বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতাধীন নগর পরিবহনের রুটে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিন বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির পদাধিকার বলে সভাপতি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজকের সভায় গত ২৭তম সভার সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতাধীন নগর পরিবহনের রুটে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তবে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ রোডগুলো বিশেষ কারও জন্য বা বিশেষ কোনো পরিবহনের জন্য আমরা বরাদ্দ রাখতে চাই না। আমরা চাই যেকোনো উপায়ে এই রুটগুলোতে শৃঙ্খলিতভাবে গণপরিবহনগুলো চলাচল করুক। আর এর জন্য যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, আমরা সব পদক্ষেপ নেব।’
‘জনসংখ্যা অনুযায়ী কোনো রুটে কতক্ষণ পর পর কয়টি বাস চলাচল করবে সেসব বিষয়ে আমরা আরও বিস্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি নগর পরিবহন সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য আরও কতটা আধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ ছাড়া আগের যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেগুলোর সমাধানের মাধ্যমে আমরা ওভারকাম করতে পারব’- বললেন প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, ‘ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে আজকে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়টি যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে, অথবা পরামর্শ থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তী সভায় আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী। এ ছাড়া বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য-সচিব এবং ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতারসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সব শেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ন রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বৈশাখ মাসের শুরুর দিকেই মুষলধারে বৃষ্টি দেখল রাজধানীবাসি। কদিন আগে চৈত্র মাসের তাপদাহে অতিষ্ট ছিল শহরের মানুষ। বৈশাখ মাসের তৃতীয় দিনেই ঝুম বৃষ্টিতে যেনো এক প্রশান্তি এনে দিয়েছে।
কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর রাজধানীতে মুষলধারে হওয়া এ বৃষ্টি গরমের তীব্রতা কমিয়েছে। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শুরু হয় এ বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও বইছে। এদিন সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়।
এদিকে বৃষ্টিতে শহরের অনেক জায়গায় পানি জমে যানজটের সৃষ্টির হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে গ্রিন রোডে সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা পানিতে আটকে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া আদাবর, নূরজাহান রোড, ধানমন্ডি, কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোড, কাঁঠালবাগান, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, বংশাল, বকশীবাজার, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, তেজকুনীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে।
রাজধানীতে বৃষ্টির কারণে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে।
ইসরাইলি বাহিনীর নির্মম হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের কর্মসূচি থাকলেও সকাল থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাস ও আশপাশে ভিড় বাড়তে থাকে সর্বস্তরের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের।
সকাল থেকে ঢাবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, মেডিকেল মোড় ও নীলক্ষেত মোড় হয়ে ছোট-বড় অসংখ্য মিছিল সোহরাওয়ার্দীর উদ্দেশে যাত্রা করছে। মিছিলকারীদের হাতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা গেছে। অনেকেই কপালে ফিলিস্তিনি পতাকা বা কালিমার ব্যান্ড বেঁধে সংহতি প্রকাশ করছেন। লক্ষ্য একটাই—সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিণত হয়েছে মানুষের ঢলে। মিছিল এসে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করছে একের পর এক।
রাজু ভাস্কর্য এলাকা সকাল ১০টা থেকেই মুখরিত হয়ে ওঠে জনতার স্লোগানে। কেউ কেউ ভাস্কর্যের ম্যুরালের ওপর উঠে বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে চলছে নানান স্লোগান।
দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
সমাবেশে অংশ নিতে ময়মনসিংহ থেকে আসা জাফর আহমেদ বলেন, “ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা ইতিহাসে নজিরবিহীন। নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর নিয়মিত গণহত্যা চালানো হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা নিশ্চুপ। বিশ্বশক্তি ও মুসলিম বিশ্ব কেউই কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। বরং আমেরিকা এই হামলার পৃষ্ঠপোষকতায় জড়িত। আমরা হয়তো সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে পারছি না, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে সমবেত হয়েছি।”
ঢাবি ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে যে বিপুল জমায়েত দেখা গেছে, তা যেন হয়ে উঠেছে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের প্রতীক।
মাদকসহ রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ইউনিক রিজেন্সী হোটেল এন্ড রুফটপ স্কাই রেস্টুরেন্টে রংধনু গ্রুপের হেড অফ মিডিয়া মো. সাইফুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপর দুজন হলেন- ইউনিক রিজেন্সী হোটেল অ্যান্ড রুফ টপ স্কাই রেস্টুরেন্টের ইকবাল মাহমুদ বাপ্পী, তার সহযোগী মো. ইয়াছিন আল শুভ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল ইসলামসহ তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬ কেজি সীসা, সীসা সেবনের ১৩টি হুক্কা, ১৬টি খালি মদের বোতল ও তিনটি আইফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়।
এদিকে আজ শুক্রবার উক্ত মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক শাহ জালাল খান। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রসিকিউশন বিভাগের মো. সাব্বির গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ৮৬ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. তাফসিরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা গাঁজার মূল্য প্রায় ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে-স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পারে স্বামী তাফসির পেশাদার মাদক কারবারী। পরে অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮৬ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। উদ্ধার করা গাঁজা তাফসির বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, গত বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য স্বামী তাফসিরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরে রেকর্ডপত্র যাচাই করে তফসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পায় পুলিশ। এরপর নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তিনি একজন পেশাদার মাদক কারবারি এবং তার বাসার একটি কক্ষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রয়েছে।
পরে তার দেওয়া তথ্যে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তার ভাড়া বাসার ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য প্রায ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় তফসিরের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই ঢাকার দূষিত বাতাসের মান আবারও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। যেখানে গতকাল শনিবার ছিল নবম।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকাল ৮টার ৫০ মনিটে ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও পাকিস্তানের লাহোর শহর যথাক্রমে ২৮৮, ২২৯ ও ২০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
সূত্র : ইউএনবি
রাজধানীর শাহবাগে ফুলের দোকানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান।
তিনি জানান, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে আগুন শাহবাগের ফুলের দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করেছে।
শনিবার রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান জানিয়েছেন, বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছি। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
এছাড়া আগুনে কেউ হতাহত হননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজধানীর শাহবাগের ফুল মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান সমকালকে জানান, খবর পেয়ে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।
ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার খুলছে সরকারি অফিসগুলো। বেসরকারি অফিসগুলো খুলে গেছে আজ শনিবারই। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। ঈদে বাড়ি যাওয়া এসব ঘরমুখো মানুষরা ফিরে আসায় চির চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ঈদের ছুটিতে যত মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন শনিবার সকাল পর্যন্ত ফিরেছেন তার ৪০ শতাংশ। আর আজ সারা দিনেই ঢাকার সবগুলো দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাটের লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে গ্রাম থেকে মানুষকে সপরিবারে ফিরতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের মধ্যেই ঢাকায় প্রবেশ করেছেন গ্রামে যাওয়া ৮০ শতাংশ মানুষ।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে এখনো নেই যানজট, নেই গাড়ির বাড়তি চাপ। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় সড়কে আজ যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশি। বাড়ি থেকে ফেরা মানুষরা ব্যাগ-বস্তা নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ সিএনজিতে, কেউ রিকশায়, কেউ আবার বাসে করে আবাসস্থলে যাচ্ছেন। ফলে সড়কে আজ মানুষের আনাগোনা ছিল বেশি।
ঈদের আনন্দ শেষে ভোরের বাসে যশোর থেকে ঢাকায় ফিরেছেন ফার্মগেটের বাসিন্দা তানজিমুল ইসলাম। ফার্মগেটে কথা হলে তানজিম বলেন, কাল থেকে অফিস শুরু। তাই আজ চলে আসতে হয়েছে। আজ অনেক মানুষ ঢাকায় ফিরছে। বাসের টিকিট পেতে কষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকার টার্মিনালগুলোতেও ভিড় ছিল।
সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি এখনো শেষ না হলেও বেশিরভাগ বেসরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি শুক্রবারই শেষ হয়ে গেছে। ফলে আজ থেকেই কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে বেসরকারি অফিসগুলো। তবে ছুটির আমেজ এখনো না কাটায় সেখানেও নেই কর্মব্যস্ততা।
কারওয়ান বাজারের একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন রাসেল। তিনি বলেন, কলিগদের বেশিরভাগই ফিরে এসেছেন। দুই-একজন বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তারা এখনো ফেরেননি। কাজ শুরু হলেও আজ তেমন চাপ নেই।
এদিকে বেশ কয়দিন বন্ধ থাকার পর মার্কেট-বিপণিবিতানসহ বেশিরভাগ দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেই সময় কাটছে তাদের।
ফার্মগেট এলাকার ইন্দিরা রোড সোসাইটিতে একটি ডিপার্টমেন্টল স্টোর চালান হাবিব। ঈদের সময় সকাল-বিকেল মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টা দোকান খোলা রাখলেও শুক্রবার থেকে পুরোপুরি দোকান শুরু করেছেন তিনি। হাবিব বলেন, ঈদের সময় কয়েক ঘণ্টা করে দোকান খুলেছি। গতকাল থেকে পুরোপুরি খোলা রাখছি। তবে কাস্টমার নেই। আগের মতো কাস্টমার হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী, ফিরেছেন ৪৪ লাখ
এদিকে, ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যার ভিত্তিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটি উপাত্ত প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল সংস্থাটির দেওয়া উপাত্ত অনুসারে এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে গত সাত দিনে ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। তবে সাত দিন পর ৪৪ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।
মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দেওয়া সিম মবিলিটির হিসাবে এই তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মোবাইল অপারেটরগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনে মোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ১৫৫ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। এ সময় ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২৭৯ সিম ব্যবহারকারী।
সবচেয়ে বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন ৩০ মার্চ। এই দিন ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬১ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ত্যাগ করেন। আবার ওই দিন ঢাকায় এসেছেন মাত্র ৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ সিম ব্যবহারকারী।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় ফিরেছেন ৩ এপ্রিল। এই দিন ঢাকায় প্রবেশ করেছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ সিম ব্যবহারকারী। কিন্তু একই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন মাত্র ৮ লাখের মতো সিম ব্যবহারকারী।
নির্দিষ্ট অপারেটরভিত্তিক তথ্য বলছে, প্রতিদিনই গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের গ্রাহকদের বড় একটি অংশ রাজধানী ত্যাগ করেছেন। ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু গ্রামীণফোনের ৬৩ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
তবে এক ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করায় এই সংখ্যা প্রকৃত ব্যক্তির সংখ্যা নয়। অনেকেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে সব অপারেটরের নম্বর নিবন্ধন করে থাকেন।
এ ছাড়া শিশুসহ এমন অনেকেই ঢাকা ছেড়েছে, যারা কোনো মোবাইল সিম ব্যবহার করে না। তাদের নামে সিম নিবন্ধন করা নেই।
রাজধানীর বংশালে বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় ফাষ্টফুডের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুনের ঘটনায় নারীসহ দগ্ধ ছয়।
একটি ভাসমান হকারের ফাস্টফুডের দোকানে সিলিন্ডারের লুজ পাইপ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এতে ফাস্টফুডের মালিক ও ক্রেতাসহ ৬ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধরা হলেন- রিমঝিম (১৬), মেহেদী হাসান (১৮), সাগর (২৫), ইকবাল (৩১), নয়ন (২৯) ও অপূর্ব (১৮)।
গতকাল সোমবার ঈদের দিন রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নগরীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বংশাল এলাকায় আগুনে দগ্ধ অবস্থায় ৬ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।
তবে তাদের শরীরের দগ্ধের পরিমাণ কম। সাগর নামে একজনের ১১ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদেরকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে বংশালের বাংলাদেশ মাঠে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ফাস্টফুডের দোকানে আগুন লেগে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দোকানে থাকা গ্যাসের চুলার পাইপের গোলযোগের কারণে এই আগুনের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঈদের ছুটিতে ঢাকার রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেলেও বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে চার নম্বরে। বায়ুমানের স্কোর ১৫৩, যা অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ারে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে নেপালের কাঠমান্ডু (স্কোর ২৫৬)। অর্থাৎ সেখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরটির দূষণ স্কোর ১৯২ অর্থাৎ এই শহরের বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় তালিকায় রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়ান মাই (স্কোর ১৬৪) যা অস্বাস্থ্যকর। তালিকায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৫১), চীনের উহান (১৪৭)।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাতপবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টা।
এরপর এক ঘণ্টা পর পর একটি করে জামাত হবে। শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। গত বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঈদের দিন সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৭টায় প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী।
মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উল ফিতর উদযাপনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ভ্যানগার্ড হিসেবে নগরবাসীর পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ডিবি কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্তে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ডিএমপি সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরে চেকপোস্ট টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিএমপির ৫০ টি থানা এলাকায় প্রতিদিন জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭ টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া মহানগর এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৭১টি পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, পুলিশকে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে অক্সিলিয়ারি ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। ইউনিফর্মড পুলিশের পাশাপাশি মহানগরীর নিরাপত্তায় ডিবির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিম মাঠে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও নগরবাসীর নিরাপত্তায় ডিবি 'ভ্যানগার্ড' হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ও যাবে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বিপণিবিতান, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ডিবির কার্যক্রম আরো বেগবান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ডিবি সর্বদা নগরবাসীর পাশে রয়েছে। নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে ডিবি সদা প্রস্তুত। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, রেলস্টেশন বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য ডিবি গোয়েন্দা নজরদারি পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া ডিবির সাইবার টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। সাইবার স্পেস ব্যবহার করে ঈদ উপলক্ষ্যে যেকোনো অপপ্রচার রোধে ডিবি তৎপর রয়েছে। প্রো অ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের অংশ হিসেবে ডিবির জাল সর্বত বিস্তৃত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে ডিবি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
রেজাউল করিম মল্লিক আরো বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহ রোধে ডিবি অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে ডিবির অভিযানে বিপুল সংখ্যক জালনোট ও জালনোট তৈরির সরঞ্জামসহ চক্রের বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোজা শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত ডিবির অলআউট অ্যাকশনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিনতাইকারী, ডাকাত, চাঁদাবাজ ও বিভিন্ন অভ্যাসগত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া ডিবির মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ঈদে মহল্লা, বাসা/মার্কেটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, থানা বা ডিবিকে অবহিত করবেন। তাছাড়া ডিএমপির কন্ট্রোল রুমের নম্বর অথবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। বিপণিবিতানসহ যে কোনো স্থানে নাশকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কিত যেকোন তথ্য থাকলে ডিবিকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নৌপথে ঘরমুখো বাড়ি ফেরার মানুষের ভীড় বেড়েছে। রমজানের শেষে এসে যাত্রী চাপ বাড়ায় অনেকটা খুশি লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরতে পারছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, পন্টুনগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অন্য দিনগুলোর তুলনায় শুক্রবার লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন লঞ্চগুলোও যথাসময়েই ঘাট ছেড়ে গেছে। মূলত শুক্রবার থেকে সকল বেসরকারি অফিসসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় এ ভিড় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, দিনের শুরুতেই পল্টুনগুলোতে নৌপথে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপস্থিতি গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। সকালে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী পন্টুনে বেশ ভিড় দেখা যায়। বরাবরের মতো এদিন দুপুরে যাত্রীদের ভিড় সকালের তুলনায় কম থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় দুপুরে ভিড় একেবারে খারাপ ছিল না। বিকেলে আবার যাত্রীর ভিড় বেড়ে জনসমুদ্র তৈরি হয়। এদিন সব থেকে ভিড় ছিল ইলিশা রুটে। ভোলা রুটের লঞ্চগুলোতেও যাত্রী ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেলে বরিশালগামী লঞ্চগুলোতেও যথেষ্ট ভিড় ছিল।
এদিন বরিশালগামী লঞ্চ সুন্দরবন-১০ এ মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। লঞ্চটির স্টাফ মোজাম্মেল হোসেন জানান, আগে ঈদের সময় সদরঘাট থেকে বরিশালগামী প্রতিটি লঞ্চের একটি অগ্রিম টিকিট পাওয়ার জন্য যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকতো। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কেবিনের টিকিট না পেয়ে অনেকের মুখ মলিন হতো। একপ্রকার নিরুপায় হয়ে পরিবার নিয়ে ডেকে বসে যেতেন অনেকে। কেউ কেউ ডেকে জায়গা না পেয়ে লঞ্চের ছাঁদে উঠতেন। আবার কেউ নিজ থেকেই টিকিটের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে চাইতেন। কিন্তু সে চিত্র এখন আর নেই। এখন টিকিটের কোনো বাড়তি চাপ নেই। ঘাটে আসলেই টিকিট পাওয়া যায়। এখন খুব বেশি প্রয়োজন হলে যাত্রীরা ফোনে যোগাযোগ করেন।
ইলিশাগামী যাত্রী হারুন শেখ জানান, সদরঘাটে এসেছি জ্যাম ঠেলে। এছাড়া আর কোনো ভোগান্তি নেই। কেবিন পেতে সমস্যা হয়নি। অভিযান-৫ লঞ্চের একটি সিঙ্গেল কেবিন নিয়েছি। ভাড়াও ঠিকঠাক নিয়েছে
ভোলাগামী যাত্রী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সদরঘাটের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। ঈদে পরিবারের সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে বাসায় যাচ্ছি।
সদরঘাটে দায়িত্বরত আনসার সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। সবাই সবার দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সদরঘাটে এখনো পর্যন্ত তেমন ভিড় দেখছি না। গার্মেন্টস ছুটি হলেই লঞ্চ ভরবে। আশা করছি ঈদের আগে আরও ভিড় হবে।
লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড়ের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নদীবন্দর, সদরঘাট) মুহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, ঘাটে ভালোই ভিড় আছে। বিশেষ লঞ্চও চলছে।