শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

জাতীয় সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩০

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪ সালের ২য় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সংসদে অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, আগামীকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরণের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে–

ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্বপ্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সবগুলো রাস্তা ও গলিপথ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

বিষয়:

২২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি নেই। সুনির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘২২ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। কেউ যাতে কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে এ জন্য ডিএমপির সকল অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান হবে এবং প্রত্যেক জায়গায় আয়োজক আলাদা। প্রত্যেকটা জায়গায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার থাকবেন। তারা পারস্পরিক সমন্বয়ে কাজ করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে এর বেশিরভাগই গুজব ও তুচ্ছ ঘটনা। এগুলো সংগঠিত কিছু নয়, ধর্মীয়ও কিছু নয়। সেগুলোকে যেন শুরুতেই দমন করতে পারি সে জন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, যে সকল রাস্তায় শোভাযাত্রা যাবে, সেই সব রাস্তায় আগের দিন থেকেই পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও পুলিশ কমিশনারগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

৩০ জুন পর্যন্ত শনিবারেও খোলা থাকবে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন এবং ডিএনসিসির মালিকাধীন মার্কেটের ভাড়া পরিশোধের সুবিধার্থে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্য দিবস ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও খোলা থাকবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) রাজস্ব বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ‍উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, কার্য দিবস ছাড়াও সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের রাজস্ব বিভাগসহ প্রধান রাজস্ব বিভাগ সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

তিনি আরও জানান, রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়:

নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৯:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমান নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আলী আকবর (২০) ও মো. দূর্জয় (২০)। মঙ্গলবার রাতে কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ পিস নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা সংবাদে গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার জিঞ্জিরা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমানে নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ মো. আলী আকবর (২০) ও মো. দূর্জয় নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ পিস নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারি চক্রের সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে মেসার্স বোটানিক ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) ওষুধ কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। যা ওই কোম্পানির সুনাম বিনষ্ট ও কোম্পানিটির ক্ষতি করে আসছে। এছাড়া, তাদের উৎপাদিত নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রির ফলে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


নকল পণ্য: ১১ প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ১০ টা থেকে দিনগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান চালানো হয়। আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআই এ প্রতিনিধি।
আজ বুধবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা, সিরাজ ট্রেডিংকে ৩ লাখ টাকা, ইউনিলাইক প্রডাক্টস্ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা, কিনবো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৪ লাখ টাকা, ইউনাইটেড ইলেকট্রিকাল এক্সেসরিজকে ৫ লাখ টাকা, আলিফ পেইন্টস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২ লাখ টাকা, বিআইডব্লউি এন্ড মায়ের দোয়া সোলার পাওয়ারকে ৩ লাখ টাকা, গৌরনদী পেইন্টসকে ২ লাখ টাকা, ম্যাক্স এনার্জি ইন্টারন্যাশনালকে ৪ লাখ টাকা, ইভানা ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজকে ৫ লাখ টাকা ও কোয়ালিটি ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেডের ১০ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, তবে জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে ১ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।


মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘন্টার মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫২৯ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ৩ কেজি ৫৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩ টি মামলা করা হয়েছে।


‘সরকার ও নাগরিক পার্টনারশিপ হলে সমস্যাগুলো সহজে দূর হয়’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে পার্টনারশিপ তৈরি হলে নগরের সমস্যাগুলো অনেক সহজেই দূর হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী চলমান বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কাজ করবে। কিন্তু নাগরিকদের দায়িত্বের জায়গা থেকে, নাগরিকদের অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমন দায়িত্ব পালনেরও বিষয়টি থাকে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলে তখনই সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হয়। তখনই সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়।’

তিনি বলেন, ‘অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেকে ভিডিও করেও আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা গিয়ে দেখি, ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকে। পানির মধ্যে বড় বড় জিনিসপত্র, জাজিম, সোফা, ফ্রিজ ফেলে রাখা হয়।’

‘একদিকে সিটি করপোরেশন সারাক্ষণই যদি পরিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে আপনারা নোংরা করতে থাকেন, নিয়মের মধ্যে না থাকেন, তাহলে তো এ সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্য একটি চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এ উদ্যোগের জন্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।


‘২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম’

মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়ালসেতুর নিচে গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার সকালে মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়ালসেতুর নিচে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র বলেন, ‘২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ১ লাখ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত বছর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। এরপর আমরাও এ বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মশককর্মী, যান-যন্ত্রপাতি, মানসম্মত কীটনাশক মজুদ ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘রোগীদের ঠিকানার ৪০০ গজের মধ্যে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনায় আমাদের মশককর্মীরা কাজ করেছে। ফলে সফলতার সঙ্গে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই ২০২৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ (সিটি করপোরেশন) মিলিয়ে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুরোগী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল।’

সকলের সহযোগিতায় এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২১ মে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করব। ইতোমধ্যে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমরা বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি স্থাপনা ও আবাসনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।

প্রাথমিক পর্যায়ে একবার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করব এবং যে সকল স্থাপনায় লার্ভা পাওয়া যাবে আমরা সেগুলো নিধন করব। পরবর্তীতে সেসব স্থাপনা ও আবাসনে যাতে এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু সংক্রমণ-বিষয়ক নির্ভুল তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এক মাস আগে আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে আমরা বলেছি যে, আমাদেরকে ডেঙ্গু রোগীর যে তথ্য দেওয়া হয় তা পরিপূর্ণ নয়, অসম্পূর্ণ। ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার রোগীদের তথ্য পেতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়।

ঢাকার বাইরে থেকে যেসব রোগী আসে তাদের পৃথক করা কঠিন কোনো কাজ নয়। কারণ তাদের বেশিরভাগই রেফারেল হয়ে আসে। ওইসব রোগীকে পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করলে ঢাকার প্রকৃত রোগী শনাক্ত করা সহজ হয়। দেখা যাচ্ছে ঢাকার প্রকৃত রোগী ১০ জন, সেখানে যদি আমাদের (ঢাকার বাইরের রোগীসহ) ১০০টি ঠিকানা দেওয়া হয়, তাহলে বাকি ৯০টি ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে আমাদের সময়ক্ষেপণ হয়। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হলে আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে (এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের) কাজটা করা কষ্টসাধ্য হয়। সঠিক তথ্য দিলে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করতে পারি। ঢাকাবাসীকে আমরা আরও বেশি ফলপ্রসূ সেবা দিতে পারব।’

এর আগে ঢাদসিক ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপ-নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র।

পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে দক্ষিণ কমলাপুর কালভার্ট সংলগ্ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে তারা গণশৌচাগারের পাশে ২টি কদম ফুলের চারা রোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খ ম মামুন রশিদ শুভ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত আসনের ফারহানা ইসলাম ডলি, মিনু রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর খবর‌টি সত্য নয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিনই মেট্রোরেল চলছে। জুলাই থেকে শুক্রবারসহ প্রতিদিনই মেট্রোরেল চলবে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ‘শুক্রবার’ মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মে‌ট্রো‌রে‌লের নির্মাণ এবং প‌রিচালনার দা‌য়ি‌ত্বে থাকা ডিএম‌টি‌সিএলের ব‌্যবস্থাপনা প‌রিচালক এম এ এন ছি‌দ্দিক। তিনি বলেন, শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর খবর‌টি সত্য নয়। শুক্রবার মেট্রোরেল চালা‌নোর সিদ্ধান্ত বা আপাতত কো‌নো পরিকল্পনা নেই। সিদ্ধান্ত হ‌লে সংবাদমাধ্যম‌কে জানা‌নো বিষয়টি জানানো হ‌বে।

আজ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে জানানো হয়, যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএমটিসিএল সূত্র উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করে, জুলাই থেকে শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

বর্তমানে মেট্রোরেল সপ্তাহের ৬ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করছে। শুক্রবার মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক বন্ধ। মেট্রোরেলের বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিষয়:

বনানীর আগে বাসে যাত্রী তুললেই মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম চালু করা হয়েছে। মহাখালী টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বনানী এলাকা পর্যন্ত যদি নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে লাভরোডে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ -শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)।

হাবিবুর রহমান বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। এই টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে উত্তরা হয়ে আব্দুল্লাহপুর দিয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলতো। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের প্রধান কারণ।

ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, জাইকার প্রতিনিধি ইউমি ওকাজাকি, প্রকল্প পরিচালক-ডিআরএসপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের প্রকল্প ম্যানেজার ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (ট্রাফিক- অ্যাডমিন ও রিসার্চ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিষয়:

‘মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক-শিল্পী-সাহিত্যিকদের নামেও হবে রাস্তা’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার গুলশান নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, ‘এতদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নাম শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হতো। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের অনেক বড় বড় সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিক রয়েছেন। যারা অনেক গুণী ব্যক্তি। তাদের নামে সড়কের নামকরণ করলে, তারা যেমন সম্মানিত হবেন, তেমনি আমাদের সিটি করপোরেশনও গর্বিত হবে। তাই এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও সড়কের নামকরণ করা হবে।’

৪ বছরের কাজ নিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বর্ষায় আমরা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৯০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। আমি সব সময় বলি, গাছ লাগানো সোজা, গাছ পরিচর্যা করা অনেক কঠিন। এ জন্য আমরা একজন অ্যাগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ও দুজন বাগান তত্ত্বাবধায়ক নিয়েছি। পাশাপাশি ৪৭ জন মালি নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।’

‘আমি মনে করি নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যে গাছগুলো লাগাব, যার বাসা, অফিসের সামনে লাগাই না কেন, তিনি যদি এসে সেই গাছের পরিচর্যা করেন, তাহলে সবচেয়ে বেশি ছায়া উনিই পাবেন। ওনার এখানেই সবচেয়ে বেশি গরম কমবে, তিনিই আরামে থাকবেন। তাই আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করব, আমরা যে গাছ লাগাচ্ছি, নগরবাসী যেন এর যত্ন নেন’- বললেন মেয়র আতিক।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোন ওয়ার্ডে কী ধরনের হিট আছে, সেটি আমাদের চিফ হিট অফিসার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ তথ্য দেবে। আমরা তাহলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে গরম কমাতে ওই ওয়ার্ডে গাছ লাগাতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।

বিষয়:

‘গরবিনী মা’ সম্মাননা পেলেন সফল ১১ সন্তানের মা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ২১:৩২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে ১১জন গর্ভধারিণী মাকে ‘গরবিনী মা-২০২৪’ সম্মাননা প্রদান করেছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১১ মায়ের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে ১১ জন মায়ের হাতে এই বিশেষ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে গরবিনী মায়েদের সম্মাননা দেয়ার আগে প্রত্যেক সন্তান তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মায়ের প্রতি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। মোবাইল আসক্তির কারণে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। মা ও দেশকে যেন সন্তানরা ভালোবাসে। আমি শঙ্কাবোধ করি, পারিবারিক সৌজন্যবোধ কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বাবা সাপোর্ট দেয়। কিন্তু দেখাশোনা করে মা। তাই মায়ের প্রতি ভক্তি, সম্মানবোধ, দায়িত্ববোধ যেন থাকে। আমরা যেন সেটা করি এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও যেন সেটা শিখিয়ে যাই।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গরবিনী মা সম্মাননার প্রধান উদ্যোক্তা ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সমাজের প্রতিষ্ঠিত ১১ জন সুনাগরিকের গরবিনী মা-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকার বিশেষ জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শেখ হাফিজুর রহমানের মা সাহারা রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) হায়াত-উদ-দৌলা খানের মা সাজেদা খাতুন, যশোরের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম-এর মা সুরুচি জোয়ারদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক, একাডেমিক প্রশাসক, শিক্ষাবিদ, কবি, অনুবাদক এবং কলাম লেখক ড. সামসাদ মর্তুজার মা সৈয়দা নাসরিন মর্তুজা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীর মা নাফিজা বেগম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলামের মা হোসনে আরা, প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান পিয়াসের মা জেবুননেছা, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, সংগীত পরিচালক, মডেল ও অভিনেতা তাহসান রহমান খানের মা প্রফেসর ড. জেড এন তাহমিদা বেগম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদের মা আফরোজা নাহরীন, নন্দিত অভিনেত্রী ও মডেল মেহজাবীন চৌধুরীর মা গাজালা চৌধুরী এবং ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী লাবণী আক্তারের মা বেবি বেগম।

গরবিনী মা-২০২৪ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সকল মা-কে সম্মাননা ক্রেস্ট, মেডেল, ফ্রি মাস্টার হেলথ চেক-আপ প্যাকেজ, উডেন পিকচার ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।


ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-মো. রায়হান হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, মো. কুরবান ও মো. সাগর। পুলিশ বলছে, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী।
গতকাল শুক্রবার রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ২টি চাপাতি ও ২টি চাকু এবং ছিনতাই করা টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা শুক্রবার হাজারীবাগের বেড়ীবাঁধ এলাকার সালাম সরদার রোডে একটি অটোরিকশার গতিরোধ করে যাত্রীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। অটোরিকশার যাত্রীদের চিৎকার শুনে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ছিনতাইকারী সাগরকে চাপাতিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার সাগরের দেয়া তথ্যে কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী রায়হান হোসেন স্বপন, রাসেল ও কুরবানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তারা চুরি করতে গিয়ে মানুষকে গুরুতর আঘাত এমনকি খুন করতেও দ্বিধা করতো না। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসি মেয়র

রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে রাস্তায় বর্জ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৮:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত দেশে বাড়ির সামনের দিকে খাল থাকে কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো চিত্র। সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি বানায়। খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনের রাস্তায় বর্জ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মেয়র ঘুরে ঘুরে বর্জ্যগুলো দেখেন এবং প্রদর্শনীতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সচেতন করেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখছি অনেকে অসচেতনভাবে গৃহস্থালির বর্জ্য খাল, ডোবা, নালা, ড্রেনে ফেলে দেয়। সারফেস ড্রেনে ও খালে এমন কোনো ময়লা নেই পাওয়া যায় না। আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে। ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। এগুলোর কারণেই মূলত পানি প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।’

মেয়র বলেন, এ ছাড়াও যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় জন্ম হয় এডিস মশার। আমাদের অসচেতনতায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হতে পারে। মনে রাখবেন, খাল-ড্রেন পরিষ্কার থাকলে জলাবদ্ধতা ও মশার উপদ্রব থেকে আমরা রক্ষা পাব। খাল জলাধার রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর খাল-ড্রেন ও জলাধারে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা অপরাধ। এ বিষয়ে আমি জনগণের সহযোগিতা চাই। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।

তিনি আরও বলেন, ড্রেনে, খালে ও যত্রতত্র এসব বর্জ্য ফেলায় দূষণ হয় নগরের পরিবেশ। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজকে এ বর্জ্য-প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি হয়। জনগণ যেন বুঝতে পারে কি ধরনের বর্জ্য ড্রেনে ও খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে এজন্যই এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীতে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতার জন্য ১০টি অঞ্চলে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে জলাবদ্ধতা দূর করতে এ কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। কোথাও পানি জমে থাকলে নগরবাসীকে (১৬১০৬) হট লাইনে যোগাযোগ করার কথা জানান তিনি।

খালে বর্জ্য ফেলা বিষয়ে মেয়র বলেন, বৃষ্টি হলে শহরে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেটা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। একসময় বিভিন্ন প্রধান সড়কেও কয়েকদিন জলাবদ্ধতা হতো। এখন আর প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন হয়। এ জলাবদ্ধতা শুধু মাত্র ড্রেনে ময়লা জমে জলাবদ্ধতা হয়। এখন কেউ খাল ও ড্রেনে বর্জ্য ফেললে কঠর ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র।

বর্জ্য প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।

বিষয়:

banner close