বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের আইন মানার শিক্ষা দিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৪ ২১:৫১

শিক্ষকতা শুধু চাকরি নয়- এর মধ্যে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা যেন ভালো রেজাল্ট করতে পারে সে জন্য আপনারা (শিক্ষকরা) প্রত্যেকের জায়গা থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। দায়িত্বটা অবশ্যই নিজের ভেতর থেকে হতে হবে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের আইন মানার সংস্কৃতি ও নৈতিকতার শিক্ষাও আপনাদেরই দিতে হবে, যেন তারা সমাজে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’

শনিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ সেহেলি নাজনীন। নতুন ভবনটি করার জন্য তিনি ডিএমপি কমিশনারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, লজিস্টিকস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সোমা হাপাং, ওয়েলফেয়ার ও ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সোহেল রানা, শিক্ষক, অভিভাবক পক্ষের প্রতিনিধি ও ডিএমপির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


অবৈধ সম্পদ অর্জন: রাজউক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় দুই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ-২) মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী সাহানা পারভীনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এজাহারে বলা হয়, রাজউকের পরিচালক মোবারক হোসেন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজের নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট এক কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য থাকার ঘোষণা করেন। যাচাইকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দাখিল করা সম্পদের সত্যতা পাওয়া যায়। এই সম্পদের বিপরীতে চাকরিকালীন বিভিন্ন খাত হতে আয় থেকে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ব্যতিরেকে সঞ্চয় ও ঋণ গ্রহণসহ মোট বৈধ উৎসের পরিমাণ পাওয়া যায় ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার ২০৮ টাকা। এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বৈধ উৎসের চেয়ে অতিরিক্ত ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ টাকা আয়ের কোনো বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।

অর্থাৎ আসামি মো. মোবারক হোসেনের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা করা হয়।

অন্যদিকে মো. মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাহানা পারভীনের নামে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, দাখিলকৃত সম্পদ বিরবণীতে তিনি নিজ নামে ৬০ লাখ ৯০ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের স্থাবর ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭০১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্যসহ সর্বমোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ২৬১ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দাখিল করেছেন। তবে সাহানা পারভীনের নামে বর্ণিত সময়ে আয় থেকে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে নীট সঞ্চয়সহ অন্যান্য বৈধ প্রাপ্তিসহ মোট বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪১ লাখ ২ হাজার ১০৯ টাকা। এ ক্ষেত্রে আসামি সাহানা পারভীনের নামে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রাখার সত্যতা পাওয়া যায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে সাহানা পারভীন, স্বামী মো. মোবারক হোসেন, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২), রাজউকের অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এই সম্পদ অর্জন করেছেন। সুতরাং আসামি সাহানা পারভীন ও তার স্বামী মো. মোবারক হোসেন পরস্পর যোগসাজশে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রাখেন। অপরাধলব্ধ অর্থ দ্বারা উভয়ে একে অন্যের সহায়তার মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়।


নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মহাখালী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মামুন হোসেন, আবু বক্কর ও হাসিবুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ ও ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল মঙ্গলবার মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এর সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তার মামুন হোসেন জানায়, তিনি অনলাইনে মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানী ও তামিম আল আদনানির বক্তব্য শুনে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হন। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে বিভিন্ন আইডির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সংগঠনটির হয়ে কাজ শুরু করেন। সংগঠনের সদস্য নাজমুল হাসান ওরফে ওসমান ও আবু কায়সার ওরফে রনির সঙ্গে মামুনের অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
একপর্যায়ে রনি মামুনকে জানান ‘পটাশিয়াম নাইট্রেট’ দিয়ে বিস্ফোরক বা বোমা বানানো যায়। সেই সঙ্গে আলীবাবা ওয়েব সাইট থেকে অর্ডার করার জন্যও মামুনকে নির্দেশনা প্রদান করেন। নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে একত্রিত হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার সহযোগি নাহিদ ফেরদাউস, মালয়েশিয়ায় এবং জ্যাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তখন তাদেরকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা যায়নি। ওই ঘটনার পর মামুন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গ্রেপ্তার আবু বক্করের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মামুন আবু বক্করকে সংগঠনের নাহিদ ফেরদাউসের বিষয়ে বলেন এবং নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগের নাম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বর দেন। আবু বক্কর কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে অনলাইনে নাহিদ ফেরদাউস এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নাহিদ ফেরদাউস সংগঠনের জন্য বিদেশ থেকে আবু বক্কর এর কাছে নিয়মিত অর্থ পাঠায়। আবু বক্কর এই অর্থ সংগঠনের কাজে ব্যবহার করেন। নাহিদ ফেরদাউস সংগঠনের গুরুত্বপুর্ণ সদস্য জ্যাকের সঙ্গে আবু বক্করকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং জ্যাক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে বলে জানায়। জ্যাক আনসার আল ইসলাম সংগঠনে নিয়মিত অর্থায়ন করে বলেও জানায়।
আরও জানা যায়, পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আবু বক্কর গ্রেপ্তার হাসিবুল ইসলামকে আনসার আল ইসলামের দাওয়াত দেন এবং নাহিদ ফেরদাউস ও জ্যাকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। হাসিবুল ইসলাম ও নাহিদ ফেরদাউস জ্যাকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। জনশক্তি পাঠানোর আড়ালে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের সদস্যদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে এবং দেশে সংগঠনটির নেটওয়ার্ক স্থাপন করে। বিদেশে অবস্থানরত সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা করে।
গ্রেপ্তাররা তাদের পলাতক সহযোগিদের নিয়ে বাংলাদেশের জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র করে। তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে মিলিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।


মাদক-জুয়ার টাকার জন্য চালককে হত্যা, অটোরিকশা ছিনতাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত তারা। বন্ধুরা মিলে এই মাদক ও জুয়ার টাকা জোগাড় করতে প্রথমে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এ জন্য তারা সহজ-সরল এমন ব্যক্তিকে টার্গেট করে যে ছিনতাইয়ের সময় বাধা দিতে পারবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পরিচিত রবিউল ইসলামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়া করে। পরে নরসিংদীর শিবপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে সাতপাইকা এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায় অটোরিকশাচালক রবিউলকে। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পলাতক রয়েছে আরও একজন। গ্রেপ্তাররা হলেন- নাহিদ শেখ (২২), হুমায়ুন (৪০), লিটন খান (৪৫), জুবায়ের হাসান অমি (১৯), শাজিদুল ইসলাম হাসিব (১৯), রাকিবুল (২০) ও জুয়েল (২০)। এদের মধ্যে নাহিদ, হুমায়ুন, লিটন, জুবায়ের ও হাসিব আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত ক্লুলেস (সূত্রবিহীন) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদী জেলার পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর সকালে নরসিংদী জেলার শিবপুর এলাকার সাতপাইকা পাঁকা রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে একটি অজ্ঞাতনামা কিশোরের গলা কাটা মরদেহ পড়ে ছিল। খবর পেয়ে নরসিংদী জেলার পিবিআই ও ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভুক্তভোগির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি রবিউল ইসলামের মা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি নরসিংদীর পিবিআই গ্রহণ করে।
এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, তদন্তকালে ঘটনার সম্ভাব্য কারণ, ঘটনার প্রকৃতি এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য আসামিদের শনাক্ত করার বিষয়ে নানান তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। পরে জানা যায়, ভুক্তভোগি একজন অটোরিকশা চালক। তিনি কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। আসামিরা রবিউল ইসলামকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। এ ঘটনার কোন ক্লু (সূত্র) না থাকায় ওই এলাকার সন্দেহজনক কিছু অটোরিকশা গ্যারেজের প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়। এক পর্যায়ে শিবপুর অঞ্চলে যাদের চোরাই অটো বাইক/গাড়ি কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে একজন সন্দেহভাজন আসামি রাকিবুলকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাকিবুল ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অটোরিকশাটি নাহিদের মাধ্যমে বিক্রিতে সহায়তা করেছেন বলে জানান। কিন্তু হত্যার বিষয়ে কোনো কথা স্বীকার করেননি।
তার দেওয়া তথ্যমতে আসামি মো. নাহিদ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি নাহিদ অটোরিকশাটি বিক্রির কথা স্বীকার করেন এবং যে গ্যারেজে বিক্রি করা হয়েছিল তা শনাক্ত করেন। পরে পিবিআই ওই এলাকার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামি মো. হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, আসামি মো. লিটন খাঁনের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, গ্যারেজ মালিক গ্রেপ্তার মো. লিটন খাঁন অটোরিকশাটি ৩০ হাজার টাকায় কেনার কথা বিষয়টি স্বীকার করেন। অটোরিকশাটি যাতে কেউ চিনতে না পারে তাই গাড়ির রং ও কিছু পার্টস পরিবর্তন করেন তিনি। পরে আসামি নাহিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদের কাছে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি যারা নিয়ে এসেছিলেন তাদের নাম জানা যায়। ঘটনার তদন্তে তদন্তকারী একাধিক দল নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভৈরব, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে হত্যাকারী দুজনসহ গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়, রং ও মডেল পরিবর্তন ও সংরক্ষণের সংশ্লিষ্ট মোট পাঁচ আসামি নিজেদের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
তাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, রবিউল হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামি অমি, নিহাল, হাসিব একইসঙ্গে চলাফেরা করতেন। তারা নিয়মিত মাদক সেবন ও অনলাইনে জুয়া খেলতেন। এক পর্যায়ে আসামিরা মাদক ও জুয়ার টাকা সংগ্রহের জন্য অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। তারা আগে থেকে চেনা সহজ-সরল অটোরিকশাচালক রবিউল ইসলামকে টার্গেট করে।
ঘটনার দিন দুপুর অনুমানিক ২টার দিকে আসামি অমি, নিহাল, হাসিব শিবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামকে পেয়ে তাকে অটোরিকশা নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আসামি হাসিবের বাড়ির সামনে থাকতে বলেন। আসামি অমি ও নিহাল বিকেল ৪টার আগেই হাসিবের বাড়ির সামনে উপস্থিত হন। ভুক্তভোগী রবিউল বিকেল ৪টার দিকে হাসিবের বাড়ির সামনে গেলে অমি, নিহাল, হাসিব তার অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দেন। এক পর্যায়ে তারা শিবপুরের সাতপাইকের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আড্ডা দেন। আড্ডা শেষে বাড়ির দিকে রওনা হওয়ার কথা বলে আসামিদের দুইজন পেছনে এবং একজন সামনে চালক রবিউলের পাশে বসেন। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপনে সঙ্গে নিয়ে আসা চাপাতি বের করেন। এ সময় আসামি হাসিব ও নেহাল ভুক্তভোগী রবিউলের হাত-পা জাপটে ধরে রাখেন। আসামি অমি চাপাতি দিয়ে বেপরোয়াভাবে তার গলায় কোপান। ঘটনাস্থলেই রবিউল মারা যান। তখন আসামিরা রবিউলের মরদেহ রাস্তার পাশে থাকা ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে চলে যান। পরে রাকিব, নাহিদ, জুয়েল ও হুমায়ুন অটোরিকশাটির রং ও মডেল পরিবর্তন করে আসামি লিটন মিয়ার কাছে ৩০ হাজার টাকায় গাড়িটি বিক্রি করেন।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, আসামি অমির স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামি নেহালকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যা করার প্রবণতা বেড়েছে। এই ছিনতাই ও হত্যা প্রতিরোধে প্রতিটি অটোরিকশার তিনদিকে গ্রিলের তৈরি গেট রাখতে হবে। চালকের পাশে কোনো যাত্রী তোলা যাবে না। প্রয়োজনে গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং এই সমস্ত গাড়িগুলো রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে হবে।


‘বাসসেবা চালু না করলে স্কুল বন্ধ’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবহনে বাসসেবা চালুর তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বাসসেবা চালু না করলে স্কুল বন্ধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

বুধবার ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসসেবার উদ্বোধন করেন মেয়র। সেখানে তিনি বলেন, যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্কুলে বাসসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। সে জন্য বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। স্কুলগুলো বলছে, কোনো একটা স্কুলে বাস চালুর পর কী হয় তা দেখতে চায় তারা।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এটা শুরু করতে পারছিলাম না। দফায় দফায় বৈঠক করতে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে, ডিএমপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি স্কুলের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে চালু হওয়ার পর তারা দেখতে চায়। আমরা তো চালু করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যারা ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় স্কুল গড়ে তুলেছেন, আপনাদের কিন্তু সময় এসেছে স্কুলবাসে আসার। নইলে কিন্তু আমরা আপনাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য থাকব। এভাবে শিক্ষামন্ত্রীও আমাদের বলে গেছেন। সহযোগিতা করেন, নইলে আমাদের কঠোর হতে হবে।’

মেয়র বলেন, ‘আপনারা একেকটি বাচ্চার কাছ থেকে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ফি নিচ্ছেন। কিন্তু কোনো স্কুলবাস চালু করছেন না। আপনারা আবাসিক এলাকায় স্কুল করেছেন, গাড়ির আধিক্যে ওই এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সব স্কুলে বাস চালু করতে হবে।’

স্কুল বাসসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়ায় উত্তর সিটিকে ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন একটি যুগান্তকারী কাজ শুরু করেছে। তারা বাস সার্ভিস চালু করেছে এবং প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলব, কীভাবে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ সেবা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করুন।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকার নামিদামি বিভিন্ন স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে। এতে যানজট তৈরি হচ্ছে। স্কুলগুলোকে বাসসেবা চালু করতে বাধ্য করতে হবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি জানিয়েছে, শুরুতে তিনটি রুটে চলবে দ্বিতল বাস। স্কুল থেকে ওই পথ ধরেই শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে আসবে স্কুল বাসগুলো। এক নম্বর রুট- কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বসুন্ধরা গেট, নদ্দা, নতুনবাজার, গুলশান হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন। দুই নম্বর রুট- ১০০ ফুট সড়কের বসুন্ধরা গেট, ছোলমাইদ, ফ্যামিলিবাজার, নতুনবাজার, বাঁশতলা, শাহজাদপুর, নতুনবাজার, গুলশান হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন। তিন নম্বর রুট- উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে হোসেন মার্কেট, বাড্ডা লিঙ্ক রোড, গুলশান ১ নম্বর, মহাখালী টিবিগেট, ওয়্যারলেস গেট, আমতলী হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন পর্যন্ত।

এই স্মার্ট বাস ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ই-বুকিং দিতে পারবে তারা। অ্যাপের মাধ্যমেই বাসের গতিবিধি দেখতে পারবেন অভিভাবকরা। প্রতিটি বাসের ভেতর বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বনানী বিদ্যানিকেতনে শিক্ষার্থী প্রায় ৪ হাজার ৮০০। শুরুতে ৪৬০ জন অভিভাবক সন্তানকে স্কুলবাসে নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। অভিভাবকরা আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেখবেন সব ঠিক আছে কি না, তারপর তারা এ ব্যবস্থায় আসবেন। সব শিক্ষার্থী পরিবহনে ২০টি দ্বিতল বাস নামানো হবে।


লাগেজের কেবিন থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইট থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় চার কেজি ৪২০ গ্রাম স্বর্ণের ৩৮টি বার উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তারা। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের এ স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার সালাম এয়ার লাইনসের একটি ফ্লাইট (ওভি-৪৯৭) মাস্কাট থেকে শাহাজালালে আসে। আগেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল এ ফ্লাইটে স্বর্ণ চোরাচালান হতে পারে। এ তথ্যে কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা শাহাজালাল বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেন। পরে মাস্কাট থেকে আসা ফ্লাইটটিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রামেজিং (তল্লাশি) করা হয়। এ সময় ফ্লাইটের সিট নম্বর ২ (ডি-ই-এফ) এর ওপরে লাগেজ রাখার কেবিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় কালো স্কসটেপ মোড়ানো ২টি ভারি বস্তু পাওয়া যায়। পরে বস্তু ২টির স্কসটেপ খুলে ৩৮টি স্বর্ণের বার (প্রতিটি ১০ তোলা) পাওয়া যায়। যার ওজন ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম এবং বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা এসব স্বর্ণ আটক রশিদ (ডিএম) করে ঢাকা কাস্টমস হাউজের শুল্ক গুদামে জমা রাখা হয়েছে।


আন্ডার পাস নির্মাণে রেললাইন-হজ ক্যাম্প অংশ চার মাস বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ কাজের জন্য বিমানবন্দর স্টেশন-দক্ষিণখান সড়কের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সড়ক চার মাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি জনসাধারণের অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সড়কটিতে যান চলাচলসহ পথচারী চলাফেরাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলা অবস্থায় প্রকল্পের আওতাধীন এয়ারপোর্ট-দক্ষিণখান রোডের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ১২০ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

আরও বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ও পথচারীদের ওই সময়ে বিকল্প সড়ক হিসেবে ‘কাওলা সড়ক’ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

আজ মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সড়কে যান চলাচল ও পথচারী মানুষদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কটির কাজ শুরু হয়ে দ্রুতগতিতে চলছে। আশা করা যায়, চার মাসের মধ্যে সড়কটিতে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে।

এদিকে, সরেজমিনে ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, আন্ডার পাস নির্মাণের কারণে সড়কটি ব্যবহার করা বিমানবন্দর স্টেশনের বাইরের স্টেশনগুলো থেকে ট্রেনে আগত যাত্রীরা বেশি কষ্টে পড়েছেন। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে সোজা বের হওয়ার সড়কে উঠতে না পেরে তাদের মালামালসহ স্টেশনের ওভারব্রিজ ব্যবহার করে মূল গেট দিয়ে বের হতে হচ্ছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, দক্ষিণখান এলাকার মানুষদের বিপদ হয়েছে বেশি। এই সড়কটিসহ ভেতরের বেশিরভাগ সড়ক নির্মাণের জন্য কেটে ফেলায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কাওলা দিয়ে বের হতে গিয়ে অতিরিক্ত রিকশাভাড়া গুনতে হচ্ছে। তবে উন্নত সড়ক পাওয়ার আশায় আগামী চার মাস এই কষ্ট করতে আপত্তি নেই।


জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির পরিদর্শন টিম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অঞ্চলভিত্তিক ১৭ সদস্যের এ পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়।

আজ রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এই টিম গঠন করা হয়।

সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় আকস্মিক বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গঠিত কুইক রেসপন্স টিমের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করবেন ১৭ সদস্যের এই বিশেষ টিম।

জানা গেছে, ১৭ সদস্যের এই পরিদর্শন টিমে রয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, স্টাফ অফিসারের প্রধান নির্বাহী আক্তার হোসেন শাহিন, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন।

আরও রয়েছেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) সালমা আক্তার খুকী, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সিস্টেম এনালিস্ট আহসানুল আল জান্নাত, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শফিকুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

বিষয়:

রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ জুন, ২০২৪ ১৪:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকাতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ঢাকার ফুটপাতে যত্রতত্র বাজার/দোকান বসানো বন্ধ করে একটি হলিডেমার্কেট নির্ধারণ করে হকারদের পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- মন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন কারেন নাছিম।

জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এরই মধ্যে ৫টি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। সেগুলো হলো, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে, গুলিস্তান জিপিও সংলগ্ন বায়তুল মোকাররম লিংক রোড, সেগুনবাগিচা বিভাগীয় অফিস সংলগ্ন কার্পেট গলি, মতিঝিল দিলকুশা ইউনুস টাওয়ারের সামনে ও গুলিস্তান-নবাবপুর রোড।

তিনি বলেন, রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু হকার্স মার্কেট, গুলিস্থান ট্রেড সেন্টার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, শেরে বাংলা হকার্স মার্কেট, সদরঘাট হকার্স মার্কেটসহ আরও মার্কেটে এর আগে হকারদের দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২৩নং ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ সেকশন থেকে হোসেন উদ্দিন খান প্রথম লেন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারে হকাররা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডর পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। শহরের যেসব সড়কে ছুটির দিনে যানবাহন চলাচল কম থাকে সেসব সড়কে নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডর পদ্ধতিতে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত সবর্দা উন্মুক্ত থাকে, কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনিভাবে মাঝেমধ্যে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অবৈধ দখল/ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


‘যেসব তরুণ মাদককে না বলতে পারে তারাই প্রকৃত স্মার্ট’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যে তরুণরা মাদককে ‘নো’ বলতে পারে তারাই প্রকৃত স্মার্ট, তারাই মডার্ন। কারণ তারা জানে মাদক একটি নীরব ঘাতকের নাম, সব শেষ করে দেয়। তাই মাদক থেকে নিজেকে দূরে রেখে খেলাধুলায় নিজেকে বেশি বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে।

রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর পার্কে শনিবার ঢাকা নর্থ মেয়র বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, একটি শিশুর সুষ্ঠু মেধা বিকাশ ঘটে খেলাধুলার মাধ্যমে। শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদের আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। তাদের দামি দামি মোবাইল ফোন না কিনে দিয়ে খেলার সামগ্রী কিনে দেন। তারা ঠিকই মাঠে নেমে আসবে।

মেয়র আতিক বলেন, ‘বাচ্চাদের হাতে হাতে ফোন। দিনরাত তারা সেটা নিয়ে পড়ে থাকছে। এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদেরই পরিবর্তনে সহযোগিতা করতে হবে।’ খেলাধুলার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন তরুণ প্রজন্মকে স্বাগতম জানাতে প্রস্তুত। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১৮ আসনের এমপি খসরু চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকে। উদ্বোধন শেষে টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। টুর্নামেন্টে ৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন একাডেমির দল অংশ নেবে।


আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রো: পুরোপুরিই গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত ‘ছাগল কাণ্ডে’র সেই সাদিক অ্যাগ্রো পুরোপুরিই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ খাল দখলদারদের উচ্ছেদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) টানা তৃতীয় দিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে এ অভিযান চালায়। সেখানে দেশের আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর খামারের পুরোটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খালের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠে এই অ্যাগ্রো ফার্মটি। এ সময় ওই এলাকার আরও কিছু অবৈধ স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে টানা তৃতীয় দিনের মতো মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় ডিএনসিসি এই অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এই অভিযান শুরু হয়। সেদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেবল খালের ওপর থাকা স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন। এরপর টানা তিন দিন ধরে চলে এ অভিযান।

পুরো খামারটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা এবং খালের পাড় ঘেঁষে স্থাপনা গড়ার নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়।

এ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

মোতাকাব্বীর আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিন দিনের অভিযানে প্রায় শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত খালের বিপুল পরিমাণ জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। আর খালের কয়েকশ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে বর্তমানে খাল খননের কাজ চলছে।’

প্রথম দিন সাদিক অ্যাগ্রোর স্থাপনার শুধু পেছনের অংশ ভাঙা হয়। সেদিন ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাদিক অ্যাগ্রোর পেছনের কিছু অংশ খালের (রামচন্দ্রপুর খাল) জায়গায় পড়েছে। পুরো স্থাপনা খালের জায়গায় পড়েনি।

শুক্রবারও উচ্ছেদ অভিযান চলে; কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় বিঘ্নিত হয় কার্যক্রম।

এদিকে সাদিক অ্যাগ্রোর পুরো স্থাপনা ভাঙার কারণ নিয়ে মোতাকাব্বীর বলেন, ‘খালের পাশে ও আবাসিক এলাকায় গরুর খামার রাখার নিয়ম নেই। আর তাদের ট্রেড লাইসেন্স ছিল না। সব কিছু মিলিয়ে তাদের (সাদিক অ্যাগ্রো) অবৈধ স্থাপনাগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি। খালের ওপর তো না-ই, এমনকি খালের পাড় ঘেঁষেও বাড়ি করা যাবে না, এটারও একটা নীতিমালা আছে। এই নীতিমালাও তারা অনুসরণ করেনি।’ খালের প্রশস্ত কোথাও ১০০ আবার কোথাও ১২০ ফুট পর্যন্ত ছিল বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সেসব সম্পূর্ণ দখল করে রেখেছিল বিভিন্ন মানুষজন সেসব উদ্ধার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

সাদিক অ্যাগ্রোর এ উচ্ছেদ অভিযানকে নিয়মিত কাজের অংশ জানিয়ে ডিএনসিসি জানায়, কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য এ অভিযান নয়, এটি তাদের খাল উদ্ধারের উচ্ছেদ অভিযান। মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় নগরীর বিভিন্ন খালের জায়গা উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।

জানা গেছে, তিনদিনের অভিযানে ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খনন কাজ চালানোও হয়।

ঈদুল আজহায় ১৫ লাখ টাকা দামের ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এরপর সাদিক অ্যাগ্রোর বিভিন্ন পশুর দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। সেখান থেকেই এ অ্যাগ্রো ফার্মটিও বেশ পরিচিতি লাভ করে।

সাদিক অ্যাগ্রোর ছাগল ১২ লাখ টাকায় কেনার চুক্তি করেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণ।

১৯ বছরের তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনার চুক্তির পর তার বাবা এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য আসে গণমাধ্যমে। এরপর মতিউরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এখন লাপাত্তা। এরপর সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়মের বিষয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে গণমাধ্যমে।

সেই ঘটনায় প্রকাশ পায় ইফাতের বাবা এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমান। তবে পিতৃ পরিচয় অস্বীকার করে মতিউর। কিন্তু তার এই দাবি অসত্য প্রমাণিত হয়।

এই ঘটনায় মতিউরের দুই স্ত্রী ও ছয় সন্তান এবং স্বজনদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কথা প্রকাশ পায়। সামনে আসে সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়মের বিষয়টিও।


সিএনজিতে হারানো চিকিৎসার ৪ লাখ টাকা, উদ্ধার করলো কলাবাগান পুলিশ

আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ২০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুর থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন জোবায়দা পারভীন নামে এক নারী। একটি সিএনজি অটোরিকশায় হাসপাতালে আসেন তারা। কিন্তু চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা ৪ লাখ টাকা, চিকিৎসাপত্র ও কাপাড়সহ ব্যাগটি ভুলে সিএনজি অটোরিকশায় রেখেই নেমে যান তারা। পরে অভিযোগ করলে কলাবাগান থানা পুলিশ সে টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফিরিয়ে দেয়। গতকাল শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির দৈনিক বাংলাকে বলেন, গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) একজন ভুক্তভোগী তার স্বামীকে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি তার স্বামীকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় গ্রীন রোডের এসআইবিএল হাসপাতালে আসেন। সিএনজি চালক তাদেরকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। কিন্তু তারা ভুলবশত সিএনজিতে লাগেজ রেখেই নেমে যান। লাগেজের মধ্যে চিকিৎসার চার লাখ টাকাসহ চিকিৎসার কাগজপত্র ও জামা কাপড় ছিল।

তিনি আরও বলেন, কৃতিত্বটা আমাদের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিমের। তিনি দায়িত্ব পালনকালে দুপুর দুইটার দিকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। তিনি ঘটনাস্থলের আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে সিএনজি চালককে সনাক্ত করেন। পরে তাকে খুঁজে বের করে টাকাসহ লাগেজটি উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে বুঝিয়ে দেন এসআই রহিম।

কলাবাগান থানা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে ভুক্তভোগী ফিরে পেল তার স্বামীর চিকিৎসার চার লাখ টাকাসহ চিকিৎসার জরুরী কাগজপত্র। কলাবাগান থানা পুলিশের এমন তৎতপরতায় ভুক্তোভোগী ও তার স্বামী কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা'র ফটোস্টোরি প্রদর্শনী ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যধর্মী উপন্যাস শেষের কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হলো একটি ফটোস্টোরি। গবেষণাধর্মী এই নির্মাণশৈলীর মূল চরিত্রে আছেন ওপার বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন ডা: শ্রেয়া সেন। পাশাপাশি এই ফটোস্টোরির সঙ্গে আরও রয়েছেন এপার বাংলার অভিনেতা শাশ্বত দত্ত। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে ও সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় নির্মিত এই ফটোস্টোরি প্রকল্প প্রধান ও আলোকচিত্রী হিসেবে আছেন স্থপতি ফওজিয়া জাহান এবং এতে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত আছেন সি এফ জামান। বর্তমান প্রজন্মকে সাহিত্যমুখী করে তুলতে নির্মিত এই ফটোস্টোরিতে বেশ কিছু স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সমগ্র উপন্যাসটি তুলে ধরা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি চিত্রপ্রদর্শনী ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণশৈলিটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নিজ বক্তব্যে প্রধান অতিথি এই নতুন চিন্তার সৃজনশীল প্রকাশের সাধুবাদ জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এর মাধ্যমে আরও নতুন নতুন কাজের সূচনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি (শাখা-৭), রাজীব কুমার সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও গরবিনী মা সম্মাননার প্রধান উদ্যোক্তা ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

বক্তারা বলেন, তরুণদের শুধুমাত্র স্যোশাল মিডিয়ায় মনোনিবেশ না করে পাশাপাশি এরকম সাংস্কৃতিক রুচিশীল কাজেও যুক্ত হওয়া উচিত। এ ধরণের কাজের মাধ্যমে মৌলিক জ্ঞান আহরণ এবং সাহিত্য সংস্কৃতির মূলধারার সঙ্গে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেতা ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত বলেন, ‘আজ পর্যন্ত অনেক ধরনের আর্ট ফর্ম নিয়েই কাজ করা হয়েছে, তবে স্থিরচিত্র নিয়ে এমন নান্দনিক কাজ এই প্রথম। আশা করি সবার কাছে এটা ভালো লাগবে।’

ডা. শ্রেয়া বলেন, ‘পেশাগতভাবে আমি ডাক্তার, বর্তমানে ফরেনসিক মেডিসিনে এমডি করছি। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম- বিশেষত রবি ঠাকুর আর নজরুলের অনেক কাজ আবৃত্তি আর অনুবাদ করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এর আগেও কিছু কাজ করেছি আমি। তাই এই ফটোস্টোরির অফার আসতেই আমি রাজি হয়ে যাই। আশা করি দর্শকের এই কাজ ভালো লাগবে।’

মানুষের হারিয়ে যাওয়া পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এই ফটোস্টোরি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেই প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট সকলে উল্লেখ করেন।

এই আয়োজনের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ফোয়াদ নাসের বাবু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন নন্দিত উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই।


banner close