মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড: মঈনুদ্দিন মোনেম

আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মঈনুদ্দিন মোনেম।
আপডেটেড
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:০১

দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ, শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিপুল পরিমাণ কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল)। আবদুল মোনেমের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও এএমএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, অবকাঠামো নির্মাণ, শিল্প বিকাশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির, বিপুল পরিমাণ কর ও শুল্ক প্রদানের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রায় গর্বিত সহযোগী আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল)।

তিনি বলেন, একসময় যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রেই আধুনিকায়ন ও বিশ্বমানের কোনো ছাপই ছিল না বাংলাদেশে। ছিল আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলের অভাব। ওই বৈরী পরিস্থিতি থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে দৃঢ় মনোবল, অসীম আত্মবিশ্বাস, একাগ্রতা ও সততার সাথে শূন্য থেকে শীর্ষে উঠার এক জীবন্ত গল্প তৈরি করলেন তার পিতা আব্দুল মোনেম। তার সাফল্যের মূলভিত্তি ছিল-সততা, শ্রম আর কাজের গুণগত মান।

মঈনুদ্দিন বলেন, একসময় দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হতো। সে অবস্থা থেকে তার বাবা আব্দুল মোনেম নিজের প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানের মতো গড়ে তুলেছেন। পদ্মা সেতু থেকে কর্ণফুলী টানেল কিংবা যমুনা সংযোগ সড়ক অথবা নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো-এসব কিছুরই বড় একটা অংশই বাস্তবে রূপ দিয়েছে তার পিতার সুদূরপ্রসারী ভাবনা। তার নিজস্ব চিন্তা সাহস আর অভিনবত্বে বাংলাদেশকে এনে দিতে থাকেন একের পর এক সাফল্য। বিদেশি প্রতিষ্ঠান নয় নিজ দেশের প্রতিষ্ঠান দিয়েই আন্তর্জাতিক মানের স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব এটিও তিনি প্রমান করেছেন।

এএমএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মোংলা হাইওয়ে, ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ-মোল্লারহাট রোড, গোপালগঞ্জ বাইপাসসহ, গড়াই ব্রিজ, মাওনা ব্রিজ, গুলশান বনানী ব্রিজ, বনানী ফ্লাইওভার, লালন ব্রিজের সংযোগ সড়কসহ আরও অনেক কিছু আব্দুল মোনেমের প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে দৃশ্যমান।

১৯৮৪ সালে খুলনা-মোংলা হাইওয়ের কাজ করে প্রথমবারের মতো এএমএল আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড লাভ করে। সেই আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রতিষ্ঠানটি পৌঁছে যায় এক নতুন উচ্চতায়। আর পদ্মা বহুমুখী ব্রিজে কাজ করার মধ্য দিয়ে সেই অবস্থান সুসংহত স্থায়িত্ব লাভ করে। মালয়েশিয়ান কনস্ট্রাকশন ফার্ম এইচসিএমের সঙ্গে এএমএল একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার স্থাপন করেছে। এই ভেঞ্চারের অধীনে পদ্মার মূল সেতুর দুদিকে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে দুটি সংযোগ সড়ক তৈরির দুটি আলাদা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। দুটি চুক্তির মধ্যে ছিল পাঁচটি ব্রিজ, ২০টি কালভার্ট ও আটটি আন্ডারপাসের নির্মাণকাজ। পদ্মা ব্রিজের জন্য সার্ভিস এরিয়া-২ তৈরি করার আন্তর্জাতিক টেন্ডারও পায় একমাত্র এএমএল। সুউচ্চ ভবন, হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার, বিমানবন্দর, নদীতে জেটি ও টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল, ফ্যাক্টরি এবং এমন আরো অনেক কিছু তৈরি করেছে এএমএল।

এএমএল সফলভাবে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সংস্কার প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। সবচেয়ে কম সম্ভাব্য সময়ে ওই প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছিল। সফলভাবে সিলেটে ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে এসএম বারাক অ্যান্ড দামালকোটের কাজ, ঢাকার গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদে তিনটি বাস টার্মিনাল, সাত লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে তিনটি টাওয়ার মোনেম বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট বানিয়েছে।

এএমএল শুধু নির্মাণকাজের মধ্যেই কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ না থেকে পরবর্তী সময়ে আইসক্রিম ইউনিট ও বেভারেজ ইউনিট, ২০০০ সালে ম্যাংগো পাল্প প্রসেসিং, ২০০৪ সালে ইগলু ফুডস, ড্যানিশ বাংলা ইমালসন, সিকিউরিটিজ ও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইগলু ডেইরি প্রডাক্টস লিমিটেড, ২০০৭ সালে সুগার রিফাইনারি লিমিটেড ও এএম এনার্জি লিমিটেড, ২০০৮ সালে নোভাস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ২০১০ সালে এএম অ্যাসফল্ট অ্যান্ড রেডিমিক্স লিমিটেড, ২০১২ সালে এএম অটো ব্রিকস লিমিটেড, ২০১৪ সালে এএম ব্র্যান অয়েল কোম্পানি এবং ২০১৫ সালে আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপে পরিণত হয়েছে। এএমএল বেভারেজ ইউনিটের অধীনে এএমএল কোকা-কোলা ব্র্যান্ডের কোকা-কোলা, ফ্যান্টা, স্প্রাইট ও কিনলে ড্রিংকিং ওয়াটার বোতলজাত করে আসছে। আব্দুল মোনেম লিমিটেডের পণ্য ‘ইগলু আইসক্রিম’ বাংলাদেশে একটি অতিপরিচিত ও জনপ্রিয় নাম।

মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, 'আমার বাবা আব্দুল মোনেমের শেষ স্বপ্ন ছিল প্রাইভেট ইকোনমিক জোন তৈরি। ওই জোনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে। এক কোটি লোকের কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিল তার। ২০১৫ সালে আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোন লাইসেন্স পায়, যা প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন। ইকোনমিক জোনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।'

তিনি বলেন, চাকরির সুযোগ তৈরি ও বৈচিত্র্যময় ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পাশাপাশি আব্দুল মোনেম লিমিটেড মনে করে, সমাজের ভালো থাকা নিশ্চিত করার জন্য আরো অনেক কিছু করার রয়েছে। জনগণ, সমাজ ও দেশের প্রতি অবদানের যখন স্বীকৃতি দেয়া হয় তা আমাদের আরো অনুপ্রাণিত করে। এএমএল পেয়েছে সেরা করদাতার সম্মাননা, সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর প্রদানকারীর সম্মাননা, আইএফএডব্লিউপিসিএ গোল্ড মেডেল, বিজনেস পারসন অব দি ইয়ার ২০০৮, কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পারসন ২০১০, ২০১১ ও ২০১৩, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিলেন্স ফর বিজনেস পারফরম্যান্স।

বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প ও আব্দুল মোনেমের আখ্যান একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, নশ্বর এ পৃথিবীতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রতিদিন জন্মগ্রহণ করেন না। তারা আসেন হয়তো শতবর্ষের ব্যবধানে। তাদের সংক্ষিপ্ত জীবনে পৃথিবীতে রেখে যান অনেক কীর্তিগাথা। যা মানুষ মনে রাখে সুদীর্ঘকাল। এর সুফল ভোগ করে প্রজন্মের ওর প্রজন্ম।

তিনি আরও বলেন, 'সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় শূন্য অবস্থান থেকে শীর্ষ সারিতে আরোহণ করা সুপ্রতিষ্ঠিত সফল ব্যক্তির অন্যতম আমার বাবা। আব্দুল মোনেম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন আলহাজ আব্দুল মোনেম। যিনি আমার গর্বিত বাবা। লক্ষ্যে পৌঁছার অদম্য মনোবল, চেষ্টা আর অধ্যবসায় যে একজন মানুষকে তার লালিত স্বপ্নের শিখরে নিয়ে যায়, তার এক অনন্য উদাহরণ তিনি। সুদীর্ঘকাল নানা টানাপড়েন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বাবা অর্জন করেন বিরল সফলতা।'

মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, 'পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকে এসএসসি পাস করে বাবা যখন ঢাকায় আসেন, তখন তার হাতে ছিল গুটিকয়েক টাকা, যা দিয়ে চলাই ছিল কঠিন। এ সময় সরকারের সার্ভে পদে পরীক্ষা দেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু চাকরিতে তার মন টেকেনি। স্বপ্ন ছিল আরো বড় কিছু করার, বড় কিছু হওয়ার। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল ব্যবসা। মাত্র ৭০ টাকা পুঁজি করে কীভাবে ব্যবসা করতে হয়, সেটা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। দক্ষতা ও সততা দিয়ে গড়ে তুলেছেন সুবিশাল ব্যবসায়ীক ও শিল্প সাম্রাজ্য। বাবা বিশ্বাস করতেন, সবচেয়ে ভালো প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব কাজে এক নম্বর হওয়া সম্ভব।'

অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করলেও পরে ১৯৫৬ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) গড়ে তোলেন। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৫৭ সালে এএমএল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রা করে। আর অবকাঠামো বিনির্মাণ দিয়ে মূল ব্যবসা শুরু করে আব্দুল মোনেম গ্রুপ। পরবর্তী সময়ে এএমএল বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

মঈনুদ্দিন বলেন, 'বাবা ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ ও পরোপকারী মানুষ। মহান আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা এবং সততাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছেন। কাজের বিষয়ে তিনি খুবই দক্ষ ও দূরদর্শী ছিলেন। শুধু ফিল্ড সার্ভে করলেই তিনি বুঝতে পারতেন এ প্রকল্পে কী কী প্রয়োজন হবে এবং কীভাবে প্রকল্পটি সুন্দরভাবে শেষ করা যাবে। এটি তার অন্যতম ব্যতিক্রমী গুণ ছিল। ব্যবসা ও পরিবার একসঙ্গে সফলভাবেই সামলেছেন বাবা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।'

তিনি বলেন, 'আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, এটা আমার বাবার কৃতিত্ব। তিনি আমাকে বলেছেন-তুমি হার্ভার্ডে ট্রাই করো। আমি বলেছি, এমআইটিতে পড়াই তো যথেষ্ট। কিন্তু তিনি বলেছেন, যা-ই করবে নাম্বার ওয়ান হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার বাবার টাকা ছিল না। এক বেলা খাবারের টাকা জোগাড় করাই ছিল খুব কষ্ট। অথচ সেই ব্যক্তি স্বপ্ন দেখছেন, তার ছেলে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। সেজন্য আমি একজন আব্দুল মোনেমকে শুধু পিতা হিসেবেই নয়, বরং তাকে আমার জীবনের একজন গাইড, একজন মেন্টর, একজন আর্কিটেক্ট মনে করি। তিনি আমার কাজের অনুপ্রেরণা ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার প্রতিটি পদক্ষেপ আর অক্লান্ত শ্রম নিবেদিত ছিল নিজ হাতে গড়া শিল্প গ্রুপ আব্দুল মোনেম লিমিটেডের জন্য। নির্মাণ আর অবকাঠামো দিয়ে ব্যবসা শুরু করে ডালপালা ছড়ান বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানে। কাজের সুযোগ করে দেন অসংখ্য মানুষের। দীর্ঘ ৬৪ বছরের কর্মজীবন তাকেও দিয়েছে দুহাত ভরে। রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা এসেছে তার হাতে।'

ব্যবসায়ের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিপদগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে আব্দুল মোনেম গড়ে তোলেন আব্দুল মোনেম ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আব্দুল মোনেমের নিজ গ্রাম বিজেশ্বরে প্রায় ৫২ একর জমি দান করেছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া একটি এতিমখানা পরিচালনাসহ সব খরচ বহন করছে ফাউন্ডেশনটি। এখানে প্রায় তিন হাজার এতিম পড়াশোনা করে। দেশে বন্যা বা অন্য কোনো ধরনের বিপর্যয়ের সময়ও এ ফাউন্ডেশন ত্রাণ বিতরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা করে থাকে।

খেলাধুলায়ও দারুণ আগ্রহী ছিলেন আব্দুল মোনেম। বাংলাদেশে ফুটবলের সুবর্ণ সময়ে ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তার সময়ে ফুটবল লিগে ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

বাইশ পরিবার এখন শুধুই অতীত

আবদুল মোনেমের সাফল্যের হাত ধরে দেশের নির্মাণখাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে আরো উদ্যোক্তা তৈরী হয়েছেন। দেশে শিল্প-কল কারখানা ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং দিনে দিনে এর প্রসার আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীক জীবনের শুরু থেকে সততা ও গুনগত মান বজায় রেখে নিজেদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতার নজির একমাত্র আব্দুল মোনেমের গড়া প্রতিষ্ঠানই করছেন বাংলাদেশে।

১৯৩৭ সালের ৫ জানুয়ারি বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার আখাউড়ায জন্ম আব্দুল মোনেমের। ২০২০ সালের ৩১ মে মহান রবের ডাকে সারা দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান বিভিন্ন ক্ষেত্রে পথিকৃৎ দেশের সফল ব্যাক্তিত্ব আব্দুল মোনেম।

এ জনপদে ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের সমগ্র সম্পদের সিংহভাগই কুক্ষিগত ছিল মাত্র বাইশ পারিবারের হাতে, যাদের মধ্যে একজন মাত্র ছিলেন বাঙালি-এ কে খান।

পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধুসহ অনেক নেতা তাদের ভাষণে ওই বাইশ পরিবারের সম্পদ কুক্ষিগতকরণের বিষয়টিকে অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তুলে ধরতেন। একটি বৈষম্যমুক্ত শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা থেকেই লড়াই-সংগ্রাম ও যুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত হলো বাংলাদেশ।

নিজ চেষ্টা, উদ্যোগে বৈষম্যমুক্ত দেশীয় অর্থনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্র তৈরিতে অবকাঠামো নির্মানে দেশে পথিকৃৎ আব্দুল মোনেম। আব্দুল মোনেমের নামে গড়ে উঠা কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মানসহ বিভিন্ন খাতে রয়েছে আব্দুল মোনেমের অবিস্মরণীয় অবদান।

মানুষ বেচেঁ থাকে তার কর্মের মাধ্যমে। তেমনি আব্দুল মোনেমও বেচেঁ থাকবেন তার কর্মে ও সাফল্যগাথায়।


আমরা ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদা ও যোগান অনুসারে যাতে পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না। আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না। বাজার যাতে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে, চাহিদা ও যোগান অনুসারে যাতে মূল্যটা নির্ধারিত হয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের দাম যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, এটাই আমাদের চেষ্টা। আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতি।’

বাজার মনিটরিং বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল—বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ্য ছিল।’


১৭ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৩৬ কোটি ডলার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রোজার ঈদের পরও রেমিট্যান্স বাড়ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লেগেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি মে মাসের ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ২৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ডলার বা ৯৩৬ কোটি টাকা।

মাসের বাকি ১৪ দিনে (১৮ থেকে ৩১ মে) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক প্রায় ২৫০ কোটি (আড়াই বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে, যা হবে একক মাসের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ (২.৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

ঈদের মাস এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। আর এ সূচকের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে রেমিট্যান্স। গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্সপ্রবাহে বেশ ভালো গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

অনেকের ধারণা ছিল, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের পর রেমিট্যান্স কম আসবে; কিন্তু তেমনটি না হয়ে উল্টো আরও বেশি আসছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের বিনিময় হারের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেছে। এ পদ্ধতিতে এখন থেকে দেশের মধ্যে ডলারের দর লাফ দিতে পারবে না, কেবল হামাগুড়ি দিতে পারবে। আর সেই হামাগুড়ি দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে। সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। আপাতত সেই সীমা হচ্ছে ১১৭ টাকা। এতে এক লাফে ডলারের দর বেড়েছে ৭ টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো এখন ১১৭ টাকা দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারবে। এর সঙ্গে যোগ হবে সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনা।

‘ক্রলিং পেগ’ চালুর ফলে ডলারের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স বাড়ার আশাও রয়েছে। গত ১১ এপ্রিল দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। ওই ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। আগের দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। জানুয়ারিতে এসেছিল ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল আরও বেশি, ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বরেও বেশ ভালো রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। অক্টোবরে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার। নভেম্বরে আসে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ১৯ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এই ১০ মাসে ১৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল তার আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। প্রতিবারই দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ে; ঈদের পর কম আসে; কিন্তু এবার রোজার ঈদের আগে প্রবাসী আয় বাড়েনি। ঈদের পর অবশ্য বেশি আসছে।


আজ রাজধানীতে ১১তম এসএমই মেলা শুরু 

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা শুরু হচ্ছে আজ। চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ মে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেম’ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন।

মেলা উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এবারের মেলায় অংশ নেবে সাড়ে তিন শর বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, মেলায় অংশ নিচ্ছে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল/ভেষজ শিল্পের পাঁচটি, জুয়েলারি শিল্পের পাঁচটি, প্লাস্টিক পণ্যের চারটি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও বলেন, মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট থাকবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীদের কাজের সুবিধার্থে একটি মিডিয়া সেন্টারও থাকবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।

আজ শ‌নিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ১৯ মে থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।


আজ ঢাকায় আসবেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় তিন দিনের সফরে জন্য আসছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন। ঢাকায় কানাডার হাইক‌মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌র মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

হাইক‌মিশন জানায়, কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থে‌কে তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ সফ‌রে থাকবেন। পল আজ শ‌নিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন। পল বাংলাদেশ সফরের সময় সরকা‌রি কর্মকর্তা এবং অংশীজনেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রবেন।

এ সময় ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রতি কানাডার প্রতিশ্রুতি, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনার উপায় চিহ্নিত করা, দ্বিমুখী বি‌নি‌য়োগে উৎসাহিত করার জন্য কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়; তা নিয়ে আলোচনা করবেন।


ডলারের দামের সঙ্গে বাজারে বাড়ল মসলার দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরপরই রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে আমদানিকৃত মসলার পাইকারি দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কচুক্ষেত ও পুরান ঢাকার কিছু পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আমদানি করা বেশিরভাগ মসলার দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।

প্রতি কেজি জিরার দাম ৫৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮০ টাকা, এলাচের সর্বনিম্ন দাম ২৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০০ টাকা করা হয়েছে। আরেক ধরনের এলাচের দাম আগে ৩২০০ টাকা ছিল এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।

এ ছাড়া গোল মরিচের (কালো) দাম ১০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১০৮ টাকা কেজি করা হয়েছে।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, হঠাৎ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করে।

সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়ার হতাশা প্রকাশ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আদা ৫৭০-৫৮০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অথচ ডলারের দাম বাড়ার আগেই এই মসলা আমদানি করা হয়েছে। এটা সিন্ডিকেটের কাজ।’

মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের মসলার এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘এসব মসলার কেনা দাম একই হলেও কিছু আমদানিকারক ডলারের বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দাম বাড়াতে বলেছেন।’

কারওয়ান বাজারে এক দোকান মালিক বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বর্তমানে পাইকারি বাজারে সীমাবদ্ধ। তবে খুব শিগগির এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে। বিশেষ করে ঈদুল আজহার আগে দাম বেড়ে যাবে।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম কমলে তারা কি দাম কমায়?’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দাম বেশি না বাড়ায়।’


বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম, ক্রেতাদের ক্ষোভ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৪ ১৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে এখনো চড়া মাছের দাম। অধিকাংশ মাছের দাম তেমন একটা কমেনি। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বিক্রেতাদের দাবি, গরমের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে, বাজারে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বরাবরের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ মাছ। এর মধ্যে রুই ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, কালবাউশ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাবদা ৫৪০ টাকা ও ইলিশ মাছ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপির দাম ৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধা কপির দাম ৬০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৪০ টাকা। এ ছাড়া, প্রতি কেজি গাজর ৭০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা ও পটল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।’

সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। একজন চাকরিজীবী বলেন, ‘আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।’

বাজারে মুরগির মাংসের দামও আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, লেয়ার ৩৪০ টাকায় ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

বিষয়:

সোনার অলংকার কিনতে ক্রেতাকে ৬ শতাংশ হারে মজুরি দিতে হবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতার মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তারা এবার সোনার অলংকারে ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে সোনার অলংকার পরিবর্তনে ১০ শতাংশ এবং ক্রেতার কাছ থেকে অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ দেওয়ার নিয়ম করেছে বাজুস।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাজুস। এতে বলা হয়, সম্প্রতি জুয়েলার্স সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সোনার অলংকার বিক্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে ৬ শতাংশ হারে মজুরি নিতে পরামর্শ দিয়েছে সমিতি। এর পেছনে সমিতির ব্যাখ্যা হচ্ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সোনার অলংকার বিক্রিতে ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার অলংকার বিক্রিতে ভারতে ১০, শ্রীলঙ্কায় ৮, চীনে ১৫, ইতালিতে ২০, হংকংয়ে ৩০, মালয়েশিয়ায় ৩৫, অস্ট্রেলিয়ায় ২০, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ ও যুক্তরাজ্যে ১৪ শতাংশ মজুরি নেওয়া হয়।

বাজুস ২০২২ সালের আগস্টে প্রতি গ্রামে কমপক্ষে ৩০০ টাকা মজুরি নিতে সদস্যপ্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দেয়। তাতে প্রতি ভরিতে মজুরি দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তবে অধিকাংশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের ধরে রাখতে মজুরিতে ছাড় দিয়ে আসছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুয়েলার্স সমিতির একজন সদস্য বলেন, ধরা যাক, বর্তমানে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ টাকা। তাহলে ৬ হাজার টাকা মজুরি দিতে হবে। আর সোনা ও মজুরির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। নতুন করে মজুরি পুনর্নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ে নতুন করে অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোনার অলংকার পরিবর্তন বা বিক্রির ক্ষেত্রে জুয়েলার্স সমিতির নিদের্শনা হলো, পুরোনো অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে এর ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, যা এত দিন ছিল ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া সোনার অলংকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অলংকারের ওজন থেকে ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এত দিন এই হার ছিল ৯ শতাংশ।

কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতা চলছে। সর্বশেষ গত রোববার সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বেড়েছে। তাতে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা।


মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে রেকর্ড ১.৪৮ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশে এমএফএস চালু হওয়ার পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ মাসিক লেনদেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে- মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার সম্প্রসারণ, রমজান ও ঈদের কেনাকাটার মৌসুমে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর কারণে মোবাইলে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ১৮,১৯৫ কোটি টাকা বেশি বা ১৪ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে এই মাধ্যমে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ২০২৩ সালের জুনে। সেই সময়ে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১.৩২ লাখ কোটি টাকা। এ ছাড়া এমএফএসের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ১ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ২০২২ সালের এপ্রিলে, সে সময়ে লেনদেন হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে- দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহর কিংবা গ্রামে– এক মুহূর্তে দেশের যেকোনো স্থানে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ছে, লেনদেনের পরিমাণও তেমনি বাড়ছে।

২০২৪ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ২২ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে শহরে গ্রাহক আছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ। এ ছাড়া গ্রামে রয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরুষ ১৩ কোটি এবং নারী গ্রাহক ৯ কোটি।

এ বিষয়ে বিকাশের করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, মার্চে ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, মার্চেন্ট পেমেন্ট, স্যালারি ডিসবার্সমেন্ট পূর্বের সকল সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রোজা ও ঈদ। সাধারণত, আমাদের স্বজনরা অন্য সময় না পাঠালেও ঈদের সময়ে কিছু কিছু পরিমাণে খরচ মেটানোর জন্য টাকা পাঠিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এই সময়ে অনেক গার্মেন্টস মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্যালারি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে কেনাকাটায় ব্যাপক লেনদেন হয়েছে।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশেষ করে সরকারি সব ধরনের ভাতা, উপবৃত্তি ও প্রণোদনা বিতরণে মোবাইল আর্থিক সেবা খাত ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এ খাতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়েছে, যোগ করেন তিনি।

নগদের একজন কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে নগদের সেবা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আমরা গ্রাহকদের চাহিদার আলোকে নতুন নতুন সেবা চালু করছি। এ ছাড়া মানুষজন এখন ব্যাংকে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে সহজেই এমএফএসের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনদের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছেন। আমরা মনে করি, সামনের সময়ে এটি আরও জনপ্রিয় হবে।

প্রিলে প্রায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ডিজিটাল কেনাকাটায় গ্রাহকদের বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছিল, ফলে লেনদেনের পরিমাণ আরও বেড়েছে, যোগ করেন তিনি।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্যদিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপরে রয়েছে নগদ।


১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

২০২৪-২০২৭ অর্থবছরের নীতিমালার খসড়া নীতিগত অনুমোদন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২৭-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ৬৮(১) ধারার আওতায় এবং একই আইনের ৩২ ধারায় উল্লেখ করা ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণে পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ মে শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ বিষয়ে সচিব জানান, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটি পরে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হবে।

রপ্তানি নীতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া, রপ্তানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কৌশল- এসব বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৭ মেয়াদে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করা বিভিন্ন ধাপ এখানে (রপ্তানি নীতি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া খাতের সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা যেমন- সবজি এবং হস্ত ও কারু পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং, ফেব্রিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং, ডাইং, প্রিন্টিং অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সচিব বলেন, রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা এবং শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা হালনাগাদ ও এইচএস কোডের হেডিংসহ উল্লেখ করা হয়েছে। রপ্তানি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি ও রপ্তানি-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪-এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এই ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।


সাড়ে ৫ মাস পর হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হিলি প্রতিনিধি

অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ভারতীয় একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসে। হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আহমেদ সরকার বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা গত ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়; কিন্তু এরপরও ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আমদানিকারকরা চিন্তিত ছিলেন। তবে নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ১১ দিন পর মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যদি আমদানি স্বাভাবিক থাকে তাহলে পেঁয়াজের দাম কোরবানি ঈদে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।


দেশে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে

মে মাসের ১০ দিনে রেমিট্যান্স এল ৮১ কোটি ডলার
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রবাসী আয়ে সুতাবাস বইছে। চলতি মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ মাসের প্রথম ১০ দিনে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে এসেছে আট কোটি ১৩ লাখ ডলার, যা আগের তুলনায় বেশি বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে প্রতি দিনে দেশে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের (২০২৩ সাল) মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

চলতি বছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্সের পালে উচ্চগতির হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।

গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের আশেপাশে রেমিট্যান্স এসেছে। তবে এবার মে মাসের প্রথম ১০ দিনেই এসেছে সবচেয়ে বেশি।

আর বৈদেশিক আয় দেশে আনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে
ন্যাশনাল ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।


‘দক্ষ নারীকর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ নারীকর্মী তৈরির মাধ্যমে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় আরও বেশি উদ্যোগী হবে।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে আজ সোমবার বিকেলে উইমেন্স ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় সার্ক বিজনেস কাউন্সিল এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মানতাশা আহমেদের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নারীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বিশেষ করে ফ্যাশন ও এসএমই সেক্টরে নারীকর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থান এবং জাতীয় বাজেটে নারীবান্ধব নীতিমালার প্রতিফলন ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তি


banner close