শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

১২ বছর ধরে বাজারে নকল স্যালাইন সরবরাহ চক্রের ৩ সদস্য আটক

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৪ মে, ২০২৪ ১৯:৫৫

১২ বছর ধরে হুবহু এসএমসি স্যালাইনের মতো দেখতে নকল স্যালাইন তৈরি করে আসছে একটি চক্র। এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও সম্প্রতি এই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, এসব স্যালাইন তৈরিতে ব্যবহার করা হতো চিনি ও লবণের মিশ্রণ। যা খেলে কিডনি ছাড়াও লিভারের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, চক্রটির তিন সদস্যকে আটকের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ২৮০০ প্যাকেট নকল খাওয়ার স্যালাইন। ১২ বছর ধরে চক্রটি নকল স্যালাইন তৈরি করে আসছিল। অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে বাজারে স্যালাইনের চাহিদা বাড়ায় সুযোগটি কাজে লাগায় তারা। শুধু চিনি ও লবণ দিয়ে এসব খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করতে চক্রটি।

ডিএমপির ডিবিপ্রধান আরও জানান, এই চক্রের আরও একজন পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।


‘ন্যায়বিচার পাওয়া সবার সাংবিধানিক অধিকার’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ন্যায়বিচার প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, প্রতিটা মানুষ বিচার পাবেন। বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ন্যায়কুঞ্জ-বিশ্রামাগারের নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে বিচারপ্রার্থী মানুষ ও সাক্ষীদের বিশ্রাম বা বসার তেমন ব্যবস্থা থাকে না। সাবেক প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে দেশের প্রতিটি আদালতে বিচারপ্রার্থী মানুষদের বসার জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বিচারপ্রার্থী মানুষদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

মাদক চোরাচালানের জন্য আলোচিত এলাকা কক্সবাজার। কক্সবাজার আদালতে মাদকের মামলা আছে প্রায় দুই হাজার। কয়েকটি আদালতে মাদকের মামলার বিচার চলছে। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা ও ধীরগতির কারণে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। মাদকের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা প্রদানের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, মাদকের মামলাগুলো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জজ সাহেবরা তৎপর আছেন। তারপরও এ ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আবদুল আজিজ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এরপর প্রধান বিচারপতি আদালত ভবনের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।

কক্সবাজার জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের মধ্যবর্তী জায়গায় ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচএম কনস্ট্রাকশন।

গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ন্যায়কুঞ্জের আয়তন এক হাজার বর্গফুট। এখানে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। ওয়াশরুম, ব্রেস্টফিডিং কর্নার, ফাস্ট ফুডের দোকান, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষে বসার ব্যবস্থাসহ বহুমুখী সুবিধা রাখা হচ্ছে। প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ন্যায়কুঞ্জের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ করার প্রস্তুতি আছে।

টেকনাফে রিসার্চ সেন্টারের জমি পরিদর্শন

ওবায়দুল হাসান দুই দিনের সফরে গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার আসেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ জন বিচারপতি, রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আরও ৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

রিসার্চ সেন্টারের জন্য ভূমি বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি উন্নয়নসহ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্মাণকাজ শুরু হবে। কাজের সফল বাস্তবায়নে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হবে।


দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: পুলিশপ্রধান

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ২০:২৬
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।

আজ শনিবার মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ লাইন্সে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ এবং জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘দেশে একসময় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের উত্থান হয়েছিল। আজ সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তৎকালীন বাঙালি পুলিশ সদস্যগণ শুধুমাত্র ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. মনজুর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ায় আইনজীবীদের কালো গাউন পরার নির্দেশ

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে। এখন থেকে আবার মামলার শুনানিকালে কলো গাউন পরতে হবে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবদের কালো গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল শনিবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয় যে- সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।

বিষয়:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে: র‌্যাব

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুর্তিমান আতঙ্ক হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ইতঃপূর্বে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কাছে থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই গতকাল বৃহস্পতিবার লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিষয়:

বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ করত, অত্যাচার করত। এখন জনগণের যে উন্নয়ন হচ্ছে, তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য তাদের মাথা খারাপ হয়েছে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সামদানি ফেরদৌস, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন বাবুল, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য “আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা” পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -“কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী” এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

বিষয়:

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান: গ্রেপ্তার ২৯

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৮৯ পিস ইয়াবা, ৩৭ গ্রাম হেরোইন, ১৫ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৬৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

এ সব ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩ টি মামলা করা হয়েছে।

বিষয়:

সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালতে সেলিম প্রধানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আলম। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান। অপর প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান।

আদালতের সময় নষ্ট করায় সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ শুনানির শুরুতে সেলিম প্রধানের আইনজীবী তার আবেদনটি নন-প্রসিকিউশনের (মামলা না চালানো) জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানান। তখন আপিল বিভাগ বলেন, ‘আপনাদের জরুরি কথা বিবেচনা করে আবেদনটি আপিল বিভাগের লিস্টে আনা হয়েছে। এখন বলছেন নন-প্রসিকিউশন করবেন। এরপর আদালতের সময় নষ্ট করায় সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা টোকেন জরিমানা করা হয়।’

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ও প্রতীক বরাদ্দে হাইকোর্ট আদেশ গত ৬ মে ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় চেম্বার আদালত। পরে এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সেলিম প্রধান।

গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানিলন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করে। পরে মনোনয়নের ফেরতে আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টে নিজের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রিট করেন সেলিম প্রধান। হাইকোর্ট সেলিম প্রধানের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান।

বিষয়:

রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ৪ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড সেটটপ বক্স বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী চার চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। এ সময় সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ অ্যান্ড্রয়েড সেটটপ বক্স জব্দ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব-৪ এর (মিডিয়া) শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (২৭), মো.আরিফুল ইসলাম (২৬) ও আলামীন আহম্মেদ (২৩)।

এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকায় একটি সক্রিয় চোরাকারবারি দল বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড সেটটপ বক্স অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেলে র‌্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ও বিটিআরসি কাফরুল ও নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের গ্রেপ্তারের সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সর্বমোট ৯৭৭টি চোরাই অবৈধ অ্যান্ড্রয়েড সেটটপ বক্স জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিটিআরসির লাইসেন্স ও অনুমোদনবিহীন আমদানি করা নিষিদ্ধ বিভিন্ন বেতার যন্ত্র সামগ্রী তথা সেটটপ বক্স অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে। তারা অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। জব্দ হওয়া অ্যান্ড্রয়েড সেটটপ বক্সের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।

বিষয়:

স্থগিত হলো কনডেম সেলের রায়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত সোমবার মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৫ আগস্ট দিন রেখেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

হাইকোর্টের রায়ের পর শিশির মনির বলেছিলেন, রায়ে আদালত বলেছেন- প্রথমত, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে মৃত্যু (কনডেম) সেলে রাখা যাবে না। বিচারিক প্রক্রিয়া (ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও রিভিউ) ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া (রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন) শেষেই কেবল একজন আসামিকে মৃত্যু সেলে বন্দী রাখা যাবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তির অসুস্থতা বা বিশেষ কারণে আলাদা সেলে রাখার আগে তাকে নিয়ে শুনানি করতে হবে। এটি ব্যতিক্রম।

রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, নতুন জেলকোড তৈরি করা হচ্ছে। নতুন আইন হচ্ছে, প্রিজন অ্যাক্ট। হাইকোর্ট বলছেন, রায়ের পর্যবেক্ষণ যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়, তা বিবেচনা করতে।

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির বিষয়ে তথ্য চাইলে (সাংবাদিক, গবেষক) আইন অনুসারে তা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিকেও আইন অনুসারে তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক রিপোর্টেও এ আসামিদের তথ্য সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুই বছরের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের ক্রমান্বয়ে কনডেম সেল থেকে সরিয়ে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণে আদালত নির্দিষ্টভাবে সাগর-রুনির ঘটনা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রায় ১২ বছর ধরে তদন্ত হচ্ছে, এখনও তদন্ত শেষ হচ্ছে না। বিচার তো আরও পরের স্টেজ (ধাপ)। আমাদের দেশে ট্রায়াল স্টেজ শেষ হতে ৫-১০ বছর সময় লেগে যায়। এ ধরনের বিলম্ব যেখানে হয়, সেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে নির্জন সেলে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত যদি বন্দি রাখা হয়, তাহলে এটি ডাবল (দ্বিগুণ) শাস্তি। নির্জন কক্ষে বসবাস তার সাজা নয়, সাজা মৃত্যুদণ্ড। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ভারতের ওই রায় আমাদের রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করেছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন কারাবন্দীর রিটের শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চান উচ্চ আদালত।


মিশা-ডিপজলের কমিটি বাতিল চেয়ে নিপুণের হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১২:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার নিপুণ। একই সঙ্গে রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। আজ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এই রিট করেন। রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী নিজেই।

নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। ২০ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।


ঢাকায় র‌্যাবের অভিযানে ১৯ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, শেরে বাংলা নগর, তেজগাঁও ও ধানমন্ডি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ ছিনতাইকারীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব)। গত ১১ মে থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. বিল্লাল (২৮), মো. সোহেল (৩০), জিসান আহম্মেদ জীবন (২১), মো. রাকিব (২৫), রাব্বী (৩৮), মো. শাহীন (৩৬), ইমরান পাটোয়ারী (২২), শফিকুল ইসলাম (২৮), মো. নওসাদ (২২), সোহেল মিয়া (২৫), মো. আমির হোসেন (৪০), মো. মোজাম্মেল (২০), আকাশ গাজী (২০), সোহেল মীর (৩৪), রাব্বী হোসেন (২২), বাচ্চু আকন্দ (২৫), মো. পারভেজ (১৯), ১৮) মো. আলী (২৯), মো. পারভেজ মিয়া (২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, এন্টি কাটার ও ছিনতাইকৃত মোবাইল।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম জানান, সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়ছে। তারা মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মতো ঘটনা ঘটায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, শেরে বাংলা নগর, তেজগাঁও ও ধানমন্ডি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দিনের বেলায় আত্মগোপনে থেকে রাতের বেলায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:

‘শ্রম আইন সংশোধনে কিছু বিষয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইএলও প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম আইন সংশোধনে কিছু কিছু বিষয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে শ্রম আইন যাতে আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কিছু সাজেশন দিয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। আমরা শ্রম আইন সংশোধন করছি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এ বিষয়ে কিছু সাজেশন দিতে চায়। সাজেশনগুলো মূলত তারা এ কারণে দিতে চেয়েছিল, যে আইনটি হচ্ছে, সেটি যাতে আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্টের সাজেশনগুলো যাতে কমপ্লায়েন্ট হয়, সেই বিষয়ে তাদের বক্তব্য ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আইএলওকে যে কো-অপারেশন সরকারের পক্ষ থেকে সেটা আমরা চালিয়ে যেতে চাচ্ছি। সে জন্যই মূলত আমরা তিন দিন ধরে সেটা (শ্রম আইনের খসড়া) এক্সারসাইজ করেছি। এখানে মূলত কিছু কিছু ইস্যু, যেগুলো আমেন্ডমেন্টে থাকার কথা বলেছেন। শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু কিছু বিষয় এসেছিল যেটি নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সেটি আমি বলেছি নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেটার সিদ্ধান্ত হবে। আমরা গ্রহণ করব কি করব না সেটার সিদ্ধান্ত।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আছে ত্রিপক্ষীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের বক্তব্য নোট করেছি, তাদের বক্তব্য সেখানে তুলে ধরব। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না হবে, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেব। কিছু কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো মনে হয়েছে গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সে জন্য এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলব না। কারণ বিস্তারিত বলতে গেলে হয়তো আমি কোথাও ভুল করব, সে জন্য আমি বলব না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে তাদের যে বক্তব্য সেটা শুনেছি। প্রত্যেকটা ইস্যু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ ধরনের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সেটা শুধু স্টেকহোল্ডারদের জন্যই ভালো নয়, আমার মনে হয় এই আলোচনাটাই আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন পড়েছেন, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। আমরা যে থ্রেডহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। তারা চায় এটা আরও কমে আসুক। আমরা যে বাস্তবতার কথা বলেছি, আমরা ২০১৭ সালে কমিটমেন্ট দিয়েছিলাম, এটা আমরা গ্রাজুয়ালি নামাবো। কমিটমেন্ট অনুযায়ী আমরা গ্রাজুয়েলি নামাচ্ছি। আমার মনে হয় আমাদের উভয়ের পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয়পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে।’

বিষয়:

banner close