানুল করিম বলেন, ‘নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনসহ কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যেন ফারাজ মুক্তি দেয়া না হয়, যেন বিটিআরসিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়, সে আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।’
ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফারাজ’ গত ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে। হংসল মেহতা নির্মিত সিনেমাটির প্রযোজক আরেক বলিউড নির্মাতা অনুভব সিনহা।
সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি নুরুজ্জামান লাবুর লেখা ‘হোলি আর্টিজান: একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান’ বইয়ের সূত্র ধরে।
মুক্তির আগেই এ সিনেমা নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিল অবিন্তার পরিবার। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন তার মা রুবা আহমেদ। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ফারাজ সিনেমাটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। সিনেমাটির নির্মাতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ ঘটনায় তারা সহমর্মিতাও প্রকাশ করেনি। আইনি নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অবিন্তার পরিবার সূত্র জানায়, অনুমতি ছাড়াই সিনেমাটিতে অবিন্তা কবির ও তার পরিবারের সদস্যদের চরিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে অবিন্তার পরিবারের সদস্যরা বিব্রত।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে যৌথভাবে সেরা হয়েছে বাংলাদেশের ছবি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। এবারের আসরের ‘ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন: ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজ’ বিভাগে অংশগ্রহণ করে ছবিটি।
সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের জীবনসংগ্রাম উঠে এসেছে ছবিটিতে। বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকেন ভাটির মানুষেরা তাদেরই গল্প বলার চেষ্টা করেছেন পরিচালক মুহাম্মদ কাইউম।
গল্পের কেন্দ্রে আছে সুলতান নামের এক যুবক। ধান কাটা শ্রমিকদের সঙ্গে হাওরে আসে সে। কাজ নেয় এক বৃদ্ধের বাড়িতে। ধীরে ধীরে হাওরের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে সুলতান, পরিবারের সবার সঙ্গে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে যেতে থাকে। একসময় সেখানে বিয়ে করে ঘর বাঁধে। তবে তার সুখের সংসার একদিন ভেসে যায় পাহাড়ি ঢলে।
সিনেমার চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে সুনামগঞ্জে। অভিনয় করেছেন জয়িতা মহলানবীশ, উজ্জ্বল কবির হিমু, আবুল কালাম আজাদ, সুমী ইসলাম, সামিয়া আকতার বৃষ্টি, বাদল শহীদ, মাহমুদ আলম প্রমুখ।
গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পায় ছবিটি। এরপরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াললি আমন্ত্রিত হয়।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে রাজবাড়ীতে শুটিং হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘যাপিত জীবন’-এর। দেশভাগ ও ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ঘিরে সরকারি অনুদানের এই ছবিটি পরিচালনা করছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সিনেমায় প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যাবে অভিনেতা আফজাল হোসেন ও অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে। গত ২৮ নভেম্বর থেকে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন আফজাল হোসেন ও রোকেয়া প্রাচী।
আফজাল হোসেনের সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করা প্রসঙ্গে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘আফজাল ভাই দারুণ অভিনেতা। এই বয়সে এসেও আমার অনেক শেখার ইচ্ছা। আফজাল ভাইদের মতো অভিনেতাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আফজাল হোসেন দৈনিক বাংলাকে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি দেশভাগের গল্প। মানুষ শান্তির জীবন কাটাতে গিয়ে কত কিছুর সঙ্গে লড়াই করে। এসব নিয়ে গল্প।’
সিনেমায় এই দুজনের সন্তানের চরিত্রে দেখা যাবে রওনক হাসান ও ইমতিয়াজ বর্ষণকে। এ ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন ডলি জহুর, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত, আজাদ আবুল কালাম, রওনক হাসান, আশনা হাবিব ভাবনা, ইমতিয়াজ বর্ষণ, মৌসুমী হামিদ প্রমুখ।