রোববার, ১২ মে ২০২৪

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৩৩

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রবিউল মোল্লা (২৩), জাবেদ হাওলাদার (২৩), মো. তাছিন (১৮) ও মো. রবিউল মীর (১৮)। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে অভিযান চালিয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে ব্যবহৃত ১টি সুইচ গিয়ার চাকু ও ৩টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেয়া তথ্যের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ ঢাকার কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চাকু/ছুরির ভয় দেখিয়ে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, পাড়া মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. মাহফুজুর রহমান সন্ধ্যায় এক খুদে বার্তায় জানান, রাজধানীর উত্তরা থেকে কিশোর গ্যাং 'বুলেট গ্রুপ'- এর ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।


ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-মো. রায়হান হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, মো. কুরবান ও মো. সাগর। পুলিশ বলছে, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী।
গতকাল শুক্রবার রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ২টি চাপাতি ও ২টি চাকু এবং ছিনতাই করা টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা শুক্রবার হাজারীবাগের বেড়ীবাঁধ এলাকার সালাম সরদার রোডে একটি অটোরিকশার গতিরোধ করে যাত্রীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। অটোরিকশার যাত্রীদের চিৎকার শুনে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ছিনতাইকারী সাগরকে চাপাতিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার সাগরের দেয়া তথ্যে কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী রায়হান হোসেন স্বপন, রাসেল ও কুরবানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তারা চুরি করতে গিয়ে মানুষকে গুরুতর আঘাত এমনকি খুন করতেও দ্বিধা করতো না। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসি মেয়র

রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে রাস্তায় বর্জ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৮:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত দেশে বাড়ির সামনের দিকে খাল থাকে কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো চিত্র। সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি বানায়। খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনের রাস্তায় বর্জ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মেয়র ঘুরে ঘুরে বর্জ্যগুলো দেখেন এবং প্রদর্শনীতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সচেতন করেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখছি অনেকে অসচেতনভাবে গৃহস্থালির বর্জ্য খাল, ডোবা, নালা, ড্রেনে ফেলে দেয়। সারফেস ড্রেনে ও খালে এমন কোনো ময়লা নেই পাওয়া যায় না। আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে। ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। এগুলোর কারণেই মূলত পানি প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।’

মেয়র বলেন, এ ছাড়াও যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় জন্ম হয় এডিস মশার। আমাদের অসচেতনতায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হতে পারে। মনে রাখবেন, খাল-ড্রেন পরিষ্কার থাকলে জলাবদ্ধতা ও মশার উপদ্রব থেকে আমরা রক্ষা পাব। খাল জলাধার রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর খাল-ড্রেন ও জলাধারে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা অপরাধ। এ বিষয়ে আমি জনগণের সহযোগিতা চাই। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।

তিনি আরও বলেন, ড্রেনে, খালে ও যত্রতত্র এসব বর্জ্য ফেলায় দূষণ হয় নগরের পরিবেশ। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজকে এ বর্জ্য-প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি হয়। জনগণ যেন বুঝতে পারে কি ধরনের বর্জ্য ড্রেনে ও খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে এজন্যই এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীতে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতার জন্য ১০টি অঞ্চলে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে জলাবদ্ধতা দূর করতে এ কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। কোথাও পানি জমে থাকলে নগরবাসীকে (১৬১০৬) হট লাইনে যোগাযোগ করার কথা জানান তিনি।

খালে বর্জ্য ফেলা বিষয়ে মেয়র বলেন, বৃষ্টি হলে শহরে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেটা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। একসময় বিভিন্ন প্রধান সড়কেও কয়েকদিন জলাবদ্ধতা হতো। এখন আর প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন হয়। এ জলাবদ্ধতা শুধু মাত্র ড্রেনে ময়লা জমে জলাবদ্ধতা হয়। এখন কেউ খাল ও ড্রেনে বর্জ্য ফেললে কঠর ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র।

বর্জ্য প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।

বিষয়:

পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ ঢাকায় ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থেমেছে সকাল ৯টার দিকে। সড়কগুলোতে পানি জমে থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেককেই।

আজ শনিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এক ঘণ্টার মধ্যে এসব বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আরও পড়ুন: ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় আজ সকালে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এক ঘণ্টা ভালোমতো বৃষ্টিপাত ছিল। সারা দিন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শেষ রাতে আবার অল্প হতে পারে। ১৩-১৪ তারিখে বৃষ্টির আবার সম্ভাবনা আছে। এরপর ১৯ তারিখের দিক বৃষ্টি হতে পারে।’

মোটরসাইকেলে মিরপুর থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘অল্প কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই কাজীপাড়া থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত বেগম রোকেয়া সরণিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পূর্ব কাজীপাড়া থেকে বের হয়ে মেট্রো স্টেশনের নিচে আসার আগে থেকে রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গিয়েছিল। মেইন রোডের আটকে থাকা পানির পরিমাণ আরও বেশি। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের অর্ধেকেরও বেশি ডুবে গিয়েছিল।’

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে অতিবৃষ্টি। আগে ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।


৭ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. রিপন আলীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। র‌্যাব জানায়, তিনি মামলা হওয়ার পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পলাতক ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম. জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাফাবাদ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ পলাতক আসামি মো. রিপন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০১৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার মাদক মালায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামি ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছেন। তিনি মামলা হওয়ার পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে কামরাঙ্গীরচরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘন্টায় মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৩৪ পিস ইয়াবা, ১৩২ গ্রাম হেরোইন, ১১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০ টি মামলা করা হয়েছে।


স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার স্ত্রী!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ পিস ইয়াবাসহ রুমা আক্তার (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা। কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি নিজে এই ইয়াবা কিনে বাসায় রেখেছেন! আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে রুমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকির (৩৩) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটিহাতা গ্রামের মৃত সাব্বির উদ্দিনের মেয়ে।

জানা গেছে, ১২ বছর আগে বিয়ে হয় প্রবাসী কাওছার ও রুমার। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এই ঝগড়া বিবাদের কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে ফিরলে তাদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে বোনের জন্য স্বামীর কাছ থেকে টাকা নেন রুমা। সেই টাকা দিয়েই জাকিরের কাছ থেকে ১৪ পিস ইয়াবা কিনেন। পরে সেই ইয়াবা শোবার ঘরে একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা। পুলিশ গেলে রুমার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রুমা ইয়াবা কিনে স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এনআইডি-টিকার সনদ জালিয়াতি, ইসি কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদামত টাকা দিলেই লিটন কর্মকার নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম নিবন্ধন সনদ ও কোভিড-১৯ টিকা কার্ডের সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের দিতেন। আর তাকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি সার্ভার থেকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন ইসির ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন।
এসব গোপন তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন বাণিজ্য করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চক্রের এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত মঙ্গলবার লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারি করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। দীর্ঘদিন গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার মো. জামাল উদ্দিন নির্বাচন কমিশনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তার সহায়তায় লিটন মোল্লা নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতো। দেখতে একইরকম হলেও নকল ওয়েবসাইট থেকে বানানো এসব নকল সনদ বাণিজ্য করে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লিটন।
সিটিটিসি কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তাররা অর্থের বিনিময়ে জাল এনআইডি প্রদান, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকা কার্ড ও টিন (TIN) সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অনলাইনে এনআইডি ও অন্যান্য সনদ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ধরনের কাজের বিনিময়ে তারা কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো। হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতো। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের বানানো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের প্রদান করতেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারি জড়িত আছেন। চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে। তারা আদালতের আদেশে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।


ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকায় কাউকেই পরোয়া করতেন না মিল্টন

আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ২০:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিআইপি) সঙ্গে ওঠাবসা ও যোগাযোগ থাকার কারণে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার কাউকেই পরোয়া করতেন না। তিনি মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এদিকে, তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন। ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে মরদেহ দাফনের বিষয়টিও তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারকে সাত দিনের রিমান্ডে এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ মিডিয়াতে এসেছে তার অধিকাংশই আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আমরা তার কাছে আশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। মিল্টন নিজেই বলেছেন, ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতেন। তাছাড়া তার আশ্রমে কোনো ডাক্তার ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে তিনি নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতেন। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তখন মিল্টন তাদেরকে পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, যখন নির্যাতন করা হত তখন তিনি ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে করে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকতো না। এ কাজটি যে করা ঠিক হয়নি সেটিও তিনি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ৯০০ লাশ দাফন করা হয়েছে এমন ভিডিও মিল্টন মানুষের সহানুভূতি ও টাকার জন্য করেছে। আমরা তার কাছে ৯০০ লাশ কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে সেটি জানতে চেয়েছি। তিনি নিজের মুখে ১৩৫টি লাশ দাফনের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু সেসব লাশের ব্যাপারেও কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এগুলো আমরা আরও তদন্ত করবো। অনাথ-অসহায় মানুষের এসব ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে তিনি মানুষের বিবেকে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকার কারণে মিল্টন কাউকেই পরোয়া করতেন না জানিয়ে ডিবি প্রধান আরও বলেন, মিল্টনের এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা। তিনি মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আরও তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।


মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২১

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ২৪৯ পিস ইয়াবা, ১৫৬ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৩১৬ গ্রাম গাঁজা ও ৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা করা হয়েছে।

বিষয়:

মহাখালীতে নেই চিরচেনা সেই যানজট!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় সব সময় লেগে থাকত যানজট। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার গেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন- সব মিলিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল পার হওয়া ছিল নগরবাসীর কাছে এক ভোগান্তির নাম। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় সেই চিরচেনা যানজট এখন আর নেই।

ট্রাফিক-গুলশান দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এ এস এম হাফিজুর রহমান জানান, মহাখালীকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে গত ৬ মে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ বৈঠক করে। সেখানে টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার গেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন, সীমিত এলাকায় অতিরিক্ত তেল ও গ্যাসের পাম্প, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মহাখালীতে নামার র‌্যাম্প স্থাপন, এলাকাগত সীমা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের অভাবসহ বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং এসব সমস্যা সমাধানে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে থাকে।

তিনি জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার থেকে শক্ত অবস্থানে নামে ডিএমপির ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ। সঙ্গে রয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের স্বেচ্ছাসেবকও। তারা টার্মিনালের সামনে এসে থামানো বাসগুলো অন্যত্র সরে যেতে সহায়তা করছেন।

আজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ওই জায়গায় যেখানে সেখানে বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে। যান চলাচলে শৃঙ্খলার স্বার্থে মহাখালীর সামনের সড়ক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে গুলশান-ট্রাফিক বিভাগের ডিসির নির্দেশে মহাখালীতে নতুন করে ইনকামিং সড়কে একটি বাস বে চালু করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো যাত্রীবাহী বাসকে। বিশৃঙ্খলা করলেই বাস থামিয়ে সাবধান করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নিয়ম না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা। এসব কারণে পরিস্থিতি বদলে গেছে। মূল সড়কে কমেছে যানজট, উধাও হয়েছে যত্রতত্র পার্কিং। শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী রেলগেট, আমতলী ও কাকলী এলাকা। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচলে গতি বেড়েছে। এটি বহাল ও চলমান রাখতে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই।

মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আরিফুর রহমান রনি বলেন, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠা-নামা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। ‘বাস বে’গুলো সক্রিয় করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া লোকাল যাত্রীবাহী বাস যেমন দাঁড়াবে না, তেমনি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া দাঁড়াবে না। যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধে চালকদের সতর্ক করা হচ্ছে। না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কোনো সতর্কতা থাকবে না। নির্দিষ্ট স্টপেজে বাসের যাত্রী গণনা করা হবে। পরের স্টপেজে যাত্রী ওঠানোর আগে সংখ্যা বেশি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাখালী বাস টার্মিনালের ধারণক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান। তিনি জানান, মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছন দিকে অনেকখানি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। সেটি যদি মহাখালী টার্মিনালের সঙ্গে একীভূত করা যায়, তাহলে অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি সহসা এর সমাধান হবে।

বিষয়:

‘সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’

ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে, আমরা এখন তাদেরই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। ফলে বাসা বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন স্বচ্ছতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেককেই বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

যতদিন দায়িত্বে থাকব ততদিন দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই এক সময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলমান থাকবে। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দেবো না।’

অনুষ্ঠানে দয়াগঞ্জের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘নীলপদ্ম’-তে ৬৪ জন এবং ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘শাপলা’, ‘শালুক’ ও ‘পলাশ’-এ ২৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দয়াগঞ্জের নীলপদ্ম পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসে ৩৪৩টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত হলেও বাসা বরাদ্দ প্রাপ্তির সব মানদণ্ড পূরণ করেছে ৬৪ জন। একইভাবে ধলপুরে ২৯০টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে ২৬৯টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকি ২১টি বাসা আজ যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪৯ নম্বর কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ।

বিষয়:

কাওরানবাজারে প্রাইভেটকারে আগুন

রাজধানীর কারওয়ানবাজার মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ মঙ্গলবার একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালকসহ দুজন গাড়ি থেকে বের হয়ে যান। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ানবাজার মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) স্নেহাশিস কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চলন্ত গাড়িতে আগুন লাগে। তেমন কোনো বড় সমস্যা না।

এ প্রসঙ্গে সোনারগাঁওয়ে ট্রাফিক বক্সে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান জানান, দায়িত্ব পালন করার সময় হঠাৎ একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের জনতার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় গাড়িতে অবস্থানরত চালকসহ দুজন যাত্রী দ্রুত নেমে যাওয়ায় কেউ দুর্ঘটনার শিকার হননি। আগুন নেভানোর পর গাড়িটি রেকারের মাধ্যমে দ্রুত সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।


ঝড়-বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশ তীব্র তাপপ্রবাহে দগ্ধ হবার পর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস পেয়েছে। ঢাকার আকাশে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্ট। গতকাল রাতেও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।

বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক দেখাচ্ছে, বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং ঢাকা রয়েছে ১১ নম্বরে।

বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির দূষণ স্কোর ৩৬০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস স্কোর ২১২ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকার বায়ুদূষণ স্কোর ১১৭ অর্থাৎ আমাদের বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমাসহ এ ধরনের জটিলতা রয়েছে তাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

বিষয়:

banner close