রোববার, ১২ মে ২০২৪

তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে: স্পিকার

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৪৭

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিরীন শারমিন চৌধুরী শনিবার সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্নির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে। প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মতো প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এ দেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ওই সময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


জাল নথি ও কাগজ তৈরি করে ২৭ মাসেই ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ দুই কর্মকর্তার

বাঁ থেকে অভিযুক্ত রবিউল করিম ও শান্তনু সরকার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যসেবামূলক যন্ত্রপাতি আমদানিকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডে পুকুরচুরির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে কর্মরত অবস্থায় দুই উপ মহা-ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রবিউল করিম (৪৫) ও শান্তনু কুমার দাশ (৪৬) প্রতিষ্ঠানটির ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারা জানান, মাত্র ২৭ মাস ৮ দিন চাকরিকালে ওই দুই উপ মহা-ব্যবস্থাপক কোম্পানির প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি পরস্পরের যোগসাজশে আরও প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোম্পানির সুনাম ও আর্থিক ক্ষতি করে এই দুই কর্মকর্তা নিজেদের নামে ও বেনামে কিনেছেন একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গাড়ি, প্লট ও জমি-জমা। তাদের ব্যাংক হিসাবেও মোটা অঙ্কের টাকার খোঁজ মিলেছে।

সম্প্রতি দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে।

মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে রবিউল করিম ডিজিএম পদে যোগদান করেন ২০১৮ সালের পহেলা অক্টোবর ও শান্তনু কুমার যোগ দেন ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল। ২০২১ সালে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী হাসান মাহমুদের মৃত্যু হয়। তার শূন্যতায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান অভিভাবক হয়ে যান এই দুই কর্মকর্তা। কোম্পানির উত্তরাধিকারীরা সরল বিশ্বাসে এই দুই কর্মকর্তার ওপর সরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবামূলক যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, সেই সরলতার সুযোগ নিয়ে ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে রবিউল করিম ও শান্তনু কুমার দাশসহ তাদের সহযোগীরা অনিয়ম ও দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এ সময় চাকরিদাতা কোম্পানিকে না জানিয়ে তারা নিজেরাই একাধিক প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডে চাকরিরত অবস্থাতেই পদ-পদবি ব্যবহার করে ও প্রতিষ্ঠানটির ভুয়া প্যাড, সিল-স্বাক্ষর ব্যবহার করে তারা নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেন, যার প্রমাণ পরবর্তীতে পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের নাম, সুনাম, যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এবং ভুয়া প্যাড, ভুয়া নথি-দলিল বানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অগোচরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এই দুই পদধারী কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিউল করিম ও শান্তনু কুমার দাশ দুইজনই নির্ধারিত বেতনে চাকরি করতেন মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডে। তবে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারা যাওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালের পহেলা এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ মাস ৮ দিন চাকরিকালে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বিষয়টি ধরা পড়ে চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল। ওই দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের একটি কারণ দর্শানো নোটিশ কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর।

ওই নোটিশ পাওয়ার পর মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, তাদের প্রতিষ্ঠানের দুই ডিজিএম রবিউল ও শান্তনু কর্মরত থাকা অবস্থায় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ও সরকারি সংস্থার কাছে তথ্য গোপন করে প্রতারণা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল নামে পৃথক টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানটির সিইও ও ব্যবস্থাপনার অংশীদার হিসাবে স্বাক্ষর করেন রবিউল। এ ছাড়া তিনি প্রযুক্তি ইন্টারন্যাশনাল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। ডিজিডিপির নোটিশ আসার পর মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আরও জানতে পারে, রবিউলের সঙ্গে একই কোম্পানির শান্তনু কুমার দাশও পৃথক টেন্ডার জমাদান প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত রয়েছেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে খোঁজ করে এই দুই কর্মকর্তার আরও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ পায় কর্তৃপক্ষ।

মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমেই অনিয়মের বিষয়টি ধরে ফেলে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব চেয়ে পরপর তিনবার চিঠি পাঠানো হয়। তবে প্রত্যেকবারই এমডির স্বাক্ষর জাল করে সেই চিঠির উত্তর দেন রবিউল ও শান্তনু কুমার দাশ। দ্বিতীয় চিঠিটি প্রতিষ্ঠানের ১৪ পুরানা পল্টন রেজিস্টার অফিসে এলে রবিউল করিম কৌশলে অফিস কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে অফিসে পৌঁছে দেবেন বলে জোর করে কেড়ে নেন । গত ঈদুল ফিতরের সময় এই দুই ডিজিএম ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলে তৃতীয় চিঠিটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। সে সময়েই দুই ডিজিএমের প্রতারণার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে। এ সময় মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠিপত্র ইস্যু হলে ওই দুই কর্মকর্তা নিজেরাই যোগাযোগ করে কৌশলে তা গ্রহণ করতেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির অসৎ উদ্দেশ্যে দুই অভিযুক্ত ডিজিএম পরস্পরের যোগসাজশে কোম্পানির লেটার হেড জাল করে, জাল স্বাক্ষর দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে চিঠিও ইস্যু করেন। সেখানে রবিউল উল্লেখ করেন, তিনি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে আছেন।

শুধু তাই নয়, তথ্য গোপন করে রবিউল তার ব্যক্তিগত ও কোম্পানির অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রবিউল ও শান্তনু দুজনে নিয়মিত গ্রাহকদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করতেন এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তারা বেনামে কোম্পানির নামে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করলেও তা বাকির খাতায় দেখাতেন। কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দুর্নীতি ধরা পড়লে এর হিসাব তারা দিতে পারেননি।

কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এই দুজন কর্মকর্তা নির্ধারিত বেতনে চাকরি করলেও সবার অগোচরে অবৈধ উপায়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শান্তনু এই ২৭ মাস সময়ের মধ্যেই দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ি কিনে ফেলেছেন। এ ছাড়াও প্লটসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে আরও জমি কিনেছেন।

আরও অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই দুই কর্মকর্তা ‘দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল’-এর নামে টেন্ডারে অংশ নিতেন, যার সব খরচ বহন করতে হতো মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডকে।

এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা অনেক দিন ধরেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জানতে পেরেছি, তারা নিজেদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ও তথ্য গোপন করে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে আরও ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন। জাল-জালিয়াতি ধরা পড়ার পরপরই মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ জাকির হোসেন গত ২৪ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই দিনই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। ওই মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রতারণার মাধ্যমে কোম্পানির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় রবিউল ও শান্তনুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।

গুলশান থানা পুলিশ জানায়, রবিউল করিম মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডে চাকরিকালীন তথ্য গোপন করে ‘দ্য ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল’, বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ ও প্রযুক্তি ইন্টারন্যশনাল নামে তিনটি এবং শান্তনু কুমার দাশ নোরামেড লাইফ সাইন্স নামে কোম্পানি খোলেন। এরপর মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের নামে আসা সব কাজ তারা কৌশলে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়ে যেতেন এবং সেখান থেকে কাজগুলো করতেন। এভাবে অল্পদিনেই প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত টাকায় রবিউল করিম রাজধানীতে বিলাসবহুল ৪টি ফ্ল্যাট, রংপুরে বাগানবাড়ি, নাটোরে ৫০ বিঘা জমি কেনেন। শান্তনু কুমার দাশও রাজধানীতে কেনেন ২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, ২টি প্লট, গাড়ি। এ ছাড়া তাদের অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকাও পাওয়া গেছে।

এত অল্প সময়ে এত অর্থ-সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এমন প্রশ্নের মুখে তারা কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে জানান তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড জানায়, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহমুদ চৌধুরী জীবিত থাকাকালেও চেক জালিয়াতির কারণে অভিযুক্ত উভয় কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়ার এক সপ্তাহ আগেও কোম্পানির একটি চেক জালিয়াতি করতে গিয়ে তারা ধরা পড়েন।

এ কারণে মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড-এর মালামালসহ যে কোনো ধরনের কাজে এই দুই অসৎ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ বা লেনদেন না করার জন্য গ্রাহকদের সতর্ক করা হয়েছে।


কাল দেশে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সোমালিয়ার জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়। এরপর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজটি। সেখানে পণ্য খালাসের পর গত ৩০ এপ্রিল জাহাজটি দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। আগামীকাল সোমবার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এমভি আবদুল্লাহর। জাহাজটি প্রথমে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়বে। সেখানে দুদিন পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রামের বহির্নোঙরে ভেড়ার কথা রয়েছে। বাকি মালামাল সেখানে খালাস করা হবে।

এদিকে শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এ রকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।


আজ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ০০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ রোববার (১২ মে) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।

পরীক্ষার ফল জানতে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট wwwdhakaeducationboard.gov.bd-G Result-এ ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এ ছাড়া www.education boardresults.gov.bdbd ওয়েবসাইটে ক্লিক করে, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। অন্যদিকে, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া মোবাইলফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এ জন্য ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে SSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারা দেশে পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ৩ হাজার ৭০০টি।


এপ্রিলে সড়কে ঝরেছে ৬৩২ প্রাণ: বিআরটিএ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য গ্রামে যাওয়া ও ফিরে আসার মধ্যে গত এপ্রিলে সারা দেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৩২ জন মানুষ মারা গেছেন। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সই করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রতিবেদনটি তৈরি হলেও আজ শনিবার এর তথ্য বিজ্ঞপ্তি আকারে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিআরটিএর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন। এর পরের অবস্থানে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ১১৫ এবং আহত হয়েছেন ১৫৭ জন।

এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন। খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৮৭ এবং আহত ৯৫ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫ এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন। বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮ এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন।

এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। ২৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ নিহত হয়েছেন। এরপরের অবস্থানে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান। এতে ১৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত হন।

এ ছাড়া ৪১টি প্রাইভেটকার, ১৫৭টি বাস ও মিনিবাস, ৫০টি পিকআপ, ২৮টি মাইক্রোবাস, ১২টি অ্যাম্বুলেন্স, ২১টি ভ্যান, ১৭টি ট্রাক্টর, ৩৪টি ইজিবাইক, ৩১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৬৮টি অটোরিকশা এবং ১৭৫টি অন্যান্য যানসহ ১ হাজার ৫৬টি যানবাহন এপ্রিল মাসে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যগুলোতে সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গে বেসরকারি পরিসংখ্যানগুলোর প্রায়ই অমিল লক্ষ্য করা যায়। গত ২০ এপ্রিল ওই ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সে দিনের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার সংগঠনের পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৫ দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ হাজার ৩৯৮ জন। এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও আরও কয়েকটি সংগঠন ঈদযাত্রায় সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করলেও সেগুলো আমলে নিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।


রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মানুষগুলোর আওয়াজই বড়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে কিছু পরিত্যক্ত মানুষ আছে, যারা ঘুরে ঘুরে সব দল করে। তাদের কথার মূল্য না থাকলেও ব্যাঙের ডাকের মতো গলার আওয়াজ বড়।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় রেড ক্রিসেন্ট মাঠে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক, বিডিআরসিএস ব্যবস্থাপনা পরিষদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণতন্ত্র মঞ্চ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার ‘সরকারের ভিত নাই’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন।

ড. হাছান বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের একটা বক্তব্য পত্রিকায় পড়লাম, টেলিভিশনে শুনলাম- ‘সরকারের নাকি একদম ভিত নাই’। সরকারের ভিত আছে বিধায়ই পরপর চারবার আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায়। তারা তো টেনে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টান দিতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন কোমর যে ভেঙে গেছে সে অবস্থা থেকে তারা আস্তে আস্তে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আর গত বছর ২৮ অক্টোবর তাদের কার আগে কে দৌড় দেয় সেই প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি নয়াপল্টনের সামনে।’

‘মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইসহ আরও কিছু ব্যক্তিবিশেষ আছে, যাদের নিজের দলের ভিত্তি নেই, ঘুরে ঘুরে দল করে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘মান্না ভাই মাশাআল্লাহ এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি দল বদল করেছেন। কিছুদিন জাসদ, তারপর বাসদ, বাসদ ভেঙে এখন গণতন্ত্র মঞ্চ। সেটি ভেঙে কখন আবার পালিয়ে যান, বলা যায় না। রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ। এদের কথার কোনো মূল্য নেই।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের দল ছোট, তারা যখন সমাবেশ করে তাদের মানুষ থাকে ২০ থেকে ৩০ জন, সাংবাদিক থাকে ৫০ জন, এই নিয়ে তাদের সমাবেশ হয়। কিন্তু গলা অনেক বড়। শুধু তা-ই নয়, এদের একজন ঢাকা সিটি করপোরেশনে ভোটে দাঁড়িয়েছিল, প্রাপ্ত ভোট দুই হাজার পূর্ণ করতে পারে নাই। কিন্তু আওয়াজ অনেক বড়। আবার টেলিভিশনে দেখা যায় ভলিউমও তাদের একটু বড় থাকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী আজকে সেটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, জার্মান চ্যান্সেলর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টসহ সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের প্রশংসা করে, কিন্তু বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা এটির প্রশংসা করতে পারে না। আমাদের রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান আর সংঘাতের সংস্কৃতি না থাকলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর ৮০টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে বলেছেন, আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। এতে ব্যক্তিবিশেষ রাজনীতির ব্যাঙদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এজন্য তারা ব্যাঙের মতো বেশি বেশি লাফাচ্ছে।’

বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশ বিনির্মাণে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতের পথচলায় আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবা অনেক অবদান রাখবে।’

স্কুলজীবনে নিজেও জুনিয়র রেড ক্রসের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনে বহু পথ পাড়ি দিয়ে বহু প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙ্গিয়ে আজকের এই পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউটিং আমার জীবনে বড় ভূমিকা পালন করেছে।’

স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার আহ্বান

দেশে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সবার আগে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে সরকারি হাসপাতালে সরকার মেশিন কিনে দিয়েছে কিন্তু সেই মেশিনের বাক্স খোলা হয় না। আবার মেশিন খোলা হয় ঠিকই, কদিন পরে নষ্ট হয়ে যায়, মেরামতের আর উদ্যোগ নেওয়া হয় না, যাতে করে মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়।

এগুলো যারা করেন, তারা আসলে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান, জনগণের বিপক্ষে কাজ করেন এবং স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে এবং সহজ-সুলভে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো বড় অন্তরায় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন জনগণ সোচ্চার হবে, তখন এগুলো করা আর সম্ভবপর হবে না। সরকার কোনো যন্ত্র নয়, সরকারও মানুষ দিয়েই চলে। সুতরাং জনগণ যখন এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবে সরকারের পক্ষেও এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী। এতে জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান স্বাগত বক্তব্য দেন।


‘বিএনপি ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে আজ শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ২০:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে ২১ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬) শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয় ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে (দুই দেশের মধ্যে) সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে আজ শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু, কারও দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস দেশের মানুষ, জনগণ। ভারতের কাছে আমরা ক্ষমতা চাই না, বন্ধুত্ব চাই। কারণ, এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না।’

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার (সমাধানে) চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ (সমুদ্রসীমা) পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।’

গত শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ‘এক পসরা মিথ্যাচার’করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এত দিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। গয়েশ্বর পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের ভারতের দালাল বলেছেন। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান দিয়েছিল।’

বিএনপিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘ভারতে যখন নির্বাচন হয়, বন্ধের দিন ভারতীয় হাইকমিশনারের সামনে দাঁড়িয়েছিল… দালাল কারা? ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেন— আপনি ভারত সফর করলেন, গঙ্গার পানির কী হলো? তিনি বললেন- ‘আমি তো ভুলে গেছি।’দালাল কারা?’’

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচনে আজকে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে! তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল, তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।’

বিএনপি এখন আবার চাঙা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখন টেলিভিশনে দেখছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন, বিএনপি নেতারা আবার চাঙা হয়ে গেছেন। আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছেন। আরে বেকুবের দল লু আসছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্নপূরণের জন্য আমেরিকাও আর আসবে না। কেউ আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘কত নাটক, জর্জ মিয়া নাটক, মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বানিয়ে নয়াপল্টনে কী নাটকই না তারা বানিয়েছিল। মনে আছে? মিয়া আরেফি ইংরেজিতে কথা বলে, হঠাৎ পুলিশ দিল পিটুনি, পিটুনি খেয়ে বরিশালের স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। আবারও নাটক শুরু করছে, খেলা কিন্তু আবারও হবে, জনগণের জানমালের সুরক্ষায়, এ অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে। আপনারা (নেতাকর্মী) প্রস্তুত আছেন? প্রস্তুত থাকেন। এমন এক শিক্ষা দেব এবার, পালাতে পালাতে অলিগলি পার হয়ে বুড়িগঙ্গার পচা পানি খাবে ডুবে ডুবে। বিএনপি এখন সেদিনের অপেক্ষায় আছে। জনগণ না থাকলে আন্দোলন হবে নাকি? বিএনপি হলো ভুয়া দল, ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইএমএফের কর্মকর্তারা সেদিন বলে গেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত খুব মজবুত। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধিতে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারত আমাদের চেয়ে একটু এগিয়ে থাকবে। এমনকি চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের কম প্রবৃদ্ধি হবে। আইএমএফ এটা ঘোষণা করে গেছে। তাই শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। অনেকেই অপবাদ দেবে, মিথ্যাচার করবে, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কান দেবেন না। এই সংকট কেটে যাবে। আবারও সুদিনের অপেক্ষায় আমরা থাকতে পারব।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।


‘দুর্যোগে মৃত্যুতে আর্থিক সহায়তা যথেষ্ট নয়’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাম্প্রতিক সময়ে ‘তাপপ্রবাহ’ দুর্যোগ হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে হতাহতের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান যথেষ্ট নয়। এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

মহিববুর রহমান বলেন, এবারে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। অতিমাত্রায় গরমের কারণে যারা কর্মহীন হয়েছে, তাদের সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হিট অফিসার নিয়োগের কোনো পরিকল্পনা নেই। তীব্র দাবদাহে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ। জল কামানে পানি ছিটানো যথেষ্ট নয়, এটি আরও সাইন্টিফিক ওয়েতে করতে হবে। বিল্ডিং কোড না মেনে অপ্রয়োজনীয় কাচের ব্যবহার ভবনে অতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিও আইন না মেনে মনমতো ঘরবাড়ি তৈরি করে নিজের ঘরকে নিজেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত করছে। তাই আইন মানার জন্য প্রয়োজনে আরও কঠোর আইন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘চলতি বছর হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই। তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারেও তেমন কোনো তথ্য নেই। বর্তমান বাস্তবতায় দুর্যোগজনিত কারণে মারা যাওয়া অসহায় ব্যক্তিদের পরিবারকে অন্তত তিন লাখ টাকা প্রদান করা উচিত। প্রতিবছর অতি তাপমাত্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলারের উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়। অতিমাত্রার গরমের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতে ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কর্মীরা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা আশা করব চলতি বছর আর কোনো উচ্চ মাত্রার দাবদাহ তৈরি হলে সরকার তার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে। এবং অতিমাত্রার দাবদাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে।’

কিরণ আরও বলেন, ‘বড় বড় শহরগুলোতে কোথাও খেলার মাঠ নেই, পার্ক নেই, প্রাকৃতিক পানির প্রবাহ নেই, পর্যাপ্ত গাছপালা নেই, বিশুদ্ধ বাতাস নেই। আছে শুধু যানজট, ঘনবসতি, অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি, শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, যত্রতত্র দোকানপাট, পার্কিং সমস্যা, ফুটপাত দখলসহ অনিয়মের আখড়া। যা দাবদাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আবার আমরা যদি শহরের বাইরের দিকে তাকাই সেখানেও সামাজিক বনায়ন নেই, জলাশয় নেই, খাল দখল, নদী দখল চলছে। ফলে গ্রামেও এখন প্রকৃতির যে স্নিগ্ধতা, মুগ্ধতা আগের মতো নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক কারণে জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর খামখেয়ালিপনা, হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও চীনের নদীগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে মেরে ফেলাসহ নানা বৈশ্বিক কারণে বাংলাদেশ অতিমাত্রায় দাবদাহসহ বন্যা, খরায় পর্যবসিত হচ্ছে।’


অসুস্থ রেলকে সুস্থ করতে কাজ করে যাচ্ছি: রেলমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘অসুস্থ রেলকে সুস্থ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কাজ করে যাচ্ছি।’ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলযোগে আগামী ১০ জুন আম পরিবহনবিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘একসময় ধুকে ধুকে চলেছে। অনেক জায়গায় রেললাইন খুলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। লাইন তুলে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। দক্ষ কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে বিদায় করা হয়েছে। নানাভাবে আমরা লোক নিয়ে কাজ চালাচ্ছি। লোক নিয়োগের জন্য কাজ শুরু করেছি, সময় লাগবে। রেলপথ অসুস্থ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুস্থ করার কাজ চলছে। কিন্তু সময় লাগবে।’

আম পচনশীল পণ্য উল্লেখ করে মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘সহজে নষ্ট হয়ে যায়। আম পরিবহন খুবই সেনসিটিভ। রেল যে ভাড়ায় আম পরিবহন করছে, এর চেয়ে ট্রাকে করে পাঠাতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি পড়ে। রেলে আম পরিবহন করলে সেভ হবে। প্রধানমন্ত্রী এটি ব্যবস্থা করেছেন।’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা থাকবেই। একটা কিছু শুরু করলে সমস্যা হবে। ত্রুটি থাকবে। সেগুলো আমরা সমাধান করব। আমরা ডোর টু ডোর সেবা দিতে পারছি না। তবে, চেষ্টা করে যাচ্ছি।’


সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস ভাই যেমন বুঝেন, আমরাও তেমন বুঝি। সড়কে কেউ হারিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না। কারও অঙ্গহানি হোক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা সতর্কতামূলকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা একটা আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। সেজন্য আমরা সহযোগিতা চাই। আপনাদের সম্মেলন সফল হোক। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরণের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সড়ককে নিরাপদ করতে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এতে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।


যে পরিকল্পনা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

শনিবার আইইবির ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৩:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

যে পরিকল্পনা প্রহণ করা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আজকে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। কারণ, আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করি এবং তার যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয়। খরচের দিকটাও বিবেচনা নিতে হবে। কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সে পরিকল্পনা থেকে রিটার্ন কি আসবে, জনগণ কীভাবে উপকৃত হবে, এভাবেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র একটা নির্মাণ কাজ করার জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, সেটাই আমার অনুরোধ। সেটার জন্য আমি আমার পার্টির এমপিদেরও নির্দেশনা দিয়েছি। একনেকের মিটিংয়েও বলেছি। এরকম কোনো প্রকল্প দেখলে অবশ্যই আমি সেটা অনুমোদন করব না।’

তিনি বলেন, ‘যেটা আমাদের মানুষের কাজে লাগবে, দেশের কাজে লাগবে, যে প্রকল্প শেষ করলে মানুষ লাভবান হবে, আমাদের কিছু উপার্জন হবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই। সেটাই পরিকল্পনা করবেন আপনাদের কাছে আমি এটাই চাই।’

জিয়াউর রহমানের আমলে মাথাপিছু আয় প্রতিবছর মাইনাসে ছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতা দখল করেছিল, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল’ জারি করেছিল, তাদের আমলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতিবছর ছিল মাইনাস। ১৯৯১ সালে এসে দেখা গেল যে মাত্র ৬ ডলার বেড়েছিল। ৭৬ সাল থেকে একানব্বই সাল এই দীর্ঘ সময় মাত্র ছয় ডলার বাড়ে। এই ছিল বাংলাদেশের অবস্থা।’

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।


দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের জন্মদিন পালিত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে কেক কাটা হয়।

এ সময় বার্তা সম্পাদক সৈয়দ আফজাল হোসেন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক তানজিমুল নয়ন, দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আফিজুর রহমানসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রথম বিজয়ের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি। যার রেকর্ড অন্য কোনো ধারাভাষ্যকারের নেই। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নের ধারাভাষ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার জানান দেন। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে গণসংবর্ধনা দেন।

চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত একমাত্র ধারাভাষ্যকার হিসেবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৭টি বিশ্বক্যাপের ধারাভাষ্য দিয়েছেন। এটি বিশ্ব রেকর্ড।

ধারাভাষ্যের পুরস্কার হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পোটর্স বেস্ট কমেন্টেটর’ পুরস্কার পেয়েছেন।

বাচসাসসহ বিশ্বের অন্য সব সংগঠন মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক শ্রেষ্ঠ কমেন্টেটরের পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও আবদুল হামিদের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন।


ইভিএমে পড়েছে কম ভোট, ব্যালটে বেশি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ০০:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল এ যাবৎ অনুষ্ঠিত সব উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে কম। সাধারণত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে পছন্দের প্রার্থী থাকায় ভোটারদের মধ্যে আলোচনা বেশি থাকে, উপস্থিতিও থাকে বেশি। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদল না থাকায় একতরফা নির্বাচনের যে প্রভাব ভোটের মাঠে পড়েছিল, উপজেলাতেও দেখা গেছে তারই রেশ। এ নির্বাচনেও ছিল না বিরোধী দল, ফলে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপের ভোট। ভোটারদের এমন কেন্দ্রবিমুখ হওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালও।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৬.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) চেয়ে ব্যালটে ভোট বেশি পড়েছে। অর্থাৎ ইভিএমকে এখনো আস্থায় নিতে পারছেন না ভোটাররা।

দেখা গেছে, যে ২১টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট পড়েছে সেখানে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। সেখানে গড়ে ভোট পড়েছে মাত্র ৩১.৩১ শতাংশ, অন্যদিকে ব্যালটে অনুষ্ঠিত বাকি উপজেলাগুলোতে ভোট পড়েছে ৩৭.৩১ শতাংশ

গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে।

নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অনাস্থার পরিবেশ থাকায় ভোটাররা ভোট বিমুখ হয়েছে। বিশেষ করে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। সর্বশেষ বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বড় একটি অংশ বর্জন করে। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলা ভোটেও বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে বেশির ভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই হয়। এক অর্থে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগই। এতে করে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে টানতে পারেননি প্রার্থীরা।

ইভিএমের চেয়ে ব্যালটে ভোট বেশি পড়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, ইভিএমের চেয়ে ব্যালট পেপারে ভোটের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় বেশি। কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ইভিএমে ব্যালটের চেয়ে অনিয়মের মাত্রা কিছুটা কম হয়। এখানে কেন্দ্র দখল হলেও ভোটারের ফিংগার ছাড়া ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত উপজেলাগুলোয় ভোটের প্রদত্ত হার বাড়তে পারে।

ভোটের হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইসি : উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটের প্রদত্ত হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ার এই হারকে ‘কম’ আখ্যা দিয়ে কিছু কারণও চিহ্নিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরী আবহাওয়া, ভোটে বিএনপির অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩.১ শতাংশ। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দুটি উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ইসির প্রস্তুত করা ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইভিএমে যে ২১টি উপজেলায় ভোট হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে পাবনার সুজানগরে। সেখানে ভোট পড়ে ৪৯.৭৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়ে সিরাজগঞ্জের সদরে ২২.৭০ শতাংশ।

১০ উপজেলায় অস্বাভাবিক ভোট : এবারের উপজেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও ১০টি উপজেলায় অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। উপজেলাগুলো হলো- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই, রাঙ্গামাটির কাউখালী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, কুষ্টিয়ার খোকসা, বাগেরহাটের কচুয়া, মাগুরার শ্রীপুর ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া।

২০ শতাংশের নিচে ভোট ছয় উপজেলায় : ছয়টি উপজেলায় ২০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। এসব উপজেলা হলো- চট্টগ্রামের মিরসরাই, কুষ্টিয়ার সদর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, বগুড়ার সোনাতলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ঢাকার নবাবগঞ্জ।

ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে নির্বাচন ভবনের ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম, বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকায় ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন। এ ছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা, সামনের ধাপগুলোর নির্বাচন আরও জমে উঠবে। প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠলে ভোটকেন্দ্রে আরও বেশি সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি দেখা যাবে।


দাম বাড়ছেই সোনালি মুরগির, চড়া সবজি-মসলার বাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ০৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আব্দুল রাজ্জাক। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে করেন বাজার। সন্তানের আবদার মেটাতে কৃষি মার্কেটে মুরগি কিনতে এসেছেন তিনি। দৈনিক বাংলার এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, নিয়মিত এখান থেকেই বাজার করা হয় তার। গতকাল মুরগি কিনতে এসে খেয়েছেন হোঁচট। কেননা মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে অনেক। শুধু আব্দুল রাজ্জাক নন, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন অনেক ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আব্দুল রাজ্জাক জানান, ব্রয়লার মুরগির দামে তেমন হেরফের না হলেও সোনালি জাতের মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪১০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে। আবার বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজনে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে ঠেকেছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গরমের তীব্রতা কমার সঙ্গে সঙ্গে মুরগি ও ডিম উৎপাদনে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া বাজার দীর্ঘমেয়াদে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদনে না ফিরতে পারলে বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে।

গতকাল ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ-মাংস, ডিম, সবজি ও মসলাসহ বেশির ভাগ পণ্যের দাম চড়া। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০-১২০ টাকা। কাঁকরোল-বরবটিরও দর একই। আর সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা দরে। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা।

গতকাল বাজারে টমেটো ৫০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, উচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরলতি ৮০-১০০ টাকা, কচুরমুখী ১৪০-১৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৮০ টাকা, চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে।

গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কোনো সবজির দাম তো কমেইনি বরং বেড়েছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত। অল্প মূল্যের সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপে আজকে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এদিকে কাঁচা মরিচের দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি হলেও আজ তা ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, সব সবজির দাম চড়া। গত সপ্তাহে প্রচণ্ড গরমে খেতে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

বাজারে সবজির দাম বাড়তির বিষয়ে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, তীব্র গরমের কারণে মাঠে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই বাজারে সবজির সরবরাহ কম, দামও বেড়েছে। নতুন করে কৃষকরা যেসব সবজি লাগাচ্ছেন, তা আসতে সময় লাগবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের আগে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন তিনি।

এ ছাড়া বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০-২২০ টাকা, সেই একই পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ২২০-২৫০ টাকা।

চাষের কই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বড়গুলো ৩৬০-৪০০ টাকা। বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন নেই। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০-১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম হলে ১৬০০-১৮০০ টাকা। আর কেজি সাইজের হলে দাম দুই হাজারের ওপরে।

মালিবাগ মাছ বাজারে বিক্রেতা তুহিন বলেন, এক মাস আগের চেয়ে প্রতিটি মাছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আড়তে মাছ নেই। যা পাই চড়া দাম। ক্রেতারা নিচ্ছেন না।

চড়া হচ্ছে মসলার বাজার

কোরবানি ঈদকে ঘিরে চড়া হচ্ছে মসলার বাজার। পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানিকারকদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় প্রভাব নেই। ক্ষেত্রবিশেষে পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে পাঁচ টাকার মতো কমেছে। এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সলিমুল্লাহ জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। তবে দাম এখনো সেভাবে কমেনি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করলে দেশের বাজারে দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দেশি ও আমদানি করা রসুনের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২১০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আমদানি করা আদার দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি পড়ছে সাড়ে ৩৫০ টাকার ওপরে। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে।

রাজধানীর টাউনহল কাঁচাবাজারের ক্রেতা রেজওয়ানা সুলতানা বলেন, ‘রোজার শেষ দিকে এসে বাজার কিছুটা ভালোর দিকে গিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে দাম বাড়তে শুরু করেছে। উচ্চমূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বড়ই কষ্ট পাচ্ছি।’


banner close