শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে বাসে আগুন দিয়ে হত্যা: সিটিটিসি

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক 
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক 
প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১৬

রাজধানীর ডেমরার দেইল্লা বাসস্ট্যান্ডে থামিয়ে রাখা অছিম পরিবহনের বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপির তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

তারা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম মনির ওরফে মনির মুন্সি (৩৭), নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মো. সাহেদ আহমেদ (৩৮), বিএনপি কর্মী এবং মনির মুন্সির ব্যক্তিগত গাড়িচালক মাহাবুবুর রহমান সোহাগ (৩৩)।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বানচালের উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন এলাকায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার মত জঘন্য কাজসহ অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে ডেমরার দেইল্লা বাস স্ট্যান্ডে রাখা অছিম পরিবহনের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মো. নাইম (২২) ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে মারা যান এবং অপর হেলপার মো. রবিউল (২৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর ডেমরা থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে মামলাটি গত ১১ নভেম্বর সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অ্যান্টি ইলিগাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিমে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের প্রথমেই দুইজন ভুক্তভোগীর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত মো. নাইমের (২২) বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। নাইমের বাবার নাম আলম চৌকিদার এবং মায়ের নাম পারভীন বেগম। তারা ডেমরা এলাকাতেই থাকতেন। অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে অল্প বয়সেই কাজে নেমে পড়েন নাইম। অবশেষে দায়িত্ব পলন করতে গিয়ে বাসের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি মারা যান। অপর ভুক্তভোগী মো. রবিউল (২৫) একই বাসে নাইমের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায় তার। কিন্তু ততক্ষণে তার শরীরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কোনোমতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনি গাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। পরে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, তদন্তভার গ্রহণের পর ঘটনাস্থলের চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি হ্যারিয়ার গাড়ি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ওই গাড়িটি ঘটনার দিন অগ্নিসংযোগে ব্যবহৃত হয়েছিল। এ গাড়ির সূত্র ধরে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল অগ্নিসংযোগকারী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেয়া তথ্যের বরাতে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের ধারাবাহিকতা এবং নাশকতা অব্যাহত রাখার জন্য মনির মুন্সি তার নেতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়েছিলেন। নির্দেশনার মূল বিষয়বস্তু ছিল নাশকতার মাত্রা আরও বাড়ানো এবং এমন কোনো ঘটনা ঘটানো যাতে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তারই অংশ হিসেবে তিনি (মনির মুন্সি) বেশ কয়েকজনকে অগ্নিসংযোগের জন্য নিয়োগ দেন। তিনি নিজে বড় একটি ঘটনা ঘটানোর জন্য তার অপর সহযোগী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিব এবং তার বন্ধু সাহেদ আহমেদকে ডেকে নেন।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওই দিন রাত ২টার পর বেশ কয়েকবার ডেমরার দেইল্লা বাস স্ট্যান্ড এলাকা গাড়ি নিয়ে রেকি করেন। অবশেষে তারা কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ফিক্সড (নির্দিষ্ট) করে বড়ভাঙা মার্কেটে চলে যান। সেখান থেকে তারা ২ লিটারের একটি পানির বোতলে পেট্রোল সংগ্রহ করেন রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘটনাস্থলে নিরাপদ দূরত্বে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার মাহাবুবুর রহমান সোহাগ গাড়িতে অবস্থান করেন এবং মনির মুন্সি ও সাহেদ পেট্রোলের বোতল নিয়ে রাস্তার পাশে পার্ক করা অছিম পরিবহনের গাড়ির কাছে যান। ড্রাইভারের সিটের পাশে থাকা খোলা গ্লাসের অংশ দিয়ে মনির মুন্সি পেট্রোল ঢেলে দেন এবং বোতলটি সেখানে ফেলে দেন। তারপর দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে আগুন ধরিয়ে পেট্রোলের উপর ছুড়ে মারেন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারীরা সম্ভাব্য বিপদ এড়ানোর জন্য সড়কের রং সাইড দিয়ে ডেমরা এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে সুফিয়া কামাল ব্রিজ দিয়ে ভুলতায় থাকা মনির মুন্সিদের মালিকানাধীন মুন্সি পেট্রোল পাম্পে রাত্রি যাপন করে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে তারা পেট্রোল পাম্প থেকে বাসায় চলে যান।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ক্লু-লেস ছিল। আমরা বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করে ও তদন্ত করে একটি গাড়ি শনাক্ত করি। পরে সেই গাড়ির সূত্র ধরে একে একে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা আগুন দেওয়ার জন্য দুই লিটারের একটি পানির বোতলে মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল সংগ্রহ করে, সেটিও জব্দ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি কর্মকর্তা বলেন, মনির মুন্সি নির্দেশদাতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে এ কাজ করেন। তিনি আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। দলের আরও বড় পোস্ট পাওয়ার আশায় এ কাজ করেন তিনি।

এই ঘটনায় নির্দেশদাতাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নির্দেশদাতাদের নাম পেয়েছি ৷ তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা তাদেরও গ্রেপ্তার করব। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের বিষয়ে এখনই কোনো তথ্য আমরা বলব না।


স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার স্ত্রী!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ পিস ইয়াবাসহ রুমা আক্তার (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা। কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি নিজে এই ইয়াবা কিনে বাসায় রেখেছেন! আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে রুমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকির (৩৩) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটিহাতা গ্রামের মৃত সাব্বির উদ্দিনের মেয়ে।

জানা গেছে, ১২ বছর আগে বিয়ে হয় প্রবাসী কাওছার ও রুমার। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এই ঝগড়া বিবাদের কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে ফিরলে তাদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে বোনের জন্য স্বামীর কাছ থেকে টাকা নেন রুমা। সেই টাকা দিয়েই জাকিরের কাছ থেকে ১৪ পিস ইয়াবা কিনেন। পরে সেই ইয়াবা শোবার ঘরে একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা। পুলিশ গেলে রুমার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রুমা ইয়াবা কিনে স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এনআইডি-টিকার সনদ জালিয়াতি, ইসি কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদামত টাকা দিলেই লিটন কর্মকার নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম নিবন্ধন সনদ ও কোভিড-১৯ টিকা কার্ডের সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের দিতেন। আর তাকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি সার্ভার থেকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন ইসির ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন।
এসব গোপন তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন বাণিজ্য করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চক্রের এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত মঙ্গলবার লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারি করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। দীর্ঘদিন গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার মো. জামাল উদ্দিন নির্বাচন কমিশনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তার সহায়তায় লিটন মোল্লা নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতো। দেখতে একইরকম হলেও নকল ওয়েবসাইট থেকে বানানো এসব নকল সনদ বাণিজ্য করে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লিটন।
সিটিটিসি কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তাররা অর্থের বিনিময়ে জাল এনআইডি প্রদান, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকা কার্ড ও টিন (TIN) সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অনলাইনে এনআইডি ও অন্যান্য সনদ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ধরনের কাজের বিনিময়ে তারা কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো। হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতো। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের বানানো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের প্রদান করতেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারি জড়িত আছেন। চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে। তারা আদালতের আদেশে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।


ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকায় কাউকেই পরোয়া করতেন না মিল্টন

আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ২০:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিআইপি) সঙ্গে ওঠাবসা ও যোগাযোগ থাকার কারণে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার কাউকেই পরোয়া করতেন না। তিনি মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এদিকে, তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন। ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে মরদেহ দাফনের বিষয়টিও তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারকে সাত দিনের রিমান্ডে এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ মিডিয়াতে এসেছে তার অধিকাংশই আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আমরা তার কাছে আশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। মিল্টন নিজেই বলেছেন, ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতেন। তাছাড়া তার আশ্রমে কোনো ডাক্তার ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে তিনি নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতেন। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তখন মিল্টন তাদেরকে পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, যখন নির্যাতন করা হত তখন তিনি ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে করে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকতো না। এ কাজটি যে করা ঠিক হয়নি সেটিও তিনি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ৯০০ লাশ দাফন করা হয়েছে এমন ভিডিও মিল্টন মানুষের সহানুভূতি ও টাকার জন্য করেছে। আমরা তার কাছে ৯০০ লাশ কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে সেটি জানতে চেয়েছি। তিনি নিজের মুখে ১৩৫টি লাশ দাফনের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু সেসব লাশের ব্যাপারেও কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এগুলো আমরা আরও তদন্ত করবো। অনাথ-অসহায় মানুষের এসব ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে তিনি মানুষের বিবেকে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা থাকার কারণে মিল্টন কাউকেই পরোয়া করতেন না জানিয়ে ডিবি প্রধান আরও বলেন, মিল্টনের এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা। তিনি মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আরও তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।


মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২১

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ২৪৯ পিস ইয়াবা, ১৫৬ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৩১৬ গ্রাম গাঁজা ও ৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা করা হয়েছে।

বিষয়:

মহাখালীতে নেই চিরচেনা সেই যানজট!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় সব সময় লেগে থাকত যানজট। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার গেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন- সব মিলিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল পার হওয়া ছিল নগরবাসীর কাছে এক ভোগান্তির নাম। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় সেই চিরচেনা যানজট এখন আর নেই।

ট্রাফিক-গুলশান দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এ এস এম হাফিজুর রহমান জানান, মহাখালীকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে গত ৬ মে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ বৈঠক করে। সেখানে টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার গেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন, সীমিত এলাকায় অতিরিক্ত তেল ও গ্যাসের পাম্প, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মহাখালীতে নামার র‌্যাম্প স্থাপন, এলাকাগত সীমা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের অভাবসহ বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং এসব সমস্যা সমাধানে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে থাকে।

তিনি জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার থেকে শক্ত অবস্থানে নামে ডিএমপির ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ। সঙ্গে রয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের স্বেচ্ছাসেবকও। তারা টার্মিনালের সামনে এসে থামানো বাসগুলো অন্যত্র সরে যেতে সহায়তা করছেন।

আজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ওই জায়গায় যেখানে সেখানে বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে। যান চলাচলে শৃঙ্খলার স্বার্থে মহাখালীর সামনের সড়ক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে গুলশান-ট্রাফিক বিভাগের ডিসির নির্দেশে মহাখালীতে নতুন করে ইনকামিং সড়কে একটি বাস বে চালু করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো যাত্রীবাহী বাসকে। বিশৃঙ্খলা করলেই বাস থামিয়ে সাবধান করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নিয়ম না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা। এসব কারণে পরিস্থিতি বদলে গেছে। মূল সড়কে কমেছে যানজট, উধাও হয়েছে যত্রতত্র পার্কিং। শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী রেলগেট, আমতলী ও কাকলী এলাকা। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচলে গতি বেড়েছে। এটি বহাল ও চলমান রাখতে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই।

মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আরিফুর রহমান রনি বলেন, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠা-নামা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। ‘বাস বে’গুলো সক্রিয় করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া লোকাল যাত্রীবাহী বাস যেমন দাঁড়াবে না, তেমনি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া দাঁড়াবে না। যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধে চালকদের সতর্ক করা হচ্ছে। না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কোনো সতর্কতা থাকবে না। নির্দিষ্ট স্টপেজে বাসের যাত্রী গণনা করা হবে। পরের স্টপেজে যাত্রী ওঠানোর আগে সংখ্যা বেশি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাখালী বাস টার্মিনালের ধারণক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান। তিনি জানান, মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছন দিকে অনেকখানি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। সেটি যদি মহাখালী টার্মিনালের সঙ্গে একীভূত করা যায়, তাহলে অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি সহসা এর সমাধান হবে।

বিষয়:

‘সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’

ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে, আমরা এখন তাদেরই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। ফলে বাসা বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন স্বচ্ছতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেককেই বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

যতদিন দায়িত্বে থাকব ততদিন দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই এক সময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলমান থাকবে। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দেবো না।’

অনুষ্ঠানে দয়াগঞ্জের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘নীলপদ্ম’-তে ৬৪ জন এবং ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘শাপলা’, ‘শালুক’ ও ‘পলাশ’-এ ২৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দয়াগঞ্জের নীলপদ্ম পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসে ৩৪৩টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত হলেও বাসা বরাদ্দ প্রাপ্তির সব মানদণ্ড পূরণ করেছে ৬৪ জন। একইভাবে ধলপুরে ২৯০টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে ২৬৯টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকি ২১টি বাসা আজ যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪৯ নম্বর কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ।

বিষয়:

কাওরানবাজারে প্রাইভেটকারে আগুন

রাজধানীর কারওয়ানবাজার মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ মঙ্গলবার একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালকসহ দুজন গাড়ি থেকে বের হয়ে যান। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ানবাজার মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) স্নেহাশিস কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চলন্ত গাড়িতে আগুন লাগে। তেমন কোনো বড় সমস্যা না।

এ প্রসঙ্গে সোনারগাঁওয়ে ট্রাফিক বক্সে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান জানান, দায়িত্ব পালন করার সময় হঠাৎ একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের জনতার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় গাড়িতে অবস্থানরত চালকসহ দুজন যাত্রী দ্রুত নেমে যাওয়ায় কেউ দুর্ঘটনার শিকার হননি। আগুন নেভানোর পর গাড়িটি রেকারের মাধ্যমে দ্রুত সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।


ঝড়-বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশ তীব্র তাপপ্রবাহে দগ্ধ হবার পর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস পেয়েছে। ঢাকার আকাশে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্ট। গতকাল রাতেও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।

বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক দেখাচ্ছে, বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং ঢাকা রয়েছে ১১ নম্বরে।

বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির দূষণ স্কোর ৩৬০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস স্কোর ২১২ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকার বায়ুদূষণ স্কোর ১১৭ অর্থাৎ আমাদের বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমাসহ এ ধরনের জটিলতা রয়েছে তাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

বিষয়:

রাজধানীর ২২টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ০০:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহায় স্থায়ী দুটিসহ এবার মোট ২২টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। দুই সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম গণমাধ্যমকে জানান, ৯টি হাট স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিশিয়াল মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখেন বলে উল্লেখ করেন।

ডিএনসিসির আওতায় হাটের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো- ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খোলা জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া ব্যাপারিপাড়া রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা এবং খিলক্ষেতের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্তুল চেকপোস্ট। ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, বউবাজার এলাকা এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন। এ ছাড়া মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং ওপেন স্পেস) এবং মোহাম্মদপুরের বসিলায় ৪০ ফুট রাস্তার পাশের খোলা জায়গায়ও হাট বসানো হবে।

ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে তা হলো- যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন ১ ও ২-এর নিকটবর্তী খোলা জায়গা। আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, ইনস্টিটিউট লেদার টেকনোলজি কলেজ, পোস্তগোলার খোলা মাঠ, মেরাদিয়া বাজার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্থান। এ ছাড়া বিশ্ব রোডের কাছে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাশের একটি অঞ্চলে হাট বসবে।

ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবিধান- দুই সিটি করপোরেশনই ইজারার মাধ্যমে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন উত্তরার বউবাজার এলাকার হাটের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং কাঁচকুড়া এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সীমান্তবিষয়ক সমস্যা থাকায় একটি সমন্বিত কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে আফতাবনগর হাটের জন্য পৃথক ইজারা নোটিশ জারি করেছে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি।


ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট দিলেই মিলবে টাকা!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ২১:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাসহ সারা দেশেই সাধারণত এই সময়ে প্রতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। নানামুখী উদ্যোগ নিয়েও কমানো যায় না ডেঙ্গুর বিস্তার। ফলে প্রতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ অসুস্থসহ মারাও যাচ্ছেন।

এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় এক অভিনব কায়দা অবলম্বন গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এডিস মশার লার্ভা তৈরি হতে পারে এমন সব পরিত্যক্ত জিনিস নিয়ে নগদ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এই কর্মসূচিতে পরিত্যক্ত নষ্ট টায়ার ৫০ টাকা, ডাবের খোসা দুই টাকা এবং প্রতিটি চিপসের প্যাকেট জমা দিলে এক টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মশক নিধন কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় মেয়রের কাছে ৫০০ চিপসের প্যাকেট জমা দিয়ে এক ব্যক্তি ৫০০ টাকাও নিয়েছেন।

ভ্রাম্যমাণ এই কর্মসূচি নিয়ে মেয়র বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। তারা যদি এগিয়ে আসে তবে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।

সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দিন। এ ছাড়া অফিস, বাড়িসহ যেকোনো জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পেলে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবে।

তিনি জানান, হটস্পট নির্ধারণে ২৬টি জায়গায় কাজ করছে ডিএনসিসি। জলজট হলে তা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম সেখানে কাজ করবে। সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনতার কাজ করা হবে।

জমা পানি যেখানেই হোক রাখা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে জনগণ সঙ্গে না থাকলে এডিস মশার মোকাবিলা সম্ভব নয়।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনমত সৃষ্টি ও র‍্যালি করতে প্রতিমাসে ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কাউন্সিলররা এলাকার মুরুব্বী, স্কুলের শিক্ষক, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দিরের সবার সঙ্গে আলাপ করবেন। ঘরবাড়ি ও নিজস্ব জায়গা পরিষ্কার করার কথা জানাবেন। সিটি করপোরেশনের গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে জানাবেন। আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলররা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করবেন। কোনো কোনো জায়গার স্বচ্ছ পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্ম নেয় এসব বিষয়ে তারা জনগণকে সচেতন করবেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে পাঁচ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্তের খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুই শিশুসহ ২৭ জন।


ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৫৭ পিস ইয়াবা, ১৫৩ গ্রাম হেরোইন, ১৩ কেজি ৭০ গ্রাম গাঁজা ও ২১৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

ডিএমপি জানায়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা রুজু হয়েছে।

বিষয়:

ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সরকার গঠনের সময় ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলেদের ভিজিএফের পরিমাণ মাসিক ১০ কেজি থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেবে, যা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়।

তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ভেতর মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন এবং মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কার্যক্রম অন্যতম।

বিষয়:

রাজধানীতে ১৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শ্যামপুর থেকে ১৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগ। তাদের নাম-মো. আব্দুর রহিম ও মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে কালা। পুলিশ বলছে গ্রেপ্তার দু’জন পেশাদার মাদক কারবারি। গতকাল রোববার বিকেলে পশ্চিম জুরাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মোহম্মদপুর জোনাল টিম।
গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের মোহম্মদপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীন জানান, কয়েকজন মাদক কারবারি শ্যামপুর থানার পশ্চিম জুরাইনের খন্দকার রোড এলাকায় মাদক বিক্রির জন্য পিকআপসহ অবস্থান করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আব্দুর রহিম ও জহিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পিকআপ তল্লাশি করে ১৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো। তাদের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।


banner close