শনিবার, ১১ মে ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:৩৩

বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। দেশটির ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয় শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি ও আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে নিম্ন খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদনকারীরাই পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন এবং এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আসবে বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে।

উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১২০ টাকা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৫ টাকা। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার ও পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত সরকার। গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।


স্টুডেন্ট ভিসায় আবারও পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ মে, ২০২৪ ১০:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্টুডেন্ট ভিসায় আবারও পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয় দেখাতে হয়। কিন্তু এই সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুধু তাই নয়, অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তত ১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে, এটি গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বৃদ্ধি। আজ শুক্রবার থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় গত মার্চে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে দীর্ঘদিন না থাকতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বহু শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এতে দেশটিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তাই সম্প্রতি অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


ইসরায়েলবিরোধী ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল এবার ইউরোপ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যাবতীয় চুক্তি বাতিলের দাবিও সামনে আনছেন তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বিক্ষোভ দমনে এরই মধ্যে তৎপর হয়েছে এসব দেশের সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও শহরে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গ্রেপ্তারের তথ্যও জানা গেছে।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ব্যাপক মাত্রায় লাঠি, পিপার স্প্রে এবং টিয়ার গ্যাস

ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

পরে গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় আমস্টারডাম পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী শহর এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাধ্য হয়ে কঠোর হতে হয়েছে পুলিশকে। গ্রেপ্তার ১৬৯ জনের মধ্যে চারজন ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। যে চারজনকে আটক রাখা হয়েছে, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেলফেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে জার্মানির জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিপজিগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিপজিগের একটি লেকচার হল দখল করেন ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। দখলের পর তারা হলের সামনে ব্যানার টানান। সেখানে লেখা ছিল, ‘গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় দখল’। ব্যানার টানানোর পাশাপাশি লেকচার হলের সামনে ব্যারিকেড স্থাপন করে সেটিকে ‘মুক্তাঞ্চল’ ঘোষণা এবং হলের আশপাশের ফাঁকা জমিতে অস্থায়ী তাঁবুও স্থাপন করেন তারা।

বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ফিরে না যাওয়ায় সন্ধ্যার দিকে পুলিশকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পুলিশ এসে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি লিপজিগ পুলিশ, তবে হল দখলের পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

লিপজিগে অভিযান চলানোর আগের দিন সোমবার রাজধানী বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। তাদের অস্থায়ী তাঁবুগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার কিছু সময় পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লেকচার হল দখলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানেও তারা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।

ফ্রান্সের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্সেস পো ইউনিভার্সিটিতে ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত যাবতীয় চুক্তি বাতিলের দাবিতে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন ১৩ শিক্ষার্থী। একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষা হলে গিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন আরও ২০ শিক্ষার্থী। ওই সময় হলে পরীক্ষা চলছিল। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিলে ফের পরীক্ষা শুরু হয়। একই দিন সন্ধ্যায় প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্ফিথিয়েটারে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদেরও সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবিতে চলতি সপ্তাহে আন্দোলন শুরু হয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রধান তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইউনিভার্সিটি অব ল্যুজান, ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা এবং ইউনিভার্সিটি অব জুরিখ।

এক বিবৃতিতে ইউনিভার্সিটি অব ল্যুজানের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে দাবি শিক্ষার্থীদের একাংশ তুলছেন, তা মেনে নেওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছে না বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক ডজন ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারী।

বেলজিয়ামের গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়েও গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইতালি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্যাম্পাসেও ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।


স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটিতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানটি বাতিল হলো। খবর আল-জাজিরার।

এক বিজ্ঞপ্তিতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, তারা ক্লাস ডেস ও অনুষদভিত্তিক অনুষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৫ মে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তাদের শিক্ষার্থীরা ছোট-পরিসরে অনুষ্ঠানে গুরুত্ব দেয়। অনুষদভিত্তিক উদ্‌যাপন তাদের কাছে এবং তাদের পরিবারের কাছে বেশি অর্থবহ।

অনুষদ ভবন দখলকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশকে ডাকার কয়েক দিনের মধ্যেই অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত এলো। ফিলিস্তিনির সঙ্গে সংহতি দেখাতে শিক্ষার্থীরা ভবন দখলের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শিবির স্থাপন করেন।

শিক্ষার্থীদের চাওয়া হলো, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান। শিক্ষার্থীদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কলাম্বিয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যেও শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা ইহুদিবিদ্বেষী ভাষা ব্যবহার করছেন এবং ক্যাম্পাসে অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাষণে এমন দাবিই করেছিলেন।


তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর উৎফুল্ল ভোটাররা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটাভুটি চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তৃতীয় পর্বের ভোট গ্রহণে ভোটার উপস্থিতি ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। আজ মঙ্গলবার ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪ আসন। মোট সাতটি ধাপে
অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটির এবারের নির্বাচন।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪টি, আসামের ৪টি, বিহারের ৫টি, ছত্তীসগড়ের ৭টি, গোয়ার ২টি, গুজরাটের ২৫টি, কর্নাটকের ১৪টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তরপ্রদেশের ১০টি, দাদরা ও নগর হাভেলিতে ১টি এবং দমন ও দিউতে ১টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ৯৪টি আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও গুজরাটের সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রজৌরি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণের দিন পিছিয়ে ২৫ মে নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গুজরাট, কর্নাটক, বিহার এবং মধ্য প্রদেশসহ যে রাজ্যগুলোতে মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ হয়েছে, সেই রাজ্যগুলোর অধিকাংশ আসনে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এ ছাড়া প্রথম দুই দফায় ভোটদানের হার গতবারের তুলনায় কম ছিল। তৃতীয় দফায় ভোটদানের হারের দিকে নজর রয়েছে সবার।

কমিশন জানিয়েছে, এই ৯৩টি আসনের জন্য ১২০ জন নারী প্রার্থীসহ ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এই দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতার। তাদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (গান্ধীনগর), জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা), মনসুখ মান্ডব্য (পোরবন্দর), পুরুষোত্তম রুপালা (রাজকোট), প্রহ্লাদ জোশী (ধারওয়াড়) এবং এসপি সিং বাঘেল (আগ্রা)।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এ ছাড়াও গত ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৮টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়।

এবারের নির্বাচনে ৯৭ কোটি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে বলে জানিয়েছে নিবার্চন কমিশন। এর মধ্যে ১ কোটি ৮০ লাখ নতুন ভোটার এবং ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সি প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি ভোটার রয়েছে। সাড়ে ১০ লাখের বেশি ভোটকেন্দ্র, দেড় কোটি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ৫৫ লাখের বেশি ইভিএম, ৪ লাখ যানবাহন।

দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কর্মী সমন্বিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩ হাজার ৪০০টি কোম্পানির সমন্বয়ে ৭ ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় ধাপের ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থী যারা

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতা লড়াই করছেন। এই ধাপে লড়ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, মধ্যপ্রদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানে এবং কংগ্রেস নেতা ও মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংসহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের রাজনৈতিক দল জেডিএস নেতা প্রোজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি, নরেন্দ্র মোদির কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোলা মুসলিমপ্রীতি, রাহুল গান্ধীর রায়বেরেলি আসন থেকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের মতো একাধিক ইস্যু শিরোনামে এসেছে। এই ইস্যুগুলো তৃতীয় ধাপের ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

যেখানে ভোট দিলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদি আজ মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তার ভোট দিয়েছেন। নিজ রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। আহমেদাবাদের গান্ধীনগর লোকসভা আসনের নিশান উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন মোদি। এই লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার একটু পর নরেন্দ্র মোদি ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে মোদি-শাহ দুজনে একসঙ্গে ভোট বুথের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকরা উল্লসিত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

ভোটকেন্দ্রে মোদি ভোট দিলেও কাকে দিয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে অনুমান করা যায়, মোদি তার দীর্ঘদিনের সহযাত্রী অমিত শাহকেই ভোট দিয়েছেন এবং সেটাই স্বাভাবিক। ভোটের আগে, মোদি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং এক ভক্তের তৈরি করা মোদির প্রতিকৃতিতে নিজের অটোগ্রাফ দেন। পরে মোদি কেন্দ্রের বাইরে থাকা লোকদের উদ্দেশ করে বলেন, দেশের নাগরিকদের উচিত নিজ নিজ ভোট দেওয়া, কারণ এটি গণতন্ত্রের বিকাশে বড় তাৎপর্য রাখে। তিনি কৌটিল্যের চার নীতি- সাম, দান, দণ্ড ও ভেদের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের দেশে দানের (অনেক সময় কোনো কিছুর মূল্য দেওয়া অর্থে এটি ব্যবহৃত হয়) গুরুত্ব অনেক।’


পুলিৎজার পেল রয়টার্স-নিউইয়র্ক টাইমস-ওয়াশিংটন পোস্ট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে। পুলিৎজারের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা।

জানা গেছে, এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে গাজায় চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে খবর প্রকাশ বড় ভূমিকা রেখেছে। গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি এবার পুলিৎজারের ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে। এ বছর ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী।

এদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও তারপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ও বর্বর আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন করায় ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

অন্যদিকে, জেলবন্দি রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকেও পুলিৎজার দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচিত কিছু কলাম লেখার কারণে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

কারা-মুর্জা রাশিয়ায় ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া এক বক্তৃতায় রাশিয়া ইউক্রেনে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে বলে উল্লেখ করার পর তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ তোলে পুতিন প্রশাসন। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে তিনিই দীর্ঘতম সাজা পেয়েছেন।

এবার পুলিৎজারের ‘ফিকশন অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন সাহিত্যিক জেন অ্যান ফিলিপস। যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে এক মা ও তার মেয়েকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘নাইট ওয়াচ’-এর জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ‘এ ডে ইন দ্য লাইফ অব আবেদ সালামা: অ্যানাটমি অব এ জেরুজালেম ট্র্যাজেডি’ বইয়ের জন্য পুলিৎজারের ‘ননফিকশন’ পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকান ইহুদি লেখক নাথান থ্রাল।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিকতার ‘নোবেল’হিসেবে খ্যাত এই পুলিৎজার পুরস্কার। ১৯১৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

বিষয়:

পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে শপথ নিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ৭১ বছর বয়সী নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। দেশটির সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বিদেশি অনেক কূটনীতিকদেরও নিমন্ত্রণ করা হয়। মস্কোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকেও নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘিরে ব্যাপক তিক্ততা চলছে প্যারিস এবং মস্কোর মধ্যে।

তবে পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন— উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।


যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে পণ্য ঢোকাচ্ছে চীন

মেক্সিকোতে চীনের মালিকানাধীন কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মেক্সিকোর মন্টেরে শহরের ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার ফ্যাক্টরিতে যেসব বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সোফা তৈরি হয়, সেখানে লিখা রয়েছে ‘মেইড ইন মেক্সিকো’। সেখান থেকে তাদের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মতো বড় বিপণিগুলো। কিন্তু এই কোম্পানিটি চীনের মালিকানাধীন এবং মেক্সিকোয় উৎপাদন কারখানাও তৈরি হয়েছে চীনা অর্থে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই ত্রিমুখী সম্পর্ক একটি নতুন শব্দে পরিচিত হয়ে উঠেছে; সেটি হলো ‘নিয়ারশোরিং’- অফশোরিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম। ম্যান ওয়াহ কয়েক ডজন চীনা কোম্পানির মধ্যে একটি, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থান নিয়েছে। এতে পরিবহন খরচ কমে যাওয়া ছাড়াও চূড়ান্ত যে পণ্য প্রস্তুত হলো, তা পুরোপুরি মেক্সিকান। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ও কর আরোপ করেছে, সেটি এড়ানো সম্ভব হয়।

ম্যান ওয়াহর জেনারেল ম্যানেজার ইয়ু কেন ওয়েই বলেন, অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল দিক চিন্তা করেই তারা মেক্সিকোতে তাদের কারখানা সরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, আমাদের মেক্সিকোয় আসার উদ্দেশ্য হলো, ভিয়েতনামে আমরা যে পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করি, সেই পরিমাণ এখানেও উৎপাদন করা। কোম্পানিটি মাত্র ২০২২ সালে মন্টেরে আসে এবং এরই মধ্যে মেক্সিকোতে ৪৫০ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে তারা। জেনারেল ম্যানেজার জানান, তাদের লক্ষ্য ১২০০র ওপর কর্মীকে কাজে লাগানো, যাতে আসন্ন বছরগুলোতে কয়েক ধাপের অপারেশন এখানে চালু করা যায়।

বাণিজ্য বেড়েছে মেক্সিকোর

নিয়ারশোরিং মেক্সিকান অর্থনীতিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত মেক্সিকোর মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর এই ধারা কমার কোনও লক্ষণ নেই। এ বছরের প্রথম দুই মাসেই মেক্সিকোতে যে পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে, তা ২০২০ সালের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকের সমান। ম্যান ওয়াহ ফ্যাক্টরির অবস্থান মন্টেরের বাইরে চাইনিজ-মেক্সিকান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হফুসানে। সেখানে প্লটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে, অবিক্রিত কোনো জায়গা নেই। শুধু তাই নয়, মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন (এএমপিআইপি) জানিয়েছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেক্সিকোর সব সাইট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক মেক্সিকান অর্থনীতিবিদ ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটিতে চীনের এই আগ্রহ সাময়িক কোনো বিষয় নয়।

মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা বলেন, যেসব কাঠামোগত কারণে মেক্সিকোতে বিনিয়োগ আসছে তার পরিবর্তন হবে না। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাত খুব সহসা মিটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখি না। তিনি বলেন, যদিও এসব চীনা বিনিয়োগ মেক্সিকোতে ঢোকা হয়তো কিছু দেশের জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী, এই পণ্যগুলো সব দিক দিয়েই পুরোপুরি মেক্সিকান। বস্তুত এই পরিস্থিতি মেক্সিকোকে দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে কৌশলগত ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। মেক্সিকো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জায়গায় চীনকে তাদের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার বানিয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একটা প্রতীকী বদল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মেক্সিকোর কিছু অংশে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার অন্যতম কারণ নিয়ারশোরিং বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিণতি নিয়ে সংশয়

এভাবে চীনা বিনিয়োগ আসার বিষয়ে অনেকেই মেক্সিকোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ ভূরাজনৈতিকভাবে এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে যেতে পারে তারা। উদাহরণ দিয়ে ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের অধ্যাপক এনরিক দুসেল বলেন, শহরের পুরোনো ধনী যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা দেখা যাচ্ছে শহরের নতুন ধনী চীনের সঙ্গে; কিন্তু মেক্সিকোর আগের সরকার বা বর্তমান সরকারের কোনো কৌশল দেখা যাচ্ছে না এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের ব্যাপারে।


ভোট দিলেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদের নিশান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।

এনডিটিভি বলছে, স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টার কিছু পরে তিনি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি মোদিকে স্বাগত জানান। এ সময় তাদের দু’জনের পাশে জড়ো হয় অনেক মানুষ। মোদির আগমণে তারা দলীয় স্লোগান ধরেন।

মোদি ভোট দিতে গেলে বিজেপির এক সমর্থক একটি পোর্ট্রেট ছবি মোদির সামনে ধরে অটোগ্রাফ চাইলে মোদি তাকে অটোগ্রাফ দেন।

ভোট দেওয়া শেষে জনতার উদ্দেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোদি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, কারা নিয়ন্ত্রণ করবে এই দেশ— তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। তাই আসুন, ভোট দিন। এখনও চার ধাপ ভোট বাকি আছে।’

এ সময় নির্বাচন কভার করা সংবাদকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সংবাদকর্মীদেরকে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে এবং অধিক পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ দেন।

আজ দেশটির ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।

বিষয়:

বিজেপির উত্থানে নেপথ্যের কারিগর অমিত শাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো জিতে রেকর্ড করতে পারবেন কি না সেটা তিনি জানতে পারবেন সামনের জুন মাসে। এক দশকের ক্ষমতায় তিনি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বারবার। তবে কম আলোড়িত একজন রাজনীতিবিদকে সব সময় তার পাশে দেখা গেছে, যিনি কৌশলপ্রণেতা হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অসাধারণ উত্থানে সাহায্য করে গেছেন, তিনি অমিত শাহ।

অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী পুরোনো বন্ধু, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন এবং তার নির্বাচনী সিদ্ধান্তের নেপথ্যের মস্তিষ্ক। কট্টরপন্থি হিন্দু জাতীয়তাবাদী অমিত শাহ দলের কর্মীদের মধ্যে ‘অমিত ভাই’ নামেই বেশি পরিচিত। তার হাত ধরেই ভোটের মাঠে টানা সাফল্য আসছে বিজেপির তথা মোদির।

সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো তারকাখ্যাতি অমিত শাহর নেই। তিনি নিজের গণ্ডিতে চলতেই পছন্দ করেন। তবে তিনি একজন দক্ষ সংগঠক, প্রচার কৌশলবিদ, একজন ঝানু রাজনীতিবিদ এবং মোদির মতোই বিভাজনের রাজনীতির জন্য পরিচিত।

সমালোচকরা বলছেন, কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করাসহ ভারতের কিছু বিতর্কিত আইনের নেপথ্যের ব্যক্তি এই অমিত শাহ। কাশ্মীরের বিষয়টি কয়েক দশক ধরেই বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। নতুন নাগরিকত্ব আইন করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, যে আইনকে মুসলমানদের জন্য বৈষম্যমূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অমিত শাহর বন্ধু ও সহকর্মী, যারা তাকে স্কুলে পড়ার সময় থেকে, কিংবা পেশাজীবনের প্রথম থেকে চেনেন; এমনকি জেল খাটার সময়ও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এই বিজেপি নেতার প্রথম দিককার জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসির গীতা পাণ্ডে। অমিত শাহর অসাধারণ সাফল্যের পেছনে কী কী কাজ করেছে, তা বর্ণনা করেছেন তারা। দলীয় কর্মীদের প্রতি তার গভীর স্নেহ আর কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতার কথা তারা বলেছেন।

প্রধান কৌশলবিদ: অমিত শাহ জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে প্রথম আলোচনায় উঠে আসেন এক দশক আগে, যখন তিনি ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপির জন্য একটি অসাধারণ জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। বছরের পর বছর ধরে উত্তর প্রদেশকে অজেয় হিসেবে দেখেছে বিজেপি। তবে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি এই রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭১টিতে অভূতপূর্ব জয় তুলে নেয়। অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা বিজেপির সাবেক রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী যতিন ওঝা বলছেন, অমিত শাহর জন্য ঈশ্বরের একটি উপহার আছে, তা হলো চাণক্যের চেয়েও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক।

২০১৪ সালের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ২০১৭ ও ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েন অমিত। ২০১৯ সালেও বড় জয় পায় তার দল। যতিন ওঝা বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হতো, অমিত শাহ এক দিন ‘ক্ষমতার চূড়ায়’ পৌঁছে যাবেন।

যেখানে সবকিছুর শুরু: ১৯৬৪ সালের ২২ অক্টোবর গুজরাটের ছোট্ট শহর মানসায় জন্মগ্রহণ করেন অমিত শাহ। তার বাবা অনিল চন্দ্রের ছিল পিভিসি পাইপ তৈরির একটি ছোট ব্যবসা। মা কুসুমবেন ছিলেন গৃহিণী। ১৬ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অমিত শাহ যেখানে থাকতেন, বন্ধুদের সঙ্গে যে বাগানে ক্রিকেট ও মার্বেল খেলতেন, সেই পারিবারিক পরিসর বিবিসির গীতা পাণ্ডেকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন অমিত শাহর বাল্যবন্ধু সুধীর দর্জি। অমিত শাহদের বারোয়ারি ভিটাও আছে এর মধ্যে। পাশের যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অমিত শাহ এবং সুধীর দর্জি পড়তেন, তাদের সেই খেলার মাঠ, শ্রেণিকক্ষ, খেলনার আলমারি আর স্কুলের ঘণ্টা যেন অর্ধশতাব্দীতেও বদলায়নি।

এক গাড়ির দুই চাকা : ১৯৮২ সালে উগ্র ডানপন্থি সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দেন অমিত শাহ। ওই সময়ই আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। মোদি তখন আরএসএসের একজন প্রচারক। তিনি তার অনুজ সহকর্মীকে (অমিত শাহ) বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। অল্পদিনেই দুজনের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়। মোদির পদোন্নতি হতে থাকে দ্রুত, অমিত শাহরও তাই। সমর্থকরা তাদের নাম দেন ‘এক গাড়ির দুই চাকা। হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের দুই ভাই রাম ও লক্ষ্মণের সঙ্গেও তাদের তুলনা চলতে থাকে।

গুজরাটেই উত্থান: অমিত শাহ রাজনৈতিক কারিকুরি শিখেছেন তার নিজ রাজ্যে; বছরের পর বছর ধরে তিনি নিজেকে নরেন্দ্র মোদির ডান হাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তাকে চেনেন এমন একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরডি দেশাই। তিনি বলেন, অমিত শাহ প্রতিভা খুঁজে বের করতে পারদর্শী। যাদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেন, সেই তরুণদের তিনি সমর্থন দিয়ে যান। কিন্তু রাজনীতিতে আসার পর দেড় দশকের বেশি সময় তিনি নিজে কোনো নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, বলেছেন ‘আগে আমাকে সংগঠন গড়তে হবে।’

অমিত শাহ প্রথমবার গুজরাট বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৭ সালে। নরেন্দ্র মোদি তাকে বিধানসভার সারখেজ আসনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৭ সালেও একই আসন থেকে জয়ী হন শাহ। ২০০৮ সালে আসনটি বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি নারায়ণপুরায় চলে যান। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে (লোকসভা) অমিত শাহ প্রার্থী হননি। তবে ২০১৯ সালে গান্ধীনগর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এবারও তিনি একই আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী।

২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং তার পরের ঘটনাপ্রবাহ মোদি-অমিত সম্পর্কের নতুন পটভূমি তৈরি করে, পরে যা আরও বিকশিত হয়েছে। মোদি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। দাঙ্গার কয়েক মাস পরে বিজেপি যখন ধর্মীয়ভাবে দারুণ বিভক্ত গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করল, অমিত শাহকে তখন এক ডজন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাজ্য পুলিশ এবং প্রসিকিউশন তখন অমিত শাহর অধীনে। দাঙ্গা নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিল তার অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিছু মামলার তদন্তে গাফিলতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন তদন্তকারীরা।


হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আনল সৌদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আরোপ করেছে সৌদি আরব। এ সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদন খবরটি দিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু হজ ভিসা দিয়েই ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীরা জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে জোর দিয়ে বলেছে, সৌদি আরবে কোনো কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়। এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারী ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও পেতে পারেন। তাকে দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলো ছাড়া যেসব আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান তাদের অবশ্যই হজ ভিসা নিতে হবে। হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে নতুন বিধিতে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ ভিসার আবেদনের জন্য ভিসা প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করে উপযুক্ত পরিষেবা নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। সব নিয়মনীতির প্রতি সম্মতি জানিয়ে আগে থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাধারণত তিন কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগে।

বিষয়:

৫ বছর পর ইউরোপ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট

সি চিনপিং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। এর আগে ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এবার শি তার সফর শুরু করছেন ফ্রান্স থেকে। এরপর তিনি সার্বিয়া ও হাঙ্গেরি যাবেন।

সফরের শুরুতে সোমবার প্যারিসে সি চিনপিংয়ের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। নৈশভোজে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনও থাকবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে।

ইউক্রেনে হামলার পর ২০২২ সালে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে; কিন্তু চীন রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ফ্রান্সে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রতি চীন নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলছে।

ফ্রান্সের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া যাতে এই বিরোধ মেটানোর রাস্তায় আসে তার জন্য চীনকে চাপ দেবে ফ্রান্স। তবে এই চাপে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, গত বছর ফ্রান্সের অনুরোধে শি জিনপিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন। কিন্তু তারপরও কিছুই বদলায়নি।

এই সফর প্রসঙ্গে প্যারিসের ক্যাথলিক ইনস্টিটিউটের গবেষক এমানুয়েল লিনকট বলেছেন, মাখোঁর সঙ্গে সি চিনপিংয়ের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট চীন সফরে যাচ্ছেন। ফলে বেইজিং তার অবস্থান থেকে সরবে বলে মনে হয় না। তার মতে, আন্তর্জাতিক বিষয়ে শি জিনপিংয়ের অবস্থান বিন্দুমাত্র বদলের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

ফ্রান্সের পর সার্বিয়া সফরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ২৫ বছর আগে বেলগ্রেডে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আঘাত হেনেছিল মার্কিন বোমা। সেই সময় যুগোস্লাভিয়ায় বিরুদ্ধে ন্যাটোর সংঘাতের অংশ ছিল ওই আক্রমণ। পরে যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়। নিহত চীনা নাগরিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেয়। কিন্তু চীনের অনেকে এখনও মনে করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের দূতাবাসে বোমা ফেলা হয়েছিল।


ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা: ৭০ হাজার লোক নিরাপদ স্থানে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল রিও গ্রান্ডে দো সুলে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ের কারণে প্রায় ৭০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার এসব কথা জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট এই বন্যায় ৫৭ জন নিহত, ৭৪ জন আহত এবং ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যায় আরও দুজন অন্তর্ভূক্ত হয়নি যারা পোর্তো আলেগ্রে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্যাস স্টেশন বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

বন্যার কারণে পোর্তো আলেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রাভাটাইয়ের মেয়র সেবাস্তিয়াও মালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) কঠোর সতর্কতা জারি করে বলেছেন, ‘লোকজনকে অবশ্যই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।’

রিও গ্রান্ডে দো সুলের গভর্নর এই বন্যাকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করে একে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বলেও উল্লেখ করেছেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিও গ্রান্ডে দো সুলের অন্তত তিন শ পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আবহাওয়ার এ পরিস্থিতির জন্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করেছেন।

শহরটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গুইবা নদীর পানি ঐতিহাসিক রেকর্ড ৫.০৪ মিটার উচ্চতায় বয়ে যাচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ৬৯ হাজার দুই শ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ লাখেরও বেশি লোক খাবার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বিষয়:

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। তার ভাষ্যে, এটি সম্পূর্ণভাবে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

গতকাল শনিবার কায়রোতে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া শোনেন। প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়।

হামাসের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের গ্রুপ কোন অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। কারণ প্রস্তাবে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল।

আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা আজ রোববার পুনরায় শুরু হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এপর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

বিষয়:

banner close