শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

‘৬ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে’

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আপডেটেড
১২ জুন, ২০২৪ ১৪:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪ ১৪:৩৯

ঈদের দিন ছয় ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ৩২টি ড্রাম ট্রাক ও ৮টি কম্প্যাক্টর ট্রাক সংযোজন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে আজ বুধবার একথা বলেন তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য তোলার জন্য ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিথিন দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে। এ ছাড়া সঙ্গে রয়েছে ডেটল ও ফিনাইল। ঈদের দিন ৯ হাজার ৫০০ কর্মী কাজ করবেন।

৪০টি ডাম্প ও কম্প্যাক্টর ট্রাক উদ্বোধন করে তিনি আরও বলেন, প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি নিজস্ব অর্থায়নে গাড়ি কিনেছে। ৩০ কোটি টাকা দিয়ে গাড়িগুলো ক্রয় করা হয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে আনা হয়েছে ৩২টি ড্রাম ট্রাক আর ৮টি কম্প্যাক্টর ট্রাক জাপান থেকে কেনা হয়েছে। আগামী বছর জাপান থেকে আরও ২০টি ট্রাক ক্রয় করা হবে।

৪০টি ডাম্প ও কম্প্যাক্টর ট্রাক যোগ হওয়ায় প্রতিদিন ৩৫০ টন বর্জ্য অপসারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেল বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ২০:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী এসব অভিযানে সন্ত্রাস বিরোধ আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- অনিক (৩০), ইমরান (২৯), মারুফ (২৫), রাজু (১৯), সাক্কু (৪৮), মন্জু (২৪), রাসেল (৩৩), আব্দুল নুর (১৯), রাকিব (১৭), এনামুল হোসেন অনিক (২৮), নিলয় (২০) ও সাফিন (১৯)।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে ৩ জন, চুরির মামলায় ৩ জন, মাদক মামলায় ৩ জন, নারী ও শিশু বিষয়ক মামলায় একজন ও ডিএমপি মামলায় ২ জন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।


ঢাবিকে শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাধারণ মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করারও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা হবে।’

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় সংক্রান্ত সেমিনার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে। পাটের ব্যাগ তৈরির সঙ্গে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। টেকসই ব্যবস্থার জন্য জেডিপিসি, এসএমইএফ, জয়িতা ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

‘প্লাস্টিকের বিকল্প নেই—এই ধারণা ঠিক নয়। সরকারের সব উদ্যোগ রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে,’ বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। অ

নুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি; ঢাকা নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মারিয়ান রাবে ক্নাভেলসরুদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ; ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকি উজ জামান; ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. আফিয়া শাহনাজ; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।

সময় পরিবেশ উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান জানান।


নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা, গ্রেপ্তার ৬

আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৯:০৪
ইউএনবি

রাজধানীতে পরিচালিত পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এসব সংগঠনের সাম্প্রতিক ঝটিকা মিছিল নিয়ে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে ডিএমপি। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ ও তাদের সমভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন ঝটিকা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দুয়েক মিনিট মিছিল করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এসব মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।

তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি। পৃথক অভিযানে রাজধানীতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ছয় সদস্য হলেন- পল্লবী থানা ছাত্রলীগের ৫ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নাইম, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন হোসেন ফাহিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. সোহেল, বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল রানা, বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়ামিন ও বাড্ডা ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার খান।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পল্লবী থানার বাউনিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম নাইমকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ।

অন্যদিকে, মহানগর গোয়েন্দা সাইবার বিভাগের বিভাগের একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. রিপন হোসেন ফাহিমকে গ্রেফতার করে। ডিবি-ওয়ারী বিভাগ কদমতলী থানাধীন মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে শেখ মো. সোহেলকে গ্রেফতার করে।

এরপর শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ডিবি সাইবারের একটি টিম রাজধানীর বাড্ডা থানার মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে মো. সোহেল রানা ও মোহাম্মদ ইয়ামিনকে এবং শাহ আলি এলাকা হতে অপর একটি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে।

ডিএমপি জানায়, এসব সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় সাধারণ জনগণকে এসব সংগঠনের বিচ্ছিন্ন অপতৎপরতা সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে মহানগর পুলিশ।


যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে ডিএসসিসি’র বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

নগর ভবন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আজ যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছয়শত পরিচ্ছন্ন কর্মী এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ৬ টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত মহাসড়কে ও আইল্যান্ডে জমে থাকা দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, মহাসড়কে ও মহাসড়কের আইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ময়লা জমে থাকায় বায়ুদূষণসহ পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছিল। মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন হওয়ায় এখানে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের সুযোগ নেই।

পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় আজকের এই বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের ময়লা পরিষ্কারের ফলে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা যেমন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন, ঠিক তেমনি পরিবেশ দূষণ রোধ সম্ভব হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি এখন থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে খাল পুনরুদ্ধার ও ড্রেন পরিষ্কাার চলমান রয়েছে।

এছাড়া, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাল-ড্রেন উদ্ধার ও পরিষ্কারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ডেঙ্গু মৌসুম মোকাবিলার জন্য মশক কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ভাবে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসক নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।


বৈশাখী বৃষ্টিতে ভিজল ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশাখ মাসের শুরুর দিকেই মুষলধারে বৃষ্টি দেখল রাজধানীবাসি। কদিন আগে চৈত্র মাসের তাপদাহে অতিষ্ট ছিল শহরের মানুষ। বৈশাখ মাসের তৃতীয় দিনেই ঝুম বৃষ্টিতে যেনো এক প্রশান্তি এনে দিয়েছে।

কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর রাজধানীতে মুষলধারে হওয়া এ বৃষ্টি গরমের তীব্রতা কমিয়েছে। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শুরু হয় এ বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও বইছে। এদিন সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়।

এদিকে বৃষ্টিতে শহরের অনেক জায়গায় পানি জমে যানজটের সৃষ্টির হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে গ্রিন রোডে সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা পানিতে আটকে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া আদাবর, নূরজাহান রোড, ধানমন্ডি, কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোড, কাঁঠালবাগান, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, বংশাল, বকশীবাজার, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, তেজকুনীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে।

রাজধানীতে বৃষ্টির কারণে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে।


মার্চ ফর গাজা: ঢাবি ক্যাম্পাসে জনতার ঢল

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ইসরাইলি বাহিনীর নির্মম হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।

আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের কর্মসূচি থাকলেও সকাল থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাস ও আশপাশে ভিড় বাড়তে থাকে সর্বস্তরের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের।

সকাল থেকে ঢাবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, মেডিকেল মোড় ও নীলক্ষেত মোড় হয়ে ছোট-বড় অসংখ্য মিছিল সোহরাওয়ার্দীর উদ্দেশে যাত্রা করছে। মিছিলকারীদের হাতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা গেছে। অনেকেই কপালে ফিলিস্তিনি পতাকা বা কালিমার ব্যান্ড বেঁধে সংহতি প্রকাশ করছেন। লক্ষ্য একটাই—সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিণত হয়েছে মানুষের ঢলে। মিছিল এসে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করছে একের পর এক।

রাজু ভাস্কর্য এলাকা সকাল ১০টা থেকেই মুখরিত হয়ে ওঠে জনতার স্লোগানে। কেউ কেউ ভাস্কর্যের ম্যুরালের ওপর উঠে বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে চলছে নানান স্লোগান।

দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

সমাবেশে অংশ নিতে ময়মনসিংহ থেকে আসা জাফর আহমেদ বলেন, “ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা ইতিহাসে নজিরবিহীন। নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর নিয়মিত গণহত্যা চালানো হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা নিশ্চুপ। বিশ্বশক্তি ও মুসলিম বিশ্ব কেউই কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। বরং আমেরিকা এই হামলার পৃষ্ঠপোষকতায় জড়িত। আমরা হয়তো সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে পারছি না, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে সমবেত হয়েছি।”

ঢাবি ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে যে বিপুল জমায়েত দেখা গেছে, তা যেন হয়ে উঠেছে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের প্রতীক।


মাদকসহ রংধনু গ্রুপের সাইফুল ও তার সহযোগী গ্রেপ্তার

পাঠানো হয়েছে কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদকসহ রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ইউনিক রিজেন্সী হোটেল এন্ড রুফটপ স্কাই রেস্টুরেন্টে রংধনু গ্রুপের হেড অফ মিডিয়া মো. সাইফুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপর দুজন হলেন- ইউনিক রিজেন্সী হোটেল অ্যান্ড রুফ টপ স্কাই রেস্টুরেন্টের ইকবাল মাহমুদ বাপ্পী, তার সহযোগী মো. ইয়াছিন আল শুভ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল ইসলামসহ তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬ কেজি সীসা, সীসা সেবনের ১৩টি হুক্কা, ১৬টি খালি মদের বোতল ও তিনটি আইফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়।
এদিকে আজ শুক্রবার উক্ত মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক শাহ জালাল খান। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রসিকিউশন বিভাগের মো. সাব্বির গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।


স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ, অতঃপর ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ৮৬ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. তাফসিরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা গাঁজার মূল্য প্রায় ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে-স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পারে স্বামী তাফসির পেশাদার মাদক কারবারী। পরে অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮৬ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। উদ্ধার করা গাঁজা তাফসির বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, গত বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য স্বামী তাফসিরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরে রেকর্ডপত্র যাচাই করে তফসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পায় পুলিশ। এরপর নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তিনি একজন পেশাদার মাদক কারবারি এবং তার বাসার একটি কক্ষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রয়েছে।
পরে তার দেওয়া তথ্যে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তার ভাড়া বাসার ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য প্রায ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় তফসিরের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।


ছুটি শেষে হতেই ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষণে পঞ্চম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:১৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই ঢাকার দূষিত বাতাসের মান আবারও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। যেখানে গতকাল শনিবার ছিল নবম।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকাল ৮টার ৫০ মনিটে ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও পাকিস্তানের লাহোর শহর যথাক্রমে ২৮৮, ২২৯ ও ২০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

সূত্র : ইউএনবি


শাহবাগে ফুলের দোকানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর শাহবাগে ফুলের দোকানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান।
তিনি জানান, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে আগুন শাহবাগের ফুলের দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করেছে।
শনিবার রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান জানিয়েছেন, বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছি। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
এছাড়া আগুনে কেউ হতাহত হননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


শাহবাগে ফুল মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ এপ্রিল, ২০২৫ ২৩:২৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর শাহবাগের ফুল মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান সমকালকে জানান, খবর পেয়ে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।


চেনা চেহারায় ফিরছে ঢাকা

ঈদ উদযাপন শেষে শহরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ এপ্রিল, ২০২৫ ২২:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার খুলছে সরকারি অফিসগুলো। বেসরকারি অফিসগুলো খুলে গেছে আজ শনিবারই। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। ঈদে বাড়ি যাওয়া এসব ঘরমুখো মানুষরা ফিরে আসায় চির চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ঈদের ছুটিতে যত মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন শনিবার সকাল পর্যন্ত ফিরেছেন তার ৪০ শতাংশ। আর আজ সারা দিনেই ঢাকার সবগুলো দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাটের লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে গ্রাম থেকে মানুষকে সপরিবারে ফিরতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের মধ্যেই ঢাকায় প্রবেশ করেছেন গ্রামে যাওয়া ৮০ শতাংশ মানুষ।

শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে এখনো নেই যানজট, নেই গাড়ির বাড়তি চাপ। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় সড়কে আজ যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশি। বাড়ি থেকে ফেরা মানুষরা ব্যাগ-বস্তা নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ সিএনজিতে, কেউ রিকশায়, কেউ আবার বাসে করে আবাসস্থলে যাচ্ছেন। ফলে সড়কে আজ মানুষের আনাগোনা ছিল বেশি।

ঈদের আনন্দ শেষে ভোরের বাসে যশোর থেকে ঢাকায় ফিরেছেন ফার্মগেটের বাসিন্দা তানজিমুল ইসলাম। ফার্মগেটে কথা হলে তানজিম বলেন, কাল থেকে অফিস শুরু। তাই আজ চলে আসতে হয়েছে। আজ অনেক মানুষ ঢাকায় ফিরছে। বাসের টিকিট পেতে কষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকার টার্মিনালগুলোতেও ভিড় ছিল।

সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি এখনো শেষ না হলেও বেশিরভাগ বেসরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি শুক্রবারই শেষ হয়ে গেছে। ফলে আজ থেকেই কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে বেসরকারি অফিসগুলো। তবে ছুটির আমেজ এখনো না কাটায় সেখানেও নেই কর্মব্যস্ততা।

কারওয়ান বাজারের একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন রাসেল। তিনি বলেন, কলিগদের বেশিরভাগই ফিরে এসেছেন। দুই-একজন বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। তারা এখনো ফেরেননি। কাজ শুরু হলেও আজ তেমন চাপ নেই।

এদিকে বেশ কয়দিন বন্ধ থাকার পর মার্কেট-বিপণিবিতানসহ বেশিরভাগ দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেই সময় কাটছে তাদের।

ফার্মগেট এলাকার ইন্দিরা রোড সোসাইটিতে একটি ডিপার্টমেন্টল স্টোর চালান হাবিব। ঈদের সময় সকাল-বিকেল মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টা দোকান খোলা রাখলেও শুক্রবার থেকে পুরোপুরি দোকান শুরু করেছেন তিনি। হাবিব বলেন, ঈদের সময় কয়েক ঘণ্টা করে দোকান খুলেছি। গতকাল থেকে পুরোপুরি খোলা রাখছি। তবে কাস্টমার নেই। আগের মতো কাস্টমার হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী, ফিরেছেন ৪৪ লাখ

এদিকে, ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যার ভিত্তিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটি উপাত্ত প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল সংস্থাটির দেওয়া উপাত্ত অনুসারে এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে গত সাত দিনে ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। তবে সাত দিন পর ৪৪ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।

মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দেওয়া সিম মবিলিটির হিসাবে এই তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মোবাইল অপারেটরগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনে মোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ১৫৫ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। এ সময় ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২৭৯ সিম ব্যবহারকারী।

সবচেয়ে বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন ৩০ মার্চ। এই দিন ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬১ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ত্যাগ করেন। আবার ওই দিন ঢাকায় এসেছেন মাত্র ৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ সিম ব্যবহারকারী।

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় ফিরেছেন ৩ এপ্রিল। এই দিন ঢাকায় প্রবেশ করেছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ সিম ব্যবহারকারী। কিন্তু একই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন মাত্র ৮ লাখের মতো সিম ব্যবহারকারী।

নির্দিষ্ট অপারেটরভিত্তিক তথ্য বলছে, প্রতিদিনই গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের গ্রাহকদের বড় একটি অংশ রাজধানী ত্যাগ করেছেন। ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু গ্রামীণফোনের ৬৩ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।

তবে এক ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করায় এই সংখ্যা প্রকৃত ব্যক্তির সংখ্যা নয়। অনেকেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে সব অপারেটরের নম্বর নিবন্ধন করে থাকেন।

এ ছাড়া শিশুসহ এমন অনেকেই ঢাকা ছেড়েছে, যারা কোনো মোবাইল সিম ব্যবহার করে না। তাদের নামে সিম নিবন্ধন করা নেই।


বংশালে ফাষ্টফুডের দোকানে নারীসহ দগ্ধ ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর বংশালে বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় ফাষ্টফুডের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুনের ঘটনায় নারীসহ দগ্ধ ছয়।
একটি ভাসমান হকারের ফাস্টফুডের দোকানে সিলিন্ডারের লুজ পাইপ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এতে ফাস্টফুডের মালিক ও ক্রেতাসহ ৬ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধরা হলেন- রিমঝিম (১৬), মেহেদী হাসান (১৮), সাগর (২৫), ইকবাল (৩১), নয়ন (২৯) ও অপূর্ব (১৮)।
গতকাল সোমবার ঈদের দিন রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নগরীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বংশাল এলাকায় আগুনে দগ্ধ অবস্থায় ৬ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।
তবে তাদের শরীরের দগ্ধের পরিমাণ কম। সাগর নামে একজনের ১১ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদেরকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে বংশালের বাংলাদেশ মাঠে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ফাস্টফুডের দোকানে আগুন লেগে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দোকানে থাকা গ্যাসের চুলার পাইপের গোলযোগের কারণে এই আগুনের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।


banner close